নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। মুসলমান সমাজের বয়স নিতান্ত কম নয়। কিন্তু এত দীর্ঘকালের মধ্যে, একজন রুশো, একজন পিকাসো, একজন নিউটন জন্মাননি। এই সমাজ একজন রাজা রামমোহন, একজন বিদ্যাসাগর, একজন রাম তনুলাহিড়ী তৈরি করতে পারেনি। তার কারন, আমাদের সু-শিক্ষা নাই। জ্ঞানের মর্যাদা বুঝি না। সাহিত্যের আদর করি না। তাই আমাদের মধ্যে সত্যিকারের বিদ্বান নাই, বৈজ্ঞানি নাই, সাহিত্যিক-দার্শনিক ঐতিহাসিক নাই।
২। নদীর পাড়ে রোদ পোহাচ্ছে এক কুমীর, পাশ দিয়ে যেতে যেতে এক শেয়াল দেখে কুমীরের সারা গায়ে জোঁক, রক্ত খাচ্ছে। শিয়াল বলল, আরে ব্যাটা কুমীর, লেজটাও ঝাড়লে তো পারিস। কিছু জোঁক তো ঝাপটা খেয়ে মরে পালিয়ে যায়। রক্ত শূন্য হয়ে মরে যাবি তো শেষে। কুমীর বলল, রক্ত যা খাবার খেয়ে নিঃসাড়ে পড়ে আছে, এখন গা থেকে এগুলোকে আর সরিয়ে দিতে চাই না, সরালে আবার নতুন জোঁক আসবে, নতুন করে রক্ত খাবার পালা শুরু হবে, কাজ নেই তাতে। আমাদের এই দেশে তো- এক রাজাকে তাড়িয়ে আরেক রাজা...
৩। আবার ফিরে এসেছে আমাদের সেই ঐতিহ্যবাহী দিনটি। একুশে ফেব্রুয়ারী। যে আগুন ঝড়া দিনটিতে মায়ের ভাষা ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলার দামাল ছেলেরা অস্ত্রের মুখেও প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছিল, ঝরে পড়েছিল কয়েকটি প্রাণ। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং আরও কয়েকজন বাংলার দামাল সন্তানেরা মায়ের ভাষার মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করেছিল। তাদের সেই আত্নত্যাগ বৃথা যায়নি। তাদের বুকের তাজা রক্তের পথ ধরে বাংলা একদিন রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলো।
৪। রবীন্দ্রনাথ ১৭ বছর বয়সে লিখেছেন উপন্যাস 'করুণা'। 'করুনা' রবীন্দ্রনাথের সামাজিক উপন্যাস। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলো হলো- করুণা, নরেন্দ্র, মহেন্দ্র, পন্ডিত রঘুনাথ, মহিনী এবং অনূপকুমার। রবীন্দ্রনাথ এই উপন্যাসে লিখেছেন- 'সঙ্গিনী-অভাবে করুণার কিছু মাত্র কষ্ট হইতো না। সে এমন কাল্পনিক ছিল, কল্পনার স্বপ্নে সে সমস্ত দিন-রাত্রি এমন সুখে কাটাইয়া দিত যে, মুহূর্তমাত্রও তাহাকে কষ্ট অনুভব করিতে হয় নাই। তাহারা একটি পাখি ছিল, সেই পাখিটি হাতে করিয়া অন্তঃপুরের পুস্করিণীর পাড়ে কল্পনার রাজ্য নির্মাণ করিত।... সন্ধ্যাবেলা পিতার নিকট যা-কিছু গল্প শুনিত, বাগানে পাখিটিকে তাহাই শিনানো হইত।' ছোটবেলার সঙ্গী নরেন্দ্রের সাথে করুণার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নরেন্দ্র করুণা কে অনেক অবহেলা করে, কিন্তু করুনা তার প্রতিবাদ করেনি।
৫। রাত তিনটা। ঘর অন্ধকার করে আমি বিছানায়।
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। আর কি আশ্চর্য সাথে সাথে একটা স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। স্বপ্নটা এই রকম- গভীর রাত। আমি গ্রামের রাস্তায় একটা কার্লভাটের উপর বসে আসি। চারিদিকে ফকফকা জোছনা। আমার হাতে সিগারেট, ম্যাচের জন্য সিগারেটি ধরাতে পারছি না। ঠিক এই সময় একটি মেয়ে দৌড়ে আমার দিকে আসছে- মেয়েটির শাড়ি এলোমেলো, চুল এলোমেলো। মেয়েটির পেছনে আরও তিনটি লোক। বুঝতে পারলাম মেয়েটিকে তিনজন লোক তাড়া করেছে। মেয়েটি আমার কাছে এসে বলল- আমাকে বাঁচান। মেয়েটির কথা শুনে আমার খুব রাগ লাগল- ম্যাচের জন্য আমি সিগারেট ধরাতে পারছি না। এই সময় লোক তিনটি আমার সামনে এসে মেয়েটিকে টেনে হিচড়ে নিয়ে গেল। মেয়েটি ব্যাকুল হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলছে- আমাকে বাঁচান। আমি লোক গুলোর দিকে তাকিয়ে বললাম- ভাই আপনাদের কাছে ম্যাচ হবে? তারা কেউ আমার কথার জবাব দিল না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যাদের নাম বললেন, তাদের পুরোপুরি অস্বীকার করি না।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজিব ভাই ,সভ্যতার উন্নয়ন ও বিকাশে মুসলমানদের অবদান কম নয় এবং ইতিহাসের পথচলায় বহু মহান মুসলিম দার্শনিক, শাসক, সেনাপতি ও শিল্পীর জন্ম হয়েছে যারা বিশ্বে ইসলামকে নতুন করে বুঝতে সহায়তা করেছেন এবং দুনিায়াকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছেন।এরা বিচরণ করেছেন জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়। এ মনীষীদের অবদান ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছেন -
** আল কিন্দি (৮০১-৮৭৩ খ্রি.)- আল কিন্দি মুসলিম বিশ্বের সোনালি দিনের বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। পুরো নাম আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি। তিনি ছিলেন একাধারে কোরআন, হাদিস, ইতিহাস, দর্শন, ভাষাতত্ত্ব, রাজনীতি, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, মিউজিক, মনোবিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা প্রভৃতি নানা বিষয়ে বিশারদ।
** আল ফারাবি (৮৭২-৯৫১ খ্রি.) - ইসলামি দর্শনের ইতিহাসে যে কয়জন মহান জ্ঞানসাধক প্রাচ্যের সেরা দার্শনিকরূপে খ্যাতি লাভ করেছেন আল ফারাবি তাদের অন্যতম। শুধু তাই নয় ধর্মতত্ত্ব, অধিবিদ্যা, বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্র, সংগীতে আল ফারাবির ছিল অসামান্য জ্ঞান। তিনিই প্রথম ইসলামি বিশ্বকোষ ও মুসলিম তর্কশাস্ত্র রচনা করেন।
** আল গাজ্জালি (১০৫৮-১১১১ খ্রি.) - পুরো নাম ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালি। তিনি ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী একজন চিন্তক। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক, একজন পন্ডিত এবং ধর্মতত্ত্ববিদ। ইমাম আল গাজ্জালি ১০৫৮ সালে ইরানের খোরাসানের তুশ নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। জ্ঞান অন্বেষণের জন্য তিনি অনেক দেশ ভ্রমণও করেছিলেন।
** ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রি.) - অষ্টম শতাব্দীতে বাগদাদে সর্বপ্রথম স্বাধীনভাবে দার্শনিক অনুসন্ধান হিসেবে প্রাচীন ইসলামি দর্শনের উদ্ভব ঘটে। অষ্টম থেকে ১২শ শতাব্দী হলো প্রাথমিক ইসলামি দর্শনের ব্যাপ্তিকাল এ সময়কালকে ইসলামি স্বর্ণযুগ বলা হয়। দার্শনিক আল কিন্দি এর সূচনা করেন এবং ইবনে রুশদের হাতে এই প্রাথমিক সময়কালটির সমাপ্তি ঘটে।
মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও পণ্ডিত হিসেবে ইবনে রুশদের নাম ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে। রেনেসাঁর যুগে ইউরোপে তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া।
** ইবনে খালদুন (১৩৩২-১৪০৬ খ্রি.) - তিনি চৌদ্দ শতকের একজন মুসলিম ইতিহাসবেত্তা, সমাজবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ এবং সর্বোপরি একজন দার্শনিক। তাকে আধুনিক ইতিহাস রচনা, সমাজবিজ্ঞান এবং অর্থনীতির অন্যতম একজন জনক বলা হয়। তার পুরো নাম আবু জায়েদ আবদুর রহমান বিন মুহাম্মদ বিন খালদুন আল হাদরামি। সংক্ষেপে তাকে ইবনে খালদুন বলা হয়।
তাছাড়া ,জ্যোতির্বিদ-জীববিজ্ঞানী- নিউরোলজিস্ট ও মনোবিজ্ঞানী -রসায়নবিদ ও আলকেমিস্ট - ভূগোল ও ভূতত্ত্ববিদ - গণিতবিদ - দার্শনিক - পদার্থবিদ - ডাক্তার -অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বিজ্ঞানী - রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রভৃতি শাখায় অসংখ্য মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান ছিল-আছে।
আর সভ্যতার সভ্যতার উন্নয়ন ও বিকাশে মুসলমানদের অবদান খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই।যারা সভ্যতার উন্নয়ন ও বিকাশে মুসলমানদের অবদান খাটো করে দেখে তারা আসলে সঠিক তথ্য পরিবেশন করেনা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সূর্যের চেয়ে বালি গরম।
পোষ্টের থেকে মন্তব্য বড়। গ্রেট।
কম্পিউটার কার আবিস্কার?
উড়োজাহাজ?
ইন্টারনেট?
মোবাইল?
রকেট?
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলমানদের স্বকীয় সংস্কৃতি ছিলো না, এখনো নেই; আরবেরা তাদের বেদুইন সংস্কৃতি ছালু করেছিলো ধর্মের সাথে; বেদুইনরা ছিলো ঝগড়া ফ্যাসাদে ব্যস্ত, মারামারির লোকজন। মুসলিম শিক্ষা ব্যবস্হা হলো মক্তব। মুসলিম বিশ্বে ইুনিভার্সিটিগুলো করেছে ইউরোপের লোকজন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, সব মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
@মোহামমদ কামরুজজামান ,
আপনি যাদের নাম বলছেন, উনারা ততকালীন সময়ে হয়তো, আপনার মতো গরুর রচনা লিখতেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: সত্যিকার অর্থে উনাদের কোনো অবদান নেই। এই গুলো কিছু মুসলিম মুখে মুখে বলে থাকে।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০১
অক্পটে বলেছেন: খুব সহজে বুঝা যায় আসলে আপনি কি চান। আপনি চান অবৈধ হলেও হাসিনা সব সময় প্রধানমন্ত্রী থাক।
আপনি কি জানেন আমাদের 'বিমান' কেন প্রতি বছর লোকশান দেয়।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু বিমান না রেল, সোর্ড ব্লেড, মিল্কভিটা, ন্যাশনাল টিউবস, এটলাস হোণ্ডা, জুট মিল ইত্যাদি সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান লসে আছে। আসলে এসব সরকারী প্রতিষ্ঠানে খুব দূর্নীতি হয়।
হাসিনা খারাপ?
ভালো কে?
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০২
সাসুম বলেছেন: রাজিব ভাই,
পোস্টের সাথে দ্বিমত করার আসলে সুযোগ নাই। তবে হিন্দু বিজ্ঞানী বা মনিষী দের দিয়ে উদাহরণ না দিয়ে আজকাল কার ইহুদী দের দিয়ে দিতে পারতেন তাহলে আরো চোখে আংগুল দিয়ে ধর্মান্ধ দের বুঝিয়ে দেয়া যেত আজকাল আর কোন মুস্লিম জ্ঞানী লোক কেন নাই।
আর যারা গাজ্জালী, ইবনে সিনাদের নাম নিচ্ছেন তারা আসলে কি বল্ব। তারা বেদুঈন দের মত খালি পুরান দিকে আর পিছন দিকে টেনে নিয়ে যায়।
আমি একটা পোস্ট দিছিলাম গতকাল্কে - বর্তমান দুনিয়ার সেরা জীবিত ১০ জন
সেরা বিজ্ঞানী আর মনীষী কে নিয়ে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০
রাজীব নুর বলেছেন: সেই অন্ধকারের যুগ থেকে এই আধুনিক কাদের অবদান বেশী? অবশ্যই মুসলিমদের না।
৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্বপ্নের সাথে আপনার বাস্তব জীবনের
দারুন মিল দেখতে পাই।
ভালারে নন্দ বেচেঁ থাকো চিরকাল !!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: চিরকাল তো বেঁচে থাকতে পারবো না।
৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
একটি মাত্র বই পড়ে দুনিয়ার তাবৎ জ্ঞানের অধিকারী হওয়া কখনোই সম্ভব নয় ।
তারা বই পড়ে মাত্র একটি ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পৃথীবি সূর্যের চারিদিকে ঘুরে নাকি সূর্য পৃথীবির চারি দিকে ঘুর কোরানে এটা খুঁজতে খুঁজতে তাদের যে পায়ের ঘাম মাথায় চলে আসছে এটা কম কি।এমন একটা আবিস্কার কারা করতে পেরেছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকগন এসব বুঝবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এইক্ষেত্রে আপনার সীমাবদ্ধতা অসীম বললে ভুল বলা হবেনা। আপনি কি -আল কিন্দি, আল ফারাবি, ইমাম আল গাজ্জালি, ইবনে রুশদ, ইবনে খালদুন, ইবনে সীনা সহ এমন অসংখ্য দার্শনিক সম্পর্কে কিছুই জানেননা?
একটাই প্রশ্ন, আপনি যাদের নাম বলেছেন তারা কেউ কি উল্লেখিত মুসলিম পণ্ডিতদের চেয়ে কোনো অংশেই বেশী?