নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পত্রিকা হাতে নিয়ে ওমর আলী সকালবেলা বারান্দায় বসেছেন।
সে এখন আরাম করে পত্রিকা পড়বেন এবং মগ ভর্তি করে চা খাবেন। এটা তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। দেশ বিদেশের খবর জানতে তার ভালো লাগে। সংসার ধর্ম তার মোটেই ভালো লাগে না। তার স্ত্রী সারাক্ষন চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলেন। তার জীবনের সবচেয়ে বড় হচ্ছে বিয়ে করা, সংসার করা। বিয়ে এবং সংসার মানুষের জীবন সংকীর্ন করে দেয়। ওমর আলীর হাতে দৈনিক আজাদ পত্রিকা। পত্রিকার একটি খবরের দিকে তার চোখ আটকে গেল। সে তার স্ত্রীকে বলল- তাড়াতাড়ি এক কাপ চা নিয়ে এসে আমার পাশে বসো। ওমর আলী চা শেষ করে- তার স্ত্রীকে পত্রিকা পড়ে শোনাচ্ছন।
ওমর আলীর স্ত্রীর নাম সরলা বিবি।
সরলা বিবি তার স্বামীর উপর মহা বিরক্ত। সরলা বিবি মনে করেন- তার স্বামীর মতন অলস মানুষ এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। শুধু অলস হলেও চলতো- সাংঘাতিক বোকা। যে স্ত্রীর স্বামী বোকা, তার জীবন দুর্বিষহ। সবাই জানে বোকাটাইপ পুরুষ মানুষ নির্বোধ শ্রেনীর হয়। সরলা বিবির বিশাল ব্যবসা। ভারতের আসাম থেকে কাসার থালা, প্লেট, মগ এনে ঢাকায় বিক্রি করেন। এছাড়া তার তেরোটা বেবী টেক্সী আছে, ভাড়া খাটে। এবং শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা আছে। সব তার একা সামলাতে হয়।
ওমর আলীর সহজ সরল মানুষ।
একবার সরলা বিবি ওমর আলীকে পঞ্চাশটা শাড়ি দিয়ে ইসলামপুর পাঠিয়ে ছিলেন দুইজন বেপারীকে দেওয়ার জন্য। ওমর আলী বাসায় ফিরে কিছুই বলতে পারলেন না- শাড়ি কোথায়? কাকে দিয়েছেন? ওমর আলী সব ভুলে যান। শুধু ভুলেন না অতীত দিনের সৃতি। তার আছে সোনালী অতীত। সরলা বিবি এখন নিজেই সব ব্যবসা দেখাশোনা করেন। আর ওমর আলী বাসায় বসে বই আর খবরের কাগজ পড়েন আর রেডিও শুনেন।
দেশ ভাগের কারনে ওমর আলী তার পরিবারকে নিয়ে আসাম থেকে এই দেশে চলে আসতে বাধ্য হয়।
তখন তার বড় মেয়ে ভানু’র বয়স দশ বছর আর ছোট কন্যা পুষ্প’র বয়স তিন মাস। ওমর আলী ও তার স্ত্রীর আর্থিক অবস্থা ভালো। ঢাকায় এবং বিক্রমপুরে তাদের নিজের বাড়ি আছে। একবার ঢাকা থেকে বিক্রমপুর আসার পথে ওমর আলী আর সরলা বিবিকে ডাকাত ধরে। ঘটনাটা এই রকমঃ বিয়ের পর ওমর আলি, সরলা বিবিকে নিয়ে ঢাকা আসছেন নৌকায় করে। শীতের রাত তাড়াতাড়ি আসে। নৌকা চলছে তো চলছেই। নৌকা তখন শীতলক্ষ্যা নদীতে। হঠাত তাদের নৌকার কাছে এক নৌকা আসে। সেই নৌকা থেকে পাচ জন লোক ওমর আলীর নৌকায় উঠে আসে। ওমর আলীর নৌকার মাঝি পাচজন লোক দেখে নদীতে ঝাঁপ দেয়। ডাকাত দল সরলা বিবির কাছে থাকা ত্রিশ ভরি সোনা নিয়ে নেয়।
ওমর আলীর কাছে বেশ ভালো পরিমান টাকা ছিলো।
সেই টাকাও ডাকাত দল নিয়ে নেয়। ডাকাত দল চলে যাচ্ছিলো। সরলা বিবি সমানে কান্না করে চলেছেন। হঠাত ডাকাত দলের সর্দার বলল, সরলা বিবিকে আমাদের নৌকায় তোলো। ওমর আলী বলল, আমাদের সাথে যা টাকা পয়সা ছিলো এবং গহনা ছিলো সব নিয়েছো। এবার তোমরা চলে যাও। ডাকাত সরদার ওমর আলির কথা শুনে হাসলো। একজন ডাকাত গিয়ে সরলা বিবির হাত ধরলো। এই দেখে ওমর আলী রেগে গেলেন। মুহুর্তের মধ্যে ওমর আলী ডাকাতদের মেরে তুলোধুনো করে দিলেন। ডাকাত সরদার ছুরি বের করেছিলো, শূন্য থেকে লাফিয়ে ওমর আলী ডাকাত সরকারের বুকে কিক মারলেন। ডাকাত ছিটকে নদীতে পড়েছিলো। সরলা বিবির ধারনা ডাকাত দুইশ' কেজি ওজনের লাথথি খেয়ে নদী থেকে আর উঠতে পারবে না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
অবস্হা যদি ভালো হয়, বসে বসে খবরের কাগজ পড়লে সমস্যা নেই।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমিও বসে বসে খবরের কাগজ পড়তে চাই।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ওমর আলী শেষে এসে ওমর সানী হয়ে গেলো।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে--
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাহ! ভালো লিখেছেন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ২:২৪
রানার ব্লগ বলেছেন: শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ওমর আলী শেষে এসে ওমর সানী হয়ে গেলো
আমিও এমনটাই ভাবছিলাম
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৯
এম ডি মুসা বলেছেন: দেশ ভাগ নয়, জীবন প্রতিনিয়ত হচ্ছে নতুন হয়তো সৃষ্টির না ধ্বংসের
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৯
Snowflake বলেছেন: লেখাটি খুবই ভালো লাগলো। খুব মজা করে পড়লাম।এইরূপ লেখা আরো চাই।