নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম দিয়ে দুনিয়ার কি লাভ হয়েছে?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২



ধরুন, আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।
আমার বাবা মৃত্যুর আগে আমার জন্য একটা সাত তলা বাড়ি রেখে গেছেন। সাত তলা বাড়িতে চৌদ্দটা ফ্ল্যাট। একটায় আমি থাকি, বাকি তেরোটা ভাড়া দেই। প্রতিমাসে প্রচুর টাকা ভাড়া পাই। সেই টাকা দিয়ে আমি খেয়েপড়ে বেশ ভালো ভাবে বেচে আছি। আব্বা মরে গেছে, তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে বেশ আছি। অথচ সমাজে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের অভাব নেই। তারা কত কষ্টে আছে। আহারে! ধর্ম বিষয়টাই ফালতু একটা বিষয়। অপ্রয়োজনীয়। ইসলাম থাকলেও কিছু না, না থাকলেও কিছু না। যা করার নিজেকেই করতে হবে।

কোনো ধর্ম দিয়েই সমাজের কোনো উপকার হয় না।
ধর্ম মানেই ক্যাচাল। ধর্ম মানেই অশান্তি। ধর্ম মানেই লোভ দেখানো, সেই সাথে ভয় দেখানো। ধর্ম মানেই নারীদের কোনঠাসা করে রাখা। ধর্ম মানেই মিথ্যে কথার ফুলঝুরি। ধর্ম মানেই আশ্রাস। মূলত ধর্ম গুলো একটা ফালতু বিষয়। ধর্ম মানুষের কোনো উপকারে আসে না। ধর্ম দেশের ভালো করে না। ধর্মীয় বই ও নির্বোধ লেখকের বই পড়লে, পাঠকের চিন্তাশক্তি বাড়ে না, ও পাঠক বর্তমানকে বুঝতে পারে না। ধর্মচিন্তা মানুষের ভাবনা শক্তিকে লজিকহীন করে তোলে, আধুনিক শিক্ষা মানুষকে উন্নত ভাবনার দিকে নিয়ে যায়।

ইসলামের কারণে বহু হুজুর রাজার হালে আছে।
ধর্মের নাম শুনলেই লোকজন কাত হয়ে পড়ে যায়। ওয়াজকারীদের ভুলভাল কথা শুনলে মানুষের মাথা ঠিক থাকে না। মূলত আমাদের দেশের মানুষ গুলো মূর্খ। সঠিক শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশের মানুষ আরবীয় রুপকথা বিশ্বাস করে। আমরা জানি সব কিছুর ভালো দিক, মন্দ দিক দুটোই থাকে। কিন্তু ইসলাম বা ধর্মের বাস্তব সম্মত কোনো ভালো দিক নেই। মিথ্যা আশ্রাস। পরকালের লোভ। ইহকালে না খেয়ে, দু:খে কষ্টে, অভাবে জীবন শেষ। যে ঈশ্বর ইহকালে সুখ দেয় না, সেই ঈশ্বর বলে পরকালের কথা! বোগাস।

বিজ্ঞান, সাহিত্য পড়লে মানুষের মন উদার হয়, ধর্মের বই পড়লে মানুষের মানসিক দুর্বলতার সৃষ্টি হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, 'ভন্ডরা সব পড়ে, মূর্খ্যরা সব শোনে'। দেশটা কি তাহলে দিন দিন ধর্মান্ধদের কব্জায় চলে যাচ্ছে? যার পরিনতি খুব ভয়াবহ হবে। যারা ধর্মের মূল অনুধাবন করতে পারে না তারাই ধর্ম নিয়ে বেশি সেনসেটিভ হয়ে থাকে। এই সকল অতিধার্মিক ধর্মের কিছু আচার পালন করলেও ধর্মের মহত্ব বিন্দুমাত্র অনুধাবন করতে পারে না। একারণেই অনেক শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো মসজিদ মন্দির বা গির্জা থাকা সত্ত্বেও ওই জাতির মধ্যে দুর্নীতি, হিংস্রতাসহ সকল ধরণের পাপাচারের কোনো কমতি দেখা যায় না।

অনেকের ধর্মবিশ্বাস খুবই ঠুনকো,
এরা ধর্মের অস্তিত্ব নিয়ে খুব আতঙ্কে থাকেন এদের বিশ্বাসের দৃঢ়তার অভাবে। তাই কেউ সামান্য ভিন্নমত প্রকাশ করলেই এই সকল আধাবিশ্বাসীরা ভিন্নমত প্রকাশকারির উপর হামলিয়ে পড়ে। সংগীত হারাম- এটা ভারতবর্ষের মাটিতে প্রথম প্রচার করেছিলেন মাওলানা মওদুদী। সহজে ধন অর্জন এবং সহজে জনপ্রিয় হওয়ার সহজ মাধ্যম হলো ধর্ম। ধর্ম মেনে ধার্মিক হওয়া খুব কঠিন কাজ। আমাদের মগজে ডুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, দুনিয়া থেকে আখেরাত সম্পূর্ণ আলাদা। আর তাই আমরা দুনিয়ার পাশাপাশি আখেরাত প্রস্তুত করার ব্যাপারে অজ্ঞ!

গান বাজনা হারাম হলে সৌদিআরব সহ সকল মুসলিম দেশে গানবাজনা চলছে কি ভাবে?
শিবির কি সঙ্গিত গায় না? কোন মুসলিম দেশ কি গানবাজনা নিষিদ্ধ করেছে? বাংলার সাথে সংগীতের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। বাংলা মানেই সংগীত। এ দেশ গানের দেশ। আজকের বিশ্বে যেখানে সংগীত শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেখানে আমরা জীর্ন পুরাতন মতবাদের দোহাই দিয়ে সংগীতকে অস্বীকার করছি। আর ইসলামের দোহাই দিয়ে এদেশ থেকে গানকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র বহু আগে থেকেই চলছে। কোরআনে গানবাজনা হারাম বলে কোন আয়াত নাজেল হয় নি। হাদিসেও নেই। অনেকে বলে গান হালাল, তবে বাজনা হারাম। এসবও বানোয়াট। বাজনা হারাম হলে বাদ্য বাজিয়ে গান গেয়ে মহিলারা উলুধ্বনিসহ নেচে নবী (সঃ) কে মদিনায় স্বাগতম জানানো হয়েছিলো। পরে মক্কা বিজয়ের সময়ে বিপুল বাদ্য বাজিয়ে গান গেয়ে মক্কা বিজয় হয়েছিল। সে স্থানে নবীজি(সঃ) নিজেই ছিলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.