নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। পারফিউম (Perfume)
জার্মান লেখক প্যাট্রিক সাসকাইন্ডের বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস 'পারফিউম' যা কিনা পৃথিবীর ৪৫টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে, অবলম্বনে পারফিউম মুভিটি তৈরী করেছেন পরিচালক টম টাইকার। সুগন্ধি দ্রব্য তৈরীর গল্প জানতে আর সৌন্দর্যের জন্য হত্যার রোমান্টিকতাকে অনুভব করতে দেখে ফেলুন 'মাস্ট সি' এবং 'অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নিষিদ্ধ' এই মুভিটি।
মুভির কাহিনীটা সম্পর্কে একটু ধারনা দেই- জন বাপ্টিস্ট রেনোয়া, একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষ। তাকে জন্ম দেয়ার অপরাধে তার মা'কে ফাসিকাষ্ঠে ঝুলতে হয়। যে এতিমখানায় সে বড় হয়েছে সেটির কর্ত্রী খুন হয় ছিনতাইকারীদের হাতে এবং যে কারখানায় সে প্রথম জীবনে কাজ করতো, কারখানা মালিক তাকে বিক্রি করে দেয়ার পরপরই গাড়ি চাপা পড়ে। যে পারফিউম প্রস্তুতকারকের সাথে সে কাজ করতো, তাকে ছেড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই লোকের বাড়িই ধ্বসে পড়ে সীন নদীর ওপর। এই লোকের কাছ থেকেই সে ফুলের রস থেকে গন্ধ সংগ্রহের প্রণালী শিখেছিলো। অষ্টাদশ শতকের ফ্রান্সের সমাজ, জীবনযাত্রা, সিটি মেয়র, পোপ এই বিষয়গুলো দারুণভাবে এসেছে মুভিটায়। মাছের বাজার, চামড়ার কারখানা, শতাব্দীর প্রাচীন নগর কাঠামো সবকিছু এত জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, একশ’ বছর আগের ফ্রান্স হঠাৎ করে যেনো লাফিয়ে উঠে আসে চোখের সামনে। অসামান্য এক মুভি।
আর একটা কথা- মুভিতে একসাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে নগ্ন দেখানো। ছবিটির লাস্ট সিকোয়েন্সে পারফিউমের সুঘ্রাণে পাগল হয়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষের সঙ্গমদৃশ্য।
২। ফরেস্ট গাম্প (Forrest Gump)
চলচ্চিত্রটি নির্মান করা হয়েছে লেখক উন্সটম গ্রুমের ২২৮ পৃষ্ঠার উপন্যাস ফরেস্ট গাম্প বই থেকে। সমাজের খুব সাধারণ একটা বিষয়কে উপজীব্য করে গল্প গড়ে উঠেছে। একজন অটিস্টিক শিশু যে সমাজের জন্য পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু করতে পারে তা একেবারে পরিচালক সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। অতি সাধারণ এক মানুষ ফরেস্ট গাম্প। তার আইকিউ অন্য দশজনের তুলনায় কম। নিজের মা ছাড়া অন্য কাউকে সে জানে না। মায়ের দেখানো সহজ সরল সাজানো পথে জীবন সাজাতে চায় সে। আরেক জনকে সে পরম ও একমাত্র বন্ধু হিসেবে চেনে সে হলো জেনি। একসময় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় ফরেস্ট। তারপর বছরের পর বছর চলে যায়। একে একে ঘটনার জন্ম দেয় ফরেস্ট। কিন্তু কোন কিছুই ফরেস্টকে আলোড়িত করে না। আলোড়িত করে কেবল জেনি।
যাদের ভালবাসার মানুষটি তাকে ছেড়ে গেছে তারা এই চলচ্চিত্র দেখে নিজের ভালবাসার জোর বাড়াতে পারেন। সত্যিকারের ভালবাসা ফিরে আসে, ফিরে আসতে হয়।
৩। দ্য ডিক্টেটর (The Dictator)
সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক চলচ্চিত্র। এই কমেডি মুভিটি দেখার পর আপনার মনে হবে- মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে/ মুভি দেখিতে দেখিতে বাঁচিতে চাই।
৪। মিস্টার নোবডি (Mr. Nobody)
মুভি জুড়ে এতো-এতো ফিজিক্সের ‘ভুতুড়ে’ ব্যাপার গুলোকে চিত্রায়িত করা হয়েছে যে, ফিজিক্স সম্পর্কে ভাল জ্ঞান না থাকলে দর্শকের কাছে এটিকে ‘ফালতু’ বলে মনে হবে।
৫। হীরক রাজার দেশে (In the Kingdom of Diamonds)
রুপকের আশ্রয় নিয়ে চলচ্চিত্রটিতে কিছু ধ্রুব সত্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটি গুপী গাইন বাঘা বাইন সিরিজের একটি চলচ্চিত্র। এর একটি বিশেষ দিক হচ্ছে মূল শিল্পীদের সকল সংলাপ ছড়ার আকারে করা হয়েছে। তবে কেবল একটি চরিত্র ছড়ার ভাষায় কথা বলেন নি। তিনি হলেন শিক্ষক। এ দ্বারা বোঝানো হয়েছে একমাত্র শিক্ষক মুক্ত চিন্তার অধিকারী, বাদ বাকি সবার চিন্তাই নির্দিষ্ট পরিসরে আবদ্ধ।
এই সিনেমার অনেক গুলো গানের মধ্যে একটা গান ছিলো এক বাউলের, বাউল মেঠো পথে হেঁটে হেঁটে এক মনে গান গাইছিলো, সেই গান শুনে রাজার সেই বাউলকে ধরে নিয়ে আসে রাজ দরবারে। রাজা খুশি মনে বাউলের গান শুনতে চায়, বাউল রাজ দরবারে গান শুরু করে। গান শুনে রাজার চক্ষু চড়ক গাছ! তখনই সেই বাউলকে মগজ ধোলাই করতে পাঠায় রাজ বিজ্ঞানী বর্ফি’র কাছে।
৬। সিটি লাইটস (City Lights)
এই ছবিটি চার্লি চ্যাপলিন কাহিনী লেখা, পরিচালনা, প্রযোজনায় নির্মিত। মুভির কাহিনী এই রকম- একটি ভাস্কর্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ভাস্কর্যের উন্মোচন করার পর দেখা যায় এক ভবঘুরে সেখানে শুয়ে আছে। পুলিশের তাড়া খেয়ে সে পালায় এবং এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়ের দেখা পায় যে রাস্তার পাশে ফুল বিক্রি করছিল। সে তার পকেটের শেষ পয়সাটা দিয়ে ফুল কিনতে গিয়ে আবিষ্কার করে ফুলের চেয়েও অনেক বেশী সুন্দর এই ফুল বিক্রেতা মেয়েটি অন্ধ। ভবঘুরে সারাদিন মেয়েটির পাশে বসে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না মেয়েটি ফুল বিক্রি শেষ করে বাসায় চলে যায়। সন্ধ্যায় মেয়েটি চলে যাবার পর সে মেয়েটির কাছ থেকে কিনা ফুলটি নিয়ে এক ঘাটে বসে থাকে। এক অদ্ভুত মাতাল লোক আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজেকে ডুবিয়ে মারার জন্য পাথর আর রশি নিয়ে সেই ঘাটে এসে হাজির হয় ভবঘুরে তাকে বাঁচায়। মাতাল লোকটি আসলে অনেক বড়লোক এবং সে তার জীবন বাঁচানোয় ভবঘুরে লোকটাকে তার বন্ধু বানিয়ে তার প্রসাদে নিয়ে যায় ও মদ্যপান করে বন্ধুত্ব উৎযাপন করে। এই নতুন বন্ধুত্ব উৎযাপনের আনন্দ উৎসব চলে নাইট ক্লাব পর্যন্ত। সকালে ভবঘুরের মাতাল বন্ধু তাকে গাড়ি চড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়।
সর্বকালের সেরা রোমান্টিক মুভির তালিকায় এই মুভিটা ২য় স্থানে ছিল। অসাধারন একটা ছবি। প্রচণ্ড হাসির এই ছবির শেষ দৃশ্যে চোখে কিন্তু ঠিকিই পানি এসে যায়।
৭। এ বিউটিফুল মাইন্ড (A beautiful mind)
সিলভিয়া নাসার উপন্যাস অবলম্বনে এ ছবি তৈরি হয়েছে। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জন ন্যাসের জীবনীই এ গল্পের ভিত্তি। গনিতের এর গোপন সুত্র বের করার পর এক গণিতজ্ঞের পুরো জীবনটাই এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে আগমনের মাধ্যমে মুভিটির শুরু। রুমমেট সাহিত্যের ছাত্র চার্লস হারম্যান তার ভালো বন্ধুতে পরিণত হয়, অথচ তার সহপাঠীরা তাকে নিয়ে বেশ বিব্রতকর কিছু পরিবেশ সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে ন্যাশ মানুষের চেয়ে সংখ্যাকে বেশি ভালো বুঝতে পারে আর এ কারণেই পানশালায় কোনো এক নারীকে দেখে তার প্রতি অনুরক্ত না হয়ে তিনি তার গাণিতিক অর্থনীতির থিওরি গভর্নিং ইকনোমিকসের ধারণা লাভ করেন।
আকাশের গায়ে নক্ষত্র দিয়ে রাসেল ক্র’এর ছবি আঁকবার মুহূর্তটি কখনো ভুলতে পারবো না।
৮। অরফ্যান (Orphan)
এক কথায় অসাধারন থ্রিলার! অসাধারন!! এই মিস্টেরিয়াস মুভিটি প্রসঙ্গে আগে থেকে কিছু না জানাই ভাল। রহস্য আগেই ভাঙাটা ঠিক হবে না। যত দ্রুত সম্ভব দেখে ফেলুন!
৯। আ মোমেন্ট টু রিমেমবার (A moment to remember)
কোরিয়ান রোম্যান্টিক মুভি। সরাসরি বুকে ধাক্কা লাগার মত ছবি। চমৎকার কাহিনী।
১০। স’ (Saw)
'SAW' মুভিটা দশ মিনিট দেখার পর, আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। কাটাকাটি, রক্তপাত সব মিলিয়ে ভয়াবহ অবস্থা। বাকিটুকু দেখার ইচ্ছা বা সাহস হয়নি। দশ মিনিট দেখেই- আমার অবস্থা কাহিল। তবে এই ছবির একটা ভালো দিক বলি, যদি মানুষকে বলা হয়- যদি তোমরা দুনিয়াতে খারাপ কাজ করো- তাহলে তোমাদের মৃত্যুর পর এইভাবে শাস্তি দেওয়া হবে। তাহলে খারাপ মানুষ গুলো সব ভালো হয়ে যাবে। 'SAW' সিরিজের মোট পাঁচ টা মুভি আছে।
সিনেমা শুরু হয় পানিপূর্ণ একটা বাথটবে ফটোগ্রাফার অ্যাডামের জ্ঞান ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে। বাথটব থেকে উঠে অ্যাডাম আবিষ্কার করে যে, বন্ধ বাথরুমটাতে সে একা নেই। আরেকজন লোক আছে যার নাম ডাঃ লরেন্স গর্ডন। তাদের দুজনকেই পায়ে লোহার শিকল লাগানো অবস্থায় বাথরুমের দুই কোণে আটকে রাখা হয়েছে।
এত ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করে, মিডিয়াতে বহুল আলোচিত ভয়ংকর খুনী দ্যা জিগ-স কিলার; যে নিজ হাতে খুন করে না, বরং খুন করার পরিস্থিতি তৈরি করে। এই খুনী বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের কে বন্দী করে তাদের উপর এক ধরনের পরীক্ষা চালায়। সে তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছু ভয়ংকর কাজ করার নির্দেশ দেয়। মাথা ঠান্ডা রেখে বুদ্ধি খাটিয়ে সেগুলো ঠিকমতো করতে পারলে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসা যায়। আর না পারলে নিশ্চিত মৃত্যু। তার মতে অধিকাংশ মানুষই বেঁচে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। তাই সে এ ধরনের অকৃতজ্ঞদেরকে একটা পরীক্ষার সম্মুখীন করে, যেন যদি তারা বাঁচতে পারে তাহলে যেন সেই জীবনের জন্য কৃতজ্ঞতা অনুভব করে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: এত ব্যস্ততা কিসের?
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪
ইসিয়াক বলেছেন: আপনে এতো সময় পান কেমনে?
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০২
রাজীব নুর বলেছেন: িচচা ঠাকোলেি হোয়।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ইচ্ছা করলেই হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৪
সোহানী বলেছেন: দেখবো বাকিগুলো কিন্তু সময় যে পাই না