নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা,
গাহি তাহাদেরই গান,
তাদেরই ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে
আসে নব উত্থান!”
------ কাজী নজরুল ইসলাম।
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন-
যে শ্রমিক গুলো দিন-রাত কাজ করে- মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আকাশ ছোঁয়া বিল্ডিং বানায়, রাতে এসে সে বস্তিতে ঘুমায়। যে ছেলেটি সারাদিন পথে ঘুরে-ঘুরে জুতো পালিশ করে, সে একজোড়া ভালো জুতো পড়েনি কোনোদিন। যে লোকটা বারো মাস বাড়ি-বাড়ি গিয়ে দুধ বিক্রি করে, সেই'ই সারাটা বছর পুষ্টিহীনতায় ভোগে। যে লোক গুলো বড় বড় মঞ্চ বানায়, তারা কোনোদিন সে মঞ্চে বসার দাওয়াত পায় না।
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন-
গ্রাম বাংলার কৃষক গুলো সারা বছর চাষ-বাস করে, তারা হয় মূর্খ- দরিদ্র-অনাহারি ও অসহায়- আর এই কৃষকদের নিয়ে যারা গল্প, কবিতা উপন্যাস লিখে- তারা হয় সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি। যুগ-যুগ ধরে যে শ্রমিক চা বাগানে কাজ করে, তার ঘরে এক সেট ভালো চায়ের পেয়ালা নেই, কিন্তু একজন মডেল টিভিতে একটা চায়ের বিজ্ঞাপন করে হয়ে যায় তারকা, সেলিব্রেটি।
ধনী লোকেরা জাহাজে করে এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে যায় অবসর যাপন করতে আর পরিবারের সুখের জন্য, জীবিকার সন্ধানে যে লোক গুলো রাতের অন্ধকারে সমুদ্র পাড়ি দেয়- তারা হয় অবৈধ্য অধিবাসী। শ্রমিকেরা সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়- ধনীরা যায় তাদের রঙ মহলে, পেগ এর পর পেগ চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। আজ ১ মে। মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। অথচ আজও অনেকের অফিস করতে হয়েছে। অনেকের কারখানাতে কাজ করতে হয়েছে।
যদিও ধনীরাই চাকুরী সৃস্টি করতে সক্ষম, দরিদ্ররা চাকুরী সৃস্টি করতে পারে না! তবে, একজন ধনী এবং গরীব একটা জায়গায় সবাই সমান হয়, সবার শেষ ঠিকানা- সাড়ে তিন হাত মাটি। আমাদের মতো দরিদ্র দেশে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। শ্রমিকদের এই বানী নিয়েই শান্ত থাকতে হয়। গত ৫০ বছর ধরে একই অবস্থা। এবার করোনার কারনে মিটিং মিছিল হয় নি। মিছিল টিসিল হলে সবাই এক পেকেট করে বিরানী পেতো।
দরিদ্র দেশে কোনো কিছুর সুবিধা পাওয়া যায় না।
সুবিধাটুকু ধনীরা খেয়ে ফেলে। শুধু সরকারি ছুটি আর দেশের দুই প্রধান ব্যাক্তির বানী দিলেই কি শ্রমিক দিবস পালন করা হয়ে যায়? হয়তো একদিন মানুষের সাম্য চিন্তা সফল হবে, ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ শুধু কল্পনায় নয় বাস্তবেও সম্ভব হবে। শ্রমজীবী মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও দীর্ঘশ্বাসের অবসান হবে। মে দিবস অমর হোক।
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ওদেরও জয় হওয়ার দরকার আছে।
ওদের প্রতিষ্ঠানে বহু লোক কাজ করে। দেশে বেকারত্ব কমেছে। মাঝে মাঝে ওরা সরকার সাহায্য করে।
২| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:০৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মুক্তি পেলেন তাহলে!
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: পুরোপুরি মুক্তি পাই নি। অর্ধেক মুক্তি পেয়েছি।
কাউকে মন্তব্য করতে পারছি না।
৩| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:১৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: @রাজীব নুর কি অপরাধে আবারো কারাগারে?
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার দৃষ্টিতে আমি কোনো অপরাধই করি নি।
মুল বিষয়টা এরকম, চিলের পেছনে ছুটেছে। কেউ কানটা ধরে দেখেনি।
৪| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বসুন্ধরার "সরকারী খাস জমি দখল করার বাহিনী"তে চাকুরী পাওয়া যাচ্ছে নাকি?
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারী জমি দখল করা কি চারটেখানি কথা? আমি পারবো? আপনি পারবেন?
তাছাড়া ওদের জমি ছাড়াও আরো অনেক কিছুই আছে। আটা ময়দা, সুজি তেল আরো হাবিজাবি অনেক কিছু। ওদের সীমাহীন টাকা। মন্ত্রি এমপিদের টাকা দরকার হলে- সবাই বসুন্ধরায় যায়। তাছাড়া বসুন্ধরা ঈদের আগে বহু লোককে টাকার বান্ডিল ঈদ উপহার হিসেবে দেয়।
৫| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: মেহনতি মানুষের মধ্যে ঐক্যের বড় প্রয়োজন।বর্তমানে যারা তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে আসছে তাদের বেশির ভাগ টাউট বাটপার,মালিকের দালাল।সত্যি কারের শ্রমিক নেতার বড় অভাব।
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে দক্ষ সৎ শ্রমিক নেতা নেই। তাই শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।
৬| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:২৭
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: শ্রমিকের ঘামে দেশ উন্নত হলেও অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে এখনো শ্রমিকের দুর্দশা ঘোচেনি।
ভাইয়া, আপনাকে পেয়ে খুবই উৎফুল্ল হলাম।
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের শ্রমিক শ্রেনী ভালো নেই। বেকার শ্রেনী ভাল নেই। ভাল আছে শুধু রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনরা।
আমি আছি। থাকবও। আমি আপনার পোষ্ট পড়ছি। কিন্তু মন্তব্য করতে পারছি না। তালা খুলে গেলেই আপনার পোষ্ট খুঁজে মন্তব্য করবো।
৭| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ১২:৩৯
সিগনেচার নসিব বলেছেন: বাংলার কর্পোরেট শ্রমিকদের মে-দিবস বলে কিছু নাই। ভুখা-নাঙা অবস্থায় ঠিকই প্রতিদিন ১০-১২ ঘন্টা করে খেটেই যাচ্ছে। শ্রম আইনের বালাই নাই; অতিরিক্ত কর্মঘন্টার মজুরি, কর্মস্থলের পরিবেশ, সুযোগসুবিধা এসব নিয়ে আমাদের সচেতনতা খুব কম! বেশি সচেতন হলে অনেকের আবার চাকুরি চলে যায়।
০২ রা মে, ২০২১ রাত ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ শুধু চাকরি চায়। চাকরি পেলেই সে খুশি।
৮| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ১:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব কি কেবল তার শিষ্যের লেখাতেই
মন্তব্য করার ক্ষমতা পেয়েছেন? অন্য কোন
লেখায় তার মন্তব্য নাই অথচ তার শিষ্যের
পোস্টে একাধিক মন্তব্য করে যাচ্ছেন!!
০২ রা মে, ২০২১ রাত ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: কমেন্ট ব্যান থেকে আমাকে এবং শ্রদ্ধ্যেয় চাদগাজীকে মুক্তি দেওয়া হোক।
৯| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ১:২০
সিগনেচার নসিব বলেছেন: এমন লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয় তবে বেকারত্বের চেয়ে নিম্নমানের চাকরি মনের উপর এক ধরনের বাজে প্রভাব ফেলে।
একেক জনের ক্যারিয়ার একেকভাবে আগায়। কত মানুষ তো চাকরি না করেও সফল
০২ রা মে, ২০২১ রাত ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: পরিবারের নিয়ে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে হলে চাকরির দরকার আছে। অবশ্য যার বাপ দাদার জমিদারি আছে, তাঁর হিসাব আলাদা। সমস্যা হলো আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই গরীব।
১০| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ৭:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শ্রমিকরা ভালো নেই।
প্রবাসে বাংলাদেশের শ্রমিকরা আছে মহাবিপদে।
তাদের কোন পারিবারিক জীবন নেই।
নিম্নমানের জীবন।
অমানুষের জীবন।
০২ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশে এবং দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহন করলে কষ্টের শেষ নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, আলম ব্রাদার্স, যমুনা গ্রুপ, হাজী সেলিম গ্রুপ, শিকদার ব্রাদার্স, খুলনা পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, আবুল খায়ের ইত্যাদিরা দেশের জন খেটে মরছেন, ওদের জয় হোক।