নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলা অসুস্থ

০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

ছবি; আমার তোলা।

জীবনকে যারা বুঝে, বিশ্লেষন করে বাঁচতে চায়- তারা বড়ো দুঃখি মানুষ।
জীবন থেকে বড় কিছু প্রত্যাশা থাকা বড় খারাপ, মানুষের যত বড় প্রত্যাশা থাকে তত বড় দুঃখ পায়। আমি বড় বেশী খেয়ালি, দায়িত্ব জ্ঞানহীন, জীবনটাকে গুছিয়ে নেবার কোনো চেষ্টা নেই, সংসারে এতটুকু কাজে লাগবার জন্য মাথা- ব্যাথা নেই। জোর করে কিছুই চাই না। যা জোটে তাই গ্রহন করি, কোনো প্রত্যাশা রাখি না। মাঝে মাঝে ভাবি এই জীবন থেকে আনন্দময় স্বেচ্ছা নির্বাসন নিতে বাধা কোথায়? আমার ভয়াবহ সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমি কষ্ট পাই।

আমার হাতে একটি বিদেশী ম্যাগাজিন।
পাতা উলটাতেই চোখে পড়লো- Record Breakers of Filmfare Awards over the years:Film, Number of Filfare Awards.

Madhumati(1958)
1942 A Love story(1998)
Kaho na...Pyar hai(2000)
Kuch kuch hota Hai(1998)
Lagaan(2001)
Omkara(2006)
Guide(1966)
Upkar(1967)
Be-lman(1972)
Dewaar(1975)
Rang deBasanti(2006)
Mother India(1997)
Dilwale Dulhania Le Jayenge(1995)
Devdas(2002)

আমি বসে আছি ছোট চাচার অফিসে।
চাচা অফিসে নেই। অফিসের কাজে বাইরে গেছেন। কিছুক্ষনের মধ্যে এসে পড়বেন। আমি অপেক্ষা করছি। আর অপেক্ষা করছে নীলার একটি চিঠি। এই চিঠি আমি চুন্নু মামার চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে পড়ব। হাতে থাকবে জলন্ত সিগারেট।

গতকাল রাতে নীলার একটি চিঠি পেয়েছি।
নীলা অসুস্থ। আমাকে দেখা করতে বলেছে। আমি তার সাথে দেখা করলেই তার অসুখ নাকি ভালো হয়ে যাবে। তার অসুখের নাম ভালোবাসা। আর এই অসুখের ঔষধের নামও নাকি ভালোবাসা। আসলে নীলার কোনও দু:খ নেই, অতীতে ছিল না, বর্তমানেও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না, তবু নীলা দু:খ নিয়ে বিলাসিতা করে। এটা নীলার দু:খরোগ।

নীলাকে আমার খুব বলতে ইচ্ছা করছে- যিনি দুঃখ দেন তিনিই ভিতরের থেকে সার্থকতা দিবেন। তোমাকে দিয়ে ইশ্বর তার বিশেষ কাজ আদায় করে নেবেন একথা স্থির হয়ে আছে। সেই জন্য'ই তোমাকে এত দু;খ, কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। তুমি এক মুর্হুতের জন্য নিজেকে শক্তিহীন কল্পনা করো না। সময় এখনো আছে, জ্যোর্তিময় সত্যে তোমার ললাট উদ্ভাসিত হবে।

এক গভীর রাতে নীলা আমাকে ফোন করে চার লাইনের একটি কবিতা শুনিয়ে, জিজ্ঞেস করেছিলো- বলতো- এইটা কার লেখা। আমি বলতে পারিনি। আমি কেন বলতে পারলাম না এই দুঃখে মেয়েটা কেঁদে ফেললো। নীলার চোখে মনে হয় অনেক জল। খুব সামান্য ব্যাপারেই চোখ ভিজে উঠে। আর আমার বুকের মধ্যে যেন কেমন করে!

"When night is almost done,
and Sunrise grows so near
That we Can touch the spaces
It's time to smooth the hair."


আমার নীলা অসুস্থ। তাই মহান আকাশ মুখ ভার করে রেখেছে।
আমি আজ বিকেলে নীলার সাথে দেখা করতে যাবো। অনেক গুলো নানান রঙের ফুল নিয়ে। নীলার পাশে বসবো, হাত ধরবো, মাথায় হাত রাখব আর বলবো- 'এই যে আমি তোমার হাত ধরলাম, আর কোনো ভয় নেই। এখন তোমার সব অসুখ ভালো হয়ে যাবে। আমার হাতে অনেক মায়া আছে'। নীলা এতো আদর আর ভালোবাসা নিয়ে কেউ কি আর কখনও হাত ধরেছে কারো? নীলা আমার মতো ভালোবাসতে আর কেউ পারবে না। আমি জানি এতোটুকু কথায় নীলার চোখে জল ভরে উঠবে। কান্না ভেজা গলায় নীলা বলতে চাইবে- আমি নীলাকে থামিয়ে দিব। নীলা তোমার কিছু বলতে হবে না, আমি তোমার মনের সব কথাই বুঝতে পারি। কিভাবে বুঝতে পারি আমি নিজেও জানি না। তাই দেখ না বারবার তোমার কাছেই ফিরে আসি। তোমাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে নিজেই যে ব্যাথা পাই, তা সহ্য করতে না পেরে, নিজেই আবার তোমায় কাছে টানি।

তারপর নীলাকে আমার প্রিয় একটা কবিতা আবৃওি করে শুনাবো।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "কেউ কথা রাখেনি''। কোনো কারন ছাড়াই এই কবিতাটি আমার খুব ভালো লাগে।

বৃষ্টি হচ্ছে। খুব বৃষ্টি হচ্ছে।
মনের গতি এমন'ই বিচিত্র যে কিছুতেই তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আমি খুব অনুভূতি প্রবন এই মাঝরাতে এখন তাই-ই মনে হচ্ছে। এক একটা গানের নতুন করে মর্ম বুঝতে পারছি। অনেক ভুলে যাওয়া কবিতার লাইন মনে পড়ছে। রাতে খাওয়ার পর অনেকক্ষন ব্যালকনিতে বসে থাকি। এখন বর্ষাকাল, তবু এক সময় হঠাৎ আকাশ পরিস্কার হয়ে গিয়ে বেড়িয়ে পড়ে জ্যোস্না। মনটা খুশিতে ভরে যায়, মনে হয় যেন এই সবই এক অপূর্ব ইশ্বরের উপহার।

মাঝে মাঝে নীলার জন্য মনটা হু হু করে।
তবু আমি নীলার কাছে যাই না। এক সময় সব কিছু ফেলে নীলার কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছা করে কিন্তু আমি যাই না। সে ইচ্ছাটাকে অনুভব করি, তারপর দমন করি। তারপর চোখের পানি ফেলি।

"আমার বুকে কষ্ট আছে-
আছে বিশাল আনন্দ
প্রয়োজন মতো দু'টোই পাবে,
কষ্ট-আনন্দ নিয়ে হয়তো-
চলে যাচ্ছি দূরে।
দূরে থাকবো,তবু যেনো আছি
এক'ই আকাশের নীচে।"


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,




ভালোবাসার রোগে পেলে যে অসুখ হয় তার নাম "ভুলভুলাইয়া"।
ছিলেন তো ছোট চাচার অফিসে বসা। সেখান বসে অপেক্ষা করছেন নীলার চিঠির। এরপর আর কিছু নেই সেই অপেক্ষার পরবর্তী ঘটনার। চলে গেলেন অন্য কিছুতে..... আসল কথা ভুলে গেলেন কি ?

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা তন্দ্রা অবস্থায় লিখেছি।

২| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: এই পোস্টে আপনার উল্লেখিত সবগুলো হিন্দি ছবি আমার দেখা।


০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!!!
ভাল ভাল মুভি গুলো দেখে ফেলেছেন।

৩| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অবিবাহীত মানুষ প্রেমে পড়লে কবি হয়ে যায় আর বিবাহীত হলে হয়ে যায় আউলা-ঝাউলা।তখন কোথা থেকে কোথা যায় বা যাবে কিছুই ঠিক থাকেনা।

তয় ভাইজান, নীলার কষ্টে কষ্টিত না হয়ে সুরুভী ভাবীকে ভালবাসুন প্রাণখুলে তাহলে দেখবেন নীলাও ভাল আছে আর আপনিও সুখে আছেন এবং চারিপাশের সব কিছু স্বাভাবিক।

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধরুন সুরভি'ই নীলা।

৪| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: জীবন যারা বুঝে,তারা বড় দুঃখি মানুষ।নতুন করে অন্য ভাবে ভাবুন।

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন কঠিন মানুষ। দূর্দান্ত অভিজ্ঞ মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.