নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চায়ের দোকানের গল্প

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১১


ছবিঃ আমার তোলা।

HSC পাশ করে ভাবলাম, আর লেখাপড়া করবো না।
অনেক হয়েছে। তখন লোকজন বলাবলি করতো লেখাপড়া করে লাভ কি, চাকরী পাওয়া যায় না। বিদেশে কামলা খাটতে হয়। তখন দেখতাম অনেকেই বিদেশ চলে যাচ্ছে। তাই আমিও বিদেশ চলে যাবো মনস্থির করে ফেলেছি। সে সময় মরিসাস যাওয়া আমার জন্য সহজ ছিলো। টাকাও খুব কম লাগতো। শুনেছি মরিসাস খুব সুন্দর দেশ। কাজ করতে পারলে ভালো টাকা আয় করা যায়। আমি জটপট পাসপোর্ট করে ফেললাম। ভিসাও হয়ে গেলো। আত্মীয়স্বজন সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। মরিসাস যাওয়ার আগের দিন ভাবলাম- নিজ দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি! পরিচিত মানুষজনের সাথে আর দেখা হবে না। বাংলায় কথা বলতে পারবো না। বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতে পারবো না! না, ভাই আমি বিদেশ যাবো না।

চায়ের দোকানের আড্ডা আমার ভীষন প্রিয়।
এখন আমি যে চায়ের দোকানে আড্ডা দেই, সেই দোকানটা আমার খুব ভালো লাগে। চায়ের দোকানে বসি না। চায়ের দোকানের উলটা পাশে একটা ডাব গাছ আছে। সুন্দর করে বাঁধানো সেই ডাব গাছের নিচে বসি। ইশারা করলেই চায়ের দোকানের মহিলা চা পাঠিয়ে দেয়। এই চা বিক্রেতা মহিলার মধ্যে একটা রংবাজ-রংবাজ ভাব আছে। জিন্স প্যান্ট পড়ে। মুখে সব সময় একটা টুথপিক থাকেই। কালো সানগ্লাস পড়ে। কানে সব সময় হেডফোন লাগানো থাকে। মহিলা বিয়ে করেনি। তার বোনের বাচ্চাদের খুব ভালোবাসে। প্রায়ই দেখি ভিডিও কলে বোনের বাচ্চাদের সাথে কথা বলছে। ইদানিং দেখছি মহিলা টিকটক করছে। সন্ধ্যার সময় মহিলা বড় রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনিয়ে খায়। মাঝে মাঝে আমাকে সেই খাবারের ভাগ দেয়।

ডাব গাছের নিচে বসে আছি একা।
সন্ধ্যা তখন ঘনায়মান। লকডাউন চলছে তবু রাস্তায় প্রচুর মানুষ। দোকানপাট প্রায় সবই খোলা। ডাব গাছের পেছনে একটা ফার্মেসী। ফার্মেসীর নাম সেবা। সেবা নামটা যথার্থ হয়েছে। এরা আসলেই সেবাটেবা করে। পানি চাইলে ফ্রিজ থেকে পানির বোতল বের করে দেয়। টাকা নেয় না। ইদানিং এক বয়স্ক লোক এসে এই ডাব গাছের নিচে হেলান দিয়ে বসে থাকে। তার পা ভেঙ্গে গেছে। পায়ে নানান যন্ত্রপাতি লাগানো। তার সাথে এক চেংড়া ছেলে থাকে। সে তাকে হাত ধরে ডাব গাছের নিচে বসিয়ে দিয়ে, দূরে গিয়ে ফিক ফিক করে সিগারেট খায়। বয়স্ক লোক, তার উপর পা ভেঙ্গে গেছে। দেখলে মায়া লাগে! উনি এসে কারো সাথে কোনো কথা বলেন না। মোবাইল বের করে গান শুনেন। আধা ঘন্টা থাকেন। এক কাপ চা আর একটা সিগারেট খেয়ে চলে যান।

একদিন চায়ের দোকানে গিয়ে দেখি-
এক বুড়ো সেলাই মেশিন নিয়ে আমার ডাব গাছের নিচে বসে আছে। অর্থাৎ আমার বসার জায়গা নেই। আমি বললাম, চাচা মিয়াঁ এইখানে তো আমি রোজ বিকেলে এসে বসি চা-টা খাই। আপনি তো আমার জায়গা দখল করে নিয়েছেন। বুড়ো রাগ দেখিয়ে বলল, আমি এখানে বিশ বছর ধরে বসি। আমি বললাম, আমি গত ছয় মাস ধরে টানা এখানে আসছি। আপনাকে তো দেখি নাই। বুড়ো বলল, গত বছর করোনার শুরুতে গ্রামে চলে গিয়েছিলাম। স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লো, আমার নিজের শরীরও বিশেষ ভালো না, তারপর চারিদিকে করোনা- তাই ভাবলাম আপাতত গ্রামেই থাকি। এই এলাকার সবাই আমাকে চিনে মঞ্জু মাস্টার নামে। সমস্যা নেই আপনি এখানে পাশ দিয়ে বসবেন। চা খাবেন, আড্ডা দিবেন। এই ডাব গাছ আমার না, আপনারও না। এই গাছ সরকারি গাছ। রাস্তায় পড়েছে। হি হি।

এই ডাব গাছটার প্রতি আমার মায়া পড়ে গেছে।
গাছ ভর্তি ডাব। নারকেল হওয়ার পথে। পা ভাঙ্গা লোকটা, বুড়ো দর্জি এবং চা বিক্রেতা মহিলা- এদের প্রতি মায়া জন্মে গেছে। এরা কেমন যেন আমার আত্মার আত্মীয় হয়ে গেছে। লকডাউন এর কারনে মাঝে দিয়ে তিন দিন চায়ের দোকানে যাই নি। কিন্তু ওদের কথা বেশ কয়েবার মনে পড়েছে। ওদের দেখতে ইচ্ছা হয়েছে। কারো নাম্বার আমার কাছে নেই। নাম্বার থাকলে অবশ্যই ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিতাম। ভর সন্ধ্যায় এখানে বসে চা খেতে ভালো লাগে। যদিও মহিলা চা ভালো বানায় না। দুনিয়ার চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে রাখে। কিন্তু মহিলা বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। মহিলা আমার সাথে মায়ের মতো আচরন করে।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

হাবিব বলেছেন: অধিকাংশ গরীবদেরই আচরণ ভালো হয়। ওরা আপন করে নিতে পারে সহজেই

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

সাসুম বলেছেন: আপ্নের এই লিখা মিসির আলীর টোন আসছে। সুন্দর অইছে

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: একদম ঠিক ধরেছেন।
কারন গত এক মাস ধরে মিসির আলি আবার নতুন করে পড়া শুরু করেছি। তাই হয়তো অদৃশ্য ভাবে মিসির আলির ছাপ পড়ে গেছে।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৯

জুন বলেছেন: ডাব গাছ, বুড়ো দর্জি সব কেমন যেন পরিচিত পরিচিত পরিবেশ যা এখন আর দেখা যায় না এই করোনাকালে ।
ভালোলাগলো লেখাটি রাজীব নুর ।
+

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে দাওয়াত।
আমার ডাব গাছের নিচে বসে চা খেয়ে যাবেন। দর্জি, চা বিক্রেতা মহিলা আর পা ভাঙ্গা লোকটার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি চা-র দোকান দিলে একদিনেই শেষ হয়ে যাবে; আপনার বন্ধুদের ফ্রি খাওয়াতে খাওয়াতে। :D

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে দিয়ে কোন ব্যবসা হবে না। অলরেডি দুইবার ব্যবসা শুরু করে বিরাট ধরা খেয়েছি।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার মরিসাস যাওয়াই উচিৎ ছিলো, মরিসাসে ডাব গাছের অভাব নাই, মহিলা চা বিক্রেতা, দর্জি, এ সবও পেয়ে যেতেন, সেই সাথে মাল্টি ন্যাশনাল বন্ধু পেয়ে যেতেন।


শেষ লাইনে কোন দরকার ছিলো না লেখা যে মহিলা আপনার সাথে মায়ের মতো আচরন করেন। আপনি কি মহিলার কথা লিখে আত্মগ্লানীতে ভুগছেন ?

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব মরিসাস গিয়েছি। যাওয়ার পর হাতে কাজ ছিল না। তখন এক বন্ধু বলল- ট্যাটু লাগা। আমি সমুদ্রের পারে লাঠির মধ্যে ট্যাটু ঝুলিয়ে চিৎকার করে বলতাম ট্যাটু ট্যাটু। তখন বেড়াতে আশা পর্যটক মেয়েরা আমাকে ডাকতো। আমি তাদের শরীরের নানান জায়গায় ট্যাটু লাগিয়ে দিতাম। ইনকাম খারাপ ছিল না। এক সপ্তাহ এই কাজ করে দেশে ফিরে এসেছি।

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন: করোনার মধ্যে চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়া ঠিক না। চেনা গল্প চেনা পরিবেশ।
ভালো লাগলো।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক না জানি। মানি। বুঝি। কিন্তু---

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মাথায় না আবার ডাব ভেংগে পড়ে

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও মাঝে মাঝে এমনটা ভাবি।

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ডাব গাছের মীমাংসা পড়লাম। অনেকদিন পর ভাইকে দেখে খুশি হয়েছি।
শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন ভালো শিক্ষক এবং ভালো কৃষক।

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দূরে গিয়ে ফিক ফিক করে সিগারেট খায়।
ফিকফিক করে সিগারেট খায় কেমনে??

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
কি জানি!

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ামনি

এই লেখাগুলো কিন্তু ভালো লাগছে আমাদের! :)

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া। শুকরিয়া।
তাহলে এরকম লেখাই চলবে।

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি নিজেও একজন মানবিক মানুষ, তাই আপনার আশেপাশে মানবিক মানুষরাই জড়ো হয় অথবা আপনার স্পর্শে এসে মানবিক হয়ে যায়।খুবই সুন্দর হয়েছে লেখা।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানবিক আর হতে পারলাম কই! অসহায় দুঃখী মানুষকে শ্বান্তনা দিতে পারি না।

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এমনই থাকবে তোমাকে আর হারাতে চাই না। :)

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: অন্য জীবনে হয়তো আপনি আমার বোনই ছিলেন।

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাজীব নূর আপনার অনেক মায়া বুঝা যাচ্ছে। আসলে করোনাক্রান্ত সময়টা একেবারে চার দেয়ালে বন্দী জীবন যেন।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের প্রতি আমার মায়া, দয়া, মমতা মাদার তেরেসার মতোন না হলেও তার চেয়ে খুব কম হবে না।

১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৬

কুশন বলেছেন: চায়ের দোকানের মহিলা, দর্জি আর পা ভাঙ্গা লোকটাকে যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। ডাব গাছটাও যেন দেখতে পাচ্ছি।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আসুন, চলুন একদিন আপনাকে নিয়ে যাই- সামনাসামনি দেখবেন।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনারও এমন একটা চায়ের দোকান হতে পারতো!
আপনারতো চাএর দোকান দেবার স্বপ্ন ছিলো !!
এখন উপযুক্ত সময় চেষ্টা করে দেখেন
মন্দ হবেনা। যে লাল্টু মার্কা চেহারা
আপনার সুন্দরীরা স্বপ্নে নয়
বাস্তবে কাছে আসবে =p~ !!

২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ দিব।
আপনি আমার চায়ের দোকানে আসবেন তো/

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি সুস্থ্য আছেন তো ?

২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বি আমি সুস্থ আছি।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চায়ের দোকানের গল্প টা ভালো লাগলো। আশে পাশের চরিত্রগুলোকে আপনি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, তা গল্প পাঠে বোঝা গেল।

সেই বয়স্ক লোকের চরিত্রটা ভাল লেগেছে, যিনি প্রতিদিন চায়ের দোকানে এসে আধ ঘন্টার মত সময় ভাঙা পা টা মেলে বসে পকেট থেকে মোবাইল বের করে গান শুনে যান, আর এর ফাঁকে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট ফুঁকে চলে যান, কারো সাথে কোন কথা না বলেই। তার বুকের কষ্টটা হয়তো গান শুনেই কিছুটা লাঘব করে চলে যান।

২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: লোকটা অদ্ভুত। কারো সাথেই কথা বলেন না। এজন্য আমিও তাকে ঘাটাই না।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৯

মেহবুবা বলেছেন: আজ কি আহার্য দিবস ? এত ডাবের কথা লেখা ঠিক না; আমার সবচেয়ে প্রিয় পানীয় ডাবের পানি ।
পদাতিক সব সতেজ সবজি নিয়ে আর কাজী ফাতেমা ঘর গৃহস্থালীর কথা বলতে গিয়ে চক চকে ছোট মাছ ছবি -- ব্লগে টেকাই দায় !

২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
এখন ডাবের অনেক দাম। ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.