![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রবীন্দ্রনাথ যখন বাচ্চা পোলাপান-
তখন বঙ্কিমচন্দ্র পুরোদমে লেখালেখি করে যাচ্ছিলেন। সেই সাথে করতেন চাকরি। রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্রের বই আগ্রহ নিয়ে পড়তেন এবং হয়তোবা মনে মনে ভাবতেন, আরে এরকম গল্প উপন্যাস তো আমিও লিখতে পারি। রবীন্দ্রনাথের অনেক গল্প উপন্যাসে দেখা গেছে, তার চরিত্র গুলো বঙ্কিমের বই পড়ে।যাইহোক, বঙ্কিমচন্দ্র মাত্র পনের বছর বয়সে প্রথম উপন্যাস লিখেন। তাও আবার ইংরেজিতে। উপন্যাসের নাম রাজমোহনের স্ত্রী। সেই সময় অখণ্ড ভারতে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা খুব কম ছিলো। তাই বঙ্কিম ইংরেজিতে লেখা বাদ দেন। লিখতে শুরু করেন বাংলায়। খাটি সাধুভাষায়।
গ্রেট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন— কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসটি ১৮৭৮ সালে।
অবশ্যই প্রেমের উপন্যাস। তবে কিছুটা জটিল। জমিদার কৃষ্ণকান্ত তার সমস্ত সম্পদ পুত্র কন্যাদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে দিতে চান। কৃষ্ণকান্তের বড় ছেলে হরলাল বিরাট বদ। সে তার বাবার সব সম্পদ একাই পেতে চায়। উক্ত উপন্যাসের আসল মজা শেষের দিকে। লেখক তার উপন্যাসে দেখিয়েছেন, দুষ্ট লোকজন তার অন্যায়ের শাস্তি দুনিয়াতেই ভোগ করে। হোক সে নারী অথবা পুরুষ। এই উপন্যাস আমাকে শিখিয়েছে, দুনিয়াতে শান্তিতে এবং আনন্দে বেচে থাকার জন্য লোভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই জীবন আনন্দময় হবে।
উপন্যাসটি লেখক সাধু ভাষায় লিখেছেন।
অবশ্য এই লেখক তার সব উপন্যাসই সাধুভাষায় লিখেছেন। কঠিন সব শব্দ ব্যবহার করতেন। সেই সময় যারা লেখালেখি করতেন তারা সকলেই সাধুভাষায় লিখতেন। সাধু ভাষায় লেখা বইগুলো এখন চলতি ভাষায় রুপান্তর করলে, এই প্রজন্ম এসব বই গুলো সহজেই পড়তে পারবে, বুঝতে পারবে। সে যাকগে, উক্ত উপন্যাসে একটা ডায়লগ এই রকম: "তুমি বসন্তের কোকিল। প্রান ভরিয়া ডাকো, তাহাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু তোমার প্রতি অনুরোধ সময় বুঝিয়া ডাকিবে।" একটা সুন্দর মুখের কদর সব জায়গায়। এই সমাজের মানুষ গুলো হাজার গুন থাকলেও লোকে সুন্দরকে প্রাধান্য দেয়। বিধবা হোক সমস্যা নাই, কিন্তু রূপবতী হতে হবে। তবে আমি মনে করি, সুন্দর হওয়ার চেয়ে জ্ঞানী হওয়া বেশি প্রয়োজন।
উপন্যাসে একটা নারী চরিত্রের নাম ভ্রমর।
ভ্রমর সহজ সরল মেয়ে। সে তার স্বামীকে অত্যাধিক ভালোবাসে। লেখকদের ম্যাজিক জানতে হয়। সেই ম্যাজিক দিয়ে অন্যের মনে কথা বুঝে নিতে হয়। লেখকেরা নারীর মনের কথা অনুভব করতে পারেন। নারীর চরিত্র ফুটিয়ে তোলা চারটেখানি কথা নয়। যাইহোক, এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ভ্রমর নয়, রোহিনী। রোহিনীর জন্য বড় মায়া হয়। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রোহিনী পাপ করেছে, সে তার পাপের শাস্তি পেয়েছে। বর্তমান সমাজে রোহিনীর মতো নারীর অভাব নেই। প্রতিটি নারীর উচিৎ রোহিনীর কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া। তাহলে জীবনের মস্ত বড় ভুল থেকে বেচে যাবে। কিছু কিছু অন্যায়ের শাস্তি আল্লাহপাক দুনিয়াতেই দিয়ে থাকেন। হে বন্ধুগন— ভুল করো না, পাপ করো না, লোভ করো না। তাহলেই সুন্দরভাবে বেচে থাকা যাবে।
লেখক তার এই উপন্যাসে বুঝাতে চেয়েছেন,
খারাপ কাজ করলে, আপনাকে শাস্তি পেতে হবেই। মন্দ কাজ করলে অধপতন নিশ্চিত। রোহিনী চরিত্র থেকে প্রতিটা নারীর শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। মানুষ প্রেমে পড়লে ভুলভাল করতে শুরু করে। রোহিনী অল্প বয়সে বিধবা হয়েছে। কিন্তু তার শরীর মরেনি। শরীরের চাহিদা আছে। শরীরের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে মানুষ তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করে ফেলে। জৈবিক চাহিদা মানুষকে পশুর স্তরে নামিয়ে ফেলে। লেখক চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুরুষ মানুষ ভ্রমের মধ্যে থাকে। নারী পুরুষকে মোহে ফেলে দেয়। নারীর রুপ পুরুষকে ভুল পথে নিয়ে যায়। একসময় পুরুষের ঘোর কাটে। নারীরও মোহ ভঙ্গ হয়। কিন্তু সেই শুধরে যাওয়া নারী- পুরুষ একই ভুল করে। এটা কি নিয়তি? এই নিয়তি কে তৈরি করে দিলো?
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে!
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০
এ পথের পথিক বলেছেন: শরীরের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে মানুষ তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করে ফেলে। জৈবিক চাহিদা মানুষকে পশুর স্তরে নামিয়ে ফেলে। লেখক চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুরুষ মানুষ ভ্রমের মধ্যে থাকে। নারী পুরুষকে মোহে ফেলে দেয়। নারীর রুপ পুরুষকে ভুল পথে নিয়ে যায়। একসময় পুরুষের ঘোর কাটে। নারীরও মোহ ভঙ্গ হয়।
সবচেয়ে বেশী ভাল লেগেছে এটুকু ।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
শায়মা বলেছেন: বাহ! সুন্দর হয়েছে এই লেখা ভাইয়া।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক আগে পড়েছি।কাহিনী মনে নেই।তবে দেবী চৌধুরীণীর কাহিনী কিছুটা মনে আছে।রিভিউ সুন্দর হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ভালো লাগলো