নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

উড়াল দিবো আকাশে

০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

ছবিঃ আমার তোলা।

সংসার হলো তলা ছাড়া বাক্স।
তলা ছাড়া বাক্স কখনও ভরে না। বাক্স ভরবে কি, বাক্সের তো তলাই নেই। ঠিক তেমনি সংসার হলো তলা ছাড়া বাক্স। একটা সংসারে যে কত কিছু লাগে, তাঁর ইয়ত্তা নেই! আজ এটা লাগে তো কাল অন্যটা লাগে। সারা মাস, সারা বছর একটা সংসারে যে কত কিছুর প্রয়োজন হয়। কত কিছুর দরকার হয়। এই আমার কথাই ধরি, আজ ডিম শেষ, ডিম আনি। কাল চাল শেষ, চাল আনি। মাছ শেষ, মাংস শেষ। তেল শেষ। দরজার লক টা নষ্ট হয়ে গেছে। বেসিনের কল টা বদলাতে হবে। গ্যাসের চুলার চাবিটা নষ্ট হয়ে গেছে। ফ্যানের রেগুলেটারটা ঠিক করে কাজ করছে না। বাথরুমের বাল্বটা নষ্ট হয়ে গেছে। আলমারিটা বার্নিশ করা দরকার। দেয়ালটা ময়লা হয়ে গেছে, রঙ করাতে হবে। সারা বছর এইসব লেগেই আছে।

প্রতিদিন একটি করে পাউরুটি কিনি।
৪৫ টাকা দাম। এই রমজানে পাঁচ টাকা বেড়েছে। এখন ৫০ টাকা। মিল্কভিটা আধা কেজি ৩৫ টাকা ছিলো। এখন চল্লিশ টাকা। মিল্কভিটা তো সরকারী প্রতিষ্ঠান এটার দাম বাড়লো কেন? এক ডজন ডিম ১০০ টাকা। কলা আগে ছিলো চল্লিশ টাকা ডজন, এখন ৯০ টাকা। সব কিছুর দাম বেড়েছে। এমন কি সকল মিস্ত্রীদের টাকাও বেড়েছে। কেউ এখন ৫/৭ শ' টাকায় কাজ করতে চায় না। এক হাজার টাকা লাগে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এজন্যই? সরকার চুপ করে আছে। কোম্পানী তাদের ইচ্ছা মতো দাম বাড়াচ্ছে। কেউ কিচ্ছু বলছে না। গরুর মাংস কেন ৬ শ' টাকা কেজি হবে? বর্ডারে একটা গরু বিক্রি হয় ১০ হাজার টাকায়। শেখ হাসিনার আমলে দেশ সঠিক ভাবে চলছে না। অরাজকতা চর্বত্র। ভালো করে তাকিয়ে দেখুন।

এই শহর, শহরের মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে।
কারো মধ্যে মানবতা নেই। সবাই ভন্ড। বিশ্বাস করুন, যে যার জায়গা থেকে ভন্ড। হ্যাঁ সবাই। কেউ কেউ ভালোর মুখোশ পড়ে থাকে। তাদের ভালো ভাবার কোনো কারন নেই। মুখোশ পরা লোকজন আরো বেশী ভন্ড। এই শহরে মানুষের কর্মকান্ড দেখে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলো, তা হঠাত বন্ধ হয়ে গেলো। কোনো দূর্নীতিবাজদের ধরা হলো না। সমাজে নব্য ধনীদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছে না, তোমরা কিভাবে ধনী হলে? কিছু লোকজন পাগলের মতো এই করোনার মধ্যেও গাড়ি, জমি, ফ্লাট আর বাগান বাড়ি কিনছে, কিনেই চলেছে। তাদের কেউ জিজ্ঞেস করছে, তোমরা টাকা পাচ্ছো কোথায়? ঢাকা শহর এখন হয়ে গেছে বাইক এর শহর। চ্যাংড়া পোলাপান বাইক চালায়। এই বাইক কেনার টাকা তারা কোথায় পাচ্ছে?

ভারসাম্য ঠিক নেই।
না মানুষের, না সমাজের। না ফেসবুকের, না ব্লগের। আজকাল মানুষ কান কথা বেশী শুনে। নিজের চোখে দেখে না। জাস্টিফাই করে না। অমুকে খারাপ, সাথে সাথে সিদ্ধান্ত। অথচ অমুকে খারাপটা কি করলে তা হাতানোর দরকার মনে করে না। চারজন বলেছে, তাঁর মানে সে আসলেই খারাপ। আরেহ সেই চারজন তো ভালো মানুষ না। দুষ্টলোক। দুষ্টলোকের কথায় কান দিতে হয় না। ঘাপটি মেরে থাকা দুষ্টলোক থেকে সাবধান থাকা দরকার। আমাদের দেশের আসল সমস্যা হলো- আমাদের দেশের কেউ নিরপেক্ষ না। আমাদের নিরপেক্ষ একটা টিভি চ্যানেল নেই, দৈনিক পত্রিকা নেই, নিরপেক্ষ ব্লগ নেই, এমনকি নিরপেক্ষ ব্লগারও নেই। আমি ভাই এই দুষ্টলোকে ভরা দেশে থাকব না। ইউরোপের কোনো দেশে চলে যাবো। সমুদ্রের পাড়ে ছোট্র একটা বাড়ি থাকবে আমার।

দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর।
অথচ সব মন্ত্রী, এমপি এমনকি প্রধানমন্ত্রী- সব একই রকম। এক দলের সাথে আরেক দলের কোনো পার্থক্য নাই। বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি সব একই পথের পথিক। তাদের সব কর্মকান্ড একই রকম। নিজের আখের খোছানো, বিদেশে বাড়ি করা, সম্পদের পাহাড় বানানো। দিন শেষে রাজনীতিবিদরা সব একই রকমের হয়। ক্ষমতাবানদের মধ্যে কেউ সৎ নেই। ভাল মানুষ নেই। দক্ষ ও পরিশ্রমী নেই। আওয়ামীলীগ-বিএনপির যে'ই ক্ষমতায় এসেছে মন ভরে দূর্নীতি করেছে। সব রাজনীতিবিদ আর তাদের ছত্রছায়ায় থাকা সব শালাই দূর্নীতিবাজ। অথচ তাদের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া যেমন চুপ থেকেছে, হাসিনাও চুপ। দুদক তো প্রতিবন্ধী টাইপ প্রতিষ্ঠান। অনেক টিভি চ্যানেল, পত্রিকা এবং অফিস দূর্নীতির টাকায় হয়েছে কালো টাকা সাদা করার জন্য।

আমার খুব দুঃখ হয়।
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও মানুষ রাস্তায় ঘুমাতো, আজও ঘুমায়। সরকারী হাসপাতালে পঞ্চাশ বছর আগেও দালাল ছিলো, আজও আছে। তখনও হাসপাতালে সিট পাওয়া যেত না, আজও পাওয়া যায় না। শিক্ষিত-অশিক্ষিত লোকজন পঞ্চাশ বছর আগেও বেকার ছিলো, আজও বেকার আছে। পঞ্চাশ বছর আগেও সরকার দূর্নীতি করতো, এখনও করে। পঞ্চাশ বছর আগেও সরকারী লোকজন ঘুষ খেতো আজও খায়। পঞ্চাশ বছর আগেও ঠগ, প্রতারক, ভন্ড-বদমাশ ছিলো আজও আছে। পঞ্চাশ বছর আগেও দরিদ্ররা অবহেলিত, আজও দরিদ্ররা অবহেলিত। পঞ্চাশ বছর আগেও নেশা দ্রব্য বিক্রি হতো, লোকজন নেশা করতো- আজও করে। তাহলে দেশের উন্নয়টা হলো কোথায়? কিভাবে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে? পদ্মা সেতু আর মেট্রোরেক দিয়ে?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই সব বলে কোনো ফায়দা নাই।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: তবুও বলতে হবে।

২| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

জটিল ভাই বলেছেন: এসব নিয়ে আরো পঞ্চাশ বছর পর ভাববো.......

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: এখন ভাবলে সমস্যা কি?

৩| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি একটি গ্রোসারী করেন, সুলভ মুল্যে খাঁটি খাবার দিতে পারলে, আপনি ভালো করবেন।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: পুঁজি নাই।

৪| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ৮:১২

ইসিয়াক বলেছেন: একটা অন লাইন গ্রোসারি সপ দিতে পারেন। সততা নিয়ে করলে ভালো ব্যবসা। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে আগে।


#আমারা গরুর মাংস কিনলে গ্রামের দিকে যোগাযোগ করি,কয়েকজন মিলে একটা গরু কিনে কসাই দিয়ে সাইজ করে ভাগ করে নেই। ডিপ ফ্রীজে রেখে অনেকদিন খাওয়া চলে।অপরদিকে ভালো ও নিরাপদ মাংস পাওয়া যায়। দামেও সাশ্রয়ী হয়। গতবার ৪৫০ /= টাকা কেজি পড়েছিল গড়ে।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: অনলাইন ব্যবসা মানে ভন্ডামি।
আমি ভন্ডামি করতে পারবো না। আমি একজন সৎ মানুষ।

গরুর মাংস আমার খুব পছন্দ।

৫| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: দিন যত যাবে আইটেম তত বাড়বে,এর থেকে নিস্তার নাই।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: নিস্তার আছে।
বুদ্ধি থাকলে তেল কিনে সালার বস্তার ভরা যায়।

৬| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩৬

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: পঞ্চাশ বছর আগে ছিলাম না, আর পঞ্চাশ বছর পরে থাকব কিনা জানিনা তবে উন্নয়নের মহাসড়কে ছিদ্র আজীবন থাকবে।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছিদ্র বন্ধ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.