নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুকুর এবং মানুষের ভালোবাসা

১৩ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৩


ছবিঃ আমার তোলা।

গতকালের দুটি ঘটনা বলব।
এক কাজে গুলিস্তান গিয়েছি। ভেবেছিলাম কাজ শেষ হতে এক ঘন্টা লাগবে। অথচ পাঁচ মিনিটেই কাজ শেষ। হাতে সময় আছে। তাই ভাবলাম এখন আরাম করে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট খাওয়া যেতে পারে। রাস্তার মাঝখানে গোলাপ শাহ মাজার। রাস্তা পার হলে একটা মসজিদ। খুব ব্যস্ত রাস্তা। সারাদিন জ্যাম লেগেই থাকে। ফুটপাত গুলোর অবস্থাও ভালো না। হাঁটার জায়গা পর্যন্ত নেই। মসজিদের পাশে একটা চায়ের দোকানে বসলাম। চা খাচ্ছি। আর চারপাশের মানুষের ব্যস্ততা দেখছি।

গোলাপ শাহ মাজারে দেখলাম-
এক মহিলা তেহারি রান্না করে নিয়ে এসেছেন। পলিথিনে করে দরিদ্র লোকদের বিলিয় দিচ্ছেন। মুহুর্তের মধ্যে সবাই কাড়াকাড়ি করে নিয়ে গেলো। গোলাপ শাহ মাজারে সব সময় একদল পাগল নারী-পুরুষ থাকেই। তাদের পোশাক বড় অদ্ভুত। চুলে জট, গলায় নানান রকম মালা। সাধারণ মানুষ থেকে সহজেই এদের আলাদা করা যায়। যাই হোক, আসল ঘটনা বলি- গোলাপ শাহ মাজারের এক পাগল রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়িতে বসে আছে। তার মাথা ভর্তি চুল, লাল রঙ্গের লুঙ্গি পরা। একটু আগে সে পলিথিনে তেহারি পেয়েছে।

ছোট ছোট চারটা কুকুর।
লাল লুঙ্গি পরা পাগল লোকটা চারটা বাচ্চা কুকুর কে চুই চুই করে ডাকল। চার বাচ্চা কুকুর ছুটে এলো। একটা পরিস্কার কাগজ বিছিয়ে পাগলটা বাচ্চা চারটা কুকুরকে তেহারি খেতে দিলো। বাচ্চা চারটা কুকুর খূশিতে নাচতে নাচতে তেহারি খেয়ে নিলো। লাল লুঙ্গি পরা পাগলটা কুকুর গুলোকে এত আন্তরিক এবং যত্ন নিয়ে খাওয়ালো তা দেখে ভালো লাগলো। আমি মুগ্ধ হয়ে দৃশ্যটা দেখলাম। আমার খুবই ভালো লাগলো। কুকুরের খাওয়া শেষ হলো। কুকুর গুলোকে দেখলাম খুশিতে লাফাচ্ছে। বুঝা যাচ্ছে তাঁরা তেহারি খেয়ে বেশ মজা পেয়েছে। আমি পাগলকে বললাম, এখন আপনি কি খাবেন? পাগল বলল, আল্লাহ ঠিকই ব্যবস্থা করে দিবেন। আমি পাগলকে এক শ' টাকা দিলাম। সে টাকা নিলো না।

দ্বিতীয় ঘটনা টা বলি।
রাত ৯ টা। রাজউক এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষন। কোনো রিকশা খিলগাও যেতে চাচ্ছে না। শরীর ক্লান্ত লাগছে বেশ। খিলগাও পর্যন্ত হেঁটে যেতে ইচ্ছা করছে না। রাস্তা বেশ নিরিবিলি। ফুটপাতে অলরেডি পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ঘরে লোকজন ঘুমাতে শুরু করেছে। একটা পরিবারকে দেখলাম- তাঁরা খেতে বসেছে। ভদ্রমহিলা ভাত মাখাচ্ছেন খুব যত্ন নিয়ে। তার ডান পাশে অসুস্থ স্বামী এবং বাম পাশে একটা কুকুর বসে আছে। তাঁরা অবাক চোখে ভাতের দিকে তাকিয়ে আছে। ভদ্রমহিলা ভাত মেখে তার স্বামীকে খাইয়ে দিচ্ছেন। তারপর কুকুরটাকেও ভাত মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন। একবার স্বামীকে একবার কুকুরটাকে। দৃশ্যটা দেখে ভালো লাগল। হতে পারে অতি তুচ্ছ দৃশ্য কিন্তু আমি মুগ্ধ হয়ে দেখলাম।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫১

সাসুম বলেছেন: ২০১৬ এর শেষ দিকে, আমি উত্তরা তে শিফট হই। আমি তখনো বিয়ে শাদী করিনি, সো অফিস শেষে হয় উত্তরায় খেতে যেতাম নাইলে সেক্টরের মাঠে বসে বসে পাড়ার যত কুকুর আছে সব গুলাকে খাওয়াতাম।
আমিও একটা কুকুরের প্রেমে পড়ে গেলাম। পিচ্চিটা এক ছেলে তারে ব্রুনো বলত। পরে, আমি বিয়ে করলাম, বাচ্চাকাচ্চার বাপ হলাম কিন্তু সেই কুকুরের মায়া ছাড়ল না আমাকে, আমি অফিস শেষ করে আসার আগে মাঠের কোনায় নামতাম। ব্রুনো বলে ডাক দিলেই দুনিয়াদারী তোল্পাড় করে ছুটে আসত। পাউরুটি খেত আর আমার পায়ের কাছে ঘড় ঘড় করত। খালি পা চেটে দিত। আর যতক্ষন আমি থাকতাম আমার পিছে পিছে লেজ নাড়াতে নাড়াতে দৌড়াত। দেশ ছেড়ে আসার আগে, একদিন দেখতে গেছিলাম, অনেকক্ষন ডাকার পরে পাইনি। পরে রাস্তায় দোকান দারকে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছিলাম- ট্রাক এসে একদিন ঘুমে থাকা ২ টা কুকুর কে এক্সিডেন্ট করে মেরে ফেলেছে, আমার ব্রুনোও সেই দলে হয়ত। কারন- সে নিজ এলাকা ছেড়ে কখনো যায়না। আমি এখনো ব্রুনো কে মিস করি ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরের কুকুর গুলো এভাবেই মারা যায়। খুবই নির্মম ভাবে মারা যায়। আমি নিজের চোখে এরকম কিছু মৃত্যু দেখেছি।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: দু'টো দৃশ্যই ব্যাতিক্রম! কুকুরের বেশ যত্ন আত্মি ওখানে দেখছি।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু মানুষের চেয়ে কুকুর ভালো।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখাতে + রইলো।
আমার একালয় এক পাগলী ছিলো। কেউ ওকে বিরক্ত করতো না। ওও কাউকে বিরক্ত করতো না।
ওর পাশে অনেকগুলি কুকুর থাকতো। ওতে কেউ কিছু খেতে দিলে সেটা ও কুকুরগুলিকে সাথে নিয়ে ভাগ করে খেতো।
মাঝে মাঝে রেগে গেলে বলতো- বান্ডি বিড়ি খাইলা

অ.ট. - লেখার সাথে ছবি কোনো মিলা নাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার নিজের সাথেই আমার মিল নাই।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




একজন পাগল নিশ্চয় রাষ্ট্র বা বসুন্ধরা কিংবা কোন সেক্রেটারীর উপর ভরসা করবে না; তার জন্য আল্লাহই একামত্র ভরসা।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: গরীবের শেষ ভরসা আল্লাহ।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লকডাউনে কুকুরেরা খাবার পায়নি নিশ্চয়ই

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ্না পায় নি। পাওয়ার কথাও না।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাস্তার মহিলার রুগ্ন স্বামীর কি হবে, কে তার চিকিৎসা করাবে?

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এদের কথা কেউ ভাবে না। এরা মরে গেলেও কারো কিছু যায় আসে না।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঢাকা শহরে মানুষের কাছাকাছি প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র কুকুরই সবচেয়ে অবহেলার শিকার। তবে অনেকে শখ করে কিছু কুকুর পোষে থাকে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: রাস্তার ঘাটের কুকুর কেউ পোষে না। বিলেতি কুকুর ধনীরা পোষে।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

হাবিব বলেছেন: সব মানুষ নিরাপদ থাকুক, দুুমঠো অন্ন পাক! এই কামনা করি

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমিন।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার একটা কুকুর ছিলো নাম জিমি, ওর প্রাত্যহিক আনন্দময় কাজ ছিলো আমি কাছে গিয়ে বসলে আমার পায়ের বুড় আঙ্গুলটা মুখে নিয়ে বসে থাকতো। কিভাবে হারিয়ে গেলো এটা মনে করতে চাচ্ছি না, কষ্ট হয়।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে---

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

বিটপি বলেছেন: কামাল১৮ এর মন্তব্য মডারেটর মুছে দেয়। বড়ই আশ্চর্য হলাম। সেকি মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা হয় - এরকম কোন মন্তব্য করেছিল নাকি?

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আমিও প্রচন্ড অবাক!!!!

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
Man and dog both are mammals.

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৮

গরল বলেছেন: পশুপাখির জন্য ভালোবাসা থাকাটা কেন জানি আমাদের দেশে সবার কাছে অস্বাভাবিক লাগে, অথচ এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা। আমি দেখেছি যে বাচ্চারা ঢিল দিয়ে পাখির বাসা ভাঙে, পশু পাখির গায়ে ঢিল ছুড়ে অথচ বাবা মা কিছহুই বলে না বা শেখায় না। সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয় কুকুরের উপর, গরম পানি গায়ে ঢালা থেকে শুরু করে পা ভেঙ্গে দেওয়া আরো কত কিছুই না করে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাচ্চারা মাঝে মাঝে খুব নিষ্ঠুর হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.