নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পছন্দের পাচটি মুভি

০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৪



১। মোর দ্যান ব্লু (More than Blue) এটি একটি কোরিয়ান মুভি। অসাধারণ একটি রোমান্টিক ছবি। ছেলে ও মেয়েটি একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু ছেলেটির হাতে বেশী সময় নেই। সে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। তাই সে মেয়েটির কাছে নিজের রোগের কথা ও নিজের ভালোবাসার কথা গোপন রাখে। মেয়েটিকে সে কখনো কষ্ট দিতে চায় না। তাই সে সেই মেয়েটির জন্য একসাথে মিলে খুব ভালো একজন মানুষ খুজতে থাকে। খুজেও পায়। ছেলেটি সবার সামনে খুব খুশি হবার ভান করে যায় সবসময়। কিন্তু মনে তীব্র কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। তারপর আসে মেয়েটির বিয়ের দিন। ছবিটি দেখার পর এক আকশ কষ্ট বুকে এসে জমা হবে।

২। দ্য নোটবুক (The Notebook)
অসম্ভব সুন্দর একটি প্রেমের ছবি। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্ভেজাল প্রেমের ছবি। নিকোলাস স্পার্ক এর একি নামের উপন্যাস অবলম্বনে নিক ক্যাসাভেটাস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। ছবিটি বক্স অফিসে খুব বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করতে না পারলেও নিকটবর্তী সময়ের অন্যতম সেরা রোমান্টিক ফিল্ম হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে সিনেমা প্রেমীদের মাঝে। এই সিনেমার গল্প গড়ে উঠেছে উনবিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকে আমেরিকার দুই উঠতি যুবক-যুবতির প্রেমের কাহিনীকে কেন্দ্র করে। সিনেমার শুরুটা হয় একটি নার্সিং হোম থেকে। নার্সিং হোমে চিকিৎসারত এক বৃদ্ধাকে এক বৃদ্ধা নিজের নোটবুক হতে একটি গল্প শোনায়। এই গল্পের প্রধান চরিত্র চল্লিশের দশকের দুই প্রাণবন্ত যুবক-যুবতি অ্যালি এবং নোয়া। অ্যালি হেমিলটন ধনী পরিবারের সুন্দরী স্কুল পড়ুয়া মেয়ে। সি ব্রুক নামক স্থানে আসে সামারের ছুটি কাটাতে। স্থানীয় মেলায় নোয়ার সাথে পরিচিত হয় অ্যালি। নোয়া স্থানীয় ছেলে এবং স্থানীয় একটা কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করে।

৩। লাইফ অফ পাই (Life of Pi)
ছবির কাহিনী এই রকম- চার দিকে শুধু নীল জল। ওপরে নীল আকাশ। প্রশান্ত মহাসাগরে এ ভাবেই ২২৭ দিন ধরে লাইফবোটে ভেসে চলেছে পাই আর রিচার্ড পার্কার। রিচার্ড পার্কার কোনও মানুষ নয়, ৪৫০ পাউন্ড ওজনের হিংস্র এক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। পুদুচেরি বোটানিকাল গার্ডেনে পাইয়ের বাবার একটি চিড়িয়াখানা ছিল। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে চিড়িয়াখানার প্রাণী গুলিকে আমেরিকায় এক সার্কাস কোম্পানিকে বিক্রি করে কানাডার অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবেন পাইয়ের মা-বাবা। জাহাজে বাঘ, ওরাংওটাং, জেব্রা সকলকে তোলা হয়। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে জাহাজ ডুবি। পাইয়ের মা-বাবা-দাদা সকলের সলিল সমাধি। লাইফবোটে পাইয়ের সঙ্গে একটি জেব্রা, ওরাংওটাং ও হায়না চলে আসে। কয়েক দিন পরে দেখা যায়, বোটের নীচে বসে আছে রিচার্ড পার্কার। অন্য জন্তুদের সে খেয়ে ফেলে। শুধু বেঁচে থাকে পাই। বাঘ মাঝে মাঝে আক্রমণ করতে চায়, কিন্তু কিশোর পাই বুদ্ধি করে তাকে পানীয় জল দেয়, সমুদ্রের মাছ ধরে খাওয়ায়। দুই ঘন্টা সাত মিনিটের মুভি টা দেখে অনেক আনন্দ পাবেন।

৪। দ্যা গড মাস্ট বি ক্রেজি (The God Must Be Crazy)
ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে যে এত সুন্দর মুভি বানানো যায় তা এই মুভিটা দেখার আগ পর্যন্ত জানতাম না। কালাহারি মরুভুমির ছোট্ট একটা জংলি জাতি যারা পানির জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে আসছে কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো সংঘাত, কলহ নাই। অপরাধ বা অপরাধী বলে কোনো কিছু তাদের ভাষায় নাই। খুব শান্তিতেই কাটতো তাদের দিন। একদিন একটি প্লেন তাদের উপর দিয়ে যাচ্ছিলো। প্লেনের পাইলট কোক খেয়ে জানালা দিয়ে বোতল ফেলে দিল। তারা মনে করল ঈশ্বর তাদের জন্য এটা পাঠিয়েছে। এই বোতল তাদের দেখা সব থেকে শক্ত বস্তু। এটার বহুব্রিধ ব্যাবহার যখন শুরু হলো তখন এটা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়ে গেলো ঝগড়া। তারা সিদ্ধান্ত নেয় বোতলটিকে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে ফেলে আসবে। এখান থেকে মূলত মুভিটির কাহিনি শুরু। এরপর মজার মজার কাহিনি নিয়ে মুভিটি চলতে থাকে। এক কথায় অসাধারণ একটা মুভি।

৫। ইনসেনডিস (Incendies)
আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে এই মুভি দেখার পর ‘ও মাই গড! এ কি দেখলাম?’ বলা ছাড়া আর কিছু ভাষা থাকবে না। মুভিটির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনি একটি দো-টানা এর মধ্যে থাকবেন যে কি হচ্ছে? আর শেষ হলে ত আপনি নির্বাক।
মা নাওয়াল মারওয়ান এর মৃত্যুর পর তার জমজ ছেলে-মেয়ে সিমন আর জেনার কাছে মায়ের শেষ ইচ্ছা উপস্থাপন করা হয়। মায়ের ইচ্ছা তার ছেলে-মেয়েরা যেন তাদের বাবা আর ভাইকে খুঁজে বের করে। মায়ের লেখা দুটি চিঠিও তাদের হাতে দেয়া হয় যেটা তাদের বাবা আর ভাইয়ের কাছে পৌছে দিতে হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

প্রতিদিন এত ছবি দেখা কি ভালো?
নামাজ রোজা পালন করে মুভি দেখা
ঠিক নয়। এ সময় আল্লাহর জিকির
করুন, ইস্তেগফার করুন।

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রতিদিন কমপক্ষে ২ টা মুভি দেখি।
নামাজ রোজা আসলে করা হয় না। তবে আমি সেহেরি এবং ইফতারী খুব মন দিয়ে সকলের সাথে করি।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

ইনদোজ বলেছেন: রমজান মাসে মুভি দেখা মানে অযথা সময় নষ্ট করা। তাই চেষ্টা করুন মুভি না দেখে নামাজ কালাম পড়তে - যত বেশি সম্ভব নেক আমল করতে। আল্লাহ আপনাকে আরো বেশি ইবাদাত করার তৌফিক দিন। আমীন!

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন।
আসলে কেন জানি নামাজ রোজা করা হয় না।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১:০৭

নজসু বলেছেন:



লাইফ অফ পাই কতোবার দেখেছি ঠিক নাই।
আমার প্রিয় মুভি।

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও অনেকবার দেখেছি।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ২:২৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: ৫ টার মাঝে ৩ টা দেখা। বাকীগুলি দেখে নেবো।

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মনে করি ভালো মুভু গুলো সকলের দেখা দরকার। তেমনি ভালো বই গুলোও পড়া দরকার।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: নামাজ রোজা আসলে করা হয় না। তবে আমি সেহেরি এবং ইফতারী খুব মন দিয়ে সকলের সাথে করি।

রোজা না রেখে গুনাহ করেছেন, তাই বলে ইফতার সেহেরি
না খেয়ে গুনাহ করা ঠিক হবেনা।

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে--
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: ছবি দেখুন আর আনন্দে থাকুন।প্রথম কমেন্ট আমি করেছিলা,তবে নাই হয়ে গেল কেন বোঝতে পারছিনা।প্রকাশ না করেই হয়তো

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য লিখেছিলেন কিন্তু ক্লিক করতে ভুলে গেছেন।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


রমজান মাসে কোন সিনেমা নয়।
প্রচুর ইবাদত করুন।
পাক কোরান মজিদ তেলাওয়াত করুন।
প্রচুর পরিমাণে জিকির করুন।
আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা আপনাকে নেক হেদায়েত দান করুন।

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আর কমেন্ট ব্যান খাই।
প্রথম পাতা থেকে ব্যান খাই।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:৫০

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: লাইফ অফ পাই অনেকবার দেখেছি। প্রচন্ড হতাশায় এন্টি ডিপ্রেসেন্টের মতো কাজ করে।

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই মুভিটা আমিও অনেক বার দেখেছি।

৯| ০৫ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:৫৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:রমজান মাসে কোন সিনেমা নয় বাজে -নাটক বা ছবি দেখা তো সবসময়ের জন্যই নিষিদ্ধ।
এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন বা মাস নাই।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই নিয়ম হলো শুধু ধার্মিকদের জন্য।
আমি ধার্মিক নই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.