নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেঙ্গিস খান

১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৪



১৯৯৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর আমেরিকার নেতৃস্হানীয় সংবাদপত্র 'ওয়াশিংটন পোস্ট' এবং টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল সিএনএন গত এক হাজার বছরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসাবে চেঙ্গিস খানকে 'ম্যান অব দ্য মিলেনিয়াম' হিসাবে নির্বাচিত করে। আধুনিক ইতিহাসবিদরা মনে করেন তার দোষ ত্রুটির তুলনায় সাফল্যের পরিমাণ অনেক অনেক বেশী ছিলো। চেঙ্গীস খান ছিলেন পৃথিবীর সর্বকালের সর্ব্বৃহত অবিচ্ছিন্ন সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই যে চেঙ্গীস খান বহু নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছেন তবে সেই সব নৃশংসতা ক্রুসেডারদের তুলনায় খুব বেশী কিছু যে ছিলো তা মনে হয় বলা যাবেনা। তবে তার জীবনের ঘটনাবলী নির্মোহ ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, তিনি খুব সহজেই আধুনিক নৈতিকতার মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয়ে পরিচিতি পেতে পারেন একজন মহান মানুষ হিসাবে।

একবার তার শাসনের আওতায় যারা এসেছে তারা অন্য যে কোন স্থানের তুলনায় অনেক বেশী নিরাপদ, প্রগতিশীল, এবং স্বাধীন ছিলো। পৃথিবীর অন্যতম দূরদর্শী নেতা হিসাবে চেঙ্গীস তার শাসনামলে একটি দেশ, একটি ভাষা, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা, পোস্ট অফিস/পোনি সার্ভিস, লিখিত আইন ব্যবস্থা, টোল রোডের নেটওয়ার্ক সহ অন্যান্য আরও অনেক নতুন জিনিষের গোড়াপত্তন কিংবা প্রচলন শুরু করেন। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লুটেরা ছিলেন এই তেমুজিন বা চেঙ্গিস খান।

চেঙ্গিজ খান প্রধান মঙ্গোল রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা বা মহান খান, ইতিহাসেও তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল তেমুজিন। এক সাধারণ গোত্রপতি থেকে নিজ নেতৃত্ব গুণে বিশাল সেনাবাহিনী তৈরি করেন। যদিও বিশ্বের কিছু অঞ্চলে চেঙ্গিজ খান অতি নির্মম ও রক্তপিপাসু বিজেতা হিসেবে চিহ্নিত। তাকে মঙ্গোল জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। একজন খান হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে চেঙ্গিজ পূর্ব ও কেন্দ্রীয় এশিয়ার অনেক গুলো যাযাবর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সাধারণ সামাজিক পরিচয়ের অধীনে একত্রিত করেন। এই সামাজিক পরিচয়টি ছিল মঙ্গোল।

১১৫০ থেকে ১১৬০ সনের মধ্যে কোন এক সময়ে চেঙ্গিজ খান জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল কাটান ঘোড়া চালনা শিখে। মাত্র ছয় বছর বয়সে নিজ গোত্রের সাথে শিকার অভিযানে যোগ দেয়ার অনুমতি পান। নয় বছর বয়সে তার বাবাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয় এবং তাদের পুরো পরিবারকে ঘরছাড়া করা হয়। মা'র কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষায় তিনি পরিবারের কর্তার ভূমিকা পালন শুরু করেন। অন্যকে রক্ষা করার বিদ্যা তখনই তার রপ্ত হয় যা পরবর্তীতে কাজে লেগেছিল। ৪০- ৫০ বছর বয়সের সময় তিনি মঙ্গোল জাতির পত্তন ঘটানোর পর বিশ্বজয়ে বের হন। প্রথমেই জিন রাজবংশকে পরাজিত করেন। চীন থেকেই তিনি যুদ্ধবিদ্যা কূটনীতির মৌলিক কিছু শিক্ষা লাভ করেন। পালাক্রমে দখল করেন পশ্চিম জিয়া, উত্তর চীনের জিন রাজবংশ, পারস্যের খোয়ারিজমীয় সম্রাজ্য এবং ইউরেশিয়ার কিছু অংশ । চেঙ্গিজ খান ১২২৭ সালে মারা যাওয়ার পর তার পুত্র ও পৌত্রগণ প্রায় ১৫০ বছর ধরে মঙ্গোল সম্রাজ্যে রাজত্ব করেছিল।

১২০৬ সালে তেমুজিন যখন সমগ্র মঙ্গোলিয়ার খান নির্বাচিত হন তখন নতুন নাম নেন চেঙ্গিস খান। চেঙ্গিস নামের অর্থ হলো universal ruler বা সারা বিশ্বের শাসক। চেঙ্গিস খানের যখন ৯ বছর বয়স তখন তার বাবা ইয়েসুগেই কেরাইট গোত্রের বোরটের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেন। বোরটে ছিলো চেঙ্গিসের চেয়ে বয়সে ১ বছরের বড়। মঙ্গোল রীতি অনুযায়ী বিয়েটা ছেলে-মেয়ে সাবালক হওয়ার পরেই হত। বিয়ে ঠিক হওয়ার কিছুদিন পর পুরোনো এক তাতার শত্রু ইয়েসুগুইকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে। নিজ গোত্রের কিছু কুচক্রী লোক বালক চেঙ্গিসের নেতৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করে দলবল সহ মা, ভাই বোন সহ চেঙ্গিসকে গোত্র থেকে বের কর দেয়। এর পরের সাত বছর চেঙ্গিস খানের জীবন ছিলো এক ভয়াবহ কঠিন সংগ্রামের জীবন।

চেঙ্গিস খান ছিলেন আপাদ মস্তক একজন ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ।
আজীবন তার নিজের ধর্ম শামানে বিশ্বাসী ছিলেন। শামানরা আকাশ দেবতায় বিশ্বাসী ছিলো। যেকোন বিষয়ে দক্ষ, পারদর্শী, জ্ঞানী, গুণী ব্যক্তি, চিত্রকর, ভাস্কর, প্রকৌশলী, এবং ধর্মীয় গুরুদেরকে তিনি সন্মানের চোখে দেখতেন তার কড়া নির্দেশ ছিলো এধরণের মানুষদের যেন কোন ভাবেই হত্যা করা না হয়। আর অন্য ধর্মীয় গোত্রের লোকদের, বিশেষ করে ধর্মীয় গুরু এবং বিশেষ কাজে পারদর্শী যেমন প্রকৌশলী, চিত্রকর, এবং অন্য জ্ঞানী মানুষদের কর মওকুফের ব্যবস্হা রেখেছিলেন। তবে শান্তি নষ্ট করতে পারে এমন ধর্মীয় অসহিন্ষুতার ব্যাপারেও তিনি ছিলেন খড়গ হস্ত।

চেঙ্গিস খানের দুই সেনাপতি সবুতি এবং জেবে ১২২৩ সালের মধ্যে ককেশাস, ইন্ডিয়া, আফগানিস্তান, জর্জিয়া দখল করে নেন। তাদের যাত্রা পথে সকল সেনাবাহিনী তারা নির্মম ভাবে পরাজিত করে। ১২৪০ সালে চেঙ্গিসের পুত্ররা বুলগেরিয়ার কিছু অংশ দখল করে নেয়। শেষ পর্যন্ত এই সাম্রাজ প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আড্রিয়াটিক সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। চেঙ্গিস তার জীবনে বোরটে ছাড়াও আরও পাঁচজনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু আর কাউকেই তিনি তার ছোটবেলার ভালবাসা বোরটের মত বোধহয় ভালবাসেননি। তিনি সবসময়ই বোরটের পরামর্শ শুনতেন এবং তা প্রয়োজনে গ্রহণও করতেন। মেরকিটদের কাছে নির্যাতিত সেই দুঃসহ এক বছরের ঘটনা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বোরটের প্রতি তার ভালবাসায় চিড় ধরাতে পারেনি। চেঙ্গিস আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের সাম্রাজ্য চারবার দখল করেন। চীন এবং মঙ্গোলিয়ায় এখনও তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। ইতিহাস বলে, মৃত্যুর অনেক আগেই চেঙ্গিস খান তার নিজের কবরের জায়গা পছন্দ করে রেখেছিলেন।

১২২৭ সালে চেঙ্গিস খান ঘোড়ার পিঠ থেকে পরে মারা যান।
তাকে ওনান নদীর তীরে অত্যন্ত গোপনে সমাহিত করা হয়। কথিত আছে যে তাকে যারা সমাহিত করে একদল প্রথমে তাদের মেরে ফেলে। এরপর একজন আর একজনকে মারতে থাকে এবং সর্বশেষ জন আত্ত্বহত্যা করে। চেঙ্গীস খান এবং তার মা জীবনে মোট চার জন ছেলেকে পালক হিসাবে গ্রহন করেন। মজার ব্যাপার হলো এরা সবাই ছিলো শত্রু গোত্রের ছেলে এবং তাদের সবার বয়স ছিলো খুবই অল্প। মেরকিটদের সাথে যুদ্ধের পর চেঙ্গিস ৫ বছর বয়সী কুচুকে (মেরকিট) নিয়ে এসে তার মাকে দেন। চেঙ্গীস খান সাহসী এবং বিশ্বস্ত মানুষদের পছন্দ করতেন এবং বিনিময়ে ফেরৎ দিতেন সেই বিশ্বস্ততা। তিনি মানুষ চিনতে খুব কমই ভুল করতেন। একের পর যাদের তিনি পরাজিত করেছেন পরবর্তীতে তারাই তার বিশ্বস্ত অনুসারীতে পরিনত হয়েছিলো। চেঙ্গীস খান অন্য সব মঙ্গোলিয়ানের মতই ছিলেন অশিক্ষিত। একজন অশিক্ষিত, বর্বর, যুদ্ধবাজ মানুষের পক্ষে এতসব সাফল্য অর্জন করা কিভাবে সম্ভব হয়েছিলো সেটা হৃদয়াঙ্গম করা এককথায় একটি অসম্ভব ব্যাপার।

মুহম্মদ শাহ ছিলেন তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের একজন শক্তিশালী সুলতান। প্রথমদিকে চেঙ্গিস খানের সাথে তার বন্ধুত্ব থাকলেও পরবর্তীকালে মোঙ্গল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতির ফলে উভয়ের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ দেখা দেয়। ফলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। সীমান্ত বিরোধ ছাড়াও আরও দু'টো কারণ চেঙ্গিস খানকে মুহম্মদ শাহের রাজ্য আক্রমণে প্ররোচিত করেছিল। মাত্র তের বছর বয়সে তিনি যখন মোঙ্গল জাতির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, তখন মোঙ্গলদের অনেকেই তার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।

অপূর্ব সাহসিকতা ও সংগঠন প্রতিভাবলে তিনি সমগ্র মোঙ্গল জাতিকে একত্রিত করে একটা অজেয় শক্তিতে পরিণত করেছিলেন। তার কৃতিত্ব সম্বন্ধে ঐতিহাসিক সাইকস মন্তব্য করেছেন, ‘যুদ্ধকালীন সময়ে প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন নির্ভিক এবং ধীরে ধীরে তিনি এমন একটি সাম্রাজ্য গঠন করেন যা ঘৃণিত যাযাবর তাতারদেরকে এশিয়ার রাজক্ষমতায় উন্নীত করেছিল।’
এশিয়ার প্রচুর ধনরত্ন লুণ্ঠনের পর চেঙ্গিস খান স্বদেশের পথে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে মধ্য-এশিয়ায় ব্যস্ত থাকাকালে তিনি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম পারস্য বিজয়ের জন্য তার দু'জন সেনাপতিকে প্রেরণ করেন। তারা উত্তর-পশ্চিম পারস্যসহ দক্ষিণ রাশিয়াতেও মোঙ্গল কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেন। ১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যু হলে এই দিগ্বিজয়ী বীরের রাজ্য বিস্তারের পরিসমাপ্তি ঘটে।

বিভিন্ন গুণাবলীর সমাবেশ থাকা সত্ত্বেও চেঙ্গিস খানের চরিত্র নিষ্ঠুরতা ও বিশ্বাসঘাতকতাকে অস্বীকার করা যায় না। বীভৎস ধ্বংসলীলা ও নিষ্ঠুরতার মধ্য দিয়ে তার প্রতিটি আক্রমণ ও বিজয় পরিচালিত হয়েছিল। এই কারণে ইউরোপীয় ঐতিহাসিকগণ তাকে ‘আল্লাহর অভিশাপ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, মধ্যযুগের কোনো নরপতি বা বিজেতাই অনুরূপ নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার ঊর্ধ্বে ছিলেন না। বস্তুত, এটা ছিল তখনকার যুগ-বৈশিষ্ট্য। অতএব অন্য কোনো নরপতি যখন ‘আল্লাহর অভিশাপ' হন নাই, তখন চেঙ্গিস খানকে এ নামে অভিহিত করা যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি শিক্ষা ও শিক্ষিতের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার দরবারে শিল্পী, সাহিত্যিক, গণিতজ্ঞ প্রমুখ গুণীদের সমাবেশ হতো। ধর্মীয় ক্ষেত্রে তিনি সহিষ্ণু ছিলেন।

বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, চেঙ্গিস খানের কারণে ৭০ কোটি টন কার্বন বায়ুমণ্ডল থেকে অপসারিত হয়েছিল। সাম্রাজ্য বিস্তারে চেঙ্গিস খান যে হত্যাযজ্ঞ চালান, এতে অনেক এলাকা মানবশূন্য হয়ে পড়ে। ওই এলাকা গুলোতে কৃষিজমি ও বসতবাড়িতে গাছপালা জন্মে ক্রমে তা বনজঙ্গলে পরিণত হয়। অনেক এলাকা হয়ে যায় গহিন অরণ্য। এসব বনজঙ্গলের গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে বিপুল পরিমাণ পরিবেশ দূষণকারী কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। চেঙ্গিস খান নিজের অগোচরে যে প্রক্রিয়ায় পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন, তা অবশ্যই গবেষকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে পরিবেশবিদদের মতে, চেঙ্গিস খানের এই প্রক্রিয়াই পরিবেশ শীতল রাখার ক্ষেত্রে প্রথম মানবসৃষ্ট উপায়। তবে ৭০ কোটি টন কার্বন হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি শুনতে যত চমকপ্রদ মনে হচ্ছে, ঘটনা আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। কারণ আধুনিক বিশ্বে এক বছরে যে পরিমাণ পেট্রল পুড়ছে তাতে করে ৭০ কোটি টনেরও বেশি কার্বন প্রতি বছর পৃথিবীতে নিঃসরিত হচ্ছে ক্রমাগত। সুতরাং চার কোটি মানুষ হত্যা করে পৃথিবীর জলবায়ুর উন্নয়নে সত্যিকার অর্থে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেননি চেঙ্গিস খান।

বাংলা সনের প্রবর্তন যিনি করেন তিনি কোন বাংলাভাষী বা বাংলাদেশি নন। তিনি ছিলেন বিশ্বখ্যাত চেঙ্গিস খান ও মহাবীর তৈমুর লং-এর সুযোগ্য বংশধর বিশ্ববিখ্যাত মোঘল সম্রাট আকবর দি গ্রেট। সুদূর দিল্লীতে রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত থেকেই তিনি এ দেশে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। পৃথিবীর অন্যান্য আদর্শ-বিহীন সাম্রাজ্যের মতো তার আদর্শহীন জুলুমের সাম্রাজ্য মাত্র ১৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়!

চেঙ্গিস খাঁন তার জীবদ্দশায় ওসিয়ত করে গিয়েছিল- কাক-পক্ষীও যেন তার দাফনের যায়গা জানতে না পারে। এজন্য যারা তার দাফনে নিয়োজিত ২৯১৬ জন মানুষের, সবাইকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। চেঙ্গিস খানের সমাধিক্ষেত্র আজও রয়েছে অধরা, অনাবিষ্কৃত। মধ্যযুগীয় ধনসম্পদের সবচেয়ে বড় গুপ্তধনটি কেউ ছুঁতেও পারেনি। রয়ে গেছে তা শত শত বছর পরেও সব চোখের আড়ালে। যুগে যুগে মানুষ এই মঙ্গোলীয় সম্রাটের সমাধিক্ষেত্র খুজে গেছে। বছরের পর বছর নষ্ট করেছে এই সমাধি খোঁজার পিছে। সমাধি মেলেনি। মানুষ তবুও হাল ছাড়ে না। বলা হয়, চেঙ্গিস খানের সমাধিটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনাবিষ্কৃত এবং অক্ষত,অর্ধেক পৃথিবীর ধনসম্পদে ঠাসা একটি রত্নভাণ্ডার! এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে চেঙ্গিস খান সারাজীবনে যে পরিমান ধনসম্পদ এবং রত্ন লুট করেছেন, তার পুরোটুকুই সমাধিক্ষেত্রে চেঙ্গিস খানের সাথে রেখে দেওয়া আছে। জয় করা ৭৮ জন রাজার মুকুট সেখানেই আছে বলে ধারনা করেন অনেকে।

তথ্যসুত্রঃ

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

এই করোনা পেনডেমিক পিরিয়ডে চেঙ্গিস খানের মত
দুর্দশ্য একজনের প্রয়োজন দুনিয়া হতে করোনা ভাইরাস
বিজয়ের জন্য । ভাল সময়েই একে স্মরণ করেছেন ।

১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।

২| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

তিনি তেলের ফুটন্ত কড়াইয়ে মানুষ ফেলে দিয়ে শাস্তি দিতেন।
এমন নিষ্ঠুর মানুষ চাই না।
চাই শান্তির মানব।

২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হয় চেঙ্গিস হিটলার কাছাকাছি।

৩| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ মারার মেশিন ছিলো, মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জল্লাদ।

২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে হিটলার কি?

৪| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১২:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখাটার মধ্যে কোন ধারাবাহিকতা নাই। প্রচুর তথ্য একসাথে দিতে গিয়ে অগোছালো হয়ে গিয়েছে। সময় নিয়ে আরেকটু গুছিয়ে লেখা দরকার ছিল।

বাগদাদ লাইব্রেরী পুড়িয়ে দেয়া ছিল তার আমলের অন্যতম জঘন্য কাজ।

২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
আর একটু সময় নিলে লেখাটা সুন্দর হতো।

৫| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১:১৪

রাকু হাসান বলেছেন:

সব মিলিয়ে বইয়ের বিশ্লেষণ কেমন লাগলো? নির্মোহ নাকি এক পাক্ষিক?

২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্লেষন করলে দেখা যায়- একবার চেঙ্গিসকে হিরো মনে হয়। আবার চেঙ্গিসকে বদমাশ মনে হয়।

৬| ২০ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:০১

অনল চৌধুরী বলেছেন: ইংরেজী একটা প্রবাদ আছে. Kill a man, they call you killer but kill a million, they will call you conqueror.
এ্ই কথাটা আলেকসান্ডার, চেঙ্গিস, নেপোলিয়ন-মোগল সম্রাট-সবার জন্যই প্রযোজ্য।
এদের খুনাখুনির পিছনে রক্তের তৃষ্ণা ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।
চেঙ্গিস খান না , তার নাতি হালাগু বাগদাদ আক্রমণ করে ধ্বংস করেছিলো, যার ধর্ম আবার ছিলো সুকি-বর্মীদের মতোই অহিংসবাদী বৌদ্ব ধর্ম।

২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সেই সময় ছিলো যুদ্ধের সময়। দখলের সময়। হানাহানির সময়।

৭| ২০ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: চেঙ্গিস খান কি মুসলমান যে সে লাইব্রেরি ধংস করতে গেল।লাইব্রেরি তো ধংস করে মুসলমানরা

২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চেঙ্গিস সাহবের ছিলো বেজায় রাগ। এবং তাঁর হাতে ছিলো অগাধ ক্ষমতা। ক্ষমতার মোঝে সে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তাই তাঁর কাছে খুন খারাবি, আগুন ডাল ভাত ছিলো।

৮| ২০ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



@ভুয়া মফিজ বলেছেন, "বাগদাদ লাইব্রেরী পুড়িয়ে দেয়া ছিল তার আমলের অন্যতম জঘন্য কাজ। "

-হালাকু খান সুন্দর বনের বাঘের লেজে আগুন ধরায়ে দেয়, বাঘ দৌঁড়ে গিয়ে বাগদাদের লাইব্রেরীতে ঢুকে পড়েছিলো।

২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---

৯| ২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:১৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: চেঙ্গিস খান কি মুসলমান যে সে লাইব্রেরি ধংস করতে গেল। লাইব্রেরি তো ধংস করে মুসলমানরা - পড়াশোনা না করে মূর্খের মতো মন্তব্য করা যাদের স্বভাব, তাদের ব্লগে না এস রাস্তার টোকাইদের সাথে থাকা উচিত।
বাগদাদ ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার কেন্দ্র , যেটা হালাগু ধ্বংস করেছিলো। বাগদাদ অবরোধ (১২৫৮)
হালাকু খান সুন্দর বনের বাঘের লেজে আগুন ধরায়ে দেয়, বাঘ দৌঁড়ে গিয়ে বাগদাদের লাইব্রেরীতে ঢুকে পড়েছিলো। চাদগাজীও দেখা যাচ্ছে একইরকম পড়াশোনা না করা মূর্খ।
ঠিক হালাগুর মতো এ্যামেরিকান ও বৃটিশরাও একইভাবে ২০০৩ সালে বাগদাদসহ পুরো ইরাক সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। সিরিয়া, লিবিয়াতেও তাই করছে।

২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: কামাল১৮ এবং চাঁদগাজি দুজনই জ্ঞানি মানুষ। বিচক্ষন। আধুনিক মানুষ তারা। তাদের মধ্যে কোন কুসংস্কার নেই।

১০| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নির্মম নিষ্ঠুর চেঙ্গীস কোন ভাবেই মহান হতে পারে না।

২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: উনার তো অনেক ভালো ভালো কাজ আছে।

১১| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: কামাল১৮ এবং চাঁদগাজি দুজনই জ্ঞানি মানুষ। বিচক্ষন। আধুনিক মানুষ তারা। তাদের মধ্যে কোন কুসংস্কার নেই। - জেনেশুনে মিথ্যাচার করে নোংরা মানুষ।
আর কোনো বিষয় না জানলে জেনে নিয়ে অজ্ঞ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হয়, প্রমাণ দেয়ার পরও যেটা তারা করেনা।
কামাল লেখে না, ব্লগে মন্তব্য করে ৬ দিন ধরে।

২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: কামাল সাহেব ওস্তাদ লোক শুধু এটুকুই বললাম।

১২| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

খারাপ মানুষ নিয়ে পোস্ট না দেয়াই উত্তম।
ভালো মানুষ নিয়ে পোস্ট দিন।

২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই কথাটা সঠিক বলেছেন। কিন্তু সমাজে কি খারাপ লোক নেই? খারাপ লোক দিয়েই আমরা ভালো মানুষ চিনতে পারি।

১৩| ২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

খারাপ মানুষ আমার কাছে ভালো লাগে না।
ভালো মানুষ আমার কাছে ভালো লাগে ।
খারাপ মানুষ পৃথিবীর কার্বন মনোক্সাইড।
ভালো মানুষ পৃথিবীর অক্সিজেন।

২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। খারাপ মানুষ পৃথিবীর কার্বন মনোক্সাইড।
ভালো মানুষ পৃথিবীর অক্সিজেন। ভেরি গুড।

১৪| ২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

ইনদোজ বলেছেন: চেঙ্গিস খান শত্রুপক্ষের চর, যারা তার পক্ষে কাজ করেছিল, তাদেরকে জ্বলন্ত ডেগে সিদ্ধ করে মেরেছিলেন। কাজটা কি ঠিক ছিল? এদের সাহায্য ছাড়া তো তার যুদ্ধ জয় সম্ভব ছিলনা।

২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সেই যুগের মানুষরা নিষ্ঠুর ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.