নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমি মাঝে মাঝে অনলাইনে কোরআন পড়ি।
সূরা পড়ি, সূরার শানে নুযূল পড়ি, তাফসীর পড়ি, ব্যখ্যা পড়ি। সূরার ফজিলত পড়ি। কিছু কিছু লাইন টূকে রাখি। আমার ভালো লাগে। অনেক কিছু জানতে পারি। জানার একটা আনন্দ আছে। মজা আছে। আমি যা পড়ি, ইচ্ছা করে অন্য ব্লগারদের সাথে সেই জানা শেয়ার করি। কারন, আমার জানার মধ্যে ভুল থাকলে- তা ব্লগাররা ধরিয়ে দিবেন। এবং আমি শুধরে নিতে পারবো।
সবাইকে জানাই রমজানের শুভেচ্ছা ও সালাম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সুরা কা’হফ অনলাইনে পড়তে চাইলে
পবিত্র কুরআনের ১৮নং সূরা হচ্ছে সূরা কাহাফ।
এর আয়াত সংখ্যা ১১০। সূরা কাহাফ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা কাহফের বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করলে বুঝা যায়- মক্কী যুগের এ তৃতীয় অধ্যায়ের শুরুতেই এ সূরাটি নাযিল হয়ে থাকবে। এ সময় জুলুম, নিপীড়ন, বিরোধিতা ও প্রতিবন্ধকতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ঠিকই কিন্তু তখনো মুসলমানরা হাবশায় হিজরত করেনি। তখন যেসব মুসলমান নির্যাতিত হচ্ছিল তাদেরকে আসহাবে কাহফের কাহিনী শুনানো হয়, যাতে তাদের হিম্মত বেড়ে যায় এবং তারা জানতে পারে যে, ঈমানদাররা নিজেদের ঈমান বাঁচাবার জন্য ইতিপূর্বে কি কি করেছে। কাহাফ সেই সমস্ত গুহাকে বলা হয়, যা পাহাড়ের ভিতরে থাকে।
কাহাফ সূরার শুরুতে মহান আল্লাহ নিজেই নিজের প্রশংসা করছেন।
এই সূরাটিতে মোট চারটি শিক্ষণীয় ঘটনা আছে। প্রতিটি ঘটনাতেই আছে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য উপদেশ। সূরার শুরুতেই সেই গুহাবাসী যুবকদের ঘটনার বর্ণণা দেয়া হয়েছে, যারা এমন একটি জনপদে বসবাস করতো যার অধিবাসীরা ছিল অবিশ্বাসী ও সীমালংঘনকারী। সূরা কাহাফের ফযীলত সম্পর্কে যেসব হাদীস এসেছে সেগুলো মূলত দাজ্জাল থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে।
একজন লোক যাকে আল্লাহ দুইটি প্রাচুর্যময় সুন্দর বাগান দিয়ে ধন্য করেছিলেন, কিন্তু লোকটি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে গেল। এমনকি পরকালের অস্তিত্ব সম্পর্কে আল্লাহর ওয়াদার উপর সন্দেহ পোষণ করল। কাজেই, এই অকৃতজ্ঞ লোকটির বাগানকে আল্লাহ তায়ালা বিরান করে দিলেন- সে অনুতপ্ত হলো। কিন্তু ইতোমধ্যে অনেক দেরী হয়ে গেছে এবং তার এই অসময়ের অনুশোচনা তার কোন উপকারে আসল না।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি সুরা’র সন্ধান দিবো না, যার মাহাত্ম আকাশ ও যমীনের মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে রয়েছে এবং তার পাঠকের জন্যও রয়েছে অনুরূপ পুরষ্কার? যে তা পাঠ করবে তার এক জুম্মাহ হতে আরেক জুম্মা'র মধ্যবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া গুনাহ মাফ করা হবে। উপরন্তু অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করা হবে। তারা বললো, হ্যাঁ আপনি বলুন। নবীজি বললেন, তা হলো সুরা 'কাহাফ'।
# যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।
# যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ও শেষ আয়াত গুলি পাঠ করে, তার জন্য তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ পাঠ করে, তার জন্য যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।
# যে জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মক্ত থাকবে।
# যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ লিখে একটি বোতলে সংরক্ষণ করে নিজ ঘরে রাখবে, সে কারো মুখাপেক্ষী হবে না এবং ঋণগ্রস্তও হবে না। আর তার পরিবারবর্গকে কেউ কষ্ট দিতে পারবে না।
এক ব্যক্তি রাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন।
তার কাছে রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন মেঘ খণ্ডটি তার কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। অতঃপর সকালে ওই ব্যক্তি নবীজী'র কাছে এসে রাতের ঘটনা বললেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (রহমত) যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল।
সমস্ত তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট।
©somewhere in net ltd.