নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবি; আমার তোলা।
১। আইনস্টাইনের ‘থিউরি অফ রিলেটিভিটি’ অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানীই শুধু বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আবিষ্কারের ফলেই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বস্তরে পৌঁছে যায়। এক চুরুট কোম্পানি তো তাদের চুরুটের নামই রেখে ফেলে রিলেটিভিটি চুরুট। এ সময় আমেরিকা ভ্রমণের আমন্ত্রণ পেয়ে সস্ত্রীক রওনা হন আইনস্টাইন।
জাহাজ থেকে নামার মুহুর্তেই সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। একজন একেক রকম প্রশ্ন করতে থাকেন। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসেন, আচ্ছা বলুন তো মেয়েরা আপনাকে এত পছন্দ করে কেন? আইনস্টাইন মৃদু হেসে উত্তর দেন, আপনি জানেন কি না জানি না, মেয়েরা সবসময় লেটেস্ট ফ্যাশন পছন্দ করে, আর এ বছরের ফ্যাশন হল ‘থিউরি অফ রিলেটিভিটি’ আমাকেও ওটার অংশ হতে হয়েছে কি না!
২। হিটলার রাজত্বকালে ইহুদি বিদ্বেষের কারণে আইনস্টাইন পালান আমেরিকায়।
আইনস্টাইনের দেয়া আপেক্ষিকবাদ তত্ত্ব বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ নিয়ে আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার আপেক্ষিক তত্ত্ব সত্য হলে জার্মানরা বলবে আমি জার্মান আর ফ্রেঞ্চরা বলবে আমি বিশ্ব নাগরিক। যদি ভুল প্রমাণিত হয় তবে ফ্রেঞ্চরা বলবে আমি জার্মান আর জার্মানরা বলবে আমি ইহুদি। হিটলার পরিচালিত নাৎসিরা যখন নিষ্ঠুরভাবে ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা করছে এটা তখনকার গল্প: বার্লিনে ছদ্মবেশী হিটলার ঘুরছিলেন। এক সময় পা পিছলে সাঁতার না জানা হিটলার রাইন নদীতে পড়ে যান। তার চিৎকার-চেঁচামেচিতে পাশ থেকে একটা বালক এসে তাঁকে টেনে তীরে তুললো। হিটলার ছেলেটাকে বললেন, তোমার নাম কি? ছেলেটি নাম বলতেই হিটলার বললেন তার মানে তুমি ইহুদি। আর আমি হিটলার। অতঃপর হিটলার প্রাণ বাঁচানো স্বরূপ ছেলেটিকে বললেন, আমি তোমার একটা ইচ্ছা পূরণ করবো, বলো তুমি কী চাও? ছেলেটি বললো, একটাই অনুরোধ শুধু আমার বাবাকে জানাবেন না যে আমি আপনাকে বাঁচিয়েছি।
৩। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় এক ধর্মযাজক কথা প্রসঙ্গে আব্রাহাম লিংকনকে বলেছিলেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আসুন, আমরা বিশ্বাস রাখি এবং প্রার্থনা করি যে এই দুঃসময়ে মহান ঈশ্বর আমাদের পক্ষে থাকবেন।’ প্রতি-উত্তরে লিংকন একটু ভেবে নিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, ‘আপনি যাই বলুন না কেন, ঈশ্বর নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। কারণ আমি একথা জানি যে ঈশ্বর সব সময় ন্যায় ও সত্যের পক্ষেই থাকেন। এর চেয়ে বরং আসুন, আমরা সবাই প্রার্থনা করি, এই জাতিটা যেন সব সময় ঈশ্বরের পক্ষে থাকতে পারে।’
৪। জওহরলাল নেহরু যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন ক্রুশ্চেভ এসেছিলেনন ভারত সফরে।
নেহেরু ক্রশ্চেভকে নিয়ে পার্টি অফিসে সংবধর্নায় যোগদান করতে বের হলেন। হঠাৎ দূর থেকে রাস্তার পাশে এক ব্যাক্তিকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে ক্রুশ্চেভ মন্তব্য করলেন, 'ইন্ডিয়ানরা দেখি একেবারে অসভ্য, রাস্তায় দাঁড়িয়েই প্রকৃতির সাড়া দিচ্ছে'। নেহেরু এতে দারুণ অপ্রস্তুত হলেন এবং প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন। কিন্তু সেবার আর সে সুযোগ এলো না।
এরপর নেহেরু গেলেন মস্কোয়। ক্রুশ্চেভ তাঁকে নিয়ে 'মস্কো বেল' দেখাতে বের হলেন। অপ্রত্যাশিত ভাবে এবার নেহেরু সুযোগ পেয়ে গেলেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক ব্যাক্তি প্রস্রাব করছিলো। কিছু না বলে নেহেরু শুধু ক্রুশ্চেভের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলেন। ক্রুশ্চেভ অত্যন্ত বিরক্ত হলেন। লোকটি কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কে তুমি? লোকটা বিনীতভাবে বলল, 'স্যার, আমি ইন্ডিয়ান এম্বেসীর একজন কর্মচারী'!
৫। টমাস আলভা এডিসন যখন টাংস্টেন তারের পৃথিবীর প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্বটি আবিষ্কার করেন তখন তার ল্যাবে ভীষণ ভীড়-ভাট্টা, সাংবাদিক, বন্ধুবান্ধবে গিজগিজ করছে। বাল্বটি যখন প্রথমবারের মত জ্বলে উঠলো তখন সবাই আনন্দে হই হই করে উঠলো। এবার এডিসন সাবধানে বাল্বটি খুলে তার চাকরের হাতে দিয়ে বললেন, 'সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আসো'। সাবধানে বলার কারণেই কিনা এডিসনের বেকুব চাকর পৃথিবীর প্রথম বাল্বটি তৎক্ষণাৎ হাত থেকে ফেলে ভেঙে চুরমার করে দিলো। আশেপাশের সবাই হায় হায় করে উঠলো।
এর কিছুদিন পর দ্বিতীয় বারের মতো এডিসন বাল্বটি তৈরী করলেন। বলা যায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক বাল্ব। এবারও তার ল্যাবে ভীড় আগের মতোই। এবারও বাল্বটি জ্বলে উঠলো সবাই আনন্দে হই হই করে উঠলো এবং এবারও এডিসন বাল্বটি সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আসার জন্য তার চাকরকে ডাকলেন। সবাই আঁৎকে উঠলো, 'কি করছেন, কি করছেন, ঐ গাধাটা আবার বাল্বটা ভাঙবে, আপনি নিজ হাতে রেখে আসুন, নইলে আমাদের কারো হাতে দিন। এডিসন স্মিত হেসে বললেন- 'ও যদি এবারও বাল্বটা ভাঙে সেটা আমি আবার তৈরী করতে পারবো কারণ এর ম্যাকানিজমটা আমার মাথায় আছে; কিন্তু প্রথম বাল্বটি ভাঙ্গার পর আমার চাকরের আত্মবিশ্বাস ভেঙে যে চুরমার হয়েছে সেটা জোড়া লাগাতে বাল্বটা এবারও তার হাতেই দিতে হবে”'। চাকরটি অবশ্য বাল্বটি না ভেঙ্গে ঠিক জায়গায় রেখে আসতে পেরেছিলো।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যই খুবি ভাল লেগেছে রাজীব দা
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লেগেছে +
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১২
কামাল১৮ বলেছেন: গুনিজনের কাজ কারবার গুনিদের মতই হয়।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য।
৫| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগাদেশের স্কুলের বাচ্চারা ঘরে কোন ব্যক্তির (ফটো ) পোষ্টার রাখে?
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: স্প্রাইডারম্যান এর।
৬| ০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মজার সব কান্ড কীর্তি!
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১০
বিবাগী শাকিল বলেছেন: ইন্টারেস্টিং তো!
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৮| ১১ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
জহিরুল সরকার বলেছেন: আব্রাহাম লিংকন সত্য বলেছেন। যারা ঈশ্বরকে ব্যবহার করে বৈষয়িক স্বার্থে তাদের মোকাবেলায় প্রয়োজন প্রজ্ঞাবান সৎ মানুষের।
১২ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
রবিন.হুড বলেছেন: মজাদার ও তথ্যসমৃদ্ধ গল্প