নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
দেহ তত্ত্বই বাউল সম্প্রদায়ের মূল ভিত্তি।
দেহ'ই সকল রহস্যের মূল। দেহকে দেখার অর্থ দেহকে পাঠ করা বা আত্মদর্শন করা। আপনাকে জানার মাধ্যমে পরম সত্তার অস্তিত্ত্ব জানা যায়। লালন পরমাত্মাকে উপলব্ধি করেছেন আপন অস্তিত্ত্বের মধ্যে এবং বিশ্বাস করেছেন, অস্তিত্ত্বের রহস্য গভীরভাবে ও একনিষ্ঠভাবে দেখলে, পাঠ করলে ও আত্মদর্শন করলে অচেনার সাথে সংযোগ হতে পারে। লালন সর্বযুগের ও সর্বকালের মানুষের জন্য তত্ত্বের রূপরেখা। বাউল মতে শাস্ত্রের চেয়ে সত্য বড়, আচার অনুষ্ঠান ও বিধি-বিধানের চেয়ে মানুষ বড়। আত্মসত্ত্বার মাঝেই নিহিত রয়েছে পরমাত্মার ঠাই।
লালন হচ্ছেন একজন মহান দার্শনিক।
যার দর্শন একজন মানুষকে কেবল খাঁটি মানুষ হওয়ার শিক্ষাই দেয়নি জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়েছে। পৃথিবীতে অনেক আদর্শ অনেক পথ এবং মত তার জায়গা করে নিতে অন্য আদর্শকে আঘাত করেছে, হানাহানির সৃষ্টি করেছে কিন্তু ব্যতিক্রম হচ্ছে বাউল আদর্শ। লালন দর্শন কাউকে আঘাত না করে এগিয়েছে। লালনের দর্শনে এবং বাউলদের কাছে লালনের মৃত্যু নেই। তিনি তিরোধান করেছেন মাত্র। তাঁর ভাব ও আদর্শকে তাঁরা জীবন্ত জ্ঞান করে সাধনা করেন। জন্ম ও মৃত্যুর চেয়ে তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষ হিসেবে সঠিক দিশায় পৌঁছানোর ঘটনা। মৃত্যু হয় দেহের, চিন্তা ও ভাব যদি সঠিক হয় তবে তা অজর-অমর। লালনের জন্ম আসলে কোথায় তা আজো স্থির করে বলা যায় না। অনেক গবেষক মনে করেন লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানার চাপড়া ইউনিয়নের ভাড়ারা গ্রামে জন্মেছিলেন।
লালন শাহ বা লালন ফকির ‘বাউল সম্রাট’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল। তিনি একজন বাঙালী যার জন্মস্থান বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমার হারিশপুর গ্রামে। তিনি হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন, কিন্তু ছেলেবেলায় অসুস্থ অবস্থায় তাঁর পরিবার তাঁকে ত্যাগ করে। তখন সিরাজ সাঁই নামের একজন মুসলমান বাউল তাঁকে আশ্রয় দেন এবং সুস্থ করে তোলেন। লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন। ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। আজও সারা দেশ থেকে বাউলেরা অক্টোবর মাসে ছেউড়িয়ায় মিলিত হয়ে লালন শাহের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। লালনের বেশ কিছু রচনাবলী থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে তিনি ধর্ম-গোত্র-বর্ণ-সম্প্রদায় সম্পর্কে আদৌ শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না।
ব্রিটিশ আমলে যখন হিন্দু ও মুসলিম মধ্যে জাতিগত বিভেধ-সংঘাত বাড়ছিল তখন লালন ছিলেন এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। তিনি মানুষে-মানুষে কোনও ভেদাভেদে বিশ্বাস করতেন না। তাঁর কাছে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এসবের কোনও মূল্য ছিল না। তিনি ছিলেন মানবতাবাদী। অন্তরে প্রেম না থাকলে আবেগ আসে না। আবেগ থেকে আসে ভাব এখানে আবেগ ছাড়া ভাব ছাড়া কোন কিছুই সার্থকভাবে কার্যকর সম্ভব নয়, মানুষের অন্তরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। চাপিয়ে দেয়া কোন কিছু মানুষ মেনে নেয় কিন্ত মনে নেয় না। কিন্তু প্রকৃতি থেকে যেটা আসে সেটা মানুষ মনে নেয়, মানুষ মনে করে এটা তাদের নিজস্ব। ১৮০৫ সালে লালন নবদ্বীপ হতে কাশী, বৃন্দাবন, পুরী এসব জায়গায় তীর্থ ভ্রমন করেন। দশ বছর পর তিনি ১৮১৫ সালে নদীয়ায় ফিরেন। এসময় একবার উত্তর বঙ্গের খেঁতুরীর মেলা দেখতে গিয়ে ফেরার পথে তিনি গুটি বসন্তে আক্রান্ত হন। তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া গ্রামে কালীগঙ্গা নদীর পাশে ফেলে রেখে যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনঃ লালন ফকির নামে একজন বাউল সাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেন- আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। লালন ফকিরের গান "লালন গীতি" বা কখনও "লালন সংগীত" হিসেবে প্রসিদ্ধ। বাউলদের জন্য তিনি যেসব গান রচনা করেন, তা কালে-কালে এত জনপ্রিয়তা লাভ করে যে মানুষ এর মুখে মুখে তা পুরো বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লালনের গানে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাঁর প্রায় সহস্রাধিক গান সংগৃহীত হয়েছে। মুহম্মদ মনসুরউদ্দিন একাই তিন শতাধিক লালন গীতি সংগ্রহ করেছেন যা তাঁর হারামণি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমা এলেই আউল-বাউল, সাধু-বৈষ্ণব আর ফকির-দেওয়ানাদের পদনৃত্যে ভারী হয়ে ওঠে সাধুবাজার। গুরু-শিষ্যের মিলনমেলায় মনের মানুষের চোখে চোখ রেখে শুরু হয় ভাবের খেলা। ভাবজগতের মধ্যে বেজে ওঠে তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে। লালন একাডেমি এখনো প্রতিবছর দু’টি অনুষ্ঠান করে আসছে। নিজস্ব শিল্পী এবং বাইরে থেকে শিল্পী এনে আখড়ায় দোল উৎসব ও স্মরণ উৎসবে গান করানো হয়। লালনকে জানার প্রথম প্রামাণ্য কাজটি করেন বসন্তকুমার পাল। রচনা করেন প্রথম প্রামাণ্য লালন জীবনী। তাঁর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লালনের গান সংগ্রহ ও প্রকাশ করেন। মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরী পত্রিকায় লালনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়।
লালনের গানের ভেতর আছে মানব মুক্তির দর্শন।
বিদেশে এই গায়ক, দার্শনিকের গান নিয়ে গবেষণা শুরু হলেও নিজ দেশে, নিজ ভাষাভাষীদের কাছে লালন গীতির কদর নেই। আমরা নিজেরাই নিজেদের শ্রদ্ধা না করলে অন্যদের কাছ থেকে শ্রদ্ধা পাওয়ার আশা বাতুলতা মাত্র। তিনি নিজ সাধনা বলে হিন্দু-মুসলিম ধর্মের উপরে গভীর জ্ঞান লাভ করেন। তার রচিত গান তাই উভয় ধর্মের নিকট সমান সমাদৃত। তার লেখা গানে উভয় ধর্মের এবং আধ্যাত্নিক ভাবধারার। তার গানে মানব ধর্ম, মানবতা, জীবনে আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক ভাবধারা প্রকাশ পেয়েছ। তিনি প্রায় ২০০০ গান রচনা করেছেন। তিনি কোন জাতিভেদ মানতেন না।
রবীন্দ্রনাথ কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার শিলাইদহ অবস্থানকালে লালন শাহের কাছ থেকে ২৯৮টি গান সংগ্রহ করে ২০টি গান প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশ করেন। সেখান থেকেই শিক্ষিত সমাজে লালনে পরিচয়। "আট কুঠুরী নয় দরজা আটা/ মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাটা/তার উপরে সদর কোঠা/ আয়না মহল তায়।" মধ্যবিত্ত সমাজের মন-মননে রবীন্দ্রনাথের যে বিপুল অবদান, বাংলার কৃষক-কারিগরের নিম্নবর্গীয় সমাজকে মননশীল ও মুক্তিকামী ভাবরসে সিক্ত করায় লালনের অবদানও তেমনি বিপুল। সাধু-ভক্তদের পাশাপাশি বাউল সম্রাটের মাজারটির টানেও আসে ঝাঁক ঝাঁক পর্যটক। আসে দেশি-বিদেশি গবেষকরাও।
লালনের খ্যাতি এখন শুধু এই কুষ্টিয়ায় নয়, দেশের গন্ডী পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। লালনের চিন্তা, আদর্শ, জীবনকর্ম এবং সংগীত এখন পৃথিবী জুড়ে গবেষণার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অলঙ্কার বাউল সাধক লালন। লালনের সৃষ্টিকর্ম আজ বিশ্ব নন্দিত। লালন-নজরুল গীতি আর রবীন্দ্র সংগীত বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে বিকশিত করেছে। বাউল-সাধকদের কাছে লালনের সৃষ্টিকর্ম ভক্তি-সাধনার স্থান দখল করে আছে।
লালনের আখড়া তথা সাঁইজির মাজার শরিফ থেকে বাউলেরা বিতাড়িত, লালনের দর্শন বিতাড়িত, লালনের স্মৃতি বিতাড়িত। মাজারসহ পুরো এলাকার মালিকানা এখন জেলা প্রশাসনের। সেখানে এখন আছে কেবল ভবন, বাণিজ্য, স্পনসরশিপ আর আনন্দ-বিনোদনের তুমুল মজমা। লালনের জীবন্ত ঐতিহ্যকে মুমূর্ষু করে জাদুঘরে পোরা হচ্ছে আর সাধন তীর্থকে বানানো হচ্ছে বাণিজ্যিক পর্যটনের খোরাক। বাংলার প্রতিষ্ঠান বিরোধী দার্শনিক আন্দোলন লালনের মাধ্যমেই বিপ্লবী বিকাশ পায়। নিম্নবর্গের মানুষের এই দার্শনিক এই নেতার চিন্তা ও কাজ সে যুগেরও যেমন এ যুগেও তেমন প্রতিষ্ঠিত জীবনদর্শনের বিপক্ষে।
আইয়ুব শাসনামলে ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান লালনের সমাধিক্ষেত্রের পাশে লালন লোকসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করেন। পদাধিকার বলে এর সভাপতি হন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক। ১৯৭৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হয় লালন একাডেমি। ১৯৮৪ সালে লালনের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সেখানে ধর্মসভা বসান এবং লালন ভক্তদের বের করে দেন। তিনি তাদের তওবাও করাতে যান। জেলা প্রশাসক এভাবে হন ধর্মেরও শাসক। প্রায় পাঁচ হাজার ফকির-সাধক বিক্ষোভ করলে রিজার্ভ পুলিশ দিয়ে তাঁদের পিটিয়ে তাড়ানো হয়। মাজারের সিন্দুকের চাবিও সে দিনই বেহাত হয়। সবচেয়ে বড় ক্ষতি করা হয় ১৯৯৭ সালে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে লালন কমপ্লেক্স নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। একটি অত্যাধুনিক মিলনায়তন, জাদুঘর ও অতিথিশালাসহ চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য মাজারের মূল চত্বরকেই বেছে নেওয়া হয়।
লালনগীতির প্রতি আসক্তি কবে সৃষ্টি হয়েছে জানিনা।
বাউলতত্ত্ব নিয়ে খুব বেশি পড়াশোনা আমার নেই। 'এইসব দেখি কানার হাট বাজার'। শব্দগত দিক থেকে এই লাইনটি তেমন কিছু না। কিন্তু মর্মার্থও কম নয়। ধর্মান্ধরা তাদের কানা চোখ দিয়ে তাদের প্রয়োজনের বাইরে আর কিছুই দেখেন না। প্রায় ২৪০০ বছর আগে এই কানাদের কানা বলেছিলেন বলে সক্রেটিসকে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হলো। লালন গীতির কোন লিখিত রূপ লালন সাঁইয়ের স্বহস্তে না থাকার কারনে তাঁর ভাব শিষ্যদের কন্ঠে বা খাতায় মূল ভাবাদর্শের রূপখানি অনেকাংশে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। এমনকি তাঁর দেহান্তরের পরে বহু সংগ্রাহক ও সংকলকগনও সংশোধনের নামে যথেচ্ছ বিকৃত ঘটিয়েছেন।
লালন ফকিরের সহধর্মিনী এবং সাধনসঙ্গী ছিলেন বিশখা ফকিরানী। বিশখা ফকিরানী সারাজীবন লালনের সাথে ছিলেন। লালন শাহ ছেউড়িয়াতে স্ত্রী ও শিষ্যসহ বাস করতেন কিন্তু তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। লালন শাহের প্রয়াণের সময়কালে রবীন্দ্রনাথের পূর্ণ যৌবনকাল। তখন তাঁর বয়স ২৮/২৯ বছর। যে ‘গীতাঞ্জলি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এবং বাংলা ভাষাকে এনে দিয়েছে সুনাম, সম্মৃদ্ধি ও বিশ্বজনীনতা। সেই গীতাঞ্জলির প্রতিটি ‘গীত’ ধীর-স্থীরতার সাথে পাঠ করলে নিজের অজান্তে মনে হবে - এ কথাগুলোতো তাঁর পূর্ব-পুরুষ বাউল কবি ফকির লালন শাহ আগেই বলে গেছেন।
লালনের জীবন সবার মতো নয়।
তিনি বাস করেন চেনা অচেনার মাঝামাঝি বন্দরে। লালনকে একদিক থেকে দেখে শেষ করা যায় না। তাঁকে দেখতে হয় নানান দিক থেকে। সুফিবাদ, বৈষনব সহজিয়া, তান্ত্রিকতাসহ বেশ কিছু দর্শনের সমন্বয়ে প্রবাহিত নদীতে লালন মুলত একাকী বয়ে যান। নিজের ভেতরেই বাস করেন, নিজের ভেতরেই মজে যান লালন। লালন হিন্দু না মুসলমান এনিয়ে বিস্তর মতভেদ। কারো মতে লালন কায়স্ত পরিবারের সন্তান যার পিতা মাধব এবং মাতা পদ্মাবতী। গবেষকদের একাংশ মনে করেন লালন মুসলিম তন্তুবায় পরিবারের সন্তান।
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন:
লালনের আখ্রায় 'কুসুম ফকিরানী' নামে এক মহিলা বাউলের সমাধি আছে- তিনি আমার এলাকার মেয়ে।( ছবি এবার গিয়ে তুলেছিলাম)
লেখা ভাল লেগেছে ভ্রাতা।
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: কুসুম ফকিরানী সম্পর্কে আপনার কাছে কোনো তথ্য আছে?
৩| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: আমি এমন কোন বাউল দেখিনি যে গাজা খায় না।বাউলদের মূল কথা কি।
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: তারা গাজা খেয়ে দেশ বা সমাজের ক্ষতি করছে না। তারা প্রভুর জন্য গাজা খায়।
৪| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: পরে পড়ে দেখি বাউলদের সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু বলেছেন।সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা ঠিক না।এটা মনে হয় হতাশা থেকে জন্ম নেয়।
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ হতাশা, দুঃখ, অভাব ইত্যাদি দেখে তারা সহ্য করতে পারে না। তারা পথে বের হয় যায়। বাকি জীবন আর পরিবারের সাথে মীশে না।
৫| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তিনি ১১৫ বছর আয়ু পেয়েছিলেন। ওনার অনেক গানের সুর শুনতে শুনতে ভালো লেগেছে। কিন্তু আমি এই সব সম্প্রদায়কে বিপথগামী ( বাউল সম্প্রদায়) মনে করি। তবে লালনের গানগুলি ভালো লাগে। একসময় আমাদের বাসায় প্রায়শই লালনের গান বাজত। আমাদের বাসায় ওনার একজন ভক্ত ছিল। পরে অবশ্য তিনি ঐ পথ ত্যাগ করেন।
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাউল সম্প্রদায় বিদপগামী নয়।
৬| ২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই লেখাটি তৈরির জন্য লালন সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনার দরকার হয়েছে নিশ্চয়ই!
আমি অল্প কিছু পড়েছি, কিছু গান, বই, উপন্যাস, আর সিনেমাও দেখেছি।
২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: সিনেমা মানে 'মনের মানুষ'? সুনীলের বই থেকেই সিনেমা হয়েছে।
৭| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৪০
বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। লালনকে ব্যাখ্যা করতে করতে জীবন পার করে দেয়া যেতে পারে। 'পাবে সামান্যে কি তার দেখা?'
২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: লালন গ্রেট ম্যান। তাকে নিয়ে অনেক গবেষনার দরকার আছে।
৮| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৪
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অসাধারণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন রাজিব ভাই। স্বভাবতই আমার খুব প্রিয় বিষয়।।
শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, তৎকালীন অনেক কবি-সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ লালন দর্শনে প্রভাবিত ছিলেন।।
লালনের জীবন দর্শন নিয়ে এখন প্রচুর গবেষণা হচ্ছে, আরো অনেক লেখা ও গবেষণা দরকার।
দীর্ঘদিন পরে হলেও আজ ব্লগে না আসলে হয়ত আপনার এত মূল্যবান লেখাটি মিস করতাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।
৩০ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।
৯| ২৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সাইজী এক জন বিরাট মাপের দার্শনিক ছিলেন।
তিনি যদি বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ না করে প্রাচীন গ্রিসে জন্ম গ্রহণ করতেন তাহলে তাকে আমরা সক্রেটিস, এরিটেস্টল ও প্লেটোর সমপর্যায়ের দার্শনিক হিসেবে হয়তো দেখতে পেতাম।
বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই আমরা কেবল কিছু গান পেয়েছি।
আফসোস!
৩০ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যটি অতি রঞ্জিত হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লালন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল। তথ্য পোস্ট।+++