নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টমাস অ্যালভা এডিসন

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১২:২৩



(বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন।
আমার বসার ঘরে এই মহান বিজ্ঞনীর একটা ছবি আছে। আমি বাধাই করে দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছি। আমার কন্যা ফারাজা এই ঘরে এলেই ছবিটার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। তখন আমি ফারাজাকে এই বিজ্ঞানীর গল্প শুনাই। সে মুগ্ধ হয়ে শুনে। আমি নিজেও ছোটবেলা থেকেই এই বিজ্ঞানীকে ভালোবাসি।)


১৮৫৭ সালের ১১ ফেব্রয়ারি।
আমেরিকার ওহিও রাজ্যের মিলান শহর। এক দম্পতির ঘরে পরপর একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান মারা যাবার পর- জন্ম নিল একটি পুত্র সন্তান। এডিসন শ্যামুয়েল নামক কাঠ ব্যবসায়ীর কথা বলছি। স্যামুয়েল পুত্রের নাম রাখলেন, 'টমাস অ্যালভা এডিসন'। ডাক নাম- অ্যাল। মাতা পিতাকে অনবরত কেন কি ইত্যাদি প্রশ্ন করে জ্বালিয়েছেন টমাস। কিন্তু অন্য শিশুদের মতো পিতামাতার মনগড়া উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট থাকেন নি। নিজে নিজে উত্তর খোঁজার প্রবল আগ্রহে দশ বছর বয়সেই তিনি বাড়ির সেলারে (মাটির নীচের ঘর) তৈরি করেছিলেন। সেখানে বসে রাজ্যের জিনিস নিয়ে অনবরত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যেতেন।

রসায়ন শাস্ত্রের প্রতি এডিসনের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা ছিল।
তাই তাঁর ল্যাবরেটরিতে দুই শ'র বেশি বোতলে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ভরা ছিল, প্রত্যেকটার গায়ে এডিসন সযতনে কাগজে নাম লিখে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ল্যাবরেটরিতে ছিল বই। প্রচুর বই। তিনি নয় বছর বয়সেই এমন সব বই পড়েছিলেন যা বড়রাও পড়তে ভয় পায়। যেমনঃ হিউম এর ‘ইংল্যান্ডের ইতিহাস’,
গিবন এর ‘রোম সাম্রাজ্যের ইতিহাস’,
ফ্রেসিলিয়াস এর ‘কোরলেটিভ আনালাসিস’,
সিয়ার এর ‘পৃথিবীর ইতিহাস’,
‘বিজ্ঞানের অভিধান’,
‘স্কুল অব ন্যাচারাল ফিজিক্স’ ইত্যাদি । নিউটনের লেখা ‘প্রিন্সিপিয়া’ বইটিও এডিসন প্রতিদিন একটু একটু করে পড়তেন, বোঝার চেষ্টা করতেন এর উচ্চতর গণিত বিষয়ক বিভিন্ন সূত্র গুলো ।

বাবা চাইতেন ছেলে সাহিত্যিক হোক।
তাই সেকালের বিভিন্ন রুচিশীল সাহিত্যের বই তিনি নিয়মিত ছেলের জন্য নিয়ে আসতেন। অতটুকু ছেলের সাথে সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করতেন। তবে এডিসনের সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় ছিল বিজ্ঞান বিশেষ করে রসায়ন। একটি বইয়ে তিনি পড়েছিলেন বেলুনে গ্যাস ভর্তি করলে তা আকাশে ওড়ে। তিনি ভাবলেন তাহলে তো মানুষের ভিতরে গ্যাস ভর্তি করে দিলে মানুষও আকাশে উড়বে। যেই ভাবা সেই কাজ।
কাজের ছেলে মাইকেল ওটসকে এডিসন ডাকলেন। একটি বোতলে সিডলিজ পাউডার ছিল। এডিসন ভেবেছিলেন ঐ পাউডার দিয়ে হয়তো অনেক গ্যাস তৈরি হবে। তাই মাইকেল ওটসকে সিডলিজ পাউডার সবটুকু খাইয়ে দিলেন। ওটস এর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হলেও সে উড়তে পারেনি।

আরেকবার একটি মুরগীকে ডিমে তা দিতে দেখে এডিসন ভাবলেন, তিনিও ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটাতে পারবেন। হঠাৎ একদিন এডিসন উধাও হয়ে গেলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া গেল গোয়াল ঘরের একপাশে। সেখানে তিনি অনেক গুলো ডিমের ওপর বসে তা দিচ্ছিলেন।
এডিসনের এক বন্ধু ছিলেন, যিনি তাঁর যেকোনো বক্তব্যের প্রতিবাদ করতেন। একবার সেই বন্ধু কিছু টাকা ধার নিলেন এডিসনের কাছ থেকে। এডিসন এরপর থেকে লক্ষ করলেন যে, ধার নেওয়ার পর থেকে বন্ধুটি তাঁর কথার তেমন কোনো প্রতিবাদ করেন না। একদিন হলো কি, এডিসনের একটি মতবাদকে সেই বন্ধু সমর্থন করে বসলেন। তাতে এডিসন ভীষণ রেগে গেলেন। বললেন, 'হয় তুমি এই মতবাদের প্রতিবাদ করবে, না হয় আমার টাকা ফিরিয়ে দেবে।'

সার্বিয়ান বিজ্ঞানী টেসলা কাজ করতেন এডিসনের সাথে।
তিনি ঘূর্নায়মান চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর কাজ করতে গিয়ে এসি কারেন্টের দেখা পান। সাথে সাথে তিনি এসি কারেন্ট কি করে উৎপাদন, সরবরাহ এবং ব্যবহার করা যায়- সেটার উপরেও কাজ শুরু করেন। দুভার্গ্য এডিসনের। তিনি টেলসার কাজকে যথাযথ মূল্যায়ন করেন নি। টেসলার এসি পাওয়ার ট্রান্সমিশনের আইডিয়া এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে এডিসন বললেন, 'আইডিয়া বেশ চমৎকার। তবে তা বাস্তবতার সাথে বেমানান'। টেসলা ক্ষোভে চলে যান এডিসনকে ছেড়ে ওয়েস্টিংহাউসের কাছে, যোগ দেন ওয়েস্টিংহাউসের সাথে। ওয়েস্টিংহাউস এসিকে বাজারজাত করতে থাকেন।
টেসলার polyphase system, ট্রান্সফর্মার, এবং অন্যান্য আবিষ্কার দিয়ে শুরু হয় এসি সিস্টেমের যাত্রা। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের আবিষ্কার করা টেলিফোনে কথা খুব অস্পষ্ট শোনা যেতো। এডিসন কার্বন রিসিভার ও ট্রান্সমিটার আবিষ্কার করে এই ত্রুটি ঠিক করে দেন। সমসাময়িক সময়েই তিনি আবিষ্কার করেন ‘ফনোগ্রাফ’ নামক যন্ত্রটি।

টমাস ছিলেন খুবই হিসাবি মানুষ।
সব কাজেই তিনি কিছু না কিছু প্রাপ্তির চিন্তা করতেন। তাঁর একটি গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের বাড়ি ছিল, যেটাতে তিনি অদ্ভুত সব প্রযুক্তির খেলা দেখিয়েছিলেন। একদিন এক দর্শনার্থীকে তিনি বাড়িটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। আধুনিক সব যন্ত্রপাতিতে ভরা বাড়ির এক জায়গায় দেখা গেল একটি পুরোনো আমলের ভারী দরজা। ওটা ঘুরিয়ে পাশের ঘরে যেতে হয়। ওটা দেখে দর্শনার্থী খুবই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবকিছু এত আধুনিক হওয়া সত্ত্বেও এই দরজাটি এত পুরোনো আর ভারী কেন?’ এডিসন তখন হেসে জবাব দিলেন, ‘এটা রাখা হয়েছে দুটো কারণে। পুরোনো বলে সবাই এর প্রতি কৌতূহলী হয়ে ওঠে। তখন সে কষ্ট করে হলেও ভারী দরজাটি ঘোরায়। আর ওটা একবার ঘোরালে আমার বাড়ির ছাদের ট্যাংকিতে আট গ্যালনের মতো পানি ওঠে। এটি বানানোর পর থেকে ছাদে পানি ওঠানো নিয়ে আমাকে আর ভাবতে হয় না।

পিতার কাছ থেকে এডিসন যা হাতখরচ পেতেন তাতে তাঁর ল্যাবরেটরির খরচ যোগানো কঠিন হয়ে যেতো, তাই তিনি শুরু করলেন ফেরি করা। ট্রেনে ফেরি করে তিনি বাদাম, চকলেট ইত্যাদি বিক্রি করতেন। পরে শুরু করেন সংবাদপত্র বিক্রি করা। সমসাময়িক সময়ে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ চলছিলো। খবরের চাহিদা বেশি হওয়ায় নিজেই একটি পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করলেন। নাম দিলেন 'হেরাল্ড'। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি এই কাজ শুরু করেন। সে কাগজে দু'চারটি বানান ভুল, বাক্য ভুল থাকলেও কাগজটি ভালই চলেছিল। যুদ্ধের তাজা খবর, স্থানীয় খবর, গুজব ইত্যাদি প্রকাশ করতেন তিনি। তাই সেসময় কাগজটি খুব বিক্রি হচ্ছিল। অনেক টাকা লাভ হলেও এডিসনের হাত প্রায়ই খালি থাকতো। ল্যাবরেটরিতে গবেষণা ও বই কেনার পিছনেই তাঁর বেশিরভাগ টাকা খরচ হয়ে যেতো। রেলে খবরের কাগজ বিক্রি করতে গিয়ে তিনি দেখলেন একটি খালি কামরা অব্যবহৃত পড়ে আছে। তখন সেটাকেই তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নিজের ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর করলেন। এখানে কাজ করতে করতেই তিনি বিদ্যুৎ শক্তি সম্পর্কে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেন। বিদ্যুৎ সম্পর্কে কৌতুহল তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায়।

একদিন এডিসন লক্ষ করলেন, একটি ছেলে রেল লাইনের উপর খেলা করছে।
দূরে একটি ওয়াগন এগিয়ে আসছে। ছেলেটির সেদিকে নজর নেই। বিপদ আসন্ন বুঝতে পেরে হাতের কাগজ ফেলে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন লাইনের উপর। আর ছেলেটি কেউ নয়, স্টেশন মাস্টারের একমাত্র ছেলে। কৃতজ্ঞ স্টেশন মাস্টার যখন এডিসনকে পুরষ্কার দিতে চাইলেন, এডিসন সে সময় টেলিগ্রাফ শেখবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্টেশন মাস্টার রাজি হলেন মহানন্দে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই এডিসন টেলিগ্রাফি শেখা রপ্ত করে নিলেন। এর সঙ্গে সাংকেতিক লিপি ও তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হলেন।

এক মহিলা এডিসনকে আক্রমণ করে বললেন, ‘আপনি কী এমন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করতেই থাকে। আর এটা নিয়ে এত মাতামাতি কেন আমি বুঝি না। আপনাকে ইতিহাস কখনোই ক্ষমা করবে না…ইত্যাদি’। মহিলার থামার কোন লক্ষণই নেই। ওদিকে এডিসন চুপচাপ মহিলার বিষোদ্গার শুনে যাচ্ছেন। একসময় বক্তৃতার পালা এল এডিসনের। তখন তিনি ঐ মহিলাকে বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি প্রথম থেকেই ভুল করে যাচ্ছিলেন, কানের কাছে সারাক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করার মতো যন্ত্র আমি আবিষ্কার করিনি, করেছেন ঈশ্বর। আমি যে যন্ত্র আবিষ্কার করেছি তা ইচ্ছে মতো থামানো যায়।’

আধুনিক সিডি প্লেয়ারের এই প্রাথমিক ও সরল যন্ত্রটি আবিষ্কার করতে এডিসনকে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল।
সবচেয়ে মজার ঘটনাটি ঘটেছিল এর প্রদর্শণ অনুষ্ঠানে। হলভর্তি লোকের সামনে যন্ত্রটি যখন এডিসনের প্রিয় কবিতা 'মেরি হ্যাড এ লিটিল ল্যাম্ব' কবিতাটি আবৃতি করছিল তখন বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী এক ব্যক্তি হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়লো। মঞ্চে উঠে এডিসনের গলা চেপে ধরে বললো- 'এই প্রতারকের গলা থেকে শব্দ বেরোচ্ছে'। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে যন্ত্রটি তখনও কবিতা আবৃতি করে যাচ্ছিল।

এডিসনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিষ্কার হল- বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার।
আকাশের বিদ্যুতকে মানুষ তখন ব্যাটারিতে আটকাতে পেরেছিলো। তারপরও কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি যে তা থেকে আলো পাওয়া সম্ভব। এডিসন নিজ মেধা ও প্রচেষ্টায় সেই অলৌকিকতাকে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে অক্টোবর মাসে তিনি স্থানীয় পার্ক বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন। আধুনিক যুগের সিনেমার আবিষ্কারকও ছিলেন তিনি। ১৮৯৭ সালের ২৭ এপ্রিল নিউইয়ের্কে হাজার হাজার দর্শকের সামনে এডিসন তাঁর ‘কাইনেটোস্টোপ’ নামক যন্ত্রের সাহায্যে চলমান ছবি দেখিয়েছিলেন।

শিল্প জগতে জন্ম দিয়েছেন নতুন একটি যুগের।
তিনি সিমেন্ট, আধুনিক সহজে বহনযোগ্য ব্যাটারি, রাবার ইত্যাদি আবিষ্কার করেছেন। অধ্যবসায়ী এডিসন পরাজয় কাকে বলে তা চিনতে শেখেননি। পরবর্তী সফল জীবনে বিভিন্ন জায়গার ভাষণে তিনি একটা কথাই বারবার বলতেন- 'প্রতিভার ষোল আনার চৌদ্দ আনাই হল পরিশ্রম, বাকী দু আনা প্রেরণা'। তিনি ২৪ ঘন্টায় ৪ ঘন্টার বেশি ঘুমাতেন না। তিনি বলতেন- 'আমরা খুব বেশি ঘুমাই। এত ঘুম আমাদের ক্ষতি ছাড়া লাভের কারণ হয় না'। আর জি পার্কারের লেখা স্কুল অব নেচারাল ফিলোসফি এবং দ্য কুপার ইউনিয়ন বইটি থেকে তিনি অনেক জ্ঞান লাভ করেছেন বলে জানা যায়। শৈশবেই এডিসন শ্রবণ সমস্যায় ভুগতেন।

শৈশবে এডিসন ‘বোকা’ উপাধি পেয়েছিলেন বন্ধু, শিক্ষক, পরিবারের কাছ থেকে এবং পড়াশোনায় বিশেষ করে অংকে খুবই কাঁচা ছিলেন। স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্ররা এ নিয়ে তাঁকে পরিহাস করলে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে মায়ের বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতেন। তাঁর মামাতো বোন পরবর্তীকালে বলেছিলেন- 'অ্যাল খুব শান্ত সুবোধ ছিল'। কিন্তু যখন গোঁ ধরতো তখন আর কোন কথাই তাকে শোনানো যেতো না। তাকে আমি খুব মারতাম। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশ ভাবও হয়েছিল'।

এডিসন পড়া ও পড়ার বাইরে পছন্দ করতেন থিয়েটার দেখা ও দেশ ভ্রমণ।
অল্প বয়স থেকেই এডিসন পড়ার প্রতি যে আগ্রহ নিজের ভেতরে বোধ করেছেন তা থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। কিন্তু এ কারণে তাঁকে অনেকে হিংসা করতো। ১৯২১ সালে তাঁর ৭৫ বছর পূর্ণ হয়। নিউইয়র্কের টাইমস পত্রিকা আমেরিকার মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তি 'কে' তা যাচাইয়ের জন্য একটি জরীপ করে। ফলাফল অনুসারে দেখা যায় সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তি ‘টমাস অ্যালভা এডিসন’। ফ্রান্সে তাঁকে দেয়া হয় ‘কমান্ডার অব লিজিয়ন অনার্স’ উপাধি, ইতালিতে তাকে ‘কাউন্ট’ উপাধি দেয়া হয়। তাঁর নিজ দেশ আমেরিকায় তিনি দেশসেবার জন্য স্বর্ণপদসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন, ভূষিত হয়েছেন বহু সম্মানজনক উপাধিতে। এই বিজ্ঞানীকে নিয়ে তাঁর মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক পত্রিকায় ছাপা হয়, ‘মানুষের ইতিহাসে এডিসনের মাথার দাম সবচেয়ে বেশি। কারণ এমন সৃজনী শক্তি অন্য কোনো মানুষের মাঝে দেখা যায় নি।’

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



জন্ম নিয়েছিলেন এক শক্তিশালী সমাজে, যেখানে মানুষ উনাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের অবদান মনে হয় সবচেয়ে কম।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১২:৪০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: পড়লাম, আর ফারাজার মতোই মুগ্ধ হলাম।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন:

আপনার জন্য আমার কন্যার একটি ছবি।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৭

ফড়িং-অনু বলেছেন: দুইবার পড়া হয়ে গেলো।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৩:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞানীরা মানব প্রজাতির যতটুকু উপকার করেছে ধর্ম প্রচারকরা যদি তার এক আনাও করতো তা হলে পৃথীরি আজ অন্য রকম থাকতো।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম প্রচারকরা আসলে ধান্ধাবাজ।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ৭:০৭

সোহানী বলেছেন: দু:খিত এডিসন কে কোনভাবেই মহান বিজ্ঞানী বলতে পারছি না্। উনি ছিলেন আপাতমস্তক একজন ধুরন্ধর ব্যবসায়ী। অনেক অনেক বিজ্ঞানীর মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেয়ে তাদের কৃতীত্ব চুরি করেছিলেন। বিজ্ঞানী টেসলাকে পথের ফকির বানিয়েছিলেন তিনি।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: টেসলা ভাল মানুষ ছিলেন না। লোভী ছিলেন।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১১:০১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ভয়াবহ জিনিষ।
আমাদের ২ বছর জালিয়েছিলো মনে আছহে ২০০৯- ২০১১ ভয়াবহ পোকা এইটা।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.