নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এমন মানব জনম আর কি হবে
মন যা কর, ত্বরায় কর এই ভবে
অনন্ত রূপ সৃষ্টি করলেন সাঁই
শুনি মানব রূপের উত্তম কিছুই নাই।
মানুষ শব্দটি এসেছে 'মনুষ্য' বা 'মানব' শব্দের অপভ্রংশ হিসাবে।
অন্যান্য ভাষার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে ইংরেজি Man, জার্মান Mann। মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে নানা নৃতাত্বিক মতবাদ আছে। শিম্পাঞ্জী মানুষের নিকটতম আত্মীয়। মানুষের বুদ্ধির উন্নতি মানুষের জটিল ভাষা ব্যবহার করার ক্ষমতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। চার পায়ের বদলে দুই পায়ে চলতে আরম্ভ করার সাথে সাথে মানব শরীর-গঠন ও শরীর-প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে নানা পরিবর্তন দেখা দিতে আরম্ভ করে। মানুষের মস্তিষ্ক প্রাণীরাজ্যে বৃহত্তম না হলেও আপেক্ষিকভাবে বৃহত্তরদের অন্যতম। দুনিয়াতে মানুষ'ই সবচেয়ে বড়, মানব ধর্ম সবচেয়ে বড় ধর্ম।
সমাজে যেমন আছে ভাল মানুষ, তেমনি আছে নোংরা, বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ।
বয়সের উপর নির্ভর করে মানুষের মন কেমন হবে। শিশুকালে আমার যে মন ছিল, তা কৈশোরে পরিবর্তন হয়ে যায়, বর্তমানে যৈাবনে আবার অন্যরকম। শরীরটা যেমন অনেকটা বংশ গতির উপর নির্ভর করে হয়, মনটা ও কি তাই হয়? না। মন হয় পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাবে। আবার একই পরিবেশে বড় হয়েও দুই ভাইয়ের মন এক হয় না, এর কি কারণ?
সভ্যতার শুরু থেকে ঈর্ষার সূচনা।
আদিম নারী লিলিয়াৎ ও ইভের মধ্যে ছিল ঈর্ষার চোরা স্রোত। ত্রিকোণ সম্পর্কের সেই ঈর্ষার ধারা আজও অব্যাহত আছে। সভ্যতার বর্তমান উৎকর্ষেও মানুষের যেসব আদিম বৈশিষ্ট্য রয়ে গেছে, ঈর্ষা তারই একটি। ঈর্ষার কারণে মানুষের হিতাহিতজ্ঞান লোপ পায়। যে কারণে মানুষ ঈর্ষার যুক্তিহীন দহনে পুড়ে মরে। আবার ঈর্ষাকে অনেকে বলেন সুমহতী। ঈর্ষাই নাকি উন্নতির ইন্ধন-আরোহণ রসায়ন। তবে যে ঈর্ষা হয়ে উঠতে পারত সৃষ্টির নিয়ামক, কখনো তাই হয়ে ওঠে সর্বনাশী। পৃথিবীর সর্বস্তরে বিরাজ করছে অসংখ্য মানুষ। এই সকল মানুষের মধ্যে লুকিয়ে আছে কিছু মানুষ যারা অন্যান্য মানুষের চোখে ঘৃণার পাত্র হয়ে বসবাস করে। এমনকি জীবন যাত্রার অন্যান্য অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। যদিও তারা আর সব মানুষের মত সহজাত প্রবনতা নিয়েই পৃথিবীতে আসে।
ডারউইনের তত্ত্ব অনুযায়ী-
নর বানরের ক্রমবিকাশের মাধ্যমেই আদিম মানুষের সৃষ্টি। কিন্তু সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, ইঁদুরজাতীয় এক ধরনের প্রাণীর ক্রমবিকাশের মাধমে উদ্ভব হয়েছে আদিম মানুষের। পৃথিবী থেকে গুটিবসন্তের জীবাণুর অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কয়েকজন বিশ্বখ্যাত জীববিজ্ঞানীর ভূমিকা রয়েছে, তাঁদের অন্যতম একজন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী এক 'শ বছরের মধ্যে মানবজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কোরআনে আদম হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। এই আদমকে মহাজগতের দিগন্ত অঞ্চলের শেষ প্রান্ত সিদরাতুল মুন্তাহার কাছে সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে প্রাণের উন্মেষ ঘটার পেছনে অবশ্যই কোন এক অতি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন এনার্জির সূক্ষ্ম প্রযুক্তির টেকনোলজি কাজ করেছিল। পৃথিবীতে মানুষের প্রাণের স্পন্দন শুরু হওয়ার পেছনে রহস্যময় কত গুলো জৈব রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়া-বিক্রিয়া কাজ করেছে।
সৃষ্টির অসীম রহস্যময়তা দেখে এক সময় ভক্তিতে গদগদ হয়ে মাথা নোয়াতো অসহায় আদিম মানুষ। সৃষ্টির যত কর্মকান্ড তার মধ্যে সবচে জরুরি, তখনও মানুষের ব্যাখ্যা-অজানা আর গুরুত্বপূর্ণ ছিল মানব-জন্ম (নারী আর পুরুষের মিলনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বরকে বন্দনা করতো একসময় মানুষ। এই মিলন তখন ছিল উপাসনা, পবিত্র কর্ম। যখন নারীদেহ নাপাক ঘোষিত হলো তখন এই মিলন হলো নিষিদ্ধ আর পাপকর্ম)। আর এই অসম্ভব জটিল কর্মকান্ডটা ঘটতো নারীর উদরে; বিমুগ্ধ পুরুষের কাছে নারী ছিল তাই জীবনের আরেক নাম, স্রষ্টার রূপ, ক্ষমতা ও শক্তির আঁধার।
নিজের আকাঙ্খা বা বাসনার তুচ্ছতা অনুভব করতে শিখে আর বিশ্বব্রম্ভাণ্ডের বিশালতা আর শৃঙ্খলাবদ্ধতায় বিমোহিত হয়ে মানুষ সমগ্র মহাবিশ্বের অভিজ্ঞতা নিজের ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করতে চায়। মানবতা ও মনুষত্যের বিষয়টি মানুষের চিন্তা চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল। মানুষের দেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কোষের একটি কেন্দ্র থাকে যার নাম নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াস এর ভেতরে থাকে ক্রোমোজোম, জোড়ায় জোড়ায়। একেক প্রজাতির নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা একেক রকম। যেমন মানব কোষের নিউক্লিয়াসে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। প্রতিটি ক্রোমোজোম এর ভেতরে থাকে ডিএনএ এবং প্রোটিন। ডিএনএ এক ধরণের এসিড যা দেহের সকল কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকৃতপক্ষে ক্রোমোজোম এর ভেতরে কি ধরণের প্রোটিন তৈরি হবে তা ডিএনএ নির্ধারণ করে। ডিএনএ-র মধ্যে তাই জীবের সকল বৈশিষ্ট্য ও বংশবৃদ্ধির তথ্য জমা করা থাকে। ডিএনএ-র মধ্যে থাকে জিন, জিনের সিকোয়েন্সই জীবদেহের সকল তথ্যের ভাণ্ডার।
পৃথিবী জুড়ে এখন শুধু আধুনিক মানুষ চোখে পড়লেই ভেবে নিবেন না, মানুষের একটিই প্রজাতি। ২০০৩ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞানীরা ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরস দ্বীপে মাটি খুঁড়ে পান এক মিটার লম্বা এক মানুষের ফসিল- কঙ্কাল। প্রকৃতপক্ষে প্রথম মানুষ যখন প্রকৃতির অপার রূপ-রস-গন্ধ-শব্দ ও এর সৌন্দর্য্যের স্রোতকে উপলব্ধি করেছিল তখনই সে চেয়েছিল এই অনুভূতিকে বিশ্বসৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে অন্যের মনে সঞ্চারিত করতে আর তারই সূত্র ধরে প্রেম মোহিত প্রতিটি সৃষ্টির সম্মিলন ঘটাতে; কারণ মানৃষের স্বাভাবিক প্রকৃতির এটিই দাবী। কিন্তু প্রকৃতি মানুষে মানুষে এ ধরণের সম্মিলন ঘটানোর জন্য বিশেষায়িত নয় বরং প্রকৃতি কেবল সবার মনে তার রসবোধের সঞ্চার ঘটাতে পারে, আর তাও একেকজনের ক্ষেত্রে একেক ধরণের হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এজন্যই এই অনুভূতি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার নিমিত্তে তাকে সৃষ্টি করতে হয়েছে শিল্পের।
২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: টিকা মনে হয় সব শেষ। নতুন চালান এলে সবাই পাবে।
তবে যারা প্রথম ডোজ দিয়েছে, তারা দ্বিতীয় দোজও দিতে পেরেছে।
২| ২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
গত বছর, টিকা নিয়ে আলাপ শুরু হওয়ার পর, আমি লিখেছিলাম যে, শেখ হাসিনা টিকা কিনবে না, ভিক্ষার জন্য বসে থাকবে; সেটাই ঘটেছে।
২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: না না। তা না। টিকার টাকা তো শেখ হাসিনা তাঁর পকেট থেকে দিবে না।
বরং অনেক দেশ টিকা পায়নি। আমরা পেয়েছি। আরও টিকা আসবে আমাদের দেশে।
৩| ২০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক বিষয় নিয়ে একসাথে লিখেছেন,তাই পড়ার পরে গুলিয়ে যায়।মনে রাখা যায় না চায়ের দোকানের আড্ডার মতো হয়ে যায়।
৪| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আমি অনুরোধ করেছিলাম কিছু লিখতে। প্লীজ অন্তত সপ্তাহে দুটা পোষ্ট তো দিতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকার মানুষেরা টিকা নিয়ে কি কি করছে?