নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে প্রভু আমাকে শান্ত কর, আমার অস্থিরতা দূর কর

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৫



নাটক সিনেমা'র লোক বা রাজনীতিবিদ অথবা কোনো কবি সাহিত্যিকরা কেউ মারা গেলে অনেকে হায় হায় করে উঠেন। শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, হাজারো মানুষের ঢল নামে। বেশ কয়েকবার জানাজা হয়। টিভি চ্যানেল গুলো লাইভ দেখায়। টিভি'র সামনে অনেকেই তাদের স্মরন করতে গিয়ে চোখের জল ফেলেন এবং অনেকেই বলেন অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল অথবা এই ক্ষতি পূরন হবার নয়। ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা যা বলেন এ গুলো হলো কথার কথা।
সহজ সরল সত্য কথা হলো- একজনের মৃত্যুতে কিছুই এসে যায় না। নাটক সিনেমার একজন মরে গেলে- দেশে নাটক সিনেমা বন্ধ হয়ে যাবে না। হুমায়ূন ফরিদী মারা গেলেন। এরপর কি দেশে নাটক সিনেমা বন্ধ হয়ে গেছে? জিল্লুর রহমান, সুরঞ্জিত সেন অথবা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী (এই মুহূর্তে নামটা মনে করতে পারছি না) মারা গেলেন- অনেকেই হাহাকার করে উঠলেন, বললেন অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তাদের মৃত্যুতে কি আমাদের দেশের রাজনীতি বন্ধ হয়ে গেছে। এই যে আমার প্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ মারা গেলেন- মানুষ মাটিতে গড়াগড়ি করে কাঁদল (আমি নিজেও কেঁদেছি)। বাংলা সাহিত্য কি বন্ধ হয়ে গেছে। একুশে বইমেলা কি বন্ধ হয়ে আছে? কোনো কিছু কি থেমে আছে?

একটা দুর্নীতিবাজ লোক মারা গেলেও অনেকেই তার লাশের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন- বড় ভালো লোক ছিল। জীবিত অবস্থায় সে অসৎ উপায়ে টাকার পাহাড় বানিয়েছে। আশে পাশের মানুষকে অপমান আর অত্যাচার করেছে। কাউকে সাহায্য সহযোগিতা করেনি- এই রকম লোক মারা গেলেও- অনেকেই বলেন বড় ভালো ছিল।
কারো মৃত্যুতেই কিছু যায় আসে না। শুধু মৃত ব্যাক্তির পরিবার ছাড়া- কিছু লোক যেটা করে সেটা আসলে লোক দেখানো ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হলো- তারপরও কিন্তু দেশ থেমে নেই। প্রতিদিন দেশে অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে। আমরা কয়জনের'ই বা খোঁজ খবর রাখি! সস্তা আদিখ্যেতা আমাদের বন্ধ করা উচিত। তবে এখন আসল কথা বলি- প্রতিটা মৃতু'ই খুব কষ্টের। একটা মানব জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে- আমাদের সবার'ই মরতে হবে। যদিও মৃত্যুর কথা আমরা সারা দিনে একবারও ভাবি না। ভবিষ্যত নিয়ে লাফালাফি করি। তবে আমি মনে করি প্রতিটা মানুষের জীবিত থাকা অবস্থায় ভালো কিছু কাজ করা উচিত। যেন আমরা তার মৃত্যুর পর তাকে এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে স্মরন করতে পারি।

যাই হোক এবার অন্য প্রসঙ্গে যাই- আমার নিজের চোখে দেখা- এক লোকের মেয়ের বিয়েতে ৫ কোটি টাকা খরচ করছে। তিন চার দিনের একটা অনুষ্ঠানে ৫ কোটি টাকা খরচ! মোটামোটি ভাবে ৫ লাখ টাকা খরচ করে কিন্তু এই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করা যেত। তাহলে পাঁচ কোটি টাকা কেন? দরিদ্র দেশে এত বিলাসিতা কেন? লজ্জা করে না আপনার? অবৈধ ভাবে টাকা ইনকাম করে এত বিলাসিতা করে লাভটা কি? তিন চার দিনের অনুষ্ঠানে ৫ কোটি টাকা খরচ না করে, যদি ৫ কোটি টাকা দিয়ে একটা শিল্পকারখানা করা হয় তাহলে কিন্তু কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়। এইভাবে যদি বছরে ১০০টা বিয়ের খরচ বাঁচিয়ে, সেই টাকা দিয়ে দেশে কলকারখানা বা গারমেন্টস করা হয় তাহলে দেশে কোনো বেকার'ই থাকবে না। একবার এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি- সেই বিয়েতে এক কোটি টাকার শুধু ফুল কেনা হয়েছে। রাগে আমার শরীরটা জ্বলছে। এই গুলাকে ধরে সকাল বিকাল থাপড়ানো দরকার। দেশের কত মানুষ না খেয়ে আছে। কত মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না।

এবার মসজিদ নিয়ে একটা আলোচনা করে আমি আমার এই লেখা শেষ করবো। বাংলাদেশ হলো মসজিদের দেশ। অলিতে গলিতে মসজিদ আর মসজিদ। গ্রামেও একই অবস্থা। ধরুন কথার কথা, সারা দেশে মসজিদ আছে ১০০ টা তাহলে লাইব্রেরী আছে দুইটা। একটা অজপাড়া গাতেও একটা মসজিদ আছে। সেই মসজিদ আবার টাইলস করা হয়েছে। কিন্তু আশে পাশে বিশটা গ্রাম খুঁজে একটা লাইব্রেরী পাবেন না। মসজিদের জন্য সবাই টাকা দেয়- একজন রিকশা চালক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী পর্যন্ত। কিন্তু লাইব্রেরী করার জন্য কেউ দশটা টাকা দেয় না। কিন্তু একটা মসজিদ থেকে আমাদের বেশি প্রয়োজন একটা লাইব্রেরীর। আমাদের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বলেছেন, প্রতিটা জেলাতে একটা করে সরকারি খরচে মসজিদ বানানো হবে। কিন্তু তিনি কেন প্রতিটা জেলাতে একটা লাইব্রেরী করতে চাইলেন না? আমার খুব দুঃখ হয়- ঢাকা শহরের বেশির ভাগ মসজিদ কি সুন্দর করে বানানো। চার তলা পাঁচ তলা মসজিদ। এসি, দামী টাইলস, মার্বেল পাথর আর কত কি। দিনের বেশির ভাগ সময় এবং সারারাত সে সমস্ত মসজিদ খালি পড়ে থাকে। আর হাজার হাজারর লোক রাস্তায় ঘুমায়। তারা যদি মসজিদে ঘুমায় তাহলে আল্লাহ কি রাগ করবেন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া
যেনো আমারও মনের কথা

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রাজীব ভাই আমাদের বেশিরভাগ মানুষের ওই আদিখ্যেতা টুকুই আছে।
আর এদেশের মানুষ অপচয় ভালবাসে কিন্তু একটাকা দান করতে গেলে হিসেব করে।
এত মসজিদের আসলেই আমাদের দেশে দরকার নেই। মসদিজ নিয়ে তো মানুষ আজকাল অহংকার করে।আমাদের মসজিদ বেশি সুন্দর।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



লেখক বলেছেন: ''কিন্তু একটা মসজিদ থেকে আমাদের বেশি প্রয়োজন একটা লাইব্রেরীর।''

-মসজিদের জায়গায় মসজিদকে থাকতে দিন। লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। এই গুরুত্ব বোঝানোর জন্য মনে হয়, মসজিদের উপরে লাইব্রেরিকে টেনে তোলার দরকার নেই। আর আমাদের মসজিদগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। প্রত্যেকটি মসজিদ চব্বিশ ঘন্টা ইবাদতকারী, পথচারী, মুসাফিরদের জন্য ওপেন রাখা উচিত। প্রত্যেকটি মসজিদকেই এক একটা পাঠাগার তথা সংশ্লিষ্ট-সন্নিহিত এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তি বর্গের জন্য আলোর দুয়ার হিসেবে গড়ে তোলা চাই।

'হে প্রভু আমাকে শান্ত কর, আমার অস্থিরতা দূর কর।'

-আপনার প্রানের আঁকুতি আল্লাহ পাক আমাদের সকলের জন্য কবুল করুন।

ভাল থাকবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


" আর হাজার হাজারর লোক রাস্তায় ঘুমায়। তারা যদি মসজিদে ঘুমায় তাহলে আল্লাহ কি রাগ করবেন? "

-মসজিদে আল্লাহের সৃস্টি, মানুষের থাকা সঠিক হবে।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.