নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
ব্যাক্তিত্ব আসলে সব মানুষের মধ্যেই থাকতে হয়।
ব্যাক্তিত্ব শুধু কবি সাহিত্যিকদের থাকবে এটা কেমন কথা! ব্যাক্তিত্ব খুবই বড় ব্যাপার। ব্যাক্তিত্বহীন মানুষ তো আসলে নিম্মস্তরের প্রানীর মতোণ। সেদিন শাহেদ জামাল একটা লেখা পড়েছে, একভদ্রলোক ব্যাক্তিত্ব নিয়ে লিখেছেন। ভালো লেখা। লেখায় অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট ছিলো। লেখক লিখেছেন- ''লেখকের টাকা পয়সা থাক বা না থাক কিন্তু ব্যক্তিত্ব থাকতে হয়। কবিতা, সাহিত্য, ভাষা, মানুষের সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতির ফসল হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিত্ব। লেখদের ব্যক্তিত্ব তাঁদের লেখার লাইনে লাইনে লেখা থাকে।'' চমৎকার কথা। যুক্তি সংগত কথা। লেখাটা পড়ে ইচ্ছা করেছে লেখককে নিজের হাতে বানিয়ে এক কাপ চা খাওয়াই।
হুমায়ূন আহমেদ সহজ সরল করে লিখতে জানতেন।
শাহেদ জামাল এক ছাগলকে দেখেছে সহজ বিষয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করতে। ছাগল পন্ডিতগিরি করতে নিয়ে নিজেকে নিম্মস্তরের প্রানীতে রুপান্তরিত করেছে। শাহেদ জামাল সেই ছাগলকে বলতে চায়- আগে তুই মানুষ। তারপর চেষ্টা করলে ব্যাক্তিত্ব অর্জন করতে পারবি। কিছু ছাগলের ব্যাক্তিত্বের আগে মানুষ হওয়া দরকার। কুটিল জটিল মানুষেরা এটা বুঝে না- আপনার কথা, আপনার দায়িত্ববোধ, আপনার কাজ দিয়েই আপনাকে পরিমাপ করবে সবাই। আপনি মানুষের সামনে যেটা প্রকাশ করছেন সেটাই আপনার ব্যক্তিত্ব। মানুষের যে নীতি ও আদর্শ তার লক্ষ্যের চুড়ান্ত সফলতায় পৌছে, এমন ব্যাক্তিত্বকেই মানুষ সম্মান করে বা অনুসরন করে। কাজেই জটিলতা কুটিলতা বাদ দিয়ে আগে মানুষ হতে চেষ্টা কর।
শাহেদ জামাল সকালে বাসা থেকে বের হয়েছে।
হোটেলে নাস্তা খেয়েছে। হোটেলের মালিক শাহেদ জামালের পরিচিত। পকেটে টাকা না থাকলেও এই হোটেলে নাস্তা খাওয়া যায়। মাস শেষে টাকা দিলেই হলো। শাহেদ জামাল সকাল ১১ টায় রমনা পার্কে এসে তার প্রিয় বেঞ্চটায় বসেছে। গাছপালা শাহেদ জামালের ভালো লাগে। দীর্ঘ সময় গাছপালার মাঝে থাকলে নিজেকে প্রকৃতির অংশ বলে মনে হয়। তাই তখন নিজেকে তুচ্ছ বলে মনে হয় না। রমনা পার্কটা নতুন করে সাজিয়েছে। পায়ে চলা পথ গুলো ভেঙ্গে গিয়েছিলো। সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। পুরো পার্ক জুড়ে কেমন একটা টিপটপ ভাব চলে এসেছে। দেখতে ভালো লাগে। এই রমনা পার্কটা শাহেদ জামালের বন্ধু। সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
সুন্দর একটা মেয়ে শাহেদের পাশে বসলো।
শাহেদ মেয়েটার দিকে তাকালো। মেয়েটার বসার মধ্যে কোনো জড়তা নেই। একদম সহজ সরল ভাব। সবচেয়ে বড় কথা মেয়েটা দেখতে ভীষন মিষ্টি! সুন্দর একটা মেয়ে শাহেদ জামালের পাশে বসে আছে। শাহেদের নিজেকে মিশরের সম্রাট বলে মনে হচ্ছে। শাহেদ জামাল ভাবছে পার্কে এত বেঞ্চ খালি থাকতে মেয়েটা তার পাশে বসলো কেন? খারাপ মেয়ে নয় তো? অবশ্য মেয়েটার চোখ, মুখ আর পোশাক দেখে দেখে সেরকম কিছু মনে হচ্ছে না। মেয়েটা শাহেদ জামালের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, আমার জন্য কি আপনার অস্বস্তি হচ্ছে? আমি কি অন্য কোথাও গিয়ে বসব? শাহেদ জামাল মুগ্ধ! কি সুন্দর কন্ঠ! কথা গুলো বললও কত সুন্দর করে! শাহেদ বলল, মোটেও না। আপনি আমার পাশে বসে আমাকে মহৎ করেছেন।
দুজন মানুষ তো পাশাপাশি বসে চুপ করে থাকতে পারে না।
মেয়েটা বলল, আমার নাম নিশাত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছি। শালার এমন সাবজেক্টে পড়েছি কোথাও চাকরী পাচ্ছি না। অবশ্য আমার চাকরী করার খুব প্রয়োজন নেই। আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। সবচেয়ে বড় কথা আমার বাপের যা সম্পদ আছে তা দিয়ে আমি পায়ের উপর পা তুলে একটা জীবন আনন্দে পার করে দিতে পারবো। কিন্তু দুঃখ হয়- শুধু শুধু লেখাপড়া করলাম। আমার লেখাপড়া দেশ বা সমাজের কোনো কাজে লাগলো না।
শাহেদ বললো, আপনি কোন বিষয়ে লেখাপড়া করলে সমাজের উপকার হতো বা বলা যায় সমাজকে কিছু দিতে পারতেন? নিশাত বলল, কথা বলার এত এত বিষয় থাকতে আমরা এরকম ফালতু বিষয় নিতে কথা বলছি কেন?
দুপুর দুইটা। যদিও বর্ষাকাল চলছে। কিন্তু বৃষ্টি নেই।
চারিদিকে কড়া রোদ। নিশাদ আর শাহেদ গেলো পুরান ঢাকায়। তাঁরা বিরানী খাবে। তাদের দুজনের মধ্যে খুব ভাব হয়ে গেছে। নিশাত বলেছে- আজ সারাদিনে যত খরচ হবে সব আমি দিবো। সব সময় ছেলেরাই শুধু খরচ করবে এটা কেমন কথা! আমি এই নিয়মটা ভাঙতে চাই। শাহেদ জামাল নিশাত নামের মহীয়সী নারীকে যত দেখছে তত মুগ্ধ হচ্ছে! তার এত খুশি লাগছে, ইচ্ছা করছে দুই হাত দিয়ে মেয়েটাকে জড়িতে ধরতে। মেয়েরা মনে হয় ছেলেদের মনের কথা বুঝতে পারে। নিশাত মিষ্টি হেসে বললো- তোমার চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে তুমি আমার উপর খুব মুগ্ধ! আমাকে জড়িয়ে ধরতে চাও! শাহেদ খুব লজ্জা পেলো। নিশাত বলল, তোমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। কারন, তোমার চোখে মুখে কোনো লোভ নেই।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মানুষই কুৎসিত নয় ভাইজান। একটু কম সুন্দর হতে পারে।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৩
রানার ব্লগ বলেছেন: লোভ হীন নারী/পুরুষ অসম্ভব!!
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আছে। আছে। বিশ্বাস করুন আছে।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বর্ষাকালের রোমান্টিক গল্প ।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: রোমান্টিক ব্যাপার স্যাপার আমার খুব ভালো লাগে।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক দিন পর লেখা শুরু।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ।
ব্যানে ছিলাম। ব্যান মুক্ত হয়ে আমি হাজির হয়েছি।
এখন থেকে কি কি লিখব সব লিস্ট করেছি।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ছাগল পাগলের গুষ্ঠি উদ্ধারের পুরস্কার
নিশাদ নামের সুন্দরীর কাছ থেকে জড়িয়ে
ধরার আহ্বান !! হয় হয় এমনই হয়
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: নিশাত'রা আছে বলেই শাহেদরা আজও বেঁচে আছে।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪২
ইসিয়াক বলেছেন: শাহেদ জামাল সিরিজটি কত পর্বে শেষ করার পরিকল্পনা আছে? সিরিজটি মোটামুটি ভালো লাগছে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: কত পর্বে শেষ হবে জানি না।
লিখতে থাকি। শাহেদ কে নিয়ে লিখতে আমার ভালো লাগে।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আহ ভালবাসা!
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের জীবনের ভালোবাসাটাই আসল।
৮| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: অর্জিত জ্ঞান তার ব্যক্তিতের প্রকাশ।তার সমস্ত কাজ কর্মে প্রকাশ পায় তার ব্যক্তিত্ব,লেখনি তার মাঝে অন্যতম।লেখা দেখেই বুঝা যায় সে কেমন।
কতো আর পুরান ঢাকায় খেতে যাবেন।রমনার ভিতরেই একটা প্রায় লেকের উপরে বারান্দার এক কোনায় বসবেন ভালো লাগবে।আমি বহুদিন বসেছি।আর না হয় দুই পা হেটে চলে যাবেন শাহবাগে।
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: অর্জিত জ্ঞান তার ব্যক্তিতের প্রকাশ।তার সমস্ত কাজ কর্মে প্রকাশ পায় তার ব্যক্তিত্ব,লেখনি তার মাঝে অন্যতম।লেখা দেখেই বুঝা যায় সে কেমন। খুবই সুন্দর কথা বলেছেন। আপনার মন্তব্য আমার খুবই ভালো লাগে। একটা লেখা পোষ্ট করে আমি মনে মনে আপনার মন্তব্যের উপেক্ষায় থাকি।
লেকের এই দিকটায় লোকজনের ভিড় বেশি হয়। শাহবাগে ভিড। শাহেদ জামাল ভিড় পছন্দ করে না।
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫৪
কুশন বলেছেন: শেষের প্যারাটুকুই ভালো লাগলো।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুকরিয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৮
হাবিব বলেছেন: আপনার পাশে কি শুধু মিষ্টি মেয়েরা বসে? কুৎসিৎ কেউ বসে না?