নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ফিলিস্তিনের কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামাস। মি. হামাস একজন খ্রিষ্টান, তারই দল 'হামাস'; তাঁরা তাঁদের নিজস্ব ভূমি রক্ষায় এই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন! ইসরাইল হতে পারে তথ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা দীক্ষা, বিজ্ঞান ও সমরাস্ত্রে ঈর্ষণীয় সফল একটি দেশ। কিন্তু যে দেশের ভিত্তি হচ্ছে মিথ্যা, প্রতারণা আর উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, সে দেশ কখনোই নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করতে পারে না।
প্রতিরোধ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি! ঈসরাইলের বিশ্বসেরা সৈন্যদের বিপক্ষে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা পাথর, বড়জোর খেলনা টাইপের রকেট ছুঁড়ছে এর অর্থ নিজের সামর্থ্য দিয় প্রতিরোধ করা। যারা পাথর মারে তারা পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। তাদের কোন অস্ত্র রাখার নিয়ম নেই। ফাতাহ বা পি এল ও ইসরায়েলের সাথে যৌথ সরকার পরিচালনা করে। এমনকি পশ্চিম তীরের পুলিশরা ইসরায়েলের অধীন। জেরুজালেম পশ্চিম তীরে অবস্থিত। গাজাতে ইসরায়েলের মোড়ল গিরি চলে না। গাজার কেউ পাঁথরও ছুঁড়ে না। অস্ত্রের জবাব অস্ত্র দিয়ে দেয়। এটা সম্পূর্ণ হামাস সরকারের অধীন।
সুপার পাওয়ার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলবে, এমন শক্তি বর্তমানে কারো নাই? ইসরায়েলের এই বর্বরতা খুবই বেদনাদায়ক ও দু:খজনক। অতীতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অনেক ভুমি দখল করে নিয়েছে কয়েকটি যুদ্ধে। তারাবীহর নামাজ পড়া অবস্থায় ইসরাইলী সৈন্যরা মসজিদে অতর্কিত আক্রমন করেছে। প্যালেষ্টাইনের একজন লোকও বলছে না, সাধারণ মানুষের উপর রকেট কেন ছাড়ছে হামাস! ঈদের প্রাক্কালে কতগুলো প্রাণ কেড়ে নেয়া হলো! কত মানুষ খুন করা হলো!
ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিদের এই দীর্ঘ সংঘাতের পেছনের ইতিহাস আসলে কী? প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের পরাজয়ের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ইহুদীরা এই অঞ্চলকে তাদের পূর্বপুরুষদের দেশ বলে দাবি করে। কিন্তু আরবরাও দাবি করে এই ভূমি তাদের এবং ইহুদীদের জন্য সেখানে রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টার তারা বিরোধিতা করে। উনিশশো সাতচল্লিশ সালে জাতিসংঘে এক ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই টুকরো করে দুটি পৃথক ইহুদী এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হলো।
দু'পক্ষের মধ্যে যেহেতু কখনোই কোন শান্তি চুক্তি হয়নি, তাই উভয় পক্ষই অপর পক্ষকে দোষারোপ করতে থাকে। দুই পক্ষের মধ্যে পরের দশকগুলোতে এরপর আরও বহু যুদ্ধ হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে ইসরায়েল এসব দখলীকৃত জায়গায় ইহুদী বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে। ছয় লাখের বেশি ইহুদী এখন এসব এলাকায় থাকে। মালোশিয়ার মাহাথির মোহাম্মাদ বলেছেন, 'পৃথিবীর সকল সন্ত্রাসের মূলেই হচ্ছে ইসরাইল'। তুরস্ক তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কিছু করার। তুরস্কের সরকার, জনগণ, বিরোধীদল, সেনাবাহিনী, সবাই এক কাতেরে।
উভয়পক্ষকে আলোচনার টেবিলে এসে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও এর সমাধান সম্ভব, কিন্তু দুপক্ষই তাদের নিজ নিজ স্বার্থে অটল। কেউ ছাড় দেবার মানসিকতায় নেই। ইজরায়েলের ভয়াল নিষ্ঠুর হাত থেকে মুক্ত হোক ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনি মজলুমদের প্রতি আমার প্রার্থনা ও সহানুভূতি রহিল, তাদের আল্লায় সহায় হোক।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: এক ভূখণ্ডে দুই দেশ থাকতে পারে না। একজন ছাড় দিতেই হবে।
২| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২৩
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ৩। কোন বিশেষ গোত্রের (ইব্রাহীমের পুত্র) জন্য এটা ওয়াদা করা হয়েছে, এটা ধরলেও বতর্মান ইহুদীরা যে সত্যিকারে ইব্রাহীম বা ইয়াকুবের পুত্র তারও প্রমাণের কোন উপায় নেই। কারণ ইব্রাহীম (আঃ) দুনিয়াতে এসেছিলেন ৬০০০ বছর পূর্বে। তাছাড়া ইতিহাস থেকে প্রমাণিত যে ইসরাইলে বর্তমানে যেসব ইহহুদীরা বসবাস করছে, তাদের অধিকাংশই কাম্পিয়ান এবং কৃষ্ণসাগরের মধ্যবর্তী ককেশাস এলাকা থেকে এসেছে। তাদের ৯০ ভাগ নবম ও দশম শতাব্দীতে আব্বাসীয় খেলাফত এবং খ্রীষ্টানদের দ্বিমুখী চাপের মধ্যে মাঝামাঝি ধর্ম হিসাবে ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করে।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: দুই দেশের সমস্যা আসলে ধর্মের কারনে।
৩| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে সারা ইউরোপে জাতীয়তাবাদী চেতনা মারাত্মক রূপ লাভ করে। এ জাতীয়তাবাদী ঢেউ ইহুদীদেরকেও নাড়া দেয় এবং তারা তাদের নিজস্ব এবং আলাদা ভূখন্ড সৃষ্টির দাবীতে সোচ্চার হয়ে ওঠে। অন্যদিকে ইহুদীবিরোধী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনও ইহুদীদেরকে ইউরোপ থেকে বহিষ্কারের ব্যাপারে সরকারকে বাধ্য করে। ফলে ইহুদীদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের পথ সুগম করতে অনেক ইউরোপীয় সরকার বাধ্য হয়।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জঘন্য ভূমিকা রেখেছে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তি। ওসমানীয়া খেলাফতের সাথে ক্রমাগত যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে ব্রিটিশ শক্তি মুসলমানদেরকে সারা জীবনের মত পরাস্ত করার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়। আর এ নিয়ে ব্রিটেনে অনুঠিত হয় দুই বছর ব্যাপী (১৯০৫-১৯০৭) কনফারেন্স। এই কনফারেন্সে মুসলিম বিশ্বকে চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গু করার জন্য কতকগুলো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিলোঃ সুয়েজখাল ও ভূমধ্যসাগরের পূর্বতীরে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের হৃদপিন্ডে (অর্থাৎ ফিলিস্তিনে) এমন এক জাতিকে পুনবার্সন করা যারা হবে মুসলমানদের চরমশক্র।
কনফারেন্সের এই সুপারিশ অনুসারে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বালফোর জায়োনিষ্ট আন্দোলনের নেতা রথ চাইল্ডকে চিঠি লিখেন, চিঠিতে বলা হয়ঃ ফিলিস্তিনে ইহুদী জাতির জন্য একটা জাতীয় বাসস্থান প্রতিষ্ঠান ব্যাপারে ব্রিটেন সবার্ত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর এ ঘোষণা দেয়া হয় এবং একই বছরের ডিসেম্বরে ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনের অর্ধাংশ দখল করে। ১৯১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তারা পুরো ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। এরপর থেকে সেখানে শুরু হয় ইহুদী পুনর্বাসন। চীন থেকেও ইহুদীরা ফিলিস্তিনে পুনবার্সিত হয়। এ প্রক্রিয়া ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে পুরোদমে চলতে থাকে এবং ১৯৪৮ সালে ইহুদী আগন্তুকদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজারে। ব্রিটিশরা ইহুদীদের জন্য অথর্নৈতিক এবং রাজর্নৈতিক কাঠামো নির্মাণ এবং নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাও তৈরি করে দেয়।
মাঝখানে অবশ্য জায়োনিষ্ট টেরোরিস্টরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনের অনেককেই হত্যা করেছে।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: শেষমেশ পুর দেশ ইসরায়েল ই দখল করবে। মাঝ দিয়ে কিছু মানুষ প্রান হারাবে।
৪| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ভারতে ধর্ম নিয়ে কোনো বিরোধ ছিলো না। ব্রিটিশরা ধর্মিও চেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে ভারতে সাম্প্রদায়িক বিষ ঢুকিয়েছে। যেই আলি জিন্নাহ কে আমরা দ্বিজাতিতত্ত্বের জনক হিসেবে জানি সেই আলি জিন্নাকেই যে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের রূপকার বলা হয় সেটা কয়জন জানে?
যাইহোক সেটা অন্য প্রসঙ্গ, কথা হচ্ছে এই চোর, ডাকাত এবং লুটপাট কারী বিট্রিশরা যাওযার আগে সব জায়গাতেই ঝামেলা পাকিয়ে রাখছে, ভারত উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিম এব্য কাশ্মীর। আর আরবদের মধ্যে জায়োনিস্ট। তাদেরকে দেখতে যতই ভদ্র মনে হোক না কেন, আদোতে এরা ফ্রড ছাড়া আর কিছুই নয়।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের কারনে আমাদের দেশ টা ভাগ হয়ে গেল। ধর্ম শুধু কেড়ে নেয়।
৫| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৮
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: কিন্তু ছাড় যে কিভাবে দেবে সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না। কারণ ফিলিস্তিনিদের জমি দখল হতে হতে এমন অবস্থায় যে পৌঁছেছে যে গুগল ম্যাপ এ এখন ফিলিস্তিন নামে কোনো অঞ্চল আর খুঁজে পাওয়া যায়না। গাজা উপত্যকা আর পশ্চিম তীর এর সামান্য কিছু অংশ এখনো ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আর ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন একদম বিলীন হয়ে যাবে।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: শেষমেষ ইসরায়েল দেশ দখল করবে। মাঝ দিয়ে মানুষ মরবে কিছু।
৬| ১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:২৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ধর্মের কারণে, দেশ ভাগ হইছে কিন্তু ধর্ম নিয়ে তো আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল না! এই দ্বন্দ্ব কে ঢুকিয়েছে? হ্যা আমি সেই ব্রিটিশ চোর বাটপারদের কথাই বলছি। যারা আমাদের মধ্যে ধর্মিও বিষ ঢুকিয়েছে তাদের পরিচয় জানতে হবে, এটা ধর্মিও বিদ্বেষ হতে বেরিয়ে আসার একটা উপাদন।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: সোজাসাপ্টা কথা শুনুন- ধর্ম হলো আফিম। আফিমের নেশায় আজ ধর্মীয় দেশ গুলোর এই অবস্থা। দুবাই আজ এত উন্নত কেন? কারন তারা ধর্মটাকে একপাশে সরিয়ে রাখতে পেরেছে।
৭| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
একমত নই। সমস্যা হচ্ছে মূর্খতা। মূর্খতার কারণেই কিছু মানুষ ধর্মকে অপব্যবহার করছে। ধর্মের বাহিরে কেউ নয়, এমনকি নাস্তিকও।
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: আমরা এক কিতাবেই সকল সমস্যার সমাধান খুঁজি ।না বোঝেই সকাল বিকাল পড়ি।
৮| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
একমত নই। সমস্যা হচ্ছে মূর্খতা। মূর্খতার কারণেই কিছু মানুষ ধর্মকে অপব্যবহার করছে। ধর্মের বাহিরে কেউ নয়, এমনকি নাস্তিকও।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:১৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ইহুদীরা নিজেদেরকে খোদার ‘পছন্দের একমাত্র বান্দা’ (Chosen people of God) মনে করে এবং এ কারণেই কেউ ধর্মান্তরিত হয়ে ইহুদী হতে চাইলেও ইহুদীরা তাকে গ্রহণ করেনা। আল্লাহপাক বানি ইসরাইলকে এক সময় বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন; কিন্তু তারা তা ধরে রাখতে পারেনি। কারণ পবিত্র কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের অধিকাংশ ইতিহাসই পাপাচার, হত্যা, লুণ্ঠন, ব্যভিচার, হঠকারিতা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, মিথ্যাচার, শিরক প্রভৃতিতে পরিপূর্ণ। এসবের ফলে তারা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা থেকে স্খলিত হয়ে আল্লাহ কর্তৃক “অভিশপ্ত জাতি” হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তাদের কীর্তিকলাপ এবং অভিশপ্ত হওয়ার কারণে তারা রাষ্ট্রহারা হয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। যুগে যুগে তারা চরম শাস্তিরও সম্মুখীন হয়েছে। ফেরাউন, রোমান, এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার কর্তৃক তারা পাইকারিহারে হত্যার শিকার হয়। মনে করা হয়, আল্লাহর অভিশাপের ফলশ্রুতি হিসাবে তারা কখনোই স্থায়ী কোন নিরাপদ বাসস্থানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
ইহুদীরা তাদের কিছু ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দাবীর প্রেক্ষিতে ইসরাইলী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জায়োনিষ্ট আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটিয়েছে। তাদের ধর্মীয় দাবী হলো তাওরাতের ভাষ্য অনুযায়ী ইব্রাহীমকে বলা হয় ফিলিস্তিন যেতে। তিনি ফিলিস্তিনে পৌঁছার পর খোদা তাকে বলেন, “ইব্রাহীম দাঁড়াও, তোমার ভুখন্ড হলো নীল ও ইউফ্রেটিস নদীর মাঝখানে”। তাওরাতের এ বর্ণনা অনুসারে ইহুদীরা মনে করে ফিলিস্তিন ভুখন্ড হল খোদার পক্ষ থেকে তাদেরকে দান করা ভুখন্ড (Promised land)। কিন্তু তাদের এ ধর্মীয় দাবীর ব্যাপারে যেসব প্রশ্ন আছে তা হলোঃ
১। তাওরাত বর্তমানে অবিকৃত অবস্থায় নেই, কাজেই তাওরাতে যেসব কথা বলা আছে সেগুলোর সবগুলোই যে সত্যিকারে খোদার বাণী তার কোন স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণ নেই।
২। আসল ব্যাপার হলো এ ভূখন্ডকে কোন গোত্রের জন্য ওয়াদা করা হয়নি বরং সূরা আল বাকারা থেকে প্রমাণিত হয় যে, এটা সত্যিকার বিশ্বাসী বা ইমানদারদের জন্য আল্লাহপাক ওয়াদা করেছেন। কাজেই সত্যিকার ইমানের দাবী নিয়ে ইহুদীরা কখনোই এ ভূখন্ড পাওয়ার যোগ্য নয়।
৩। কোন বিশেষ গোত্রের (ইইয়াকুব পুত্র) জন্য এটা ওয়াদা করা হয়েছে, এটা ধরলেও বতর্মান ইহুদীরা যে সত্যিকারে ইয়াকুবের পুত্র তারও প্রমাণের কোন উপায় নেই। কারণ ইব্রাহীম (আঃ) দুনিয়াতে এসেছিলেন ৬০০০ বছর পূর্বে। তাছাড়া ইতিহাস থেকে প্রমাণিত যে ইসরাইলে বর্তমানে যেসব ইহহুদীরা বসবাস করছে, তাদের অধিকাংশই কাম্পিয়ান এবং কৃষ্ণসাগরের মধ্যবর্তী ককেশাস এলাকা থেকে এসেছে। তাদের ৯০ ভাগ নবম ও দশম শতাব্দীতে আব্বাসীয় খেলাফত এবং খ্রীষ্টানদের দ্বিমুখী চাপের মধ্যে মাঝামাঝি ধর্ম হিসাবে ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করে।