নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাকীত্ব

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



এক বিদেশি জাহাজ মধুমতি নদীতে একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে।
সেই ডুবে যাওয়া জাহাজ দেখার জন্য শশীভূষন ছুটে চলেছে- মধুমতি নদীতে। জাহাজ এর নাম স্টিব অস্টিন। শশীভূষন মধুমতি'র জাহাজটির সামনে যেতেই- এক পুলিশ অফিসার বলল- না, জাহাজের কাছে যাওয়া যাবে না। নো, নেভার।
নৌকার মাঝি বলল- আপনাকে আগেই বলেছিলাম- ওই জাহাজের সামনে যাওয়া নিষেধ আছে। পুলিশটি সমানে চিৎকার করে যাচ্ছে। শশীভূষন মাঝিকে সাহস দিয়ে চলে এলেন একদম জাহাজের সামনে। লাফ দিয়ে জাহাজে উঠে পড়লেন। ঠিক তখন পুলিশ অফিসারটি নরম গলায় শশীভূষনকে বললেন, এসেই যখন পড়েছেন, আমার সাথে চারটে ডাল ভাত খান, খুব খুশি হবো। মেন্যু অতি সামান্য। ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে করলা ভাজি, আর ডাল। হঠাত শশীভূষনের মনে হলো- পুলিশ অফিসারটি চাচ্ছে- সে যেন এই ডুবে যাওয়া জাহাজটির সাথে তলিয়ে যায়।

শশীভূষন ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলেন-
পুলিশ অফিসারটি তার পূর্ব পরিচিত। অফিসারটি তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলছে- ধরুন, আমার হাত ধরুন, নয়তো আপনি ডুবে যাবেন। সময় খুব কম। শশীভূষন এক আকাশ বিস্ময় নিয়ে পুলিশ অফিসারের চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন। ঠিক তখন কে যেন তার কানে ফিসফিস করে বলল- ''প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য, ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা''।

ঘুম ভেঙ্গে গেল শশীভূষনের। সারা শরীর ঘামে ভেজা।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন ভোর চারটা। আমেরিকাতে এখন মনে হয় বিকেল। অলকা মনে হয় ভার্সিটি থেকে ফিরেছে। শশীভূষন ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালেন, আকাশ ফরসা হতে শুরু করেছে। ভোরের আকাশ দেখা- দারুন একটা ব্যাপার। সকালের আলো না ফুটতেই তিনি হাঁটতে বের হলেন।

এই শহরে তার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
থ্রি কমরেডস- এর মতন বন্ধু শশীভূষনের একজনও নেই। নেই বলা ঠিক না, একজন ছিল- ওমর আলী। তিনি পূর্ব থেকে পশ্চিমে এলেন আর ওমর আলী পশ্চিম থেকে পূর্বে এলেন। এই ভোরে একাএকা হাঁটতে তার ভালোই লাগছে। আজ তার ঘরে ফিরতে ইচ্ছা করছে না। কোথাও বসে খুব আড্ডা দিতে ইচ্ছা করছে। পুরো শহরটাকে একটা সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ মনে করে- তিনি শুধু এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় হাঁটতেই থাকলেন। নানান রকম চিন্তা-ভাবনা করতে করতে- তার চায়ের পিপাসা পেয়ে গেল। এখনও কোনো চায়ের দোকান খোলেনি।

গতকাল রাতে শশীভূষন তার ডায়েরীতে লিখেছেন-
কেন প্রতি বছর খরা বা বন্যা হয়? দরিদ্র দেশের মানুষ জানেই না কিভাবে নদীকে ব্যবহার করতে হয়। পানি তো সম্পদ। কিন্তু এই সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে না। আগামী শতাব্দীর মাঝামাঝি মানুষের অস্তিত্বে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। মানুষের হাতে খুব বেশি সময় নেই। তবু মানুষ গাছ লাগাচ্ছে না। বরং বন জঙ্গল উজার করছে। পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের এক নিবিড় সম্পর্ক। কিন্তু লোভী মানুষ পৃথিবীর কাছ থেকে শুধু লুটপাট আর তছনছ করেছে। তৈরি করেছে শুধু জটিলতা। পৃথিবীর সব দেশের মানুষ সবাই এক হয়ে যদি পৃথিবীর কথা ভাবতো- পৃথিবী ছোট্র একটা গ্রহ, তার অফুরন্ত সম্পদ নেই। যা আছে, যতটুকু আছে তার যত্ন নেওয়া দরকার।

এক দেশের প্রতি আরেক দেশের যেন উদাসীনতা না থাকে।
আমেরিকায় ভূমিকম্প হলে চীন যেন চুপ করে না থাকে। ইথিওপিয়ায় দুর্ভিক্ষ হলে তার ক্ষুধা যেন স্পর্শ করে অস্টেলিয়াকে। মধ্যপ্রাচ্যে মহামারী হলে তা যেন উদ্বিগ্ন করে সুইজারল্যান্ডকে। পৃথিবীর ক্ষমতায় থাকা মানুষ গুলো যদি এক টেবিলে বসে সিদ্বান্ত নিতো আমরা আর যুদ্ধ করব না। পারমানবিক বোমা বানাবো না। নতুন নতুন অস্ত্র বানাবো না। যেসব অস্ত্র আছে, সেগুলো আটলান্টিক মহাসাগরে ফেলে দিব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.