নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছা করছে, অর্ধেক ঢাকা শহরটা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেই

৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৭


ছবিঃ আমার তোলা।

১। আমি খুব ভালো মোটরসাইকেল চালাতে পারি।
একবার একটা লোক একজন মেয়ের হ্যান্ডব্যাগ কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে পালিয়ে যাচ্ছিলো। মেয়েটা অসহায়ভাবে চ্যাচামেচি করছিলো। তারপর করুন চোখে চেয়েছিলো। আমার খুব মায়া হলো। আমি আর থাকতে পারলাম না। পাশেই অন্য কার একটা মোটরসাইকেল রাখা ছিলো, লাফিয়ে সেটায় উঠে পড়ে তাড়া করলাম চোরটাকে।

উঁচু নিচু রাস্তা, চোরটা যত স্পিড দিচ্ছে, আমিও তত স্পিড বাড়াচ্ছি।
চোরটা ট্র্যাফিকের লাল বাতি মানছে না, আমিও মানছি না। রাস্তার সব লোক অবাক হয়ে আমাদের দেখছে। মেয়েটার করুন ভিষন্ন মুখ দেখে আমার খুব মায়া হয়েছে। আমি চোরটাকে ধরবোই, লুকাবে কোথায়! খানিক পরে দেখি, রাস্তাটা অনেক উচু থেকে খাড়া নেমে গেছে, সামনেই একটা খাল বা পুকুরের মতো। এত স্পিডে চালাচ্ছি যে থামাবার উপায় নেই। সোজা গিয়ে খালে পড়তে হবে। তখন চোরটাকে ধরা যাবে ঠিকই, কিন্তু মেয়েটার হ্যান্ডব্যাগটা যদি ডুবে যায়!
তাই শেষ মুহুর্তে আমি একদম সিনেমার নায়কদের মতন মোটরসাইকেলের ওপর দাড়িয়ে উঠে ঝাপিয়ে পড়লাম লোকটার ঘাড়ের ওপর।

২। সন্ধ্যায় সুরভিকে বললাম, চা দাও।
সুরভি কিঞ্চিৎ রাগ দেখিয়ে বলল, একটু পরপর চা বানাতে পারবো না। বিয়ের আগে সুরভি বলেছিলো, রাত তিনটায় চা চাইলেও সে হাসিমুখে বানিয়ে দিবে। কেউ কথা রাখে না! মন খারাপ করে বসে আছি। একটু পর দেখি কন্যা চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। চায়ে চুমুক দিয়েই মনে হলো- Life is Beautiful.

৩। কুড়ি বছর আগের ঘটনা।
পদ্মা নদীর পাশে ছোট্র একটা গ্রাম আমাদের। পাশের গ্রামে ফুটবল ম্যাচ খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। খেলা শেষ হতে দেরী হয়ে গেল। তখন শীত কাল। মাঘ মাসই হবে। সেই সময় পদ্মা নদীর পাড়ের গ্রাম গুলোতে প্রচন্ড শীত পড়তো। এখকার মতো এত ঘনবসতি ছিল না তখন। খেলা দেখে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা প্রায় শেষের দিকে কিন্তু মনে হচ্ছে গভীর রাত। একাএকা বাড়ি ফিরছি। চারপাশে প্রচন্ড কুয়াশা আর অন্ধকার যেন হুট করে নামলো। আলামিন বাজার বায়ে রেখে 'কামার গাও' এর দিকে যাচ্ছি। দুই পাশে জঙ্গল, মাঝখানে সরু পথ। একেবারে নিশুত রাতের মতো নিঃঝুম। শুধু ঝি ঝি ডাকছে।

মাঝ রাস্তায় আসতেই হঠাৎ শুনতে পেলাম খুব কাছ থেকে কে যেন বলে উঠল, 'রাজীব একটু তাড়াতাড়ি যা বাবা।' আমি থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। গলাটা খুব চেনা। আমার বড় মামার গলা। কিন্তু মামা এখানে এই জঙ্গলে আসবে কি করে? তার তো বিছানা থেকে ওঠার'ই সামর্থ্য নেই। আমি চারদিকে চেয়ে দেখলাম, কোথাও কেউ নেই। কঠিন অন্ধকার আর কুয়াশায় ঢাকা। বললাম, কে? কে আপনি? কেউ জবাব দিল না। শুধু একটা পেঁচা ডেকে উঠলো। আর দুইটা বাদূর এক ডাল থেকে আরেক ডালে গিয়ে বসলো। একটা গাছের ঢালে এক প্যাঁচা দেখলাম। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো আমার।

কথাটা স্পষ্ট শুনেছি। ভুল নেই।
কিছুক্ষন হাত পা সব কাঠ হয়ে রইল। তারপর হঠাৎ মনে হলো, গলাটা বড় মামার'ই। হয়তো মামা আর বেঁচে নেই। মনে হতেই প্রায় ছুটতে শুরু করলাম। মাইল খানেক পথ দৌড়ে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই কান্নার রোল শুনতে পেলাম। এসে দেখি মামা বেঁচে নেই।

৪। করোনা শুরু হবার কয়েকদিন আগে আমি লিখেছিলাম- প্রকৃতি কঠিন প্রতিশোধ নিবে। নির্মম সব রোগ, মহামারী, ভূমিকম্প, জলোচ্ছাস দিয়ে জনসংখ্যা কমিয়ে দিবে। হচ্ছে তাই-ই।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন কাজ অর্ধেক করা ঠিক না। উড়িয়ে দিলে পুরো ঢাকা শহরটাই উড়িয়ে দিয়েন। উড়ানোর কয়েক ঘণ্টা আগে আমাকে একটু জানাবেন যেন প্রস্তুতি নিতে পারি।

আপনার তিন নম্বর গল্পটা কোথায় যেন শুনেছি।

৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: না পুরো শহর উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। আমি এতটা অমানবিক হতে পারবো না।
তিন নম্বর গল্পটা একদম কমন। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এরকম হাজার হাজার গল্প প্রচলিত।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১২

শেরজা তপন বলেছেন: সেই ডিনামাইটে তো আমরাও উড়ে যাব
এত ক্ষেপলেন কেন?

৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষেপি নাই। একটু ভাব নিলাম। হে হে--
ভাবে কাজ হয়েছে। আপনি ভয় পেয়েছেন।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



করোনা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্হ্য সমস্যার সৃষ্টি করবে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা মানুষের অনেক উপকারও করেছে।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিচিত্র কারণে আপনার মামার গল্পটি অনেকের কাছে শুনেছি ভিন্নভাবে তবে মূল একই ছিলো। সত্য মিথ্যা জানিনা। গল্পগুলো ভালো লেগেছে বিশেষ করে মটর সাইকেলে করে - - -

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ফ্যান্টাসি গল্প লোকজন বেশি পছন্দ করে।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: করোনা খুব বেশী জনসংখ্যা কমাতে পারে নাই ভাই। এর চেয়ে অনেক বেশী মানুষ মারা যায় প্রতিদিন সড়ক দূঘটনায়।
কথা হচ্ছে একটা মৃত্যও অনেক বেশী, এইটাই আমরা বুঝতে পারি না।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক। কিন্তু করোনায় মৃত্যু টা একদম বুকে এসে লাগে।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১০

গফুর ভাই বলেছেন: ১ নাম্বার গল্প টা শেষ পর্জন্ত কি হল?

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
যা হয় আর কি।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

*কালজয়ী* বলেছেন: এই পোস্টে আমার একটা কমেন্ট থাকা দরকার।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই দরকার।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: মটোর সাইকেলের ঘটনা কি স্বপ্নে ঘটেছিলো?

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী হ্যাঁ স্বপ্নে।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১১

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা অনেক সময় স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে গুলিয়ে ফেলি।স্বপ্ন কে মনে হয় বাস্তব আর বাস্তবকে মনে হয় সপ্ন।যারা বেশি কল্পনা প্রবন তাদের বেলায় বেশি ঘটে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসল পয়েন্ট ধরেছেন।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৫

হাবিব বলেছেন: অপরিকল্পিত নগরায়ন। সবার মনেই আপনার মতো বাসনা রয়েছে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: বাসনাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

জুন বলেছেন: আমার প্রিয় ঢাকা শহর যেন পচে গেছে। দুপাশে বিশাল বিশাল কড়ই গাছের মাঝখান দিয়ে মিন্টু রোড ধরে শাহবাগ পার হয়ে হাইকোর্ট এর সামনে দিয়ে মেডিকেল কলেজের পেছনে বদরুন্নেসা সরকারি কলেজে যেতাম দুই বান্ধবী রিকশায়। সেই নীরব নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে দিনের পর দিন কলেযে গিয়েছি কোন ভয় ছিল না, বাবা মায়ের মনে ছিল না আতংক। আজ গাড়িতে করে চলাচল করেও মনে করি না বেচে ফিরবো বাসায়।
পুনর্জন্ম হোক আমাদের ঢাকা শহরের।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: দক্ষ ও যোগ্য লোক ক্ষমতায় থাকলে দেশের পরিস্থিতি এরকম হতো না। আর জনসংখ্যা? এটাও সমস্যা নয়। এই বিপুল জনসংখ্যা কাজে লাগিয়ে দেশ সত্যিকারের উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.