নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
লেখার শুরুতে আগে বলে নিই-
এখন সময় দুপুর দেড়টা। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিলো। এখন ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আজ আর রোদ উঠবে না। আমি সকালে এক মগ দুধ চা আর দুই পিছ পাউরুটি দিয়ে খেয়েছি। দুপুরে গরুর কলিজা ভূনা আর ভাত। সাথে চিচিংগা ভাজি। চিচিংগাতে চিংড়ি মাছ থাকবে। যদি ফ্রিজে চিংড়ি মাছ না থাকে তাহলে দুইটা ডিম ভেঙ্গে দেওয়া ভবে। ডাল তো থাকবেই। সাথে থাকবে আলু ভর্তা। যদিও সুরভি আজ বলেছিলো মিরপুর যেতে। সুরভি নাকি আজ কাচ্চি রান্না করেছে। ইদানিং কাচ্চি আমার পছন্দ হয় না। ঝরঝরে সাদা ভাত সবচেয়ে ভালো লাগে। ভাতের সাথে ভাজি ভর্তা খুবই ভালো লাগে। গত পরশু পাশের বাসার মালা আপা তিন পদের ভর্তা দিয়েছিলেন। সেই ভর্তা দিয়ে খুব আরাম করে খেয়ে ছিলাম। কিন্তু আজ কেন জানি আমার তেহারি খেতে ইচ্ছা করছে। বৃষ্টির দিনে সাধারনত মানুষ খিচুড়ি পছন্দ করে।
আমার যখন ৫/৬ বছর বয়স-
তখন আমি দেখেছি আমাদের এলাকার অনেক গাছপালা ছিলো। প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই নানান রকম গাছপালা ছিলো। অনেক বাড়িতে আমি কুয়াও দেখেছি। কুয়া থেকে পানি তুলে লোকজন গোছল করতো। কাপড় ধুতো। অবশ্য ৪০/৫০/৬০/৭০ সালের দিকে ঢাকা শহরের প্রায় সব বাড়িতে একটা করে কুয়া ছিলো। কুয়ার পানি ছিলো ঠান্ডা এবং পরিস্কার। আমাদের বাড়ি বিল্ডিং করার সময় দেখেছি আমাদের বাড়িতেও কুয়া ছিলো। ছোট কুয়া কিন্তু অনেক গভীর। ৮৫ সালের পর থেকে ঢাকা শহরে কুয়া বিলীন হয়ে গেছে। কুয়া নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার সমস্যা গাছ নিয়ে। এখন আমাদের এলাকায় কোনো গাছ নেই। আমাদের এলাকায় কোনো টিনসেড বাড়ি নেই। বিন্ডিং করতে গিয়ে সবাই গাছ কেটে ফেলেছে। ছাদে দাড়ালে কোনো গাছ দেখা যায় না। একটুও সবুজ নেই। আর কিছুদিন পর গাছ দেখা যাবে শুধু রমনা পার্কে।
ছোটবেলার কাহিনীগুলো এখন হুটহাট কিছু কিছু মনে পড়ে।
আমাদের এলাকায় প্রচুর গাছ ছিলো। প্রতিটা বাড়িতে কোনো না কোনো ফলের গাছ ছিলোই। আমি নিজে সে সব ফল খেয়েছি। এমনও হয়েছে স্কুলে যাবো। মা টিফিন দেয়নি। কোনো বাড়ির দেয়ালের উপর উঠে গাছ থেকে দুইটা আনার পেড়ে নিয়ে স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে খেয়েছি। আম গাছ ছিলো অনেক। হালকা বাতাসে আম পড়ে যেত। কুড়িয়ে নিয়ে খেতাম। কি মিষ্টি ছিলো সেই আম! আমাদের পাশের বাসায় ছিলো কামরাঙ্গা গাছ। এত মিষ্টি কামরাঙ্গা আমি আর দেখি নি। একসাথে ৫/৭ টা খেয়ে ফেলতাম। জাম গাছও ছিলো। মোটা মোটা জাম। আর কি মিষ্টি! জাম্বুরা গাছ ছিলো। এখন আমাদের এলাকা গাছ শূন্য। এজন্য আমার ভীষন কষ্ট হয়। চারিদিকে বড় বড় দালান। আকাশ দেখা যায় না। এলাকার কাউকে সেই সব গাছদের কথা কাউকে বলতে শুনি না। গাছ নিয়ে কারো চিন্তা নেই। গাছ কাটো। সেখানে ঘর করো। প্রতিমাসে ভাড়া পাওয়া যাবে।
আমার মা খালারা দুই বোন।
আমার মা ছোট, খালা বড়। খালার তিন মেয়ে। খালার বড় মেয়ের একমাত্র মেয়ে আগামীকাল আমেরিকা যাচ্ছে। আমি তাকে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিব। আমার ভাগ্নী মারশা ট্যুরিজম এর উপর একটা কোর্স করবে। এক বছরের জন্য। স্কলারশীপ পেয়েছে। ভাগ্নী মারশাকে ছোটবেলা কোলে কোলে রাখতাম। খুব আদর করতাম। মারশা আমাকে বলতো প্রিয় মামা। এখন সংক্ষেপে ডালে 'পি' বলে। গতকাল ভাগ্নী বাসায় এসেছিলো। বাসার সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গেলো। আমাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষন কান্না করলো। আমি বললাম, কান্নার কি আছে? এটা তো আনন্দের ব্যাপার। মন দিয়ে পড়। আমার কাছে একশ' ডলার ছিলো। ভাগ্মীকে দিয়ে দিলাম। দুই বছর ধরে ডলার টা আমার কাছে ছিলো। ভাগ্নীকে বলেছি, আমেরিকাতে চাদ্গাজী আছেন। একবার তার সাথে দেখা করবি। ভাগ্নী লেখাপড়া করবে জেমস টাউন কমিউনিটি কলেজে। সেখানে একমাত্র বাংলাদেশের ছাত্রী আমার ভাগ্নী। তার খাওয়া দাওয়া, থাকা এবং লেখা পড়ার খরচ সব দিবে আমেরিকার সরকার। বাংলাদেশ থেকে মোট আট জন যাচ্ছে।
আজ লেখা এখানেই শেষ করছি।
বৃষ্টি থেমেছে। এখন গোছল করবো। খাবো। তবে গরুর কলিজা ভূনা এখন খাওয়া হবে না। চিচিংগা ভাজিও খাওয়া হবে না। এখন খাবো তেহারি। পাশের বাসার মালা আপা তেহারি পাঠিয়েছেন। এটাকেই বলে রিজিক। এটাকেই বলে নিয়তি। আল্লাহপাক বলেছেন, নিয়তিকে গালি দিও না। আমার ছোট ভাই অল্প কিছু দিন আগে বিয়ে করেছে। ওর বউ ব্যাংকার। ছুটির দিন গুলোতে ছোট ভাইয়ের বঊ অদ্ভুত সব খাবার রান্না করে। সেদিন রান্না করে কিসমিস দিয়ে মূরগীর মাংস। আরেকদিন বিকেলের রান্না করলো- সিদ্ধ করা আলু টুকরো টুকরো করে কেটে তার মধ্যে কালিজিরা ছিটিয়ে দিলো। এবার লুচি দিয়ে খাও। আরেকদিন রান্না করলো পায়েস। সেই পায়েস আবার এমনি এমনি খাওয়া যায় না। লুচি দিয়ে খেতে হয়। আগামীকাল শুক্রবার। তার ডে অফ। আল্লাহই জানে আগামীকাল সে কি রান্না করে! একদিন সকালে দেখি ছোট ভাইয়ের বউ নারকেল দিয়ে আটা রুটি খাচ্ছে।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেওয়া উচিত- তার নেতা কর্মিদের। ছাত্রলীগের পোলাপানদের গাছ লাগাও। গাছ লাগাও। আর কোন কথা নাই।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৬
হাবিব বলেছেন: কিসমিস দিয়ে মুরগীর মাংস রান্না করার রেসিপি শেয়ার কইরেন একদিন।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: অতি অখাদ্য।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ খাপছাড়া দিনপন্জি হলেও ভাল লাগল!
@ চাঁদগাজীর প্রতি ভালোবাসা আপনার উত্তরোত্তর বেড়েই যাচ্ছে- বেশ
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো আসলে কোন লেখা না। সময় কাটানো বলা যেতে পারে।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবিটা সুন্দর হয়েছে।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ভাগনেয়ী ভালোভাবে কোর্সটা শেস করুক, এড় জন্য শুভকামনা রলো।
বিরানী, তেহারী ইত্যাদির পরিমাণ কমিয়ে দেন।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: বিরানী, তেহারী ইত্যাদি খাবার আমি খেতে চাই না। কিন্তু তারপরও খেয়ে ফেলি। একটু বেশিই খেয়ে ফেলি।
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকার জন্য এসব খাবার না খেয়ে সবজি খাওয়া ভালো। বুঝি কিন্তু মানি না। খাই। খেয়ে ফেলি।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৫
কুশন বলেছেন: মানুষের থাকার জায়গার দরকার আছে।
পৃথিবীর সব শহরেই গাছপালা কম থাকে। গ্রামের দিকে গাছপালা বেশি থাকে।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: হ কইছে আপনার।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: বিরানী তেহারীর চেয়ে খিচুরী সাস্থ্যসম্মত।গরম গরম খিচুরির সাথে ডিম ভাজি মন্ধ না।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: খাওয়া দাওয়া হিসাব করে খেলে, বুঝে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা একটা আত্মঘাতী জাতি। গাছের মূল্য আমরা বুঝলাম না।