নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার ছোটবেলার।
(কোনো একদিন স্বপ্ন নিয়ে সমস্ত তর্ক-বিতর্কের অবসান হয়তো হবে, হয়তো হবে না। রহস্যময় স্বপ্নকে ঘিরে থাকা রহস্য হয়তো রহস্যই থেকে যাবে। তবু স্বপ্নকে কেন্দ্র করে মানুষের আগ্রহের শেষ হবে বলে মনে হয় না!)
মানুষ ঘুমকে স্বর্গীয় অনুভূতির সাথে তুলনা করে।
মায়ের গর্ভ থেকে জন্মলাভের সময়েই সন্তান গভীর ঘুমে থাকে, কিংবা অধিক বৃদ্ধ বয়সে ঘুমের মাত্রা যায় বেড়ে- যেমনটি হয় সন্তান জন্মলাভের পর তার ঘুমের মাত্রা বেশি থাকে। যারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন না তাদের ধারণা তারা স্বপ্ন দেখে না। আসলে প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখে। রঙ্গিন টেলিভিশন আবিস্কারের পর থেকে মানুষের সাদাকাল স্বপ্ন দেখার হার কমে গেছে! মানুষ জীবনের ৩৩% সময় ঘুমিয়ে কাটায়। স্বপ্ন মানুষের ঘুমন্ত জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ।
স্বপ্নে নিজের কাছে নিজের নানা রকম আবেগ, তথ্য ও তত্ত্বের প্রকাশ ঘটে।
স্বপ্নের মূল উপাদান তৈরি হয় স্বপ্নদ্রষ্টার দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও কর্ম থেকে। এবং স্মৃতি থেকে। জন্মের তিন চার মাস পর থেকেই শিশুরা স্বপ্ন 'দেখা' শুরু করে। দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা ঘুম সময়ের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং কৈশোরে ঘুম সময়ের ২০ থেকে ২২ শতাংশ স্বপ্ন দেখে।
চল্লিশের পর থেকে ঘুম সময়ের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ স্বপ্ন দেখা হয়।
মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে স্বপ্ন দেখা তত কমতে থাকে। ক্লান্ত মানুষ প্রথম দুই ঘন্টা ঘুমানোর সময় স্বপ্ন দেখে না। তখন শরীর পূর্ণ বিশ্রাম নেয়। স্বপ্ন দর্শন কালকে 'rapid eye movement period' বলা হয়। স্বপ্নের সাথে আধ্যাত্মিকতার সম্পর্ক নিবিড়। স্বপ্ন দেখার জন্যই মানুষকে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হয়। তা না হলে মানুষের শারিরীক বিশ্রামের জন্য ২/৩ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট। স্বপ্নে 'রশি' দেখার অর্থ হল, ওয়াদা, অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি। এ ব্যাখ্যাটি আল কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। তোমরা আল্লাহ তাআলার রশিকে শক্তভাবে ধারণ করো। (সূরা আলে ইমরান: ১০৩)
ঘুম থেকে জেগে উঠার পর অধিকাংশ স্বপ্নই ঠিকঠাক মনে থাকে না।
অনেক সময় ঘুম ভাঙ্গার পর পর স্বপ্ন মনে থাকে কিন্তু যতই সময় যেতে থাকে স্বপ্ন ততই বিষ্মৃতিতে চলে যায়। ঘুম ভাঙ্গার পর দেখা স্বপ্ন মানুষ যখন অন্যের কাছে বর্ণনা করে তখন সাধারণত মানুষ মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়। স্বপ্ন এতটা সাজানো গোছানো থাকে না যতটা সাজিয়ে গোছিয়ে মানুষ তা বর্ণনা করে। স্বপ্নের ব্যাখ্যা কোন বইয়ে থাকতে পারে না। স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা কেবল জানতে পারে স্বপ্নদ্রষ্টা নিজে। রাতে ঘুমাবার আগে ২১ বার বলতে হবে- আজ রাতে আমি যে সব স্বপ্ন দেখবো তার প্রত্যেকটি স্বপ্ন মনে রাখবো এবং ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে তা লিখে রাখবো।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে যাকে বা যে বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে চায় সে বিষয়ে মনোনিবেশ করলে ইচ্ছা স্বপ্ন দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'রাজর্ষি' নাটকের কাহিনী স্বপ্নে পেয়েছেন, ইংরেজ কবি কোলরিজ তাঁর বিখ্যাত কোবলা খান কবিতাটি স্বপ্ন দেখে লিখেছেন, বিজ্ঞানী নিলস বোর পরমাণুর গঠন স্বপ্নে দেখেছেন, বিজ্ঞানী কেকুলে বেনজিনের গঠন-তত্ত্বটি স্বপ্নে দেখেন অর্থাৎ এক চিন্তা তাৎপর্যপূর্ণ স্বপ্ন সৃষ্টি করে। যারা বেশী সত্যবাদী তাদের স্বপ্নও বেশী সত্য হয়। স্বপ্নে নৌকা বা জাহাজ দেখার ব্যাখ্যা হল মুক্তি পাওয়া। এ লাইনটি আল কোরআনের এ আয়াত থেকে নেয়া হয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করেছি এবং উদ্ধার করেছি জাহাজের আরোহীদের। (সূরা আল আনকাবুত : ১৫)
নবিজি বলেছেন, 'ভাল স্বপ্ন হয়ে থাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং খারাপ স্বপ্ন হয় শয়তানের পক্ষ থেকে।
কেউ যদি এমন কিছু দেখে যা সে অপছন্দ করে তাহলে সে যেন তার বাম দিকে তিনবার থুতু ফেলে এবং শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়। তাহলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। [আল-বুখারী ৬৫৯৪; মুসলিম ৫৮৬২] থুথু ফেলা বলতে এখানে এমন থুতু ফেলা বুঝানো হয়েছে যাতে মুখ থেকে শুষ্ক বাস্পাকারে বের হওয়া থুতু বুঝানো হয়েছে যাতে মুখের লালা মিশ্রিত থাকেনা।
ফ্রয়েড (Sigmund Freud), যার অবদান মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য, তিনি বিশ্বাস করতেন স্বপ্ন হলো অবচেতন মনের ভাবনা। এই তত্ত্ব আমরা অনেকেই জানি, হয়তো বিশ্বাসও করি, কিন্তু বিস্ময়কর সত্য হলো, এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা ঐক্যমতে পৌঁছাতে সক্ষম হননি। ১৯৫৩ সালে যখন অ্যাসেরিন্সকি (Eugene Aserinsky) নামধারী একজন গবেষক সর্বপ্রথম ঘুমন্ত বাচ্চাদের মধ্যে আর.ই.এম. (REM / Rapid Eye Movement) আবিষ্কার করেন, তারপরেই বৈজ্ঞানিকরা ঘুম এবং স্বপ্ন নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে গবেষণা শুরু করেন।
দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনার জট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে স্বপ্ন। মনের অন্তরালের গভীর অনুভুতি গুলোকে বাইরে বের করে আনে। আবার মানুষকে কোনো কাজে অনুপ্রাণিতও করে স্বপ্ন। স্বপ্নে কাঠ দেখার ব্যাখ্যা হল, মুনাফেকী বা কপটতা। এ ব্যাখ্যাটি আল কোরআনের এ আয়াত থেকে নেয়া হয়েছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের সম্পর্কে বলেছেন: যেন তারা দেয়ালে ঠেস দেয়া কাঠের মতই । (সূরা আল মুনাফিকুন: ৪)
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব লোক স্বপ্ন দেখে না তারা দুশ্চিন্তায় ভোগে বেশি।
সেই সঙ্গে তাদের মন:সংযোগ করতেও বেশি সময় লাগে। যদি কেউ ভাল স্বপ্ন দেখে তাহলে তার তিনটি কাজ করতে হবে:
১। আল্লাহ তাআলার প্রশংসা স্বরূপ আল হামদুলিল্লাহ বলতে হবে।
২। এটা অন্যকে সুসংবাদ হিসাবে জানাবে।
৩। স্বপ্ন সম্পর্কে এমন ব্যক্তিদেরকে জানাবে যারা তাকে ভালোবাসে।
হাদীসে এসেছে, নবীজির কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি স্বপ্নে দেখেছি, আমার মাথা কেটে ফেলা হয়েছে। এ কথা শুনে নবীজি হেসে ফেললেন। আর বললেন: ঘুমের মধ্যে শয়তান তোমাদের কারো সাথে যদি দুষ্টুমি করে, তবে তা মানুষের কাছে বলবে না।
পাথর স্বপ্ন দেখলে তার ব্যাখ্যা হবে অন্তরের কঠরতা ও পাষন্ডতা।
এ ব্যাখ্যাটি আল কোরআনের এ আয়াত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা বলেন: অত:পর তোমাদের অন্তর গুলো কঠিন হয়ে গেল, যেন তা পাথরের মত কিংবা তার চেয়েও শক্ত। (সূরা আল বাকারা: ৭৪) ইরাকের শাসক হাজ্জাজ বিন ইউসূফ একদিন স্বপ্নে দেখলেন, আকাশ থেকে বেহেশতের হুর সাদৃশ দুটো দাসী অবতীর্ণ হল। একজনকে তিনি ধরতে পারলেন অন্য জন আকাশে উঠে গেল। স্বপ্ন দেখে তিনি খুব খুশী হলেন। ২০০২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হওয়ার পর বহু আমেরিকাবাসীর বায়োলজিক্যাল ক্লকের সার্কেডিয়ান রিদম পাল্টে গেছে। আমাদের সমাজেও এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখি। একমাত্র সন্তানের অকাল মৃত্যু বহু মা-বাবার রাতের ঘুম চিরতরে কেড়ে নিয়েছে। পরীক্ষার ঠিক আগে বহু ছাত্র-ছাত্রীই রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে না।
আদিমকালে মানুষ ভাবতো ঘুমের মধ্যে মানুষের আত্মা দেহ থেকে বের হয়ে আসে।
তারপর ঘুরে বেড়ায় চারপাশের জগতে। তাই মানুষ স্বপ্ন দেখে। প্রাচীন গ্রীক-রোমানরা ভাবতো স্বপ্ন বিশ্লেষণ করলে হয়তো ভবিষ্যত সম্পর্কে জানা যাবে। 'এক্টিভেশন-সিন্থেসিস' একটি তত্ত্ব বলে যে স্বপ্নের আসলে কোন অর্থই নেই। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য স্তন্যপায়ী যেমন বিড়ালেরাও যে স্বপ্ন দেখে।
অনেকগুলো নিউরন কোষের সমন্বয়ে তৈরি হয় মানুষের মস্তিষ্ক।
নিউরন কোষগুলো সংকেত প্রেরণ করে বিদ্যুত-তরঙ্গের মাধ্যমে। জেগে থাকা, আধঘুম-আধজাগরণ, গভীর ঘুম, উত্তেজিত ইত্যাদি অবস্থায় মস্তিষ্কের বিদ্যুতিয় তরঙ্গের বিভিন্ন রকমফের দেখা যায়। মস্তিষ্ক সাধারণত চার ধরনের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ তৈরি করে- ডেল্টা, থেটা, আলফা ও বেটা। স্বপ্নের মাধ্যমে মস্তিষ্ক আমাদের আবেগগুলো প্রক্রিয়াজাত করে। আবেগের স্মৃতি তৈরি করে। আমরা স্বপ্নের মধ্যে অনেক কিছুই দেখি। বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাই। প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনা কিংবা অভিজ্ঞতা যে বাস্তব হতে হবে তার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা গুলোর সাথে যে আবেগ জড়িত সেগুলো পূর্ণমাত্রায় বাস্তব। মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহে ঘাটতি পড়লে আমাদের ঘুম পায়।
কিছু স্বপ্ন কিন্তু মানুষকে বিভিন্নভাবে অনুপ্রাণিতও করে থাকে।
এখন এমন কিছু স্বপ্নের কথা বলবো যে- স্বপ্ন গুলোর সাথে কম-বেশি সবাই পরিচিত। এই স্বপ্নগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে মুভি এবং কালজয়ী গল্প-উপন্যাস। হ্যাঁ, এই ঘটনাগুলো স্বপ্নে প্রাপ্ত এবং যারা এই স্বপ্নগুলো দেখেছিলেন তারা স্বপ্নে প্রাপ্ত এই ঘটনাগুলো বিফলে যেতে দেননি। পৌঁছে দিয়েছেন মানুষের কাছে।
২০০৩ এর জুন, Stephenie Meyer একটি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তিনি স্বপ্নে দেখেন, একটি তরুন ও তরুণী সবুজ তৃণভুমিতে শুয়ে আছে এবং তাদের ভালবাসা কেনো সফল হবেনা সেই ব্যাপারে আলোচনা করছে। Stephenie Meyer তার ব্যাক্তিগত ব্লগে এ ব্যাপারে লেখেন, 'খুব সাদাসিধা সুন্দরী একটি মেয়ে যে ভালোবেসে ফেলেছে এমন একটি ছেলেকে যার সাথে তার মিল হবে না কারন, ছেলেটি সাধারন মানুষ ছিলো না। সে ছিলো 'ভ্যাম্পায়ার' বা মানুষের 'রক্ত-চোষক' প্রজাতির। সে মেয়েটির রক্তের ঘ্রান পেয়েও তাকে মারতে পারছিলো না কারন, মেয়েটিকে সে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেছিলো'। ব্যাস, স্বপ্নে দেখা এই ঘটনাটি নিয়েই তিনি লেখা শুরু করে দেন একটি অন্যরকম প্রেম কাহিনী। পরবর্তীতে তার লেখা এই উপন্যাসটি নিউ ইয়র্ক টাইমসের নাম্বার ওয়ান 'বেষ্ট সেলার' নির্বাচিত হয়।
আব্রাহাম লিঙ্কন একদিন স্বপ্ন দেখলেন, ফুলে সাজানো একটি কফিনকে ঘিরে কালো পোশাক পরা বহু মানুষের ভিড়। ভিড় সরিয়ে উঁকি দিয়ে লিঙ্কন দেখলেন যে সেই কফিনে তিনি নিজেই শুয়ে আছেন। এই স্বপ্ন দেখার ঠিক পরের দিনই আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান।
'স্টিফেন কিং' এর নাম আমরা সবাই জানি।
আমেরিকার প্রচণ্ড জনপ্রিয় একজন লেখক। একবার তিনি প্লেনে কোথাও যাচ্ছিলেন এবং দীর্ঘ যাত্রার কারনে একসময় তিনি ঘুমিয়ে পরেন। তখন তিনি স্বপ্নে দেখেন, একজন ভক্ত তার নিজের সবচেয়ে প্রিয় লেখককে কিডন্যাপ করে এবং মুক্তিপনের জন্য আরেকজনের হাতে তুলে দেয়। যখন কিং ঘুম থেকে জেগে উঠেন তিনি এটি নিয়ে গল্প লেখার জন্য এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন যে, প্লেন থেকে নেমে এয়ারপোর্টে বসেই তিনি ৪০/৫০ পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখে ফেলেন। পরবর্তীতে 'MISERY' উপন্যাসটি 'বেষ্ট সেলার' নির্বাচিত হয় এবং হলিউডে এর সফল একটি মুভিও তৈরি হয়।
অনেকে যেমন চাইলেই ঘুমের কোলে ঢলে পড়তে পারেন, অনেকে তা পারেন না।
অনেক সাধ্যসাধনা করে তাকে ঘুম আনতে হয়। নরম বিছানায় শুয়ে, আলো নিভিয়ে, ফুল স্পিডে ফ্যান চালিয়ে, অন্য সবাইকে জোরে কথা বলতে বারণ করে অনেককে নিদ্রা দেবীর সাধনায় বসতে হয়। চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ থাকতে হয়, নানা উল্টাপাল্টা চিন্তা মাথায় এসে জোটে, কিছুক্ষণ থেকে আবার চলেও যায়। ধীরে ধীরে বাইরের জগতের সঙ্গে মানসিক সম্পর্ক ছিন্ন হতে থাকে, শিথিল হতে থাকে দেহের নানা মাংসপেশি। ঘাড়, পিঠ, পা এবং হাতের উপরের দিকের পেশি প্রথমে শিথিল হয়, তারপর হয় হাত-পায়ের আঙুল, পায়ের পাতা, হাতের নিচের দিকের পেশি। এরপর দেহের ছোট পেশি গুলো শিথিল হতে থাকে।
স্বপ্ন দর্শন থেকে সৃষ্টির অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বহু মানুষ। প্রখ্যাত রসায়নবিদ কেকুলে একবার স্বপ্নে দেখলেন একটি সাপকে, যে তার শরীরটাকে রিংয়ের মতো বাঁকিয়ে নিয়ে নিজের লেজে নিজেই চুমু খাচ্ছে। এই স্বপ্ন থেকেই কেকুলে নাকি খুঁজে পেয়েছিলেন কার্বনের গঠন সংকেত।
আপনার প্রতিটি রঙিন স্বপ্ন পূরণ হোক।
স্বপ্ন থেকে আমাদের অনেক কিছু জানার আছে, বোঝার আছে। আছে কিছু জটিল; কিন্তু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: গরিবদের স্বপ্ন খুব কম সত্যি হয়।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখাটি সম্ভবতো কপি করা। কয়েকটি অংশে।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: কপির লিংক গুলো সংগ্রহ করতে গেলে ৫০/৬০ টা লিংক হয়ে যাবে।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল-কুরআনে বলা হয়েছে ‘আল্লাহ জীবের রুহ কবজ করে নেন মৃত্যুর সময় এবং যাদের মৃত্যুর সময় আসেনি তাদের রুহও কবজ করেন তাদের নিদ্রাকালে। অত:পর তিনি যাদের ব্যাপারে মৃত্যুর ফায়সালা করেছেন, তাদের রুহ রেখে দেন এবং অন্যদের রুহ পাঠিয়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে। (সুরা যুমার-৪২)
তাই ঘুমের সময়ও আমাদের আত্মা আমাদের দেহে থাকে না।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবুওয়তে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, বাকী আছে কেবল মুবাশশিরাত (সুসংবাদ)। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, মুবাশশিরাত কী? তিনি বললেন: ভাল স্বপ্ন। (সহীহ বুখারি)
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন ধরণের। ১) মনের কল্পনা ২) শয়তানের কুমন্ত্রনা ৩) আল্লাহর তরফ থেকে।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বিজ্ঞানের সাথে যাব।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কিছু কিছু মানুষের চেহারা এমন হয় যে, তাকে দেখলে মনে হয় কোথাও আগে দেখেছি। আপনার চেহারাও তেমন।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: হয়তো আপনার সাথে দেখা হয়েছে।
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নজসু বলেছেন:
এই ছেলেটি কি কখনও স্বপ্ন দেখেছিলো যে সে বড় হয় একদিন জনপ্রিয় ব্লগার হবে।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন অতি সাধারণ ব্লগার। ভালো ব্লগার নই।
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নজসু বলেছেন:
এই ছেলেটি কি কখনও স্বপ্ন দেখেছিলো যে সে বড় হয়ে একদিন জনপ্রিয় ব্লগার হবে।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালো লাগলো
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বাবু। ভালো থাকবেন।
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১০:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: কিছু বিজ্ঞান কিছু ধর্ম এবং কিছু কুসংস্কার সব মিলিয়ে একটা সুন্দর খিচুড়ি হয়েছে।বৃষ্টির দিনে ভালই লাগছে।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
আজ ঢাকায় বৃষ্টি হয়নি। বেশ গরম।
৯| ০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:২৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: স্বপ্ন বেশীরভাগ সময়ই আমার মনে থাকে না। তবে আমি একটু ঘুম কাতুরে মানুষ। নিয়মিত প্রায় ৯ ঘন্টা ঘুমাই। কখনো কখনো টায়ার্ড থাকলে তা ১০/১১ ঘন্টাও হয়ে যায়।
এ নিয়ে একটা মজার ঘটনার আছে। ১৯৯৮ সালে মারাত্মক বন্যা হলো, পড়াশোনায় শিকেয় উঠলো। কিন্তু ৯৯-এ আমার এস.এস.সি পরীক্ষার ক'মাস আগে থেকে রাত-দিন পড়াশোনা করলাম। সারারাত পড়াশোনা করার অভ্যেস আমার ছিলো। পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর মা'কে বললাম আমি ঘুমাবো আমাকে ডিস্টার্ব করবানা। দুপুরে খেয়ে-দেয়ে দিলাম ঘুম। সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত, মা চিন্তায় পড়ে গেলেন, ছেলে বললো না বিরক্ত করতে কিন্তু রাতের খাবারতো খেতে হবে! মা, আলতোভাবে ঘুম থেকে জাগিয়ে আধো ঘুমের মধ্যে খাইয়ে দিতে লাগলেন। আমারও ক্ষুধা লেগেছিলো তাই গপাগপ আমিও খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষে মা মুখ মুছে দিলেন আর আমিও বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবাও শুয়ে পড়লাম, পুরো ব্যাপারটা ঘটেছে মনে হয় ৪/৫ মিনিটের মধ্যে। সারারাত গিয়ে সকাল হলো, আমার ঘুম শেষ হয়নি। মা কিছুটা বিরক্ত হয়ে ডাকাডাকি শুরু করলেন, বললো নাস্তা টেবিলে রাখো আমি উঠে খাবো। মা একটু রেগে গিয়ে সত্যি সত্যি খাবার ঢেকে রেখে দিলেন কিন্তু খাইয়ে দিলেন না। শেষমেষ ঘুম ভেঙেছিলো বেলা ১১/১২টার দিকে। ঘুম থেকে উঠে আর হাটার জো নেই, আধো খোলা চোখে কোনরকমে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। অবশ্য বড় ভাইয়া আর মা'র কিছুটা বকা শুনতে হলো। আমাকে কুম্ভকর্ণের উপাধি দেয়া হলো আর আমার এই ঘটনা পুরো পরিবারে ঠাকুরমা ঝুলির গল্পের মতো ছড়িয়ে পড়লো।
আরো একটা মজার ঘটনা আলো অন্য একদিন সময় নিয়ে লিখবো। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: একটা মানুষ ঘুমের ওষুধ ছাড়া এত ঘুমায় কি করে। আমি এত ঘুম দিতে পারি না। ৬ ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পারি না। ঘুম ভেঙ্গে যায়।
১০| ০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:৫২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটা মানুষ ঘুমের ওষুধ ছাড়া এত ঘুমায় কি করে। আমি এত ঘুম দিতে পারি না। ৬ ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পারি না। ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ঘুম আসার জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে ক্লান্ত থাকতে হবে। তাই ঘুমের বেশ কয়েক ঘন্টা (৪/৫) আগে অবশ্যই ব্যায়াম করুন এবং গোসল শেষ করে তারপর খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করুন। তারপরেও যদি ঘুম দীর্ঘ না হয় তবে ব্যায়ামের পরিমান বাড়িয়ে দিন, ঘুম আসতে বাধ্য। শরীর ক্লান্ত না থাকলে ঘুম কম হবেই।
০৫ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ এই কথা আমাকে একজন ডাক্তারও বলেছেন।
পরিশ্রম করি না বলেই আমার রাতে ঘুম হয় না।
১১| ০৫ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:০১
রানার ব্লগ বলেছেন: স্বপ্ন মানুষকে বাচিয়ে রাখে, ঘুম সুস্থতা নিশ্চিত করে।
০৫ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
১২| ০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭
মাকার মাহিতা বলেছেন: কায়িক পরিশ্রম ভালো ঘুমের সহায়ক। প্রমানিত।
০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক।
কামলা শ্রেণীর মানুষের এ জন্য ভালো ঘুম হয়।
১৩| ০৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:০১
মাকার মাহিতা বলেছেন: কামলা শ্রেনীর মানুষ যে আরামে ঘুমায়। আহা।
বেসিকেলি শরীরের ঘাম ঝরলেই ঘুম ভালো হয়, খাবারের রুচিও বৃদ্ধি পায়।
০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
গরীবেরা স্বপ্নে দেখে থাকে, ভালো কিছু খাচ্ছে।