নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একবার এক যাদুকর আড্ডা দিচ্ছেন তার কিছু ভক্তদের নিয়ে।
হঠাৎ এক ভক্ত যাদু সম্পর্কে জানতে চাইলো। যাদুকর বর্ণনা দেয়ার সময় বার বার ধর্মকেই টানছিলেন। তখন আরেকজন বললেন, আপনি যাদুর কথা বলতে গিয়ে ধর্মকে টানছেন কেনো? যাদু হচ্ছে মানুষের চোখের ফাঁকি। আর ধর্মতো ধর্ম। তখন যাদুকর বললেন, যাদুর কথা বলতে গেলে ধর্মকে আনতেই হবে। কারণ যেদিন থেকে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে সেদিন থেকেই যাদুর উৎপত্তি হয়েছে। দুটোই এতো জটিল যে, ব্যাখ্যায় দাঁড় করানো যাবে না। লজিক যেখানে অসহায়। তাই ধর্ম ও যাদু দুটোই টিকতে পারে অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে।
প্রকৃত সত্য এবং যাদু একে অপরের বিপরীত।
যাদু মিথ্যা ও প্রতারণার উপরে প্রতিষ্ঠিত। যা মিথ্যা যা অশুভ তা প্রতারণার সাহায্যে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। কিন্তু তা কখনও স্থায়ী হতে পারে না। সত্য শেষ পর্যন্ত প্রকাশ হবেই। আপাতঃ দৃষ্টিতে মিথ্যাকে ন্যায় সঙ্গত মনে হলেও তার স্থায়ীত্ব ক্ষণস্থায়ী। সত্যের আলোয় মিথ্যার অন্ধকার দূরীভূত হতে বাধ্য। এ কথা পৃথিবীতে সর্বকালে সর্বযুগের জন্য সত্য। বাংলাদেশে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বলে বহু ব্যক্তি নিজেকে দাবী করে- যারা নিজেকে পীর রূপে প্রতিষ্ঠিত করে। এদের বহুভক্ত বা মুরীদ আছেন।
ভারত বর্ষের বিখ্যাত জাদুকর পি. সি. সরকার (প্রতুল চন্দ্র সরকার) জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩। মৃত্যু: ৬ জানুয়ারি ১৯৭১। জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের অশোকপুর নামে ছোট্ট একটা গ্রামের কুঁড়ে ঘরে। প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যে কাটে তার শৈশব। তিনি বলেছেন- আমি চিরজীবন শুধু ম্যাজিকের জগতেই বসবাস করেছি। স্বপ্নের রঙ গায়ে মেখে জীবন কাটিয়েছি। পৃথিবীর বহু দেশেই আমি গিয়েছি, সেখানকার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছি। যতই তাদের নৈকট্য বেড়েছে, আমি নিজের দেশকে আরো বেশি করে শ্রদ্ধা করতে, চিনতে পেরেছি। আমি পুরোপুরিভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশ ভারত।
পিসি সরকার, নিজেই বলেছেন, ম্যাজিক একটা শিল্প।
এতে বিজ্ঞান, টেকনোলজি, শারীরিক দক্ষতা আর শোম্যানশিপ সব-ই লাগে। কোনো অলৌকিক কিছুই নেই। প্রতুল বাবুকে অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিখ্যাত যাদুকর হতে হয়েছে। তিনি একটি মেস বাড়িতে থাকতেন। ম্যাজিক দেখিয়ে সংসার চালান দুঃসহ হয়ে উঠেছিল। গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারতেন না তিনি। ঠিক সেই সময়ে একটি চিঠি এসে হাজির। চিঠিতে তৎকালীন পশ্চিম বঙ্গের গভর্ণরের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে যাদুকর হিসেবে প্রতুলবাবুকে।
‘ম্যাজাই’ থেকে ‘ম্যাজিক’ শব্দের উৎপত্তি।
ম্যাজিকের অপর নাম পান্ডিত্য। বিশ্বকবির ভাষায়- “যেটা যা হয়েই থাকে, হয় না যা, তা-ই হল ম্যাজিক ট্রফি”। একদিকে কলকারখানা অর্থাৎ ইন্ডাসট্রিয়াল শিল্প ,অন্যদিকে আছে প্রতিভা শিল্প। অন্তর্জগতের বহিঃপ্রকাশই হল প্রতিভা শিল্প। কবিতা, গান, ছবি আঁকা প্রভৃতি প্রতিভা শিল্পের অন্তর্গত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনও একটি কলমের কালি দিয়ে একটি সুন্দর ছবি আঁকা হল। এর কৃতিত্ব কলমের নয়, যিনি ছবিটি এঁকেছেন কৃতিত্ব তাঁর। এই প্রতিভা শিল্পের চরম বিকাশ হল ম্যাজিক। যে খুব ভাল তবলা বাজায়, তাকে তবলার যাদুকর বলা যায়। এভাবে ফুটবলের যাদুকর, হকির যাদুকর প্রভৃতির উল্লেখ করা যায়।
সবার জীবনের স্বপ্ন হল যাদুকর হবার, জগতের যাদুকর হবার।
কিন্তু সবাই পারে না যাদুকর হতে। পৃথিবীর সেরা যাদুকর ঈশ্বর-প্রকৃতি। যিনি প্রকৃতি, তিনিই ঈশ্বর। তিনি মহাজাগতিক। তাঁকে আঁকাও যায় না, ভাবাও যায় না। শুধুমাত্র কল্পনা করা যায়। ম্যাজিক হল এক ধরনের বিজ্ঞান, বুদ্ধিসত্ত্বার পরিচয় বহনকারী ঘটনা। প্রদীপ বাবুর মতে, একজন বিখ্যাত যাদুকর ছিলেন চীনদেশের কনফুসিয়াস। তাঁর কথাবার্তা শুনে সবাই ‘কনফিউস’ হয়ে যেতেন। মাথা চুলকে চিন্তা করতে হত সবাইকে। সব মনের কথা তালগোল পাকিয়ে যেত। তাঁর কথায়ই সবাইকে সায় দিতে হতো।
জুয়েল আইচ বাংলাদেশের একজন যাদুশিল্পী, বাঁশী বাদক ও চিত্রশিল্পী।
দেশের শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ইউনিসেফের অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করছেন। জাদুর প্রতি তাঁর ভালোবাসাটা উন্মাদনায় পরিণত হয় সিরাজগঞ্জের জাদুকর আবদুর রশিদের জাদু দেখে, আর বন্দে আলী মিয়ার রূপকথা পড়ে। একটু একটু করে জাদু শিখতে লাগলেন তখন থেকেই, নানা জনের কাছে। তাঁর বিখ্যাত জাদু কাগজ থেকে ডলার বানানো, চোখ বেধে গাড়ি চালানো, কাটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জোড়া লাগানো ইত্যাদি।
ইন্দোনেশিয়ার সমুত্রা দ্বীপে একটা এমন একটা যাদু বিধান আছে-
কোন নারীর সন্তান হচ্ছে না, তখন করা হয় কি একটা কাঠের ছোট শিশু বানিয়ে নিঃসন্তান রমনীটি কোলে বসিয়ে আদর করে! এর ফলে তার সন্তান হবে এমন ভাবা হয়! প্রাচীন হিন্দু সমাজে জন্ডিস (পান্ডুর) রোগের চিকিৎসার জন্য মন্ত্র পাঠ করে রোগীর চোখের হলুদ অংশ সূর্যের কাছে পাঠানো হত!
যাদু বিদ্যার প্রাচীন ইতিহাস যদি আমরা খুজে দেখতে চাই তাহলে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে সেই প্যালিওলিথিক যুগের গুহামানবদের গুহা চিত্রের দিকে। তবে যাদু বিদ্যায় যারা সবচাইতে বেশি ভূমিকা রেখেছে তারা হলো প্রাচীন মিশরীয়রা। যাদুর উৎপত্তি স্থল সম্পর্কে। বলা হয়, যাদুর উৎপত্তি বাবিল নামক স্থান থেকে। বাবিল হচ্ছে, ইরাকের একটি জায়গা। ইতিহাস এই শহরটিকে বেবিলন সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে স্বরণ করে।
ধর্ম বা যে কোন কিছুকেই টিকিয়ে রাখা যায় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
যাদুও টিকে যায় বিশ্বাসের উপর। হয়তো তা কুসংস্কার আবার হয়তো তার অস্তিত্ব আছে। ধর্মে বলা হচ্ছে অস্তিত্ব আছে। যুক্তি তর্কে ধর্ম বিশ্লেষণ করতে গেলে তা ধ্বসে পড়বে আর তাই ধর্মও টিকে আছে অন্ধ বিশ্বাসের উপর। আরজ আলী মাতুব্বর বলেছেন, বিজ্ঞান প্রত্যক্ষ ও অনুমানের উপর প্রতিষ্ঠিত, তাই বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে আমাদের সন্দেহ নাই। বিজ্ঞান যাহা বলে, তাহা আমরা অকুন্ঠ চিত্তে বিশ্বাস করতে পারি। অতীতে অনাবৃষ্টি, মহামারী, সন্তানের মৃত্যু, রোগশোক এসব দূর্ঘটনাকে অলৌকিক শক্তির কাজ মনে করত। পানি ছিটিয়ে জমিতে নাচত-বৃষ্টির জন্য। বিভিন্ন আচার ও রীতি পালন করে অলৌকিক শক্তির কাছে চেয়ে নেয়াই ম্যাজিক বা যাদু।
ছোট বেলায় আমিও উড়ার চেষ্টা করতাম কিন্তু আমি পারি নাই, মানুষ কি উড়তে পারে? হ্যাঁ একজন পারে। বলুন তো কে সে? এই শূণ্যে ভেসে বেড়ানো ম্যাজিকটা দেখে আমি রীতিমতো অবাক!! কি ভাবে David Copperfield উড়তে পারেন!! অবশ্যই হয়তো সহজ কোনো কৌশল আছে।
৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা নেই। একেবারেই নেই।
ধরুন একটা কথা আপনি বলেছেন। আরেকটা কথা আমিই বলেছি। দুজনের কথা। এখন যদি দুজনের কথা আপনি মিলিয়ে ফেলেন তাহলেই সমস্যা।
ম্যাজিক আমার প্রিয় বিষয়। রাতের পর রাত ইঊতিউবে ম্যাজিক এর কৌশল গুলো দেখি। ভাল লাগে।
২| ৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: জাদু তো তবু ব্যখ্যা দেয়া যায় তার উপকারন এর উপর আর ধর্ম ব্যাখ্যা দিলে যদি ধর্ম ব্যবসায়ীর পক্ষে না যায় তাহলে কল্লা নাই ফতুয়া।।
৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট মূলত যাদুর উপরে। এবং একজন যাদুকরের উপরে। লেখার খাতিরে দুই লাইন ধর্ম চলে এসেছে। ধর্ম নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই।
৩| ৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪০
ফড়িং-অনু বলেছেন: আমিই ঈশ্বর, আমিই শয়তান, আমিই ধর্ম।
৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এটা ভাল বলেছেন।
৪| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যাদুর কথা বলতে গেলে ধর্মকে আনতেই হবে। কারণ যেদিন থেকে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে সেদিন থেকেই যাদুর উৎপত্তি হয়েছে। দুটোই এতো জটিল যে, ব্যাখ্যায় দাঁড় করানো যাবে না। লজিক যেখানে অসহায়। তাই ধর্ম ও যাদু দুটোই টিকতে পারে অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে।
এটা কথা একেবারে বাজে কথা। লজিকের বাইরে কোনো ম্যাজিক নেই। যে বুঝতে না পারে সে অন্ধ বিশ্বাদ দাড় করায়। ধর্ম আর ম্যাজিককে এক করা মূর্খতা। কিছু ভুয়া পীর সাহেবরা ম্যাজিকের কৌশল ব্যবহার করে লোক ঠকায় মাত্র।
৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: না আমি যা বলেছি তাতে লজিক আছে।
যেমন ধরেন সোয়ামান (আঃ) এর লাঠি। যাদুর লাঠি। নূহ (আঃ) এর নৌকা। এখানেও ম্যাজিক। এইসব ম্যাজিক নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ধর্ম এসে পড়বে। কিন্তু আমি ধর্ম থেকে দূরে থাকতে চাই।
৫| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি আবারও ভুল করছেন।
আমি বলেছি "লজিকের বাইরে কোনো ম্যাজিক নেই।" একটু খুজলেই প্রতিটি ম্যাজিক কি করে তৈরি দেখানো হত্যে তার ব্যাখ্যা পেয়ে যাবেন।
ধর্মের বিষয়ে আপনি সেটা পাবেন না।
৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি আমি বুঝতে ভুল করেছি।
আমি আপনার সাথে একমত।
৬| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বড়ই আচানক ঘটনা।
৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আচানক ঘটনা ঘটিয়ে দেখাবো।
৭| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২১
কামাল১৮ বলেছেন: ঈস্বরকে যারা সৃষ্টি করেছে তারা হলো বড় যাদুকর।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: তারা যাদুকর না। তারা নির্বোধ।
৮| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: প্রথমদিকে ধর্মগুলো সৃষ্টি হয়েছিল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য।শেষর দিকে ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টির জন্য।ধর্মের মাঝে বিভিন্ন উপধারা সৃষ্টি করে বিভেদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: অল্প কথায় অনেক তথ্য যোগ করেছেন।
কিছু পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা আছে- পড়তে পড়তে কনফুসিয়াস( কনফিউস) হয়ে যেতে হয়।
আমি এক সময় ম্যাজিসিয়ান হবার সপ্ন দেখতাম