নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধাবমান কালো চোখে আলো নাচে- ৬ (ধারাবাহিক উপন্যাস)

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯



এই পৃথিবীর একটা দায়-দায়িত্ব আছে- মানুষের উপর আবার মানূষের একটা দায়-দায়িত্ব আছে পৃথিবীর উপর। যে যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে- প্রকৃতি রেগে যায়। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। প্রকৃতি খুব নির্মম প্রতিশোধ নেয়। অনেকে প্রকৃতিকে নিয়তি বলেন আবার কেউ কেউ ঈশ্বর বলেন। আসলে যে যেটা ভেবে শান্তি পায়। ১৯৪৩ সালে এই বাংলায় 'প্রকৃতি' একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ লোক মারা গেল। সরকারি হিসেবে ১৫ লক্ষ। তখন, কলকাতা বিহার উড়িষ্যা তখন বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্গত। দুর্ভিক্ষের সে দিনগুলোতে মানুষ কচুঘেঁচু, পাতা-লতা এমনকি দূর্বাঘাস খেয়েও বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে। গ্রাম-বাংলার মানুষের খবর-বার্তা পৌঁছানোর প্রধান মাধ্যম বলতে ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে জানানো, মানুষের বলাবলি, আলোচনা, ভালো-মন্দ মন্তব্য ইত্যাদি ছাড়া তেমন আর কোনো বাহন ছিল না। ধারনা করা হয়- এই ৪৩ এর দূরভিক্ষের সময় জন্ম হয় টারজানের।

কী বিচিত্র মানুষের জীবন! সূর্য অস্তমিত। ব্যাঙের নিরবচ্ছিন্ন ডাক, পাখির নিরন্তর কুলায় ফিরে যাওয়া। টারজানের যখন সাত বছর বয়স তখন ওমর আলীর সাথে তার দেখা হয় বিক্রমপুর। ওমর আলী মুন্সিগঞ্জ বাজারে শাড়ি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন-কুচকুচে কালো রঙের একটি কুকুরের সাথে এক বালক খেলছে। দূর থেকে দৃশ্যটা দেখে ওমর আলীর খুব'ই ভালো লাগল। তার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তারও একটি কুকুর ছিল। কুকুরটির নাম তিনি রেখেছিলেন- পালোয়ান। ওমর আলী টারজানের কাছে গিয়ে বলল- এই খোকা তোমার এই কুকুরের নাম কি? খোকা উত্তরে বলল- আমার নাম টারজান আর আমার কুকুরের নাম- কাল্লু। আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে- আমাকে আর কাল্লুকে কিছু খাওয়াবেন? ওমর আলী বললেন অবশ্যই খাওয়াবো।

তারা তিনজন একটি রাস্তার পাশে খাবারের দোকানে বসলো। ওমর আলী নিজে কাল্লুকে রুটি ছিড়ে ছিড়ে খাওয়ালেন। আর টারজান খুব দ্রুত সাতটা আটার রুটি শেষ করে দিল পাতলা ডাল দিয়ে। টারজানের খাওয়া দেখে ওমর আলীর খুব মায়া লাগল। আহা বেচারা খুব ক্ষিধে পেয়েছিল। খাওয়া শেষে ওমর আলী টারজানের জীবন বৃত্তান্ত সব শুনলো। তার বাবা মা নেই এবং সে রাস্তায় রাস্তায় থাকে শুনে ওমর আলীর চোখে পানি চলে এলো। তিনি এক আকাশ আগ্রহ নিয়ে ওমর আলীকে তার বাসায় নিয়ে এলেন। বাসায় এনে তিনি ভয়াবহ এক বিপদে পড়লেন। ওমর আলীর স্ত্রী সরলা বিবি কিছুতেই কাল্লুকে বাড়িতে রাখতে রাজী হলেন না। তার বক্তব্য টারজান থাকতে পারে কিন্তু কুকুরটি না। তিনি কুকুর খুব ভয় পান। দূরে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে টারজান। ঠিক এই সময় ওমর আলীর মেয়ে পুষ্প- তার মা সরলা বিবিকে অনুরোধ করে এবং তিনি মেয়ের কথায় সায় দেন তারপর থেকে টারজান ও কাল্লু এই বাড়িতেই থেকে আয়।

ওমর আলী নিয়ম করে টারজানকে সকাল সন্ধ্যা পড়াতে বসান। লেখা পড়ায় টারজানের খুব আগ্রহ। সে দ্রুত স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ শিখে ফেলল। টারজানের প্রতিভায় ওমর আলী মুগ্ধ। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে ওমর আলী টারজানকে গল্প শোনায়। এতে লেখা-পড়ায় আগ্রহ বাড়ে। ওমর আলী গল্প শুরু করলেই পুষ্প এসে বাবার পাশে বসে খুব মন দিয়ে গল্প শোনে। ওমর আলীর গল্প গুলো এই রকম- একবার এক বাদশা একজন অপরাধী কয়েদীকে হত্যা করার হুকুম দিলেন। বেচারা নিরুপায় হয়ে বাদশাহকে গালি দিতে শুরু করল এবং অশ্লীল ভাষায় যাচ্ছেতাই বকতে লাগল।
লোকে বলে থাকেঃ মানুষের মনে যখন বেঁচে থাকার আশা থাকে না তখন তার মনে যা কিছু থাকে তা বলতে দ্বিধাবোধ করে না।
বাদশাহ তাঁর এক মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেনঃ লোকটা এমন জোরে জোরে কি বলছে?
মন্ত্রীমহোদয় খুব দয়ালূ ও মহানুভব ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বললেনঃ লোকটা বলছে, যারা রাগ দমন করে এবং লোকদেরকে ক্ষমা করে, সেইসব লোকদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন।
একথা শুনে বাদশার হৃদয়ে দয়ার উদ্রেগ হলো এবং তার প্রাণদন্ড মওকুফ করে দিলেন। আর একজন মন্ত্রী যিনি প্রথমোক্ত মন্ত্রীর বিরোধী ছিলেন, প্রতিবাদ করে বললেনঃ আমাদের মত উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীদের পক্ষে পবিত্র রাজদরবারে সত্য বৈ মিথ্যা বলা সমীচীন নয়। অপরাধী বাদশা নামদারকে গালি দিচ্ছে এবং এমন সব অকথ্য কথা বলছে, যা কাউকে বলা যায় না।
মহান বাদশা সে কথায় কান দিলেন না; বরং বিরক্ত হয়ে বললেনঃ যে সত্য কথা তুমি বলেছ, তার চেয়ে ওর মিথ্যা কথা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে, কেননা, ওর উদ্দেশ্য মহৎ। অর্থাৎ, একটা মূল্যবান জীবন রক্ষা করে তাকে সংশোধনের সুযোগ দেয়া।
জ্ঞানী লোকেরা বলে গেছেনঃ অশান্তি উতপাদনকারী সত্য কথার চেয়ে শান্তিকামী মিথ্যা কথা ঢের ভালো।

ওমর আলী টারজান এবং পুষ্পকে গল্প বলতে থাকুন, এই ফাঁকে আমরা ফারগো শহর থেকে ঘুরে আসি। সেখানে শশীভূষন এর মেয়ে অলকা থাকে। এবং সে মাইক্রোবায়োলজি'তে লেখা পড়া করছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অলকা এক মগ কফি নিয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়ায়। কফি খেতে খেতে সারাদিনের কাজ কর্ম মাথায় সাজিয়ে নেয়। আজ তার তিনটা ক্লাশ আছে। আর এক বছর পর তার লেখা পড়ার পাঠ শেষ হয়ে যাবে। মাইক্রোবায়োলজিতে পড়াশোনা করার কারণে পেশাগত জীবনের জন্য তার চাকরির অনেক দরজা খোলা। পৃথিবীর যে কোনো দেশে খুব সহজেই সে একটা চাকরি পেয়ে যাবে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ'তে। কিন্তু তার নিজ দেশে তার কোনো চাকরি নেই। মাত্র দেশ ভাগ হলো। দেশের মানুষ ছন্নছাড়া অবস্থায় আছে। অলকা তার চিন্তা ভাবনা গুলো তার বাবার সাথেও শেয়ার করতে পারে না। তার পাশের রুমে থাকা চীন দেশের মেয়ে মেরি'র সাথেও আলোচনা করতে পারে না। আর এলিন নামের বৃদ্ধা যার কাছ থেকে সে এই রুম ভাড়া নিয়েছে- সে দেখা হলেই নানান গল্প ফাঁদে। এলিন প্রথমেই জানতে চান- লেখা পড়া কেমন হচ্ছে। তোমার কোনো প্রেমিক নেই কেন? দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছো কেন? তারপর বৃদ্ধা এলিন তার ছোটবেলার গল্প শুরু করেন। এলিন কিছুতেই বুঝতে চায় না- অলকার সময় তিনি নষ্ট করছেন। সারাদিন ক্লাশ শেষ করে, বাজার করে তার নিজের রান্না নিজেকেই করতে হয়। আসলে আমেরিকায় বুড়ো বুড়ি গুলো খুব অসহায় এবং নিঃসঙ্গ।

অলকার কফি শেষ এখন সে তার বাবা'র কাছে চিঠি লিখবে। মাসে অন্ততপক্ষে তিনটা চিঠি না পেলে শশীভূষন খুব মন খারাপ করেন। দেশটা ভাগ হওয়াতে বাবা ভীষণ অস্থির হয়ে পড়েছেন। অলকা খুব সাবধানে বুদ্ধি দিয়ে চিঠি লিখে। যেন চিঠি পড়ে বাবার অস্থিরতা কমে যায়।

প্রিয় বাবা,
সময় তার সমকালকে কখনো কখনো মহাকালের সঙ্গে মুহূর্তে যুক্ত করে নেয়। কিছু কিছু মানুষের কোন দেশ নেই। তারা বড্ড দুর্ভাগা, কোথাও তাদের জায়গা নেই। সব যুগেই এই রকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়। ভুল তত্ত্বের উপর দাঁড়িয়ে ভাগ হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তান। ধর্ম দিয়ে দেশ ভাগের নজির বোধহয় আর একটিও নেই পৃথিবীর মানচিত্রে। তুমি হিন্দু আর আমি মুসলমান, আমরা একে অপরের শত্রু এমন করে বিভাজনের যে রেখা টেনে দেওয়া হয়েছিলো ১৯৪৭ এ, আজো ডিএনএর মতো আমরা বয়ে চলছি তা। তার দৃষ্টান্ত যারা সংখ্যায় নিতান্তই কম তাদেরকে ভিটেছাড়া করা, ঘর বাড়িতে আগুন দেওয়া। কয়জন-ই বা পারে সেই ডিএনএকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মতো পরিবর্তন করে নতুন বৈশিষ্ট্যের আনায়ন করতে?

বাবা, উপমহাদেশের মানচিত্রে এক ঐতিহাসিক ঘটনা- ভারতবর্ষের বিভাজন। কেবলই মানচিত্রের বিভাজন নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে লাখো কোটি মানুষের ভাগ্য সম্পদ সঞ্চয় ও প্রণয়ের নানা ঘটনা। উপমহাদেশ থেকে ইংরেজ যখন তার তাঁবু গুটিয়ে নিতে বাধ্য হল, তখনই তাদের মধ্যে এক বড় সংশয় ছিল যে, এ মানুষেরা যদি আগামীতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মিলিতভাবে বেড়ে ওঠে তাহলে পৃথিবীর নানা সাম্রাজ্যের শক্তি হুমকির সম্মুখীন হবে। এ সংশয় থেকে শীর্ষস্থানীয় হিন্দু-মুসলিম নেতাদের নিয়ে ভারত বিভাজনের চক্রান্ত করে ইংরেজ।

বাবা, আমার এক শিক্ষক ক্লাশে দেশভাগ নিয়ে অনেক আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, আমি মনে করি দেশ ভাগ একটি দুঃখজনক ঘটনা। দেশ ভাগের সময় শেরেবাংলা, সোহওয়ার্দী কাউকে বাঙালি মুসলমানদের প্রতিদিধিত্ব করতে রাখা হয়নি, চালাকি করে রাখা হয়েছিলো যোগ্রেন্দ্র নাথ মন্ডল নামের এক অযোগ্য বাঙালিকে। দ্বি-জাতি তত্ত্বের আসরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পূর্বসুরি যোগেন্দ্র মন্ডল কেন? এসব হচ্ছে ধর্মের নামে রাজনীতির ভেল্কিবাজী। ১৮৭০ থেকে ১৮৯৩ সাল যে দাঙ্গা গুলো হয়েছে তার প্রত্যক্ষ কারণ হচ্ছে গরু। সে কালে হিন্দু পঞ্জিকার হিসাব আর মুসলিম হিজরি হিসাবের একটি দিনের মিল হয়ে যায় তা হল দুর্গাপূজা ও ঈদুল আজহার। মুসলিম সংস্কৃতি অনুযায়ী সেই দিন গরু কুরবানি করে থাকে কিন্তু হিন্দুরা গরু কুরবানিতে বল পুর্বক বাধা প্রদান করল। আরহিন্দুরা দুর্গাপূজা তো করবেই। বরঞ্চ প্রতিমা বিসর্জনেরর দিন ঢাকঢোল পিটিয়েবাজনা বাজিয়ে মসজিদের সামনে দিয়ে মিছিল করে যাবে।

বাবা, এর আগের চিঠি'তেও দেশভাগ নিয়ে আমার মন্তব্য তোমাকে জানিয়েছি। এবারও কিছু লিখলাম। এই চিঠি আমাকে এইখানেই শেষ করতে হচ্ছে। আমাকে এখুনি বের হতে হবে। আমি বেশ ভালো আছি। সময় মতো খাওয়া দাওয়া করছি। আর পড়াশোনাও খুব চলছে। বরাবরের মতো আমি খুব ভালো রেজাল্ট করবো এই ব্যাপারে তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পারো। তুমি ভালো ভাবে থেকো। নিজের দিকে লক্ষ্য রেখো। রাত জেগে বই পড়ো না।

বিঃ দ্রঃ তোমার বন্ধু ওমর আলী চাচার খবর কি? তার কি কোনো খোঁজ পেয়েছো? দেশভাগ হলে একটা মানুষ হারিয়ে যাবে এটা কোনো কাজের কথা না। তার কোনো খোঁজ খবর পেলে আমাকে অবশ্যই জানাবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লেখনী।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: ভালো লাগা রই উপন্যাসে।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

আমি সৈকত বলছি বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন..।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ গল্প পড়লাম। অনেক অনেক ভালো লাগা রইল।
পরের পর্বগুলোর অপেক্ষা রইল।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল পর্ব পাঠে। ভাল থাকবেন রাজীব ভাই। ভাবীকে সালাম দিবেন।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজীব নুর কড়া কড়া লেখা ছাড়ছেন!

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল পড়ে।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



হতবাক, আপনি নিজের পোস্টে ফেরত আসেননি?

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২১

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল্ বেশ ভাল।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.