নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীজির যুগের ইতিহাস

২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬



সময় তখন ৬০০ সাল।
নবীজিকে মক্কাবাসী প্রশ্ন করলো, আপনি কে? নবীজি বললেন, আমি তোমাদের শিক্ষক। আমি তোমাদের বেলাইনে যেতে দিবো না। ইহাই আল্লাহর ইচ্ছা। একবার নবীজিকে দাওয়াত করলেন রোমের সম্রাট কায়সার। কিন্তু নবীজি দাওয়াতে গেলেন না। উটের পিঠে চড়ে এতদূর যাওয়া সম্ভব না। তবে নবীজি কায়সারকে একটা চিঠি লিখে দিলেন। নবীজির চিঠি পড়ে রোমের সম্রাটের মন গলে গেলো। সম্রাটের ইচ্ছে হলো, নবীজির পা পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে। সম্রাট তার প্রজাদের বললেন, নবীজির তুলনা হয় না।

নবীজির আমলে আরবদের পেশা ছিলো পশু পালন।
নবীজি নবী হওয়ার আগে পশু পালন করতেন। সত্য কথা হলো সব নবীরাই পশু পালন করেছেন। পশু পালন ছাড়া উপায় ছিলো না। তখন তো আর কলকারখানা ছিলো না। সেই সময় অল্প কিছু লোক শিকার করতো। তাদের শিকার বন্ধ করার জন্য আয়াত নাজিল হয়। এবিষয়ে সূরা মায়েদা'তে বিস্তারিত লেখা আছে। শিকারীদের নবীজি বললেন, শিকার করা বন্ধ করো। তোমরা খেজুর আর আনারের চাষাবাদ করো। নবীজি শিকারীদের হুশিয়ার করে দেন, বলেন, তোমাদের জন্য সূরা আনআম নাজিল হয়েছে।

যারা বেকার। নবীজি তাদের বলতেন গাছ কাটো।
কাঠ সংগ্রহ করো। বেকার থেকো না। শিকারিদের বলেছেন, শিকার বন্ধ করো। অস্ত্র বানাও। তীর, বল্লম, ছুরি। নবীজির আমলে অতি সামান্য কারণে যুদ্ধ লেগে যেতো। আরববাসী শুধু জানতো যুদ্ধ, নারী আর মদ। নবীজি খুব অল্প সময়ে আরবদের লাইনে নিয়ে আসেন। নবীজি একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন। নাম সুফফা। এখানে তাদের নামাজ রোজা ও কোরআন শিক্ষা দেওয়া হতো। এক জীবনে নবীজি বহু অপবাদ পেয়েছেন। যাদুকর, মিথ্যাবাদী, পাগল,পথভ্রষ্ট, বেদীন ইত্যাদি। অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করেছেন। নবীজি সব নিরবে সহ্য করে গেছেন। তিনি জানতেন, দিন শেষে তার জয় হবেই।

এক সাহাবী প্রশ্ন করলেন,
আল্লাহ দেখতে কেমন? মূসা (আ:) আল্লাহকে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। আল্লাহ কে দেখার জন্য মূসা পাহাড়ে গেলেন। এক ঝলক আলো এসে পাহাড় গুড়ো গুড়ো হয়ে গেলো। মূসা অজ্ঞান হয়ে গেলেন। আল্লাহ বললেন, তুমি আমাকে কখনই দেখতে পাবে না মূসা। আমাকে দেখার ক্ষমতা তোমার চোখের নেই। আমাদের নবীজিও আল্লাহ কে কখনো দেখেন নাই। তবে নবীজি তার অন্তরের চোখ দিয়ে আল্লাহপাককে দেখেছেন। সূরা আর-রাহমানে স্পষ্ট বলা আছে, ভূপৃষ্ঠের সব কিছু ধ্বংস হইবে। একমাত্র তোমার রবের চেহারা অবশিষ্ট থাকিবে। আরেক সূরায় (কাসাস) বলা হয়েছে, তার চেহারা ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংস হইবে। সূরা থেকেই জানতে পারি, আল্লাহর চোখ আছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.