নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সমস্ত মদ এবং নারী-পুরুষ আমার কাছে এক ধরনের মনে হয়

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬



১। শিশুর উপযুক্ত জ্ঞানবুদ্ধি হওয়ার পরেই তার ইচ্ছা অনুসারে ধর্ম বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া ভাল? নাকি অবোধ শিশুর মাথায় দুম করে আপনার পছন্দের ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া ভাল? যুক্তিসঙ্গত জনমত প্রার্থনীয়।

২। আমরা মনে করি আমরা অন্যায় করছি না,তবুও আমাদের কোনো কোনো ব্যবহারে অন্য কেউ আঘাত পেতে পারে।

৩। জল যেমন জলকে চায়, মানুষও তেমনি মানুষকে চায় । ছবি, বই, গান, প্রকৃতি এসব কারো সর্বক্ষণের সঙ্গী হতে পারে না । নারী-পুরুষকে, পুরুষ-নারীকে যদি ভালো না বাসে । আদর না করে- তাহলে মনের শক্তি নষ্ট হয়ে যায় । পুরোপুরি সুস্থ থাকা যায় না ।

৪। হে বীরহৃদয় যুবকগণ ,তোমরা বিশ্বাস কর যে ,তোমরা বড় বড় কাজ করবার জন্য জন্মেছ। ওঠ, জাগো, আর ঘুমিও না; সকল অভাব, সকল দুঃখ ঘুচাবার শক্তি তোমাদের ভিতরেই আছে। এ কথা বিশ্বাস করো, তা হলেই ঐ শক্তি জেগে উঠবে।
আপনাতে বিশ্বাস রাখো। প্রবল বিশ্বাসই বড় কাজের জনক।

৫। অধিকাংশ প্রাচীন সভ্যতায় উল্লেখ থাকে যে, অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ একজন দূর থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি ঘটনা সেই একজনের বিশাল বড় এক ঐশ্বরিক প্ল্যানের অংশ বিশেষ।

৬। ঐ যে “বিগ ব্যাং” – এর পর নিউক্লিয়ন ইত্যাদি কিছু কণিকা সৃষ্টি হয়েছিল সে তো শূণ্য থেকে হয়নি। নিশ্চয় কিছু ছিল যা থেকে হয়েছিল। কারণ বিজ্ঞানের গোড়ার কথাই হল – matter cannot be created nor can it be destroyed। শুধু ম্যাটার নয়, এনার্জীর বেলায়ও এই কথা। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ম্যাটার আর এনার্জী বিশ্বসৃষ্টির আগেও ছিল, বিশ্ব যদি কোনদিন ধ্বংস হয়ে যায় তখনো থাকবে। তবে আজ যেভাবে আছে সেইভাবে হয়তো থাকবে না। হয়তো আবার “ব্ল্যাক হোল”- এর মতো কিছু একটা হয়ে ম্যাটারগুলো সব এক জায়গায় জড়ো হয়ে যাবে, যেমন দেড় হাজার কোটি বছর আগে “বিগ ব্যাং”-এর আগে যেমন ছিল। তার মানে ম্যাটার আর এনার্জী আগেও ছিল, পরেও থাকবে-চিরকালই থাকবে। কেবল রূপ বদলাবে হয়তো।

৭। ঈশ্বর সম্পূর্ণ কাল্পনিক ব্যাপার। ঈশ্বর জীবজগৎ সৃষ্টি করেননি। জীব জন্তু পশু পাখি কীটপতঙ্গ, মানুষ কিছুই ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়। এসবই হয়েছে সৃষ্টির নিয়মে, বিবর্তনের হাত ধরে। প্রাণের ইউনিট যে অ্যামিনো এসিড তা এখন ল্যাবরেটরীতে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, অর্থ্যাৎ প্রাণের ইপাদান ইতোমধ্যেই ল্যাবরেটরীতে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। কে জানে হয়তো একদিন প্রাণও তৈরি করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞান যে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে, তাতে ল্যাবরেটরীতে প্রাণ তৈরির সম্ভাবনা অসম্ভব নয়। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, যে জিনিস এখন ল্যাবরেটরীতে হতে চলেছে, সুদূর অতীতে এইভাবেই সে জিনিস প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়েছিল, এর সঙ্গে ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক নেই। ঈশ্বর প্রাণ সৃষ্টি করেননি।

৮। বাইবেলে বলা হয়েছে, “God created man in His own image”। বাইবেলের কথাটা বদলে বলা যায়, “Man created God in his own image”। প্রায় সব ধর্মেই তাই। তাই ঈশ্বরও মানুষের মতো। তিনি জীবের দুঃখে কাতর হন, আনন্দে উল্লসিত, ক্রোধে উন্মাদ।
তাই বলা যায় ঈশ্বর আসলে সৃষ্টির সেরা গুজব।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

কানিজ রিনা বলেছেন: নুতন বিজ্ঞানীরা প্রথম প্রথম নিজেকেই সৃষ্টি কর্তা ভাবে, আজও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞানী মাথার পিছনের চুল চোখ উলটিয়ে গুনতে পেরেছে?

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :-< কিছুই পেলাম না। শুধু শুধু কিছু সময় নষ্ট করলাম।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ।এই ব্লগে এই প্রথম আমি কোনো পোস্ট কে প্রিয়তে নিলাম।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

লুসিফার ০১ বলেছেন: ১ নং টা বলি, আপনি এখন ইচ্ছে করলেই কিন্তু যেকোনো ধারায় যেতে পারবেন। কারণ, আপনার একটা বিবেক আছে, একটা কাজ করার জন্য মস্তিষ্ক আছে। আপনার বাল্যকালে কি এটা ছিলো? মানে আপনার সঠিক বিবেকবোধ কি ছিলো? থাকলে অবশ্যই বিছানায় কাজ সেরে ফেলতেন না। যাই হোক আপনার পিছে আপনার পরিবার ছিলো বিবেককে জাগ্রত করবার জন্য। আর উনারা তা করতেন না যদি না উনাদের নিজস্ব বিবেক জাগ্রত থাকতো। আর উনারা যেহেতু আপনার মাথা ছিলেন, তখন আপনার ভালোটা উপলব্ধি করতেন সেই জন্যই তারা যেটা ভালো ধর্ম মনে করতেন সেই ধর্মের সাথেই আপনাকে পরিচিত করিয়ে দিতেন। সো, আমি বলবো, ওটা উনারা চাপিয়ে দিতেন না! ভালোটা দেখিয়ে দিতেন কেবল।

৭ আর ৮ নং প্রায় একই! আপনি স্রষ্টাকে কাল্পনিক বলতে চাচ্ছেন। স্রষ্টার কোনো প্রয়োজনই নেই বলতে চাচ্ছেন। কারণ, আগে প্রকৃতি মানুষ তৈরি করেছে আর এখন বিজ্ঞানীরা তা করার দ্বারপ্রান্তে! আচ্ছা মহাবিশ্বটাই কোথা থেকে আসলো? বিগ ব্যাং তো জাস্ট কিছু অংশ তৈরি করছে! এমন তো হাজার হাজার ব্লাক হোল আছে। আবার বাইবেলের একটা উদাহরণ দিয়েছেন! তার উল্টোটা বলেছেন, মানুষ স্রষ্টাকে তার নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছে নিজের মনে! হ্যাঁ, আমি একমত। কারণ, কোনো ধর্মগ্রন্থে স্রষ্টার আকৃতি ভালোভাবে কিছু বলা নেই!

আমাকে ৭ নং পয়েন্টের রেফারেন্স দিবেন প্লিজ!

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

কালীদাস বলেছেন: বাসায় জানে?

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: ৭ নাম্বার পয়েন্ট পড়ে পুরাই থমকে গেলাম! ;)
ভালো-মন্দ কিছুই বলতে চাই না। শুধু পড়ে গেলাম। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.