নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাজার সদাই অথবা প্রতারনা

১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭


বাচ্চাটা ছুটির দিন ছাড়া বাবাকে কাছে পায় না।

১। অফিস থেকে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফেরার সময় দেখি- রাস্তার পাশে ফলের দোকানে নানান রকম ফল কি সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। ঝকঝকে-তকতকে। দেখতে ভালো লাগে। খুব আগ্রহ নিয়ে আপেল কিনলাম, আঙ্গুর কিনলাম। কমলা কিনলাম। বাসায় এসে দেখি- বেছে বেছে আমাকেই সব ফল গুলো নষ্ট ফল দিয়েছে। কিন্তু আমি তো টাকা কম দেইনি। দোকানদার লোকটা বলল, আপনাকে একটা জিনিসও খারাপ দেব না। ব্যবসা একদিনের না। খাবেন আবার আমার কাছে আসবেন। বাসায় এসে বুঝতে পারলাম, লোকটা আমাকে মিথ্যা বলেছে। ফল গুলো কেনার সময় আমি বেছে নিতে পারিনি। আমার হাতের কাছ থেকে অনেক দূরে ছিল। দোকানদার মাপেও কম দিয়েছে। দোকানদার আমার সাথে প্রতারনা কেন করল? ধরে নিলাম লোকটা আমার কাছ থেকে পাঁচ শ' টাকাই লাভ করেছে। এই পাঁচ শ' টাকা দিয়ে তার কি হবে? কতদিন চলবে? আমার তো বাসায় এসে প্রচন্ড মন খারাপ হলো। কিন্তু কথা হলো- আমি যে দেখলাম, কি সুন্দর করে ঝকঝকে ভালো ফল গুলো সাজিয়ে রেখেছে- এই গুলো কারা খাবে? আমি যখনই কেনাকাটা করি- তখনই ঠক'ই। বারবার এমন হয়। ইদানিং কেনাকাটা করতে ভয় হয়। কিন্তু আমার সংসারের কেনাকাটা তো আমাকেই করতে হবে। অন্য কেউ তো এসে কেনাকাটা করে দিয়ে যাবে না।

২। মাছের বাজারে গেলাম। কি সুন্দর করে মাছ গুলো সাজিয়ে রেখেছে। ভয়াবহ দাম। দাম যতই হোক খেতে তো হবে, বাঁচতে হবে। বুকে হাত রেখে, খুব সাহস করে এক কেজি কিনে ফেললাম। বাসায় এসে দেখি- বেছে আমাকেই ছোট ছোট মাছ গুলো দিয়েছে। কিন্তু আমি তো দেখলাম বড় বড় মাছ গুলো কি সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। মাছওয়ালার এই চালাকির কারন কি? আমি তো টাকা কম দেইনি। যা চেয়েছে তাই দিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা- আমি নিজের চোখে দেখলাম- সব গুলো বড় মাছ। কিন্তু বাসায় এসে দেখি সব ছোট মাছ। আবার মাপেও কম। আজিব!!! কিন্তু আমি জানতে চাই সাজিয়ে রাখা বড় মাছ গুলো খায় কারা?
এক কেজি চিংড়ি মাছ কিনে বাসায় এসে মেপে দেখি চার শ' গ্রাম কম দিয়েছে। প্রতি সপ্তাহে বাজারে যাই- আর এই রকম ঘটনা ঘটে। এই রকম কি শুধু আমার সাথেই করে না সবার সাথেই এই রকম হয়? আমি তো কাউকে ঠকাই না। যেমন একদিন এক রিকশায় উঠলাম। আমি গন্তব্যে নেমে রিকশাওয়ালাকে বললাম কত? রিকশাওয়ালা ২০ টাকা ভাড়া কম বলল। আমি রিকশাওয়ালাকে বললাম ভাই, এই পথ দিয়ে আমি নিয়মিত যাতায়াত করি- ভাড়া তো ৭০ টাকা আপনি ৫০ টাকা বলছেন কেন? আমি তাকে ৫০ টাকা না দিয়ে ৭০ টাকা'ই দিলাম। তবে ঢাকা শহরের বেশির ভাগ রিকশাওয়ালাই বদ। বিরাট বদ।

৩। সেদিন দুপুরে আমার অফিসের কলিগদের নিয়ে একটা চায়নিজ রেস্টুরেন্টে খেতে গেলাম। আমরা মোট ৫ জন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। ফ্রাইড রাইস, ভেজিটেবল, বীফ আর চিকেন ফ্রাই এবং কোক ফানটা। পর্যাপ্ত খাবার নিইনি, যেটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে কমই নিয়েছে। সব মিলিয়ে বিল হওয়ার কথা- ২২০০ টাকা। কিন্তু তারা বিল করল ৫৮০০ টাকা। আমি তো অবাক! সেখানে দেখলাম তারা সার্ভিস চার্জ নিয়েছে ১২০০ টাকা। আরে ব্যাটা সার্ভিস চার্জ কিরে? তোদের এখানে এসেছি তোরা তো খাবার এসে টেবিলে দিয়ে যাবি। এটাই স্বাভাবিক। এই জন্য তোদের ১২০০ শ' টাকা দিতে হবে? তারপর আবার ভ্যাট নিয়েছে প্রায় ৮০০ শ' টাকা। এই ভ্যাট কি সরকার পাবে? তোরা তোদের কাগজে লিখে নিয়ে এসেছিস। আজিব !!! তোদের খাবার না খেয়ে যদি হাজীর বিরানি খেতাম এক হাজার টাকায় আমাদের ৫ জনের ভর পুর হয়ে যেত। খেয়েও আরাম পেতাম। এবং ৪৮০০ টাকা বাচতো। তোদের এক টুকরো চিকেন ফ্রাই খেয়ে আরামও পাইনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এই রকম স্বেচ্ছাচারিতা দেখার কি কেউ নেই?

৪। টেইলারসে একটা শার্ট এর মুজুরি নেয় ৪০০ টাকা এবং একটা প্যান্টের মুজুরি নেয় ৫০০ টাকা। এখন কথা হচ্ছে, একটা শার্ট বানাতে তাদের খরচ হয় ১২০ টাকা। তাহলে তারা ২৮০ টাকা বেশি নিচ্ছে কেন? এবং একটা প্যান্ট বানাতে তাদের খরচ হয় ১৩০ টাকা তাহলে তারা ৩৭০ টাকা বেশি নিচ্ছে কেন? হুম- তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়েছে লাভ করার জন্য। কিন্তু তার জন্য সাধারন মানূষের গলা কেটে তাদের লাভ করতে হবে? সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে ঢুকে গেছে মিথ্যা ছল-চাতুরি আর প্রতারনা। সততার ভান করে একজন আরেকজনকে ঠাকাচ্ছে। এই গুলো কি কখনো বন্ধ হবে না?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

ওমেরা বলেছেন: জী না কখনো বন্ধ হবে না তবে আরো উন্নত মানের প্রতারনা আবিষ্কার হবে আপনি বুঝতেই পারবেন না আপনার সাথে প্রতারনা করা হয়ে ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

জুন বলেছেন: আপনি সত্য কথাই বলেছেন । অনেক দোকানে দেখি সবজী বা ফল আসমানে তুলে রেখেছে । বিশেষ করে নিউমার্কেটের কাচা বাজারে । এ জন্য যেখানে আমি নিজে বেছে নিতে পারি সেখানে যাই । আর ফল কেনার জন্য একটু দাম হলেও সুপার শপগুলোই ভালো । আপনি একশবার বেছে নিতে পারবেন , যতটা আপনার ইচ্ছে। আমিতো মাঝে দুটো আপেল বা কমলা এমন ও কিনি । দরকার হলে আবার যাই । তারা ঐ সব দোকানদারের মত মুড দেখিয়ে পাল্লা ঝুলিয়ে জিজ্ঞেস করে না কয় কেজি নিবেন ? কেজি কেজি কিনে বাসায় ফেলে রাখতে আমি রাজী নই।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Mon kharap kora post. Emotional post. Weeping generating post......

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী করে ফেললাম।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

ইউনিয়ন বলেছেন: 'জয় বাংলা'
দেশের মানুষ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় ভালো আছে!

সেদিন দেখলাম এক জনে পোষ্ট দিয়েছে তরমুজ কিনার পর অতিরিক্ত লাল কিংবা ভিতরে স্পট থাকলে তা ফেলে দেয়ার জন্য বলেছে।

যখন প্রশ্ন করলাম আমার কষ্টার্জিত টাকার কি হবে তখন কোন উত্তর দিতে পারেনি।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: শরীয়া আইন থাকলে দেশটা বিকলাঙ্গ ব্যবসায়ীতে ভরে যেত।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: কিভাবে?

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নৈরাজ্য আর কাকে বলে?

আমি দেখেছি, বাজারসওদা করার জন্য মহিলারা পুরুষদের তুলনায় একটু পটু হয়। ৫০০ টাকার জিনিস তারা নির্ভয়ে ১০০ টাকা বলতে পারে, আর আমি সাড়ে ৩০০ বলি ভয়ে ভয়ে :(

আমিও আমার বাসার বাজার নিজেই করতাম। নিজ হাতে মাছ বা মাংস টিপে পাল্লায় তুলতে বলতাম। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সাথে চালাকিতে পেরে ওঠা খুব কষ্টকর। বিশেষ করে, মাংস কীভাবে যে ওজনে কম দেয় তা ধরাই যায় না।

এ অবস্থার উত্তরণ কোনোদিন হবে কিনা কে জানে?

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: কেমন আছেন??
এই দেখেন আমি আমার পোষ্টে করা মন্তব্যের উররত দেই।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: বাজারে গেলে ঠকতে হবে, এটা মাথায় রেখেই আমি বাজারে যাই ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ে করেন। তার পর নিয়ম করে বাজারে যেতে হবে। হবেই।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

বনসাই বলেছেন: ফলের দোকানে দামাদামি বনলে পর কী বলবেন? -দোকানীকে বলবেন, খবরদার! একটা ফল তুমি ধরবা না। বাছাই করব আমি। দেখবেন সোজা হয়ে যাবে।
আর ফলগুলো যদি হাতের নাগালে না থাকে তাহলে কী করবেন? ওজন দেয়ার পর প্যাকেট থেকে বের করে চেক করবেন। নষ্টগুলো বদলে নেবেন। ওরা ফলের পঁচা দিকটি ঘুরিয়ে নিজের দিকে রাখে, অথবা ওগুলো একপাশে রাখে যা শুধু দোকানীই জানে।

সুপার সপ থেকে কিনতে পারেন, উইকএন্ডে দাম কম রাখে তারা। এখানে সুবিধা হলো ১টি, ২টি, ৩টি বা যতটা কিনতে চান কিনতে পারেন। সুপার সপের বাইরে থেকে লিচু কেনা ছেড়ে দিয়েছি বহু বছর। বাইরে ১০০ গুনে বাড়তি আরো গোটা দশেক ফ্রি দেয় তবুও বাসায় এসে পেতাম ৮৫-৮৭টি। আর এখন তরমুজও কিনি সেখানে থেকে। সমস্যা হলে বদলে নিয়েছি, এমন কি নগদ টাকাও ফেরত নিয়েছি।

গত মাসে প্যান্ট বানাতে খরচ পড়লো ৬৯০ টাকা। যার ৯০ টাকা ভ্যাট।

বাংলাদেশ আজ হয়ে পড়েছে কষ্টাকষ্টি আর ঠকাঠকির দেশ।
চোখ কান খোলা রাখুন। ন্যাড়া বার বার বেলতলায় গেলে বুঝতে হবে ন্যাড়ারই সমস্যা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পরামর্শ আমার পছন্দ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.