নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
জীবনানন্দকে নিয়ে লেখার ইচ্ছা আমার দীর্ঘদিনের।
সাত আট বছর আগে লেখা শুরু করেছিলাম। ৩/৪ পর্ব লিখেছিলাম এই সামুতেই। এরপর আর লেখা হয় নাই। বইপত্র যোগাড় করতে পারি নি। ১০৮ টা বইয়ের লিস্ট করেছিলাম। কিন্তু বই গুলো সংগ্রহ করতে পারি নি। এর আগে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা শুরু করি। এবং ১০০ পর্ব লিখি সামু ব্লগেই। পরে সেটা বই আকারে প্রকাশিত হয়। যাই হোক, ভবিষ্যতে হয়তো জীবনানন্দকে নিয়ে লিখবো। জীবনানন্দের গল্প-উপন্যাস আর কবিতায় বারবার উঠে এসেছে- দাম্পত্য জীবনের সঙ্কট, হাহাকার, নরনারীর মনস্তত্ত্ব, প্রকৃতি, পাওয়া না পাওয়া, অদেখা ভুবন ও যৌন সম্পর্কের জটিলতা এবং সমকালের আর্থসামাজিক কাঠামোর বিপর্যয়।
আমার মতে, জীবনানন্দের সেরা কবিতা- 'আকাশলীনা'।
''সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি, বোলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা, নক্ষত্রের রূপালি আগুন ভরা রাতে''। লেখক শাহাদুজ্জামান জীবনানন্দের জীবনী নিয়ে চমৎকার একটি গ্রন্থ "একজন কমলালেবু" রচনা করেছেন। ২৪০ পৃষ্ঠার বই। অতি চমৎকার একটা বই। জীবনানন্দকে জানতে হলে এই বইটি পড়লেই হবে। আরেকটি বইয়ের নাম উল্লেখ করতে চাই। লাবণ্য দাশের লেখা 'মানুষ জীবনানন্দ'। বইটি লিখেছেন জীবনানন্দের স্ত্রী। নীচের তথ্যা গুলো আমি কোথায় পেয়েছি? বইপত্র, পত্র পত্রিকা থেকেই পেয়েছি।
১। জীবনানন্দ দাশ এর পারিবারিক নাম ছিলো- মিলু।
২। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে আট বছরের মিলুকে ব্রজমোহন বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়।
৩। জীবনানন্দ ডিম খেতে খুব পছন্দ করতেন। হোক, সিদ্ধ বা ভাজা।
৪। তার পারিবারিক উপাধি ‘দাশগুপ্ত’। অথচ তিনি ‘দাশ’ লিখতেন।
৫। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মে জীবননন্দ দাশ লাবণ্য দেবীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিয়ে হয়েছিল ঢাকা শহরে, পুরান ঢাকায় সদরঘাট সংলগ্ন ব্রাহ্ম সমাজের রামমোহন লাইব্রেরিতে। লাবণ্য গুপ্ত সে সময় ঢাকার ইডেন কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
৬। ১৯৩৮ সালে রবীন্দ্রনাথ একটি কবিতা সংকলন সম্পাদনা করেন, যার নাম ছিল ‘বাংলা কাব্যপরিচয়’ এবং এতে জীবনানন্দের ‘মৃত্যুর আগে’ কবিতাটি স্থান পায়।
৭। কবি চাকরির প্রয়োজনে বরিশাল, কলকাতা আর ঢাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন অসংখ্যবার। সুযোগ হলেই স্টিমারে বরিশাল থেকে খুলনা তারপর ট্রেনে বেনাপোল হয়ে কলকাতায় পাড়ি দিতেন। কলকাতা তার প্রিয় শহর।
৮। দেশভাগের পরে কবি তার প্রিয় শহর বরিশাল আর ফিরে আসেন নি।
৯। ট্রাম দুর্ঘটনায় কবি জীবনানন্দ আহত হন। পরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন কবি। এবং মারা যান। ট্রাম্প দূর্ঘটনার সময় কবির দুই হাতে চারটা ডাব ছিলো।
১০। ছোটবেলা জীবনানন্দ খুব অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য কলকাতা থেকে দেওঘর, লক্ষ্ণৌ থেকে আগ্রা, দিল্লী থেকে মাদ্রাজ মায়ের কোলে শুয়ে শুয়ে এভাবেই পুরো ভারত চষে বেড়িয়েছেন।
১১। জীবনানন্দের বাবা সত্যানন্দরা ছিলেন সাত ভাই। জীবনানন্দেরা দুই ভাই, এক বোন।
১২। কাউকে দেখানোর জন্য নয়, তিনি লিখতেন নিজের জন্য। লিখে ট্রাঙ্ক ভর্তি করে রেখে দিতেন।
১৩। 'ব্রহ্মবাদী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় জীবনানন্দের প্রথম কবিতা।
১৪। ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ঝরাপালক'। রবীন্দ্রনাথকে গ্রন্থের একটি কপি পাঠিয়েছিলেন কবি। জবাব দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাতে প্রশংসার থেকে সমালোচনাই ছিল বেশি। জবাবে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'তোমার কবিত্ববোধ আছে এতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ভাষা প্রবৃত্তি নিয়ে এত জবরদস্তি কর কেন বুঝতে পারি নে।
১৫। অনেকে সম্পাদক তাঁর কবিতা প্রকাশে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তবু দমে যাননি জীবনানন্দ। লাগাতার লেখা চালিয়ে গিয়েছেন।
১৬। তিনজন নারী জীবনানন্দের জীবনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। মা কুসুমকুমারী, স্ত্রী লাবণ্য আর কাকাতো বোন শোভনা দাশ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা বই গুলো সংগ্রহ করে খুব শ্রীঘই শুরু করবো। হয়তো শেষ করতে ৩/৪ বছর লাগবে।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই কবিকে ভালোবাসতেন আমাদের ব্লগার, জনমদাসী
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: জ্ঞানী মানুষরা জীবনানন্দকে অস্বীকার করতে পারেন না।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার জানার আগ্রহ দেখে অভিভূত । আমাদের উপকার হবে বইগুলির দাম দিলে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: দামের কথা ভাবলে বই কেনা হয় না, পড়া হয় না। শুধু তীব্র ইচ্ছা থাকলে আর কিছুর দরকার নাই।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " হ্যা বই গুলো সংগ্রহ করে খুব শ্রীঘই শুরু করবো। হয়তো শেষ করতে ৩/৪ বছর লাগবে। "
-৩/৪ বছর যা সময় লাগে, আপনি নেন; তবে, পোষ্ট যখন লিখবেন, উহাকে ১০/১৫ লাইনে শেষ করবেন, যাতে আমি পড়তে পারি; এর থেকে লম্বা হলে, আমি শেষ করতে পারবো না।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কথা মাথায় সেভ করে রাখলাম।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীবনানন্দ দাসের মা কুসুম কুমারী দাসও একজন কবি ছিলেন। ওনার একটা বিখ্যাত কবিতা হোল
-আদর্শ ছেলে-
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ।
এই কবিতাটা স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ছিল এক সময়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: কুসুম কুমারী ছেলেকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। কবিতার হাতে খড়ি মায়ের কাছেই এটা বলা যেতে পারে।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হা চাঁদগাজীভাইয়ার কমেন্ট ।
১০/১৫ লাইনের বেশি নাকি লেখা যাবেনা........
চাঁদগাজীভাইয়াকে যারা গালি টালি দেয় তারাও যেন ১০/১৫ লাইনের বেশি না লিখে তাইলে লাভ নাই ভাইয়া সেই গালি পড়বেও না!!!!!!! ভালো বুদ্ধি পাওয়া গেলো আমি এক লাইন বাজে কথা কেউ লিখলেও আর পড়বো না তবে.......তার কত ধানে কত চাল দেখায় দেবো.......
রাজীবভাইয়া এটাও ভালো বুদ্ধি মানে এই পোস্ট কেউ চ্যালেঞ্জ করলে লড়াই এ সময় নত্ত না কলে বরং উপযুক্তভাবে নিজেকে গড়ে তুলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: মন্ত্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
গালি দেয় দুষ্ট লোকেরা। ভালো মানুষ গালি দেয় না।
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: প্রিয় কবি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার সাজেস্ট করা একজন কমলালেবু বইটি অবশ্যই পড়ার ইচ্ছে আছে আপনি কবি সম্পর্কে লিখতে শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ১০০ পর্ব লিখেছেন ওটার লিংক দিলে উপকৃত হতাম। জীবনানন্দ সম্পর্কে পড়লে আমার মন খারাপ হয়ে যায় প্রায় পুরোটা জীবন দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে ওনি বেঁচে থাকতে ওনার যোগ্য সম্মান পাননি।
ওনার কবিতা
'তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও
আমি এই বাংলার পারে রযে যাব'
ছোটবেলা মুখস্থ করেছিলাম, অসম্ভব মেধাবী একজন মানুষ ছিলেন কিন্তু অকালে প্রানটা চলে গেলো বেঁচে থাকলে আরো অনেক কিছু পেতাম।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ধারাবাহিক লেখা সামুতেই আছে-
এটা ৭১ নম্বর পর্ব।
এটা ৮৬ নং পর্ব।
পরে সব গুলো পর্ব আপনাকে খুঁজে দিবো।
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
নিয়াজ সুমন বলেছেন: অনেক অজানা বিষয় জানা হলো।
আমি ডিম পছন্দ করি কিন্তু...
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: শীতকালে গরম গরম সিদ্ধ ডিম লবন আর গোল মরিচ দিয়ে খেতে ভালোই লাগে।
৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
মুজিব রহমান বলেছেন: জীবনানন্দ দাশের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরে। পদ্মায় তাদের বাড়ি বিলীন হয়ে যায়।
তাকে কেউ কেউ বিক্রমপুরের মণিষীরূপে স্থানও দেন। তবে তাঁকে বরিশালের সন্তান হিসেবেই ধরা হয়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের লোক বলেই তাকে এত আপন আপন লাগে।
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৮
সোহানী বলেছেন: অদ্ভুত সব কবিতা। আমার কবিতায় ভালোলাগা জীবনান্দ এর কবিতা পড়ে।
কিন্তু দু:খ কোন কবিই ঠিকভাবে মূল্যায়ন হয়নি জীবিত থাকবে। না খেয়ে অভাব অনটনে মারা পড়েন। আর মারা যাবার পর তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি..............
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝে না বাঙ্গালী।
একজন সত্যিকারের খাটি কবি।
১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি কবিতা লিখুন না.........
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা আসে না।
১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১
হাসান ইমরান বলেছেন:
দুপুর তিনটে কি বিকাল চারটে, ২০০১/২০০২ সালের আশেপাশে হবে হয়তো, বাংলাদেশ বেতারে হাঁসমার্কা নারিকেল তেলের সৌজন্যে একটা অনুষ্ঠান দিতো । আমি তখন ছোট - তাই এতদিন পর স্মৃতিতে ধুলো পড়ে গেছে। আমার বড় বোন অনুষ্ঠানটা শুনতেন। তার খুব পছন্দের ছিলো। সেই অনুষ্ঠানে জনাব মজহারুল ইসলাম বনলতা সেন কবিতাটি আবৃত্তি করতেন। তার ভরাট কণ্ঠে মনোমুগ্ধ হয়ে শুনতেন আমার বড়বোন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা।
আমি কিছুই বুঝতাম না, কিন্তু ভালো লাগতো। শুনতে শুনতে প্রথম কয়েকটি লাইন মুখস্থও করে ফেলি। তখন জীবনানন্দকে না জেনেই তার কবিতার প্রেমে পড়ি।
এরপর আস্তে আস্তে হেমন্তের নির্জনতায় আবিষ্কার করি জীবনানন্দকে। হাইস্কুলে থাকা অবস্থায় তার বনলতা সেন বইটি কিনি। তখন থেকে জীবনানন্দের সাথে আমার পরিচয়। তখন থেকে আমাদের সখ্যতা । ______
"শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন,
বনলতা সেন।
কোথায় গিয়েছ তুমি আজ এই বেলা
মাছরাঙা ভোলেনি তো দুপুরের খেলা
শালিখ করে না তার নীড় অবহেলা
উচ্ছ্বাসে নদীর ঢেউ হয়েছে সফেন,
তুমি নাই বনলতা সেন"।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: অসাধারন একটা কবিতা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ১০৮টা বই পড়ে, কবির তথ্য জেনে, কবিকে লিখতে চয়েছিলেন? মনে হয়, সেটাই ভালো পরিকল্পনা, সেটাই করেন!