নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে ওঠা আমার জন্য খুব কষ্টকর।
দাত ব্রাশ করা। পানি গরম করা। গোছল করা। গিজার আছে কিন্তু গিজার আমার ভালো লাগে না। চুলায় গরম পানি আমার প্রথম পছন্দ। শীতকাল চলে গেলেও, শীত পুরোপুরি যায়নি। শীত আছে। রাতে পাতলা চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। ভোর চারটা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত আমার গভীর ঘুম হয়। গভীর ঘুম মানেই আমার কাছে আরামের ঘুম। রাত দুটার আগে আমি বিছানায় যাই না। এজন্য ভোরে ওঠা আমার জন্য কষ্টকর। একজনের মানুষ কমপক্ষে ৮ থেকে দশ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে। ভালো ঘুম না হলে পরের দিন শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। ঘুমের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নাই।
মানুষের জীবনের দুটা গুরুত্বপূর্ন জিনিস হচ্ছে- ঘুম এবং খাওয়া।
আপনি যেখানেই যান আপনাকে সময় মতো খেতে হবে। সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেচে থাকতে হলে খেতে হবেই। একবেলা না খেলে পরের বেলা দাউ দাউ ক্ষুধা লাগে। আমাদের দেশে চল্লিশার খাবার খেতে গিয়েও মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়। বিয়ে বাড়িতে মানুষ পাগলের মতো খায়। ব্যুফে গেলেও মানুষ পাগলের মতো খায়। খেতেই থাকে। কিন্তু মানুষ কম খেলে মরে না। বেশি খেলেই মরে। সেদিন আমি ব্যুফে অনেক খেয়েছি। প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই খেয়েছি। এরপর আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। সব সময় পরিমিত ভাবে খাওয়া উচিৎ। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন পুষ্টিকর খাবার হয়।
একসময় আমার কঠিন অসুখ হয়েছিলো।
অসুখটা হচ্ছে ঘুম না হওয়া। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আমার ঘুম হতো না। সারারাত জেগে থাকতাম। মুভি দেখতাম। বই পড়তাম। ছাদে হাটাহাটি করতাম। ঘুম না হওয়াটা অনেক যন্ত্রনার। অনেক কষ্টের। এখন বুঝি, মানুষ শখ করে ঘুমের ওষুধ খায় না। এখন আমার ঘুমের সমস্যা নাই। এখন আমার শুধু ঘুম পায়। প্রচুর ঘুম পায়। এমনকি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি। সেদিন বাসে উঠেছি। ধানমন্ডি যাবো। বাসে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙল অনেক দেরীতে, ততক্ষনে বাস মোহাম্মদপুর ছাড়িয়ে মিরপুরের দিকে চলে গেছে। চা খেয়েও ঘুম তাড়াতে পারছি না। ইশ্বর আছেন মহা সুখে। তার ক্ষুধা নাই, ঘুম নাই। সেক্স নাই। দাত ব্রাশ করার ঝামেলা নাই। প্রসাব পায়খানার ঝামেলা নাই। চাকরি নাই, ব্যবসা নাই। স্ত্রী নাই, সন্তান নাই। রাস্তায় জ্যামে বসে থাকতে হয় না।
গতকাল শবে বরাত গেলো।
সারাটা দিন খুব ব্যস্ত ছিলাম। সুরভি অনেক রকম খাবার রান্না করেছে। পাচ রকমের হালুয়া বানিয়েছে। হালুয়া আমার পছন্দ না। তবু সুরভিকে খুশি করার জন্য সামান্য মুখে দিয়েছি। দুপুরে দেশী মূরগী ঝোল করে রান্না করেছে। ভাত এবং পোলাউ করেছে। পোলাউ আমার পছন্দ না। আমি পছন্দ করি সাদা ভাত। অবশ্য একসময় আমার পোলাউ খুব পছন্দ ছিলো। ছোট কন্যা ফারাজা পোলাউ পছন্দ করে। রাতে খেয়েছি পোলাউ আর গরুর মাংস। চালের আটার রুটি। ছোট ভাইয়ের বউ রান্না করেছে। না খেলে সে কষ্ট পেতো। ফার্মের মূরগী খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু দেশী মূরগী। দেশী মূরগী দাম বেশি হলেও স্বাদ আছে। একদিন রাস্তায় দেখি সিদ্ধ ডিম বিক্রি করছে। একদম গরম। ধোয়া বের হচ্ছে। কি মনে করে একটা হাঁসের ডিম খেলাম। ডিম মাঝখান দিয়ে সমান করে কেটে লবন/মশলা দিয়ে দিলো। খেতে ভালো লাগলো। এক পিস ডিম ২৫ টাকা।
লোকটার নাম মোজাফফর।
বয়স ৫০। বয়সে আমার চেয়ে বড় হলেও, সে আমার বন্ধু হয়ে গেছে। মোজাফফর ব্যাংকে চাকরি করেন। দুটা ছোট ছেলে আছে তার। দুই ছেলে স্কুলে পড়ে। স্ত্রী অসুস্থ। মোজাফফরের সাথে থাকেন তার বিধবা অসুস্থ মা। মা একদম বিছানা থেকেই নামতে পারেন না। খুব বেশি অসুস্থ। মোজাফফরের তিন বোন ও দুই ভাই আছে। তারা সবাই ঢাকাতেই থাকেন। তারা তাদের মাকে নেয় না। দেখতেও আসে না। এমনকি কোনো খোজ খবরও করে না। চিকিৎসার জন্য কোনো টাকাও দেয় না। মোজাফফর সারাদিন অফিস করে এসে মায়ের সেবা যত্ন করে। অসুস্থ স্ত্রীর সেবা যত্ন করে। ছেলেদের পড়তে বসায়। এমন কি রাতে ছেলেদের ঘুম থেকে তুলে প্রসাব করান। সারারাত প্রায় জেগেই থাকতে হয় তার। তাই সকালে অফিস করতে পারেন না।
।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড চাচাজ্বী।
ইমাম মাহদী সাহেব আসলে কি আপনি তার সাথে যোগ দেবেন? যুদ্ধ করবেন?
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বড়ই আচানক ঘটনা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আফসোস।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে সেদিন যে চাকরি বাকরির কথা বলেছিলেন সেটার কি- অফিসে কখন যান?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: গরীবের আর অফিস?
বাদ দেন। বাদ দেন।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
সোনাগাজী বলেছেন:
মোজ্জাফ্ফরকে অনেক কঠিন সময়ের মাঝ দিয়ে যেতে হচ্ছে!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: লোকটার জন্য আমার মায়া হয়।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হাঁসের ডিম খেয়ে যেভাবে লিখেছেন, জিভে জল এসে গেলো।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: চলেন দুই ভাই মিলে একদিন ঢাকার রাস্তায় ধোয়া ওঠা হাঁসের সিদ্ধ ডিম খাই।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: বুড়ো বয়সে কানাডায় বাসকরা এই এক সুবিধা।ডাক্তার দেখাতে টাকা লাগে না ঔষধ কিনতেও টাকা লাগে না।আমার স্ত্রী গত বছর ঢাকা গিয়েছিলো।চোখের কি একটা সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে গেলো।ডাক্তার কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ইনজেকশনের কথা বললো।একাদিক ইনজেকশন লাগবে, যা প্রায় দেড় দুই লাখ টাকা।এখানে এসে তিনটা ইনজেকশন দেয়া হলো মাগনা।ঢাকার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ঠিক ছিলো।অবশ্য সে বলেছিলো সে কানাডার নাগরিক।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এজন্যই আমাদের ডাক্তার আগে রোগীকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কি করেন? সেটা জেনে বুঝে ওষুধ দেন।
পারতপক্ষে আমি ডাক্তারের কাছে যাই না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমিও এখন দেশী মোরগ-মুরগী খেতে শুরু করেছি।