নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৪৬

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪



১। গত পনের বছর কেউ শহীদ মিনার ভাঙতে সাহস পায়নি।
এক ভিডিও'তে দেখলাম স্কুলের এক ছেলে হামার দিয়ে শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলছে। শহীদ মিনার ভাঙ্গার কি হলো বুঝলাম না! ছেলেটা যখন শহীদ মিনার ভাঙছে তখন স্কুলের শিক্ষকরা তাকে থামালো না কেন? ধরে নিলাম ছেলেটা অবুঝ-নাদান। অথবা কেউ তাকে টাকা দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। 'শহীর মিনার ভাঙ্গা' এই বিষয়টায় আমার মন অনেক খারাপ হয়েছে।
এদিকে তসলিমা নাসরিনের একটা পোষা বিড়াল আছে। নাম মিনু। মিনু গতকাল মারা গেছে। যারা বিড়াল পালেন তারা তসলিমা নাসরিনের কষ্টটা অনুভব করতে পারবেন। বেচারি অনেক ভালোবাসতো বিড়ালটিকে। বিড়ালটি তাকে সঙ্গ দিতো। নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। চারিদিকে শুধু মন খারাপ করা সংবাদ।
শহরে চুরী ছিনতাই অনেক বেড়ে গেছে। আগে ছিনতাইকারীরা টাকা মোবাইল ম্যানিব্যাগ নিয়ে যেতো। এখন আগে কোপায়। বিশাল এক রাম-দা দিয়ে কোপায়। আজিব!! ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কেও ডাকাতি হচ্ছে। দেশে কি আইনশৃংখলা বাহিনী নেই?

২। নায়িকার নাম ননী। নায়ক একজন দরিদ্র কৃষক।
এজন্য নায়িকার বাবা দরিদ্র কৃষককে রিজেক্ট করে দেয়। কৃষক কাজের সন্ধানে শহরে যায়। এই সুযোগে নায়িকার বাবা নায়িকার বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলে। নায়ক নায়িকার বিয়ের কথা জানতে পারে এবং সে সাথে সাথে গ্রামে চলে আসে। এবং কান্না করতে করতে খাল-বিল পেরিয়ে গান গায়-

ছি: ছি: ছি: ননী ছি:
ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা
মনকে চিনলি নাই
সুনাকে চিনলি, মানাক চিনলি, মানুষ চিনলি না
ছি: ছি: ছি: রে ননী।


গানটি ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশের গান।
১৯৯৫ সালে প্রথম রেকর্ড করা হয়। এবং ২০০৫ সালে মিউজিক ভিডিও করা হয়। তখন গানটি জনপ্রিয় পায়নি। এটা দুঃখের গান, কষ্টের গান। বুকের ভেতর হাহাকার করা গান। অথচ এই প্রজন্ম এই গানকে ফান হিসেবে নিয়েছে। গানের সাথে তাল মিলিয়ে পোলাপান ফান ভিডিও তৈরি করছে। আজিব! গানের বাংলা অর্থ এই রকম:

খুবই লজ্জার, ননী
সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার মূল্য দিলে না
সোনা, দামি গহনা চিনতে পেরেছো, প্রকৃত মানুষ চিনো নাই
তুমি বুঝতে পারোনি, যার কাছে সম্পদ আছে, তার হৃদয় নেই।


৩। দুটা খেলা আমার খুব অপছন্দের। বক্সিং খেলা।
এই খেলায় মুখের মধ্যে মারে। মাঝে মাঝে আমি এই খেলার ছোট ছোট ক্লিপ দেখে আঁতকে উঠি। মেরে নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের করে দেয়। খুবই নির্মম খেলা। কিন্তু দর্শকরা এই খেলায় খুবই মজা পায়। তারা আনন্দে চিৎকার করতে থাকে। একজন মানুষের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়েছে, মানুষটা ব্যাথায় ছটফট করছে। অথচ দর্শক হাতে তালি দিচ্ছে। আরেকটা খেলা আছে, থাপ্পড় মারা। বিশাল দৈত্যের মতো শরীর। সে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চিকন পাতলা লোককে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে থাপ্পড় মারছে। থাপ্পড় খেয়ে কান দিয়ে রক্ত পড়ছে, গাল ফেটে রক্ত পড়ছে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়। দর্শকরা আনন্দে চিৎকার দিচ্ছে। আরেহ ভাই এটা কেমন খেলা?! আমরা কোন যুগে বাস করছি!

অনেক আগে দুটা বই পড়েছিলাম।
কাহিনী এই রকমঃ মানুষ কিছুতেই আনন্দ পাচ্ছে না। ফুটবল, ক্রিকেট, মাছ ধরা, গান শোনা, বইপড়া কিছুতেই আনন্দ পাচ্ছে না। তখন মানুষ বুদ্ধি বের করলো। জংগলের মধ্যে কিছু মানুষ ছেড়ে দেওয়া হলো। তারা দৌড়াচ্ছে, পালাচ্ছে। তাদের দেখলেই সাথে সাথে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হবে। এই খেলায় মানুষ আনন্দ পেলো। বনফুলের একটা গল্প পড়েছিলাম। একলোক দুনিয়ার সমস্ত নেশা করেছে। সিগারেট, গাজা, মদ, ইয়াবা, আফিম, এলএসডি। সব রকম নেশা করেছে। সব নেশা পুরোনো হয়ে গেছে। এখন সে নতুন কিছু নেশা করতে চায়। এজন্য সে পাহাড় জঙ্গল ঘুরতে লাগলো। একটা বিষাক্ত সাপ পেলো। সেই সাপের ছোবল নিলো নিজের জিভে। এই নতুন নেশা তার মন মতো হলো। এখন এই সাপ আরো কিছু যোগাড় করে রাখতে হবে।

৪। দিন দিন এই দেশের প্রতি আমার মন উঠে যাচ্ছে।
এই যুগের মানুষ গুলো জাস্ট ইতর। এই যুগে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। আমরা এক অবিশ্বাসের যুগে বাস করছি। হাসিনা না থাকাতে সব খারাপ মানুষ পথে নেমেছে। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আসামীরা দেশে ফিরেছে। কারাগারে থাকা আসামীরা ছাড়া পেয়েছে। ভয়ংকর অবস্থা। চারপাশ দেখে শুনে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। গতকাল আমি আর ফারাজা চায়নিজ খেতে গিয়েছিলাম ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের কাছেই আগুন লেগে যায়। রাস্তায় বিকট জ্যাম। অনেক গুলো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নেভায়। আমি চায়নিজ খাবার কিছুই খেতে পারলাম না। আগুনের ঘটনায় মন খারাপ হয়েছে। কিন্তু রেস্টুরেন্টে থাকা মানুষদের কোনো বিকার নেই। তারা হইচই করছে। মূরগীর পা চিবাচ্ছে। আগুন লাগা ঘটনায় তাদের যেন কিছু যায় আসে না।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: নমস্কার দাদা, এটা কি পড়েছেন?

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দাদা, এটা পড়েন l

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যা আপনি চেঞ্জ করতে পারবেনা না তা নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা না করাই ভালো।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনি কি কোনো কারণে মানসিক চাপে আছেন? যদি তাই হয়, তাহলে কিছুদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা ভালো হতে পারে। এটি আপনাকে শান্তি দিতে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০২

নকল কাক বলেছেন: আপনার লেখার ভাষা হুমায়ুন আহমেদের কাছাকাছি হয়েছে। প্লাস++

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: ৫২ সাল থেকেই শুরু হয়েছে শহীদ মিনার ভাঙ্গা।তারা এখন শক্তিশালী হয়েছে।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: @ কুতুব,চিন্তা থেকেই কর্মের উৎপত্তি।কর্ম চিন্তাকে পথ দেখায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.