নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৪৩

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৭

ছবিঃ আমার তোলা।

আজ সকালের কথা বলি।
ভোর সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেছি। আসলে আমি উঠি নাই, সুরভি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছে। বিছানা থেকে নামার আগে বিদেশীদের মতো বিছানায় বসে এক কাপ চা খেলাম। তারপর গোছল করলাম। জামা কাপড় পরে রেডি হয়ে গেলাম। সুরভি কন্যাকে রেডি করাচ্ছে। কন্যার স্কুল আছে। জানি, কমপক্ষে আধাঘন্টা লাগবে। আমি সূরা আর রহমান ছেড়ে দিলাম। ভোরবেলা সূরা আর রহমান দারুন লাগে। গমগমে গলায় একজন তেলোয়াত করে যাচ্ছে। সেই সাথে উক্ত সূরার বাংলা অর্থ ও ফজিলত বলছে। একেক দিন আমি একেক সূরা শুনি। বড় ভালো লাগে। এরপর আরো ভালো লাগে কন্যাকে স্কুলে দিয়ে আসতে। কন্যার স্কুল গুলশানে। সুরভি আর আমি দুজনে কন্যাকে স্কুলে দিয়ে আসি। সে দারুন খুশি হয়। আজ গাড়িতে উঠেই সুরভির সাথে ঝগড়া লেগে গেলো। আমি বললাম, আলী গাড়ি থামাও। আলী বেয়াদপ গাড়ি থামায় না। দিলাম এক ধমক। আলী গাড়ি থামালো আমি গাড়ি থেকে নেমে গেলাম।

শীতকালে আমি স্বপ্নটা বেশি দেখি।
শীতকালে আমার ঘুম ভালো হয়। ফ্যান ছেড়ে কম্বল জড়িয়ে ঘুমাতে দারুন লাগে। পাশে ছোট্র কন্যা ফারাজা। সুরভি তার রান্না নিয়ে ব্যস্ত। সে নতুন কোনো খাবার আবিস্কার করতে চায়। যে খাবার আগে কেউ রান্না করেনি। প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু রান্না করবেই। এই নিয়ে সে ব্যস্ত। থাকুক ব্যস্ত। আমি আর আমার কন্যা ঘুমিয়ে পড়ি। বারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি। আসলে ইচ্ছা করলেও এর চেয়ে বেশি সময় জেগে থাকতে পারি না। ঘুমে চোখ ভেঙ্গে আসে। গতকাল রাতেও ভেবেছি একটা হরর মুভি দেখবো। কিছুক্ষন বই পড়বো। অনেক গুলো বই অর্ধেক পড়ে রেখে দিয়েছি। কিন্তু এমন ঘুম পেলো যে ঘুমিয়ে যাই। আর ঘুমালেই স্বপ্ন দেখি। আমার স্বপ্ন গুলোতে সাসপেন্স থাকে, থ্রিলার থাকে। এজন্য স্বপ্ন দেখে আরাম পাই। আর এক ঘুমে রাত পার করে দেই।

গত রাতে কি স্বপ্ন দেখলাম, সেটা বলিঃ
আমি আর আমার কন্যা ফারাজা কোথাও বেড়াতে গিয়েছি। ছোট একটা গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে সুন্দর একটা নদী। নদীর নাম বলভদ্র। পুরো গ্রাম সবুজ। চারিদিকে প্রচুর গাছপালা। আমি আমার কন্যার হাত ধরে হাটছি নদীর পাড় দিয়ে। কন্যা বলল, বাবা কি সুন্দর নদী! আমি বললাম, চল কিছুক্ষন নৌকায় করে বলভদ্র নদীতে ঘুরে বেড়াই। কন্যা মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো। নৌকায় উঠবো এমন সময় কিছু দুষ্টলোক আমাদের ঘিরে ফেলল। তাদের হাতে নানান রকম দেশীয় অস্ত্র! তারপর জঙ্গলের মধ্যে একটা ভাঙ্গা ও বহু পুরনো কালী মন্দিরের ঘরে বন্ধী করে রাখলো আমাদের। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম, ফারাজা ভয় লাগছে? কন্যা বলল, বাবা তুমি সাথে থাকলে আমার ভয় লাগে না। বললাম, ফাজ্জা তুমি কিছুক্ষন অপেক্ষা করো, কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা এখান থেকে বের হবো। তারপর নদীতে নৌকায় করে অনেক দূর যাবো। কন্যা হেসে দিলো। কন্যার হাসি বড় ভালোবাসি।

বাংলাদেশের মানুষ গুলো ইতর শ্রেনীর।
এরা ভাবে কাউকে ঠকাতে পারলেই জিতে গেলাম। এই মানসিকতা নিয়েই তারা বেচে থাকে। বাংলাদেশে সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে। মাছ বিক্রেতা থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতা। মোবাইল ব্যবসায়ী থেকে সেলাই মেশিন বিক্রেতা। ওষুধ বিক্রেতা থেকে শুরু করে কাপড় বিক্রেতা। ঠকানো এবং ঠকে যাওয়া আসলে একটা চক্র। এই চক্র থেকে বাঙ্গালীর মুক্তি নেই। ফল ব্যবসায়ী ঠকাচ্ছে ওষুধ বিক্রেতাকে, ওষুধ বিক্রেতা ঠকাচ্ছে কাপড় বিক্রেতাকে। এইভাবে সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে। প্রেমিক প্রেমিকা দুজনই দুজনকে ঠকাচ্ছে। স্বামী স্ত্রীও দুজন দুজনকে ঠকাচ্ছে। বর্তমান যুগটাই হচ্ছে ঠকানোর যুগ। চারিদিকে সবাই সবাইকে ঠকানোর জন্য ওৎ পেতে আছে। গত ছয় মাস ধরে আমি শুধু ঠকে যাচ্ছি। জিনিসপত্র কিনে ঠকছি। কাউকে বিশ্বাস করে ঠকছি। ঠকলে এখন আর আমার মন খারাপ হয় না। শ্বান্ত্বনা এটুকুই আমি কাউকে ঠকাচ্ছি না। কাউকে ঠকানোর চেয়ে নিজে ঠকা অনেক ভালো।

কোনো এক বিচিত্র কারনে আমার কন্যা মাংস বেশি পছন্দ করে।
মূরগীর মাংস লেগ পিছ তার খুব পছন্দ। গরুর মাংসও তার খুব পছন্দ। মাছের চেয়ে কন্যা মাংস বেশি পছন্দ করে। লেগ পিছ হাতে নিয়ে কন্যা খাবে আর টিভি দেখে। আমি ফার্মের মূরগী খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমি বাসার জন্য দেশী মূরগী কিনি। দেশী মূরগীর স্বাদ দারুন। সবচেয়ে বড় কথা সুরভির হাতের রান্না ভালো। যা রান্না করে খেতে ভালো লাগে। সুরভি জানে তার হাতের রান্না ভালো। এজন্য সে বড় করে একটা রেস্টুরেন্ট দেবার ইচ্ছা। অবশ্য এখন খাবারদাবারের প্রতি আমার আগ্রহ কমে গেছে। ক্ষুধা পেলে সামান্য সাদা ভাত আর লাল শাক ভাজি পেলেই আমি খুশি। বয়স বাড়লে বুঝি খাবার দাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়! যাইহোক, এভাবেই যাচ্ছে দিন-রাত। দিনগত পাপ। সামুতে এসে দেখি চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে কমেন্ট ব্যান করে রেখেছে। ইহা আমাকে কষ্ট দেয়। এখন, সামুতে এসে আনন্দ পাই না কষ্ট পাই। যাদের কারনে কষ্ট পাই আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের বিচার করবেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



ঝগড়া কি প্রায়ই চলে?

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সোনাগাজী কারো কারো কাছে ভীষণ পাজি লোক
তাই সামু টিম চায়না উহাকে ব্যান থেকে মুক্তি হোক।
মুখ তো নয় যেন মিছরির ছুরি উহার
সবাই পারে না সইতে কষ্ট সইতে তাহার।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩

অধীতি বলেছেন: ঝগড়া হলেই গাড়ি থেকে নেমে যাওয়াটা বড় অদ্ভুত ব্যাপার। এরকম অহরহ ঘটে, নিজে হলেও এরকমই হয়ত করতাম কিন্তু তবুও কোন যুক্তিতে মিলাতে পারিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.