নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
মৃত্যুর পর দুই ভূতের সাথে দেখা হলো। একজনের নাম ভোলানাথ এবং অন্যজনের নাম শম্ভুনাথ।
শম্ভুনাথঃ আপনি কখন মারা গিয়েছিলেন, মিঃ ভোলানাথ?
ভোলানাথঃ ১৯৯৭ সালের ১৩ ই মার্চ, আমি মারা গিয়েছিলাম।
শম্ভুনাথঃ আরে, কী কাকতালীয় ব্যাপার! আমিও তো ঐ একই দিনে মারা গিয়েছিলাম।
ভোলানাথঃ আপনি কীভাবে মারা গিয়েছিলেন?
শম্ভুনাথঃ সে এক মজার গল্প। আমার জন্ম আসলে এক গরিব পরিবারে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছিলাম। আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি যেন আর্মিতে যোগদান করি, কিন্তু আমি করিনি।
ভোলানাথঃ আপনার বাবা ভাল সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। আপনার আর্মিতেই যোগদান করা উচিত ছিল।
শম্ভুনাথঃ আমি আসলে একজন লোভী মানুষ ছিলাম। আমি একজন ভাল সৈনিক হতে পারতাম।
ভোলানাথঃ আপনি কি স্বার্থপর মানুষ ছিলেন?
শম্ভুনাথঃ আপনি ঠিকই ধরেছেন। আমি একজন লোভী এবং স্বার্থপর মানুষ ছিলাম।
ভোলানাথঃ তাহলে তো আপনার রাজনীতি করা দরকার ছিল।
শম্ভুনাথঃ নাহ্, আমি রাজনীতিও করিনি।
ভোলানাথঃ তাহলে আপনি করেছিলেন টা কী?
শম্ভুনাথঃ আমি একজন ভেহিকল (যানবাহন) ইন্সপেক্টর হয়েছিলাম এবং অবশ্যই একটা ঘুষখোর ইন্সপেক্টর ছিলাম। একদম গাড়ির অবস্থা চেক করা থেকে শুরু করে মানুষের ড্রাইভিং লাইসেন্স রেজিস্টার এবং লাইসেন্স প্রদান করা পর্যন্ত সবই করতাম।
ভোলানাথঃ আপনি কারো গাড়ি অফিসিয়ালি রেজিস্টেশন করতে দিতেন না?
শম্ভুনাথঃ না, কেউ অফিসিয়ালি রেজিস্টেশন করতে চাইলেও আমি আটকাতাম।
ভোলানাথঃ কীভাবে করতেন এমনটা?
শম্ভুনাথঃ আমি তাঁদেরকে বলতাম যে বিআরটিএ আপনাদেরকে দুই মাসেও লাইসেন্স দিবে না। এবার আপনি বুঝেন কী করবেন?
ভোলানাথঃ আপনি কত দিনে লাইসেন্স দিতেন?
শম্ভুনাথঃ মাত্র ২ দিনে।
ভোলানাথঃ কত টাকা নিতেন তাঁদের থেকে?
শম্ভুনাথঃ কম করে হলেও ৫০০০/- টাকা, এর কম না।
ভোলানাথঃ আপনি তাহলে অনেক আয় করেছেন।
শম্ভুনাথঃ ইয়েস, আমি ঐ সময় ৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম।
ভোলানাথঃ আপনি কি কাউকে কখনো লাইসেন্স পেতে সাহায্য করেন নি?
শম্ভুনাথঃ করেছি তো! আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন! আমি কানা-খুঁড়াকেও লাইসেন্স করে দিয়েছি।
ভোলানাথঃ যাই হোক, আপনি কিন্তু বললেন না যে আপনি কীভাবে মারা গিয়েছিলেন?
শম্ভুনাথঃ ১৯৯৭ সালের ১৩ ই মার্চ, সকাল বেলা অফিসে যাচ্ছিলাম এমন সময় একটা সাঁই করে আসা বাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঐখানেই মরে যাই। ঐ গাড়ির রেজিস্টেশন নাম্বার ছিল- AB50E50.
ভোলানাথঃ এটা কী করে ঘটেছিল?
শম্ভুনাথঃ ড্রাইভারটি তাঁর গাড়িকে কন্ট্রোল করতে পারে নি। ব্রেক হারিয়ে একদম সাগরে গিয়ে পড়েছিল এবং ড্রাইভারও ওখানেই মারা যায়। এই ছিল আমার মৃত্যুর গল্প। যাই হোক, আপনার কীভাবে কী হলো? কীভাবে মারা গেলেন?
ভোলানাথঃ আমি ঐ একই গাড়ির ড্রাইভার ছিলাম যেটি আপনাকে মেরেছে এবং আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সটিও আপনিই দিয়েছিলেন। যখন এক্সিডেন্ট হয় তখন আমি রেডিওতে ক্রিকেট কমেন্ট্রি শুনছিলাম।
০১ লা মে, ২০২১ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: কাহিনী জানতে চাইলে বলতে পারি। আমার কোনো সমস্যা নেই।
২| ০৩ রা মে, ২০২১ রাত ৮:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রতিটি বাংলাদেশীর সাইকেল, মোটর সাইকেল , গাড়ী ও ট্রাক চালানো শেখা দরকার।
এগুলো খুব কাজে লাগে।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০২১ সকাল ১১:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাহ চমৎকার পাপের গল্প !!
তা আপনি যে জেনারেল হলেন
তার পিছনের কাহিনী কি বলবেন?