নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এমন কেন?

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৩



লন্ড্রী দোকানে একটা শার্ট আয়রন করতে সাত টাকা লাগে। কিন্তু তাদের একটা শার্ট আয়রন করতে খরচ হয় এক টাকা। তারা ছয় টাকা বেশি নিচ্ছে। আজিব!!! কেউ কিছু বলছে না। সবাই সাত টাকা দিয়েই জামা আয়রন করছে।
আমাদের মহল্লার গলি'তে আজ এক বছর ধরে রাস্তার লাইট জ্বলে না। অন্ধকারে চলাচল করতে হয়। এর মধ্যে আবার নেই ম্যানহলের ঢাকনা। সেদিন দেখলাম সিটি কর্পোরেশনের লোকজন এসে- রাস্তার বাতি সব ঠিক করে দিল। পুরো রাস্তা ঝলমল করছে। গলিতে ঢুকেই মনে হলো- অন্য কোনো এলাকায় চলে এলাম কিনা। ঝলমলে আলোর কারনে সারা রাস্তা কেমন বদলে গেল!! খুশিতে মনটা ভরে গেল। পরের দিন দেখি রাস্তা আবার আগের মতো অন্ধকার।
ছোটবেলা থেকেই এই রকম অবস্থা দেখতে দেখতে আমি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। ছয় মাস বা এক বছর পর এসে ঠিক করে দিয়ে যায়। এবং পরের দিন থেকে সেই লাইট আর জ্বলে না।

এক কেজি গরুর মাংস কেনার পর বাসায় এসে আধা কেজি ফেলে দিতে হয়। মানুষ মানুষকে এইভাবে কেন ঠকায়? সেদিন আড়াই কেজি একটা মূরগী কিনলাম। ওদের কাছ থেকেই কেটে আনলাম। বাসায় এসে মেপে দেখি দেড় কেজি নেই! প্রতিটা ক্ষেত্রে মানুষ এমন প্রতারনা কেন করে? এমন কোনো শাখা নেই- যেখানে কেউ কাউকে ঠকাচ্ছে না।
মগবাজার থেকে রাজার এবং মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত সড়কে ছোট খাট ডোবা থেকে শুরু করে অজস্র খানা খন্দে ভরপুর। পুরো এলাকা ঢাকা পরে আছে ধুলোর আস্তরণে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে-করতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। গতকালের কথা, অফিস থেকে বাসায় ফিরছি। বরাবরের মতো হেঁটে হেঁটে। ফুটপাত দিয়ে হাঁটার অবস্থা নেই। বেশির ভাগ ফুটপাত ভাঙ্গা। আর যেটুকু ফুটপাত ভালো আছে- সেটুকুতে হয় চিতই পিঠা বানাচ্ছে অথবা চায়ের দোকান। কাজেই আমি ফুটপাত ঘেঁষে হাটছি। আরামে হাঁটতে পারছি না। রিকশা, গাড়ি বাস যেন গায়ের উপর এসে পড়তে চায়- এমন অবস্থা। চারপাশে নজর রেখে ফুসফুস ভরতি ধুলো-বালি নিচ্ছি ঠিক এমন সময় এক হোন্ডাওয়ালা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল ময়লার মধ্যে। এইখানেই শেষ না- হোন্ডাওয়ালা রেগে-মেগে আমাকে মারতে আসলো। আর বলল- তোরা গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে কেন আসিস? মাটিতে পড়ে আমার হাটুর কাছে অনেকখানি ছিলে গেল।

সেলুনে গিয়েছি চুল কাটতে। গিয়ে দেখি লম্বা লাইন। আমি যখনই চুল কাটাতে সেলুন এ গিয়েছি- কখনও সেলুন খালি পাইনি। রাত নয়টায় গেলেও লাইন দিতে হয়। ব্যাংকে গেলেও লম্বা লাইনে পড়তে হয়। বাজারে মাছ কেনার পর মাছ কাটাতে গেলে সেখানেও লাইন ধরতে হয়। শুটিং ক্লাব থেকে গুলশান-২ যাবো। সেখানেও বাসের জন্য লাইন ধরতে হয়।
হোটেলে নাস্তা খেতে গেলাম। ওয়েটার সবাইকে খাবার দিচ্ছে আমাকে দিচ্ছে না। আজিব !!! এদিকে আমার অফিসের দেরী হয়ে যাচ্ছে। যাই হোক নাস্তা দিল একদম ঠান্ডা রুটি। যেন আমাকে দয়া করছে। খুব বিনয়ের সাথে বললাম, ভাই রুটিটা কি গরম দেয়া যায়? ওয়েটার চোখ গরম করে বলল- বিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু আমার পাশের জনকে সে ঠিকই গরম রুটি দিল। আমি মুখ বুঝে চুপচাপ ঠান্ডা রুটিই হাসি মুখে খেয়ে নিলাম। প্রতিনিয়ত'ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমার আর এই দেশে থাকতে ইচ্ছা করে না। সুযোগ পেলে চলে যেতাম- লন্ডন, কানাডা অথবা অস্টেলিয়া। আল্লাহর কসম আমি চলে যেতাম।

অপরিচিত মানুষ যদি আমাকে তুমি করে বলে তাহলে আমার খুব রাগ হয়। আমার আগের অফিসে আমার সিনিয়র একদিন আমাকে তুই করে বলছে। আমি তো অবাক!! প্রথমে ভাবলাম, আমি বুঝি ভুল শুনেছি। তারপর দেখি সে আমাকে প্রায়'ই তুই করে বলছে। আজিব !!! আমি তো একটা রাস্তার ভিক্ষুক বা একজন রিকশাওয়ালাকেও সম্মান দিয়ে কথা বলি। সব অফিসে একটা করে শুয়োরের বাচ্চা থাকে। বিশ্বাস করুন সব অফিসে একটা করে শুয়োরের বাচ্চা থাকবেই। সেই শুয়োরের বাচ্চা আমার জীবন তেজপাতা বানিয়ে ফেলল। পারলে আমাকে দিয়ে তার জুতা পালিশ করিয়ে আনে। সেইসব অনেক কথা। আরেকদিন বলব।

আমি বুঝে গেছি। কিছু দুষ্টলোক সব জায়গায়ই থাকে। মক্কা মদিনায়ও আছে। অফিসে-আদালতে আছে, বাজারে-মেলাতে আছে। তারা সব যুগেই বিদ্যমান। আমাদের সামু ব্লগেও আছে। তারা অশ্লীল মন্তব্য করে। নোংরা ভাষা ব্যবহার করে। এইসব নোংরামি তারা কার কাছ থেকে শিখেছে? বাবা-মা'র কাছ থেকে? বন্ধুদের কাছ থেকে? আজকে আমার লেখার বিষয় ছিল- একটা কবিতা। কবিতা না লিখে- এইসব লিখলাম। আসলে মনটা ভালো নেই। আগামীকাল আবার ঢাকার বাইরে যাব। আপনারা ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। জয় বাংলা।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২২

ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া লিখাটা পড়লাম আপনার মনের কষ্ট ও বুঝলাম । কিন্তু আপনার ছবি দেওয়ার মানেটা বুঝলাম না ।

ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি দিয়ে কি অপরাধ করেছি??

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমার আর এই দেশে থাকতে ইচ্ছা করে না। সুযোগ পেলে চলে যেতাম- লন্ডন, কানাডা অথবা অস্টেলিয়া।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লন্ড্রী দোকানের ভাড়া, বিদ্যুত, লোকটা বা লোকগুলোর বেতন, যন্ত্রপাতি কেনাকাটা, মেরামত, সবকিছু হিসেবে নিয়েছেন তো?

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ্না নেই নি।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৯

সিফটিপিন বলেছেন: আপনি লন্ডন, কানাডা অথবা অস্টেলিয়া গেলেও আপনাকে ঠগাবে।




কারন আপনি সহজ সরল মানুষ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ঠকতে ঠকতে একদিন জিতে যাবো।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

সিফটিপিন বলেছেন: লন্ড্রী দোকানে একটা শার্ট আয়রন করতে সাত টাকা লাগে। কিন্তু তাদের একটা শার্ট আয়রন করতে খরচ হয় এক টাকা। তারা ছয় টাকা বেশি নিচ্ছে।


আপনার কথা মতে, খরচ হয় এক টাকা, ছয় টাকা বেশি নিচ্ছে।
তাইলে তো ভাই লন্ড্রী দোকানদারের বউ বাচ্চা লইয়া আপনার বাসায় উঠান লাগব :)

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
সবার কথাই ভাবা উচিত।

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

সামিয়া বলেছেন: আমি বুঝে গেছি। কিছু দুষ্টলোক সব জায়গায়ই থাকে। মক্কা মদিনায়ও আছে। অফিসে-আদালতে আছে, বাজারে-মেলাতে আছে। তারা সব যুগেই বিদ্যমান। আমাদের সামু ব্লগেও আছে। তারা অশ্লীল মন্তব্য করে। নোংরা ভাষা ব্যবহার করে।
ঠিক বলেছেন ।।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বোল্ডলি প্রতিবাদ করুন, যেখানে সম্ভব। শুভকামনা থাকলো।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.