নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রাজার বাড়ির সিংহ-দরজার পাশে, লোহার খাঁচার একটা মস্ত বাঘ ছিল।
রাজার বাড়ির সামনে দিয়ে যত লোক যাওয়া-আসা করত, বাঘ হাত জোড় করে তাদের সকলকেই বলত, ‘একটিবার খাঁচার দরজাটা খুলে দাও না দাদা!’ শুনে তারা বলত, ‘তা বইকি! দরজাটা খুলে দি, আর তুমি আমাদের ঘাড় ভাঙো।’
এর মধ্যে রাজার বাড়িতে খুব নিমন্ত্রণের ধুম লেগেছে।
বড়-বড় পণ্ডিত মশাইয়ের দলে-দলে নিমন্ত্রণ খেতে আসছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ঠাকুর দেখতে ভারি ভালোমানুষের মতো ছিলেন।
বাঘ এই ঠাকুরমশাইকে বারবার প্রণাম করতে লাগল। তা দেখে ঠাকুরমশাই বললেন, ‘আহা, বাঘটি তো বড় লক্ষ্মী! তুমি কি চাও বাপু।’
বাঘ হাত জোড় করে বললে, ‘আজ্ঞে, একটি বার যদি এই খাঁচার দরজাটা খুলে দেন! আপনার দুটি পায়ে পড়ি।’
ঠাকুরমশাই কিনা বড্ড ভালোমানুষ ছিলেন, তাই তিনি বাঘের কথায় তাড়াতাড়ি খাঁচার দরজা খুলে দিলেন।
তখন হতভাগা বাঘ হাসতে-হাসতে বাইরে এসেই বললে, ‘ঠাকুর, তোমাকে তো খাব!’
গ্রামের নাম রসুলপুর।
গ্রামটি একেবারে সুন্দরবনের কাছে। অন্যসব গ্রামের মতোই সুন্দর একটি গ্রাম। এই রসুলপুর গ্রামটি আমাকে শিখিয়েছে কি করে পৃথিবীকে ভালোবাসতে হয়। এই গ্রামের লোকজন দিন-রাত ঝগড়া করে, দলাদলি করে, হাঙ্গামা করে, কুটকচালি করে, একটা ভাঙ্গা স্কুল ঘর আছে- সেই স্কুলের প্রতি কারো নজর নেই।
এই গ্রামে এক কৃষকের সাথে আমি জমিতে চাষ করেছি।
বর্ষাকালে বিলে মাছ ধরেছি। সাইক্লোন বিন্ডিং এর চারপাশে নানান রকম গাছ লাগিয়েছি। রসুলপুর গ্রামের প্রতিটা গাছ, পুকুর, খাল-বিল, গরু আমার বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। তাদের সাথে আমি কথা বলতাম। আধুনিক যন্ত্রপাতি আমাকে মজা দেয় কিন্তু আনন্দ দিতে পারে না। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এগুলো ঠিক আমাকে নির্মল আনন্দ দিতে পারে না। গাছপালা, সবুজ ক্ষেত, নদী এসব আমাকে এক আকাশ নির্মল আনন্দ দেয়।
মধ্য দুপুর। মধ্য দুপুর সময়টা খুব অদ্ভুত!
বুকের মধ্যে যেন কেমন করে! সূর্য ঠিক মাথার উপর থাকে বলে- নিজের ছায়াও খুঁজে পাওয়া যায় না। চারপাশে যা দেখা যায় সবই ভালো লাগে। ঢাকা শহরের রাস্তার পাশের চায়ের দোকান গুলো আমার খুব প্রিয়। আসলে এই চায়ের দোকান গুলো জ্ঞানের ভান্ডার। আমি নিয়মিত রাস্তার পাশের চায়ের দোকান গুলোতে যাই। চা খাই আর আশে পাশের লোকজনদের কথা গুলো খুব মন দিয়ে শুনি। কত রকম বিষয় নিয়ে যে আলোচনা হয়- তা চায়ের দোকানে না গেলে বুঝা সম্ভব নয়।
যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যাই, সুন্দর একটা গাড়ি দেখলেই আমি থেমে যাই।
মুগ্ধ হয়ে গাড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকি। চারপাশ থেকে গাড়িটা দেখি। আশে পাশে কেউ না থাকলে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখি। বুকের মধ্যে যেন কেমন করে? মনে মনে ভাবি এরকম একটা গাড়ি কি আমি কোনো দিনও কিনতে পারবো? মনে হয় না এ জীবনে সম্ভব হবে। গাড়ি কিনতে না পারার কষ্ট বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে।
রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করার সময় কিছু কিছু গাড়ি এত সুন্দর যে দেখে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু ভাবি আমার যদি এরকম একটা গাড়ি থাকতো! ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে হাঁটছি, সারা শরীর ঘামে ভেজা। অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারছি না। তখন আমার সামনে দিয়ে আমার'ই বয়সী একটা ছেলে গাড়িতে করে যাচ্ছে- তখন আমার খুব কষ্ট হয়, রাগ হয়। ইচ্ছা করে ছেলেটাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বলি, আমি কষ্ট করে হেটে যাচ্ছি আর তুমি নবাবব্জাদার মতো আরামে যাচ্ছো। কেন? এখন তুমি হেটে যাও। আমি গাড়িতে এসি ছেড়ে আরামে বাড়ি ফিরবো।
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে আর গাড়ি কিনব না। আমেরিকা গিয়ে গাড়ি কিনব।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রাজার বাড়ির সিংহ থেকে সুন্দরবনের রসুলপুর গ্রামে, সেখান থেকে ঢাকা শহরের মধ্য দুপুর একেবারে মাহাভারতের মতো অবস্থা।
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে--
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজিব ভাই, রাজার বাড়ী (বংগভবণ) যাবার সিংহ দরজা (পূর্ব দিকে সুবাস্তুু নজর ভ্যালী আর পশ্চিম দিকে বহুতল নির্মানাধীন নাম না জানা ভবন ) ,আসলেই চমতকার সিংহ দরজা হয়েছে।ছবিটা মনে হয় (এস এ টাওয়ার - সঠিক মনে নেই) থেকে তুলেছেন। মিস করি - অনেক অনেক !!! ঢাকা শহরের ধুলি-বালি-জ্যাম-ঘাম।
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ ছবি টা এস এ টাওয়ার থেকেই তুলেছি।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
হাবিব বলেছেন: একটা সাইকেল কিনে জোরছে চালান, গায়ে বাতাস লাগবে। এসি এসি ফিল হবে
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আইডিয়া দিয়েছেন।
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ স্মৃতিময় আর নীতিকথার প্রকাশ রাজীব দা
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৮
মেহবুবা বলেছেন: তবুও ভাল যে ক্ষোভ আর বেদনাই যথেষ্ট ।
এমন মানুষও আছে যে বা যারা ঐ গাড়ীতে ঢিল ছুঁড়ে মারে, ক্ষতি করতে পারলে শান্তি ।
তুমি অবশ্য কোনভাবে তাদের দলের নও।
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
টিকা পেয়েছেন?
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: না।
কেন্দ্রে টিকা নাই। না থাকলে তাঁরা দিবে কিভাবে
৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক কথা লিখেছেন।এর মাঝে কোনটা যে মনের কথা কোনটা কথার কথা বুঝা মুসকিল।গল্পটা কি ঈশপের না ঠাকুরমার ঝুলির মনে করতে পারছি না।এখান থেকে কি শিক্ষা পাওয়া যায়?দুর্জনক্ এড়িয়ে চলো নাকি অন্য কিছু।
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: কোনটা মনের কথা, আর কোনটা মুখের কথা সেটা আপনারে বুঝার কথা।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: গাড়ির হাটে যান, সস্তায় ভালো সুন্দর গাড়ি কিনতে পারবেন, এই ভাবে অন্যের গাড়িতে হাত বুলাতে গিয়ে গনোধোলাইয়ের শিকার হতে পারেন