নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অলকা থাকে আমেরিকার ফারগো নামক শহরে।
খুবই ছোট শহর। ফারগো শহরটি ছবির মতন সুন্দর। শীতের সময় প্রচণ্ড শীত পড়ে। এলিন নামের এক বৃদ্ধার কাছ থেকে অলকা দুই রুমের একটা ছোট ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছে। অলকা'র ঘরটি ছোট কিন্তু ঘুব সাজানো গুছানো। বসার ঘরে একটি জানালা আছে। সেই জানালা দিয়ে অনেকখানি শহর দেখা যায়।
অলকা অনেক কষ্টে এই শহরকে আপন ভাবতে শিখেছে।
তবে এ শহরে একাএকা ঘুরে বেড়াতেও ভালো লাগে না। অলকারর পাশের ফ্ল্যাটে থাকে মেরি নামের একটি মেয়ে। মেরি ফারগো শহরে এসেছে চীন থেকে। দারুন ভালো ছাত্রী। অলকার সাথে সে মাইক্রোবায়োলজিতে পড়ছে। মেরি খুব মিশুক, আন্তরিক এবং হাসিখুশি টাইপ একটা মেয়ে।
সবচেয়ে বড় কথা মেরির সাহস অত্যাধিক।
সেদিন ক্লাশ শেষে মেরি জোর করে অলকাকে নিয়ে গেলো পার্কে। পার্কে হাঁটতে আসা এক বুড়ো মেরির বুকে হাত দেয়। অলকা প্রচন্ড অবাক হয়ে বুড়োর দিকে তাকিয়ে রইল। বুড়োর এমন ভাব করল- এটা কোনো ব্যাপারই না। মেরি রেগে গিয়ে বুড়োকে দিল পেটের মধ্যে এক লাথথি। বুড়ো ছিটকে পড়ল ঘাসের উপর। মেরি বলল- আংকেল এক পা তো কবরে- একটু সাবধান হোন। আমেরিকান বুড়োরা বেশ নির্লজ। তাদের মধ্যে একটা খাই খাই স্বভাব আছে।
শশীভূষন ব্যালকনি থেকে এসে আবার লিখতে বসেছেন।
বয়স হয়ে গেছে। লেখা ও পড়া ছাড়া তার আর কোনো কাজও নেই। এবার সে খুব দ্রুত লিখছেন। তার কেন জানি বারবার মনে হচ্ছে- তার হাতে সময় বেশী নেই। বুকের মধ্যে অনেক কথা জমা হয়ে আছে। সে জানে তার লেখা কেউ পড়বে না এবং কোথাও ছাপা হবে না। এই জন্য সে অনেক নিশ্চিন্ত। যা খুশি তাই লেখা যাচ্ছে। কিন্তু সম্পূর্ণ লেখাটা শেষ না করে মরে গেলে, সে মরেও শান্তি পাবে না। চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে শশীভূষন লিখতে শুরু করলেন।
১৯৫০ সালে ভূমি সংস্কারের আইনে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়।
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানীসহ পূর্ব বাংলার নেতারা উপলব্ধি করেন যে, বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম অধ্যুষিত এই জনপদের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য দরকার পুর্নাঙ্গ স্বাধীনতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে কলকাতার যেই সুশীল সমাজ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে ছিলেন এই বলে যে 'বঙ্গ ভাগ হয়ে যাচ্ছে'; সেই সুশীলরাই আবার ১৯৪৭ সালে বঙ্গকে ভেঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে ভারতমাতার সাথে অন্তর্ভুক্তির দাবী জানাতে থাকে।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ না হলে-
বংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র পৃথিবীর মানচিত্রে আবির্ভূত হবার প্রশ্ন আসতো না। আমরা হয়তো আজও অখণ্ড ভারতের অধীনে থাকতাম। শশীভূষন লেখা বন্ধ করে গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসেছেন। বয়স হয়ে গেলে মানুষ অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়েও ভাবতে খুব পছন্দ করে। তার একমাত্র কন্যা অলকা পড়তে চলে গেছে আমেরিকা। মূলত মেয়েটাও একা, তিনিও একা। অলকার মা বেচে থাকলে এতটা একাকীত্ব লাগতো না। একাকীত্ব বড় যন্ত্রনাময়।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। জয় বাংলা।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১২
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বয়স্কদের জন্য তেমন কোন সুযোগ নেই।
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: অল্প কথায় ভালো লিখেছেন।কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে এনেছেন।হিন্দুদের আলাদা হয়ে যাবার কারণ ছিলো কলকাতা ও নোয়াখালির দাঙ্গা।যেখানে সোহরোওয়ার্দূী ও শেরে বাংলার হাত ছিলো।আরো অন্য কারণ ছিলো।
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: খাপছাড়া একটা লেখা ---
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো থাকবেন সব সময়।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা কী আপনার নাকি হুমায়ূন আহমেদের? মনে হচ্ছে অনেকদিন আগে পড়া হোটেল গ্রাভারইনের গল্প পড়ছি প্রথম তিনটি প্যারায়।
ফার্গো শহরে খুঐ ঠান্ডা পরে আর প্রচুর তুষার পাত হয়। এ শহরের কাছাকাছি একটা শ হরে এ বছর গ্রীষ্মে যাবার ইচ্ছা আছে।
৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১০
নাহল তরকারি বলেছেন: ০১। একাকীত্ব বড়ই যন্ত্রণার।
০২। বঙ্গভঙ্গ জমিদারের রদ করেন তাদের লাভের জন্য। এই অঞ্চলের মানুষ বড়লোক হয়ে যাক এটা কলিকাতার দাদারা চান নি।
০৩। আমরা মনে করি ইউরোপ আমেরিক ওপেন সেক্স এলা্কা। সেখানে সবাই যা করে খোলাখোলি ভাবে করে। অতছ ইউরোপ আমেরিকারন পুরুষ নারীদের খুব সম্মান করে। বরং বাংলাদেশ ও ভারতীয় পুরুষ মেয়েরে ইভটিজিং বেশী করি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সুন্দর সহজ সরল গল্প। পাঠে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম...