নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে আসার পর বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার সাথে আমি কথা বলি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা কোট করে বলি যে, তিনি আমাদের শাসিয়েছেন। এরপর আমরা উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা জনাব আঃ হাই, উপসচিব, ভুমি মন্ত্রণালয়, উপসচিব আঃ সালাম, ভুমি মন্ত্রণালয়, খান মোঃ খেলায়েত হোসেন, উপসচিব, গনপুর্ত মন্ত্রণালয়, সাজ্জাত হোসেন, উপসচিব, এনার্জি মন্ত্রণালয়, আবু আলম শহীদ খান, সিনিয়র সহকারী সচিব, র, আ, মোক্তাদির চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী সচিব, ঢাকা জেলার অতিঃ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান এই হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেই যে ১২ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ তারিখ সকাল দশটায় সচিবালয়ের ৬ নং ভবন ও পুর্ত মন্ত্রণালয়ের মাঝখানের খালি চত্বরে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমাবেশ হবে এবং ঐ সমাবেশে কর্মচারী নেতা সৈয়দ মহীউদ্দীন সভাপতিত্ব করবেন। সভা পরিচালনা করবেন মজিবুল হক। কর্মকর্তাদের পক্ষে আবু আলম শহীদ খান ও কর্মচারীদের পক্ষে আমি বক্তব্য রাখবো।
পরের দিন ১২ ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ সকাল দশটার পুর্বেই সমাবেশ স্থল কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায়, মাইকে আমাদের দ্রুত সভায় আসার আহ্বান জানানো হয়। আমরা যথাসময়ে হাজির হই, মানুষের মাঝে উৎকন্ঠা আজ নেতারা কি বলবে। আমি ১১ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ তারিখের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরলে কর্মচারীরা রোষে ফেটে পড়ে এবং তারা বলতে থাকে চাকুরী চলে গেলেও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করব না। কর্মচারীদের এ অবস্থা দেখে সভাপতি সৈয়দ মহীউদ্দীন তার বক্তৃতায় সুস্পষ্টভাবে বলেন, "আমরা সরকারি কর্মচারী সমাজ কারো দাস নই, ১৫ই ফেব্রুয়ারীর তামাশার নির্বাচনে আমরা কোন দায়িত্ব পালন করব না"। সত্যিকথা বলতে কি, এই ঘোষণা দেওয়ার পর কোন কর্মচারিই ১৫ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ এর নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে নাই।
(লেখাটি লিখেছেন শাহ আলম। তিনি আমার শ্বশুর। তাঁর অনুমতি নিয়েই আমি লেখাটি সামুতে দিলাম। এত আগেও আমি সামুতে আমার শ্বশুর মশাইয়ের লেখা সামুতে দিয়েছি।)
©somewhere in net ltd.