নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বিকেলে বিভিন্ন এলাকায় হাঁটতে যাই।
যে এলাকাতেই যাই একটা করে মাদ্রাসা চোখে পড়ে। প্রতিটা মাদ্রাসাতেই ছাত্রদের অভাব নাই। আমাদের বাসার কাছেও একটা মাদ্রাসা আছে ফালুর। মাদ্রাসায় কোনো ধনী লোকদের ছেলেমেয়েরা পড়ে না। মাদ্রাসায় খরচ কম। তাছাড়া এটা আল্লাহর রাস্তা। বেহেশত পাওয়ার সম্ভবনা আছে। মূর্খ ও দরিদ্র বাবা মা সন্তানদের হাফেজ, ইমাম বা মোয়াজ্জেম তৈরি করাই মূল লক্ষ্য। মাদ্রাসাতে লেখাপড়া কি ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার, পাইলট, বিজ্ঞানী, হওয়া যাউ কিনা আমি জানি না। মাদ্রাসা থেকে একজন ছেলে লেখাপড়া শেষ করে কোথায় চাকরি পাবে তাও আমি জানি না। আপনার কি মনে হয় না(?) মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েদের দেশের উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তারা গড়ে ওঠে এবং জীবন ও জীবিকা চালায় মূলত অন্যের দান-খয়রাত এর উপর নির্ভর করে। জিডিপি বৃদ্ধির দায়ভার তারা নেয় না। যাই হোক, সেদিন বাসাবো গেলাম। বিশাল এক মসজিদের পাশেই একটা মাদ্রাসা। বিকেলে মাদ্রাসার ছেলেরা বাইরে বের হয়েছে। একটা ছেলের সাথে কথা বললাম- গ্রামের বাড়ি কই? চাঁদপুর।
বাবা কি করেন? সিএনজি চালায়।
চাদপুরে তো মাদ্রাসা আছে, তাহলে ঢাকাতে কেন? এই মাদ্রাসাটা ভালো।
মাদ্রাসা দুই ধরনের আছে, আলিয়া ও কাওমি।
আলিয়া মাদ্রাসা সরকারি কারিকুলামে চলে। কওম শব্দের অর্থ জাতি। কওমী মানে জাতীয় শিক্ষা। কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা বাদে সবাই HSc শেষে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্র বেছে নেয়। উচ্চ শিক্ষা পদ্ধতি আর সব দেশের মতোই। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়।
আলিয়া মাদ্রাসার শাব্দিক অর্থ উচ্চ বিদ্যালয়, মানে হাই স্কুল। আর দাখিল এই আলিয়া শিক্ষাব্যবস্থারই একটা স্তর, স্কুলের হিসেবে এস.এস.সি যাকে বলা হয়। ১৭৮০ সালে বাংলার ফোর্ট উইলিয়ামের গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক কলকাতায় আলিয়া মাদ্রাসা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে আলিয়া মাদ্রাসা কলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়।
একটা সহজ সরল সত্য কথা বলি-
আমার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চরম বিশৃঙ্খল, বৈষম্যমূলক, বাণিজ্যিক এবং অমানবিক। বৈষম্যমূলক কারণ রাষ্ট্র সবার জন্য সমান সুযোগ দিচ্ছে না। যার অর্থ নেই তারা পড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, মাদ্রাসায় যার আরেকটু সামর্থ্য আছে তারা পড়ে কিন্ডারগার্টেনে, আরও ধনীরা পড়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। কে কেমন শিক্ষা পাবে সেটা এখানে অর্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পড়ুক না কেন, কোচিং এবং প্রাইভেট টিউশন সবারই করা লাগে। ভাল স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করার জন্য পর্যন্ত কোচিং করা লাগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং তো আছেই। একবার টিভিতে দেখি এক মোল্লা খুব রেগেমেগে বলছে যে, সব কিছুতে বিজ্ঞানের বাজনা বাজালে চলবে না, আল্লার কথা স্মরনে রাখতে হবে। মাদ্রাসার শিক্ষা ইহকাল পরকাল দুই জাহানের জন্য। ইত্যাদি ইত্যাদি। গাধাটা কিন্তু একটা স্যাটেলাইট চ্যানেলের স্টুডিওতে বসে, ক্যামেরার সামনে পোজ মেরে তার প্রলাপ বকে যাচ্ছিল। আর আমি যদ্দূর জানি, টিভিতে এসব প্রোগ্রাম করে তারা কিছু দক্ষিনাও আয় করে।
বাংলাদেশের প্রধানত মসজিদকে কেন্দ্র করেই কওমি মাদ্রাসাগুলো গড়ে উঠেছে। এই মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রধানত আবাসিক। লিল্লাহ বোডিং-এর আওতায় তাদের থাকা, খাওয়া এবং পড়াশুনার খরচ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষই বহন করে। মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেন, 'আমাদের টার্গেট কোরান-হাদিসে শিক্ষিত আলেম গড়ে তোলা'। আমার কথা হলো-আলেম দিয়ে দেশ সমাজের কি উপকার হবে? পৃথিবীতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, কলা, সাহিত্য, … ইত্যাদি কোন দিকেই আরবী-ভাষী কোন দেশের কোন অবস্থান নেই। আরবির চেয়ে বরং তুর্কি ভাষা অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। শুধু ধর্মীয় শিক্ষা যদি কেউ নিতে চায় তাহলে, তার জন্য আরবী ভাষার কোর্স করাই যথেষ্ট। মাদ্রাসা শিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েরা ইংরেজি ও গনিতে দুর্বল হয় এবং মুক্ত চিন্তার দিক দিয়ে একেবারে পিছিয়ে থাকে।যে জাতি মুক্ত চিন্তা করতে পারেনা, পারলে সে জাতির কোন উন্নতি হয় না। যেমনঃ টেলিভিশন দেখা হারাম, গান-বাজনা করা হারাম, সিনেমা দেখা হারাম, ইত্যাদি হছে মুক্ত চিন্তা না করতে পারা মানুষের বক্তব্য।
নুরু সাহেব হয়তও বলবেন, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার কারনে সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, ঘুষ, দূর্নীতি ইত্যাদি অকল্যানকর কাজকর্ম কমতে থাকবে। দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। ব্যাংক খাতে আরো সফলতা আসবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশটা ভারত নিয়ে নিলেই ভালো হতো।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৩
গফুর ভাই বলেছেন: ৭৫ এর পর থেকে সব সরকারই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থা সময় উপযোগি না করে তাদের কে তাদের মত চলতে দিয়ে তাদের ভঙ্গুর করে রেখেছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩১
ওমেরা বলেছেন: বাংলাদেশে স্কুল আর মাদ্রাসা মিলিয়ে নতুন ভাবে শিক্ষা সিষ্টেম চালু করা দরকার যাতে , একজন , ডাক্তার , ইন্জিনিয়র , পাইলট, বিজ্ঞানি হওয়ার সাথে সাথে একজন আলেমও হয়।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সমাজে আলেম বেশি দরকার নাই।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন রাজীব দা
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
একই দেশে দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা থাকতে পারে না।
মাদ্রাসা নামে আলাদা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো দরকার নেই।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
ঢাবিয়ান বলেছেন: থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে বলেই এই গরীবের দেশে মাদ্রাসায় এত ছাত্রছাত্রি পাওয়া যায়। এই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েগুলো নাহলে বাসাবাড়ির কাজের ছেলে/ মেয়ে হত। কাজেই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বলার অনেক কিছু থাকলেও এই একটি জায়গাতে এসে চুপ হয়ে যেতে হয়। রাস্ট্র যদি সকল শিশুদের খাবার ও শিক্ষার ভার নিত তাহলে মাদ্রাসাগুলোর আর কোন প্রয়োজন থাকতো না।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: পড়লাম। অধিকাংশে একমত।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের গ্রামে সমাজের একটা এতিম খানা আছে “খানকায় ফুরফুরা” ঢাকার দারুস সালাম পরিচালনা করে। গ্রামের সব দান খয়রাত সেখানে যায়।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমস্ত দান পেয়েও তারা সমাজে অবহেলিত।
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
মরুর ধুলি বলেছেন: মাদরাসায় যারা পড়ে তারা রাখাল হয় আপনার মতো গরুগুলারে চড়ানোর জন্য। ফালতু পোষ্ট।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: গালি একটা মুখে চলে আসছিলো। কিন্তু দিলাম না।
১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিবিএ এমবিএ পাশ করে লাখে লাখে বেকার দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা চাকরীর জন্য ১০০০ দরখাস্ত পড়ছে প্রাইভেট সেক্টরে। হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার চাকরী খুঁজে পাচ্ছে না। সব দোষ মাদ্রাসাকে দিলে কোন লাভ নাই। চরম দরিদ্র বাচ্চারা কোথায় যাবে। এদেশে ওদের জন্য কোন ব্যবস্থা আমরা রাখি নাই। তাই এটা মন্দের ভালো। মাদ্রাসা থেকে পাশ করে বহু ছেলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। অনেক মেধাবী ছেলে মাদ্রাসাতে আছে। শিক্ষার পাঠ্যক্রমে এখন খুব বেশী পার্থক্য নেই। ওদের ডিগ্রিও এখন সমমানের। বাংলা আর ইংরেজি মাধ্যমে বহু ছেলে মেয়ে আছে যারা গণিত ও বিজ্ঞানে ডাব্বা মারে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।
১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সেই সময় কোন শিল্পী কর্তৃক নবীজির কোন ছবি কি আঁকা হয়েছিল।
তাহলে এখন যে সমস্ত কার্টুন আঁকা হচ্ছে সেই সমস্ত কার্টুন যে নবীজির তারা কিভাবে বুঝতে পারলেন?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
রাজীব নুর বলেছেন: নাম দেখে বুঝা যাচ্ছে।
১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
মরুর ধুলি বলেছেন: “গালি একটা মুখে চলে আসছিলো। কিন্তু দিলাম না।
দিন, গালি দিন। আপনার মতো শিক্ষিতরা গালি দিতে খুব উস্তাদ- এটা স্বীকার করি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: না।
ছোটবেলা বাপ মা শিখিয়েছে কাউকে গালি দিবে না।
১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভায়ের লেখাটা খুব ভালো হয়েছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
দিনকাল কেমন যাচ্ছে?
১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভায়ের লেখাটা খুব ভালো হয়েছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই মালোশিয়ার করোনা পরিস্থিতি কি?
১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বড় ভাই মালোশিয়ার করোনা পরিস্থিতি কি?
প্রতি দিন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনকে অতিক্রম করছে।
গতকাল রোগী ছিল ১২৪০ জন।
মারা গেছে সম্ভবত ৭ জন।
পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারী হিসাব দেখলে মনে হয় বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভালো।
১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৩১
অনল চৌধুরী বলেছেন: সব উন্নত দেশে শিশুদের জন্য ৫-১৬ বছর বয়স পর্যন্ত একই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
বাংলাদেশের মতো ১১ ধরণের পদ্ধতি কোথাও নাই।
কোনো মাদ্রাসার মলিকদের ছেলে-মেয়েরা কি এসবে পড়ে?
এই দেশটা ভারত নিয়ে নিলেই ভালো হতো এই কথাটা বলে মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মান করা হলো। ভারতে যোগ দেয়ার জন্য বাঙ্গালীরা যুদ্ধে করেননি।
ভারতের যোগ দিলে দিনে দুপুরে সংখ্যালঘু মারা হতো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশটা ভারত নিয়ে নিলেই ভালো হতো- এই কথাটা রাগে দুঃখে বলেছি। স্যরি।
১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:২৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যদি মাওলানা হয় তবে একটা উপকার আছে,এখন তারা দোয়া জানে না তাই বলে আল্লার উপর ভরসা রাখুন।তখন বিপদ দেখলে দোয়া পড়া শুরু করবে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: হাস্যকর কান্ড।
১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৮
রাশিয়া বলেছেন: সামু'র মডারেটরদের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে ১ নম্বর প্রতিউত্তর মুছে দিন অথবা লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হয়ে এরকম স্পর্ধিত রাষ্ট্রবিরোধী উক্তি তিনি কিভাবে করেন? লেখক যদি 'ভারত' শব্দের বদলে 'পাকিস্তান' শব্দটি ব্যবহার করতেন, তাহলে প্রতিক্রিয়া কি রকম হত?
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ঐ মন্তব্য রাগে দু;খে করেছি। আমি তো আমার দেশটাকে খুব ভালোবাসি।
১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫১
পদ্মপুকুর বলেছেন: যেকোনো সমালোচনার টোন শুনলে বা লেখার ধরন দেখলে বোঝা কঠিন হয়না যে সে সমালোচনা কি গঠনমুলক সমালোচনা না কি বিদ্বেষপ্রসূত সমালোচনা। আপনার এই লেখাটা দ্বিতীয় ধারার। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার দরকার- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই এবং ইতোমধ্যেই বেশ কিছু আপগ্রেডেশন হয়েছেও। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের সমাজে মাদরাসা শিক্ষিতদের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই।
এদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতিতে মাদরাসা শিক্ষিতদের অংশগ্রহণ আছে, বেশ জোরালোভাবেই আছে। আশেপাশে একটু খুঁজলেই দেখতে পাবেন। সংখ্যায় হয়তো কম, সেক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে এ দেশে মাদরাসা শিক্ষা ও অন্যান্য শিক্ষার অনুপাত ১:২০ বা ২৫ এর কম হবে না।
মাদরাসা শিক্ষিত মানেই সাধারণ শিক্ষিতদের চেয়ে অংক ও ইংরেজিতে দুর্বল- এই অতি সরলীকরণও ধোপে টিকবে না যখন আপনি দেখবেন যে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত দশক ধরে মাদরাসা শিক্ষার্থীরাই মেধা তালিকার রথম দিকে যায়গা করে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অযৌক্তিকভাবে বিভিন্ন শর্তারোপ করেছে যাতে করে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়া সত্বেও অসংখ্য মাদরাসা শিক্ষার্থী পছন্দের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না, তা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদতেই চাঁদগাজী স্যারের বলা 'মাদরাসা' হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।
আর দরিদ্র/অশিক্ষিত শ্রেণীর পরিবারের ছেলেমেয়েরাই মাদরাসায় পড়ে- এই যদি আপনার ধারণা হয়, তাহলে মাদরাসা সম্পর্কে লেখার জন্য পর্যাপ্ত হোমওয়ার্ক আপনার নেই। সারাদেশে থাকা উত্তরার 'তানজিমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসা' জাতীয় মাদরাসাগুলোতে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন কোন শ্রেণীর পরিবারের ছেলেমেয়েরা কি পরিমাণ টাকা দিয়ে এখানে পড়াশুনা করছে।
অনেকের কাছে বৈষয়িক উন্নয়ন, আর্থিকভাবে সম্পদশালী হওয়াটাই জীবনে উন্নয়নের একমাত্র সূচক হিসেবে গণ্য হচ্ছে। আবার সে সূচকে বিস্তর এগিয়ে যাওয়ার পর অনেক মানুষের উপলব্ধি হয় যে সত্যিকার উন্নয়ন এটা নয়। এই ক্যাটেগরির মানুষ যে নিতান্তই কম নয় সেটা আপনি ওই মাদরাসাগুলোতে পড়া ছেলেমেয়েদের মাতাপিতার পরিচয় জানলেই বুঝতে পারবেন।
বাস্তবসম্মত কারণেই আপনি চাইলেই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইগনোর করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে প্রাচীন ধারার এই শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে যেসব পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে যদি কোনো কিছু লেখার বা বলার না-ই থাকে, অনুগ্রহপূর্বক নেতিবাচক লেখা লিখবেন না। অ্যাটলিস্ট, গ্রামে মফস্বলে বিপুল সংখ্যক বাচ্চার স্বাক্ষরতার ব্যবস্থা করছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা- এটা তো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
তাছাড়া সাচু যেমনটা বলেছেন- বিবিএ এমবিএ পাশ করে লাখে লাখে বেকার দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা চাকরীর জন্য ১০০০ দরখাস্ত পড়ছে প্রাইভেট সেক্টরে। হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার চাকরী খুঁজে পাচ্ছে না। সব দোষ মাদ্রাসাকে দিলে কোন লাভ নাই। চরম দরিদ্র বাচ্চারা কোথায় যাবে। এদেশে ওদের জন্য কোন ব্যবস্থা আমরা রাখি নাই। তাই এটা মন্দের ভালো। মাদ্রাসা থেকে পাশ করে বহু ছেলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। অনেক মেধাবী ছেলে মাদ্রাসাতে আছে। শিক্ষার পাঠ্যক্রমে এখন খুব বেশী পার্থক্য নেই। ওদের ডিগ্রিও এখন সমমানের। বাংলা আর ইংরেজি মাধ্যমে বহু ছেলে মেয়ে আছে যারা গণিত ও বিজ্ঞানে ডাব্বা মারে। এটাও আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।
আমি নিজে মাদরাসায় পড়েছি আলিম পর্যন্ত, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যখন মাদরাসায় পড়তাম, সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকুলতা সহ্য করার ফলে এক ধরনের মাইন্ডসেট হয়েছিলো যে ছেলেমেয়েদের কখনওই মাদরাসার ধারে কাছে নিয়ে যাবো না, কিন্তু জীবনের দীর্ঘ একটা পথ পার হয়ে এসে এখন মনে হয়- মাদরাসায় পড়েছি বলেই আমি আরও বেশি খারাপ হতে পারিনি। ওই শিক্ষা ব্যবস্থাই আমাকে বিভিন্ন কুকথা বলা, কুকাজ করা থেকে বিরত থাকতে প্রণোদনা যোগায়।
এই বিষয়টা যদি কোনওদিন কোনওভাবে আপনার উপলব্ধিতে আসে, কেবল তখুনি 'আপনি কেনো মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন নি!' লেখাটা ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করবে।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মতো তো সবাই সমান সুযোগ পায় না। এখানেই আমার প্রশ্ন। এখানেই আমার দুঃখটা। আমি চাই সবাই আপনার মতো সুযোগ পাক।
২০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি কখনোই মাদ্রাসায় পড়তাম না।
আজে বাজে শিক্ষা আমার দরকার নেই।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: বুদ্ধিমানেরা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা পছন্দ করে না।
২১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩১
সামিয়া বলেছেন: আপনি সঠিক কথার পাশাপাশি মাঝে মাঝে ভুল কথা ও বলেন, মাদ্রাসা সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণার একটু ঘাটতি আছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন। মেনে নিলাম।
আমি আমার ভুল গুলো শূধরে নিবো অবশ্যই।
২২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
মরুর ধুলি বলেছেন: পদ্মপুকুর বলেছেন, যেকোনো সমালোচনার টোন শুনলে বা লেখার ধরন দেখলে বোঝা কঠিন হয়না যে সে সমালোচনা কি গঠনমুলক সমালোচনা না কি বিদ্বেষপ্রসূত সমালোচনা। আপনার এই লেখাটা দ্বিতীয় ধারার। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার দরকার- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই এবং ইতোমধ্যেই বেশ কিছু আপগ্রেডেশন হয়েছেও। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের সমাজে মাদরাসা শিক্ষিতদের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই।
এদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতিতে মাদরাসা শিক্ষিতদের অংশগ্রহণ আছে, বেশ জোরালোভাবেই আছে। আশেপাশে একটু খুঁজলেই দেখতে পাবেন। সংখ্যায় হয়তো কম, সেক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে এ দেশে মাদরাসা শিক্ষা ও অন্যান্য শিক্ষার অনুপাত ১:২০ বা ২৫ এর কম হবে না।
মাদরাসা শিক্ষিত মানেই সাধারণ শিক্ষিতদের চেয়ে অংক ও ইংরেজিতে দুর্বল- এই অতি সরলীকরণও ধোপে টিকবে না যখন আপনি দেখবেন যে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত দশক ধরে মাদরাসা শিক্ষার্থীরাই মেধা তালিকার রথম দিকে যায়গা করে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অযৌক্তিকভাবে বিভিন্ন শর্তারোপ করেছে যাতে করে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়া সত্বেও অসংখ্য মাদরাসা শিক্ষার্থী পছন্দের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না, তা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদতেই চাঁদগাজী স্যারের বলা 'মাদরাসা' হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।
আর দরিদ্র/অশিক্ষিত শ্রেণীর পরিবারের ছেলেমেয়েরাই মাদরাসায় পড়ে- এই যদি আপনার ধারণা হয়, তাহলে মাদরাসা সম্পর্কে লেখার জন্য পর্যাপ্ত হোমওয়ার্ক আপনার নেই। সারাদেশে থাকা উত্তরার 'তানজিমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসা' জাতীয় মাদরাসাগুলোতে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন কোন শ্রেণীর পরিবারের ছেলেমেয়েরা কি পরিমাণ টাকা দিয়ে এখানে পড়াশুনা করছে।
অনেকের কাছে বৈষয়িক উন্নয়ন, আর্থিকভাবে সম্পদশালী হওয়াটাই জীবনে উন্নয়নের একমাত্র সূচক হিসেবে গণ্য হচ্ছে। আবার সে সূচকে বিস্তর এগিয়ে যাওয়ার পর অনেক মানুষের উপলব্ধি হয় যে সত্যিকার উন্নয়ন এটা নয়। এই ক্যাটেগরির মানুষ যে নিতান্তই কম নয় সেটা আপনি ওই মাদরাসাগুলোতে পড়া ছেলেমেয়েদের মাতাপিতার পরিচয় জানলেই বুঝতে পারবেন।
বাস্তবসম্মত কারণেই আপনি চাইলেই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইগনোর করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে প্রাচীন ধারার এই শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে যেসব পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে যদি কোনো কিছু লেখার বা বলার না-ই থাকে, অনুগ্রহপূর্বক নেতিবাচক লেখা লিখবেন না। অ্যাটলিস্ট, গ্রামে মফস্বলে বিপুল সংখ্যক বাচ্চার স্বাক্ষরতার ব্যবস্থা করছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা- এটা তো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
তাছাড়া সাচু যেমনটা বলেছেন- বিবিএ এমবিএ পাশ করে লাখে লাখে বেকার দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা চাকরীর জন্য ১০০০ দরখাস্ত পড়ছে প্রাইভেট সেক্টরে। হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার চাকরী খুঁজে পাচ্ছে না। সব দোষ মাদ্রাসাকে দিলে কোন লাভ নাই। চরম দরিদ্র বাচ্চারা কোথায় যাবে। এদেশে ওদের জন্য কোন ব্যবস্থা আমরা রাখি নাই। তাই এটা মন্দের ভালো। মাদ্রাসা থেকে পাশ করে বহু ছেলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। অনেক মেধাবী ছেলে মাদ্রাসাতে আছে। শিক্ষার পাঠ্যক্রমে এখন খুব বেশী পার্থক্য নেই। ওদের ডিগ্রিও এখন সমমানের। বাংলা আর ইংরেজি মাধ্যমে বহু ছেলে মেয়ে আছে যারা গণিত ও বিজ্ঞানে ডাব্বা মারে। এটাও আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।
আমি নিজে মাদরাসায় পড়েছি আলিম পর্যন্ত, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যখন মাদরাসায় পড়তাম, সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকুলতা সহ্য করার ফলে এক ধরনের মাইন্ডসেট হয়েছিলো যে ছেলেমেয়েদের কখনওই মাদরাসার ধারে কাছে নিয়ে যাবো না, কিন্তু জীবনের দীর্ঘ একটা পথ পার হয়ে এসে এখন মনে হয়- মাদরাসায় পড়েছি বলেই আমি আরও বেশি খারাপ হতে পারিনি। ওই শিক্ষা ব্যবস্থাই আমাকে বিভিন্ন কুকথা বলা, কুকাজ করা থেকে বিরত থাকতে প্রণোদনা যোগায়।
এই বিষয়টা যদি কোনওদিন কোনওভাবে আপনার উপলব্ধিতে আসে, কেবল তখুনি 'আপনি কেনো মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন নি!' লেখাটা ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করবে।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। কারে কি বুঝান ভাই। উনার আগের পোষ্টগুলো দেখেন। প্রত্যেকটাতে ইনিয়ে বিনিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ। সুতরাং ওনাকে বুঝানো বাদ দিলেই মনে হয় ভাল হবে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমার সমস্যা শূধু বক ধার্মিকদের নিয়ে।
২৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই দেশটা ভারত নিয়ে নিলেই ভালো হতো।
ভাগ্যিস শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এই কথা আমি শখ করে বলি নাই। অনেক দুঃখ কষ্ট থেকে বলেছি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি।
২৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতজন আমার আপনার জানাযার নামাজ পড়াবেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু মাত্র এই একটা কাজের জন্য তাদের জন্ম? তাদের লেখাপড়া?
২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: শুধু মাত্র এই একটা কাজের জন্য তাদের জন্ম? তাদের লেখাপড়া?
ভাই, তাদের লেখা-পড়া হচ্ছেনা যে এমন নয়। লেখা-পড়াতো হচ্ছেই তুলনামুলক হয়ত কম। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ইতমধ্যে চালু হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখনো জড়িত।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
রাশিয়া বলেছেন: ভালোবাসার কি অসাধারণ প্রকাশ! ধরুন, সুরভী ভাবিকে আপনি ভালোবাসেন। কিন্তু তার কোন আচরণই আপনার পছন্দ না। আপনি কি চাইবেন অন্য কোন পুরুষ এসে তাঁকে বিয়ে করে নিয়ে যাক?
অবশ্য দেশ হচ্ছে মায়ের মত। আপনি চাইবেন না যে আপনার মাকে অন্য কেউ নিয়ে যাক, তার অংশ করে ফেলুক।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ঠিক বলেছেন।
ঐ মন্তব্য করা আমার মোটেও ঠিক হয়নি।
আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
২৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩১
অধীতি বলেছেন: এখন সব থেকে বড় বিপত্তিই হলো সমালোচনাটাকে এরা ষড়যন্ত্র মনে করে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।
২৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪১
মুজিব রহমান বলেছেন: মাস দুয়েক একটি আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছিলাম। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে অবশ্যই লিখবেন।
২৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৭
আকন বিডি বলেছেন: নিচের এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক শিক্ষার্থী দেশের সেরা সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।
view this link
আমার কাজিন মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করে, বুয়েটে মেকানিকালে পড়া সম্পন্ন করেন। পরে তিনি বিসিএস দিয়ে সরকারী চাকুরিতে থিতু হন। তিনি একটা জেলার ডিসিও হন। তিনি সততার সাথে কাজ করেছেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা লিংকটা দেখলাম।
আপনার কাজিনের মতোণ সবাই সমান সুযোগ পান না।
৩০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯
আকন বিডি বলেছেন: "আপনার কাজিনের মতোণ সবাই সমান সুযোগ পান না।"
ভুল। অনেকেই প্রচন্ড পরিশ্রম করে স্থান করে নিয়েছে নিজেদের যোগ্যতা, মেধা অনুযায়ী।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন, যোগ্যতা, মেধা।
আবার অনেকের যোগ্যতা থাকে না। কিন্তু তারা বড় বড় পদে থাকে ক্ষমতাবান মামা চাচার কল্যানে।
৩১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৯
আকন বিডি বলেছেন: অযোগ্যদের কথা বইলা লাভ আছে? তাদের যোগ্যতাইতো অযোগ্যতা আর মামা চাচাদের সাথে লিয়াঁযো ধরে রেখে নিজেদের সুযোগ সুবিধা বাগানো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার পোড়া কপাল, ক্ষমতাবান মামা চাচা নেই।
৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২১
আকন বিডি বলেছেন: আপনার সুরভী ভাবি আছে, আছে পরীর মত মেয়ে আপনিতো রাজ কপাল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: এজন্যই বেঁচে আছি।
৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৫
চোখেরবালি বলেছেন: কোন বিষয়ে লিখতে হলে সে বিষয়ের গভীরে তলিয়ে যেতে হয়। লেখক মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে একেবারে গন্ডার মুর্খ বলা চলে। শুধু এতটুকু বলতে পারি, আপনার চেয়ে অনেক বড়লোক বাবা মায়ের সন্তানেরাও এখন মাদ্রাসায় পড়ছে। আসলে আপনি একজন পুড়া কপাইল্যা মানুষ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৭
অক্পটে বলেছেন: আপনার লেখার টাইটেল এবং ১ম মন্তব্যের জবাব দেখেই আমার যা ধরনা হয়েছিল সম্পুর্ণ লেখাটা পড়ে আমার সে ধারনাই সঠিক হলো। আপনার ইচ্ছা এবং আপনার ঘৃণা একসাথে প্রকাশ পেয়েছে আপনার লেখায়। আমাদের রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এই রাষ্ট্রের মহানায়কেরা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। দু একটা বাদে বাকি সবগুলিই চোর এবং দূর্ণীতিবাজ। এত শিক্ষিত হবার পরও কি জানা যায়নি সততা আর অসততার পার্থক্য? একটা জাতি হিসেবে আমরা এত্ব শিক্ষিত চোর বাটপার পেলাম কি করে?। এরা সবাই ত স্কুল কলেজ আর ভাসিটির পড়ুয়া। কেন এমন হলো বলতে পারেন। আপনাদের মুখে রা নেই এই উচ্চশিক্ষত চোরদের ব্যপারে। আপনার বিদ্বেষের ষোল কলা পূর্ণ হয়েছে নূর সাহেবকে প্রসঙ্গে টেনে। নূরু ইদানিং স্বৈরাচার এবং মিড নাইটভোটিং সরকারের পোষ্যদের বিরোধীতা করছে আপনি সেখানে দুঃখীত ব্যথিত হয়েছেন।
ওরা গরীব তবে চোর নয়। ওদের টাকা নেই তাই মাদ্রাসায় পড়ে। মাদ্রাসায় পড়ৃয়াদের বুড়ো বাবা মায়েরা কখনো বৃদ্ধাশ্রমে থাকেনা, থাকতে দেখেছি অতি শিক্ষিতদের বাবা মাদের। আপনার মতোই আপনাদের একটা গ্রুপ আছে যাদের প্রো-ইন্ডিয়ান ভাব খুব তুঙ্গে। চলে যাওয়া উচিত আপনাদের সেখানে। হিন্দুত্ব গ্রহণ করলে নাগরিকত্ব আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। কি আছে এই দেশে আপনাদের জন্য।
এই দেশের সকল সরকারই অসৎ আর চুরির নেশায় মত্ব থেকেছে। এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আছে চরম গলদ। তার উপর মাদ্রাসাগুলোকে মেইনষ্টিমে এনে এখান থেকে ডাঃ ইনজিনিয়ার বানানোর মহাপরিকল্পনা কেউ নেয়নি। মাদ্রাসায় অনেক টেলেন্ট আছে বিশ্বাস করুন। আরব দেশগুলো থেকে কি ডাঃ ইনজিনিয়ার হয়না? আমার দেশে হবেনা কেন? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো কোন পরিকল্পনা আমাদের দেশের সরকারের নেই। শিক্ষামন্ত্রণালয়ে সব চোরেরা বসে আছে। এগুলো দেখার কেউ নেই।
ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
৩৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক কথা শোনালেন আমাকে।
এবার খুশি লাগছে?
ভালো থাকুন।
৩৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমি তখন ছাত্রী ছিলাম। একবার আমাকে একজন ম্যাডাম বললো আচ্ছা তোমাকে যদি একদিনের জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দেয়া হয় তখন তুমি কি করবে !! -- আমার চোখের সামনে ভাসছিল বিভিন্ন জনের আলোচনার কথামালাসহ ছাত্রদের মারের দৃশ্য--- আমি বলছিলাম যে প্রথমে আমি মাদ্রাসা বন্ধ করে দিব। -- আমার কথায় সকলে বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছিল সেদিন ---। কিন্তু এখন আমি বলবো যে মাদ্রাসাগুলোকে ঢেলে সাজানো জরুরী। শিক্ষাব্যাবস্থায় পরিবর্তন আনা জরুরী। দরিদ্রদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা এবং মাদ্রাসায় থাকতে পারে বিভিন্ন ধরণের বইসহ গ্রন্থাগার। মাদ্রাসার শিক্ষকরা যাতে শিক্ষার্থীদেরকে করপোরাল পানিশমেন্ট দিতে না পারে, যৌন হয়রানি করতে না পারে এরজন্য মনিটরিং সেল, খেলাধুলার ব্যবস্থা---শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ আরো অনেক কিছু-
০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আতাতুর্কের মতো ১ জন বাংগালী নেতা দরকার; শেখ হাসিনা থেকে জামাত, সবাই পালিয়ে যেতো দেশ থেকে।