নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কন্যা আমার- ৭৪

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২



প্রিয় কন্যা আমার-
ফারাজা, তুমি কি শুরু করেছো- আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! রাতে তুমি ঘুমানোর আগে ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমাতে যাও। প্রতিদিন তোমার মুখে ঘুমের দোয়া শুনতে শুনতে আমার নিজেরই মুখস্ত হয়ে গেছে। ''আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া''। অর্থ্যাত 'হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে ঘুমাই এবং তোমার নামেই জাগ্রত হই'। তুমি এই দোয়া কি করে শিখলে? কোটি কোটি বাচ্চা রাতে দোয়া পড়ে ঘুমায় না। তাতে কি তাদের কোনো ক্ষতি হয়? আর ঘুমের দোয়া পড়ে ঘুমালে কি উপকার হয়? এই তো কয়েকদিন আগে রাতে তুমি ঘুমের দোয়া পড়ে ঘুমালে। মাঝরাতে তোমার শরীর খারাপ করলো। তুমি বমি করলে। সারারাত আমি তোমার পাশে জেগে বসে ছিলাম। এরপর টানা সাত দিন তুমি জ্বর, কাশি আর ঠান্ডায় ভুগলে। দোয়ায় কি কাজ হয়? প্রতিটা বাবা মা তার ছেলেমেয়েদের জন্য দোয়া করে। আমার ছেলে পাইলটল হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, ডাক্তার হোক, বিখ্যাত হোক। ভালো রেজাল্ট করুক। বাবা মায়ের দোয়ায়- ছেলেমেয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যায় না। কোনো দোয়াই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতে পারে না। সেটা সম্ভব নয়। ডাক্তার হতে হলে- পড়তে হবে, প্রচুর পড়তে হবে। পড়তে পড়তে জীবন কয়লা বানিয়ে ফেলতে হবে।

ফারাজা তাবাসসুম খান-
দিন দিন তোমার আচরনে আমি ভীষন অবাক হচ্ছি। তোমার বয়স মাত্র চার বছর চার মাস। অথচ তুমি বাইরে গেলে হিজাব পরো। সেদিন এক অনুষ্ঠানে দেখলাম তুমি হিজাব পড়ে গেছো? আমি বললাম, ফারাজা গরম লাগছে না? হিজাব খুলে ফেলো। তুমি হিজাব খুললে না। অনুষ্টানে অনেক বাচ্চা ছিলো তোমার বয়সী- তারা কিন্তু কেউ হিজাব পড়ে নাই। কিছুদিন আগে রমজান মাস গেলো। দেখলাম তুমি সন্ধ্যায় হিজাব ছাড়া ইফতারী করতে চাচ্ছো না। হিজাব না দিলে ইফতারী করবে না। আজিব!! বাচ্চা মানুষ তুমি হিজাবের কি বুঝ? হঠাত করে তুমি এত ধার্মিক হয়ে গেলে কেন? তুমি বাচ্চা মানুষ ধর্মের কি বুঝ? তুমি কেন অতি ধার্মিকতা দেখাচ্ছো, সেটা আমি খুজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে এত এত নারী হিজাব পরতো না। এখন হিজাবধারীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। অনলাইনে হিবাজ বোরকা প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। এখন অলিতে গলিতে হিজাবের দোকান হয়েছে। তোমার খালা তোমার জন্য ইদের জামা পাঠিয়েছে। সেই জামার সাথে মেচিং করে একটা হিজাব আছে। অর্থ্যাত আলাদা করে হিজাব কিনতে হচ্ছে না। সুন্দর ভাবে থাকার জন্য বোরকা বা হিজাবের প্রয়োজন হয় না। হিজাব বোরকা ছাড়াও শালীন ভাবে থাকা যায়।

ফারাজা প্রিয় কন্যা আমার-
তুমি ধার্মিকতা শিখেছো তোমার স্কুল থেকে। যদিও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। স্কুলে তোমাকে প্রথম- A B C D বা অ, আ, ই অথবা ক, খ, গ শিখায় নি। শিখায়নি কোনো ছড়া-কবিতা। শিখিয়েছে- 'রাব্বি যিদনী ইলমা'। অর্থঃ ওহে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর। কথা হচ্ছে- আইনস্টাইন কখনও 'রাব্বি যিদনী ইলমা' বলেন নাই। এরিস্টটল কখনো 'রাব্বি যিদনী ইলমা' বলেন নাই। আমি বলতে চাইছি- 'রাব্বি যিদনী ইলমা' এই তিনটা শব্দের কোনো অলৌকিক ক্ষমতা নেই। যা করার নিজেকেই করতে হবে। তুমি পড়লেই পরীক্ষায় পাশ করবে। না পড়লে পরীক্ষায় পাশ করবে না। সহজ হিসাব। না পড়ে তুমি যদি সারাদিন 'রাব্বি যিদনী ইলমা' বলো অথবা আল্লাহ আল্লাহ জিকির করো- তাতে কোনো লাভ নাই। আদি যুগের চিন্তা ভাবনা বাদ দিতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা অথবা বলা যায়- ধর্ম শিক্ষা দিয়ে- তুমি কিছুতেই উন্নত জীবন পাবে না। মাদ্রাসায় পড়ে তুমি নাসায় চাকরি পাবে না, গুগলে চাকরি পাবে না, আইটি সেক্টরে চাকরি পাবে না। মাদ্রাসায় যারা পড়ে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তোমাকে আধুনিক শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। 'রাব্বি যিদনী ইলমা' এক কোটি বার পড়লেও কাজ হবে না।

প্রিয় কন্যা আমার-
তোমার মা ধার্মিক মানুষ। গত এক বছর ধরে তোমার মা প্রচণ্ড আকারে ধর্মকর্ম শুরু করেছে। তোমার মা এখন হিজাব পড়ে, বাইরে গেলে বোরকা পড়ে। এমনকি তোমার বর্মা (বড় মা) সে-ও গত কয়েক বছর ধরে বোরকা পরে। এখন শুধু তার চোখ দেখা যায়। পুরো মুখ ঢাকা। কোনো অনুষ্ঠানে গেলে খাবার খেতে সমস্যা হয়। মুখের উপরে থাকা কাপড়টা একটু সরিয়ে খাবার মুখে দেয়। কেন? উনি খাচ্ছেন এটা কেউ দেখে ফেললে তার গুনাহ হবে? পাপ হবে? এটাই কি তার ধর্ম তাকে শিখিয়েছে? ডায়না হেডেন, মাদার তেরেসা, বেগম রোকেয়া তো কোনোদিন এভাবে খাওয়া দাওয়া করেননি। হিজাব বোরকা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নাই। যার ভালো লাগে পরবে, যার ভালো লাগবে না, সে পরবে না। জোরজবদস্তির কিছু নাই। সিনেমার অনেক নায়িকা সারা জীবন রঙ ঢং করে। শেষ বয়সে এসে ধর্মকর্মে মন দেয়। বোরকা পড়ে। নামাজ পড়ে, মসজিদ মাদ্রাসা করে। এমনকি তারা বলে তাদের নাটক সিনেমা যেন আর টিভিতে দেখানো না হয়। তার মানে কি? মানুষের কি শেষ বয়সে এসে হুশ হয়? এতদিন যা করেছে- সব ভুল। এখন ধর্মকর্ম করতে হবে। এই হুশটা যৌবনে আসে না কেন? ধর্ম মানে কি নারীরা বস্তা বন্ধী থাকবে?

ফারাজা তাবাসসুম খান (ফাইহা)-
তুমি বড় হও। তোমার জ্ঞান হোক। বুদ্ধি হোক। তারপর যদি তোমার হিজাব পরতে মন চায় পরবে। বোরকা পরতে মন চায় পরবে। তোমার সম্পূর্ন স্বাধীনতা আছে। আমি তোমাকে কোনো কিছুতে বাধা দিবো না। কিন্তু আমি চাই- তুমি বুঝ কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক। কি করলে তোমার ভালো হবে, কিভাবে চললে তুমি সুখে থাকবে, আনন্দে থাকবে- ভালো থাকবে। তোমার ভালোর চিন্তা তোমাকেই করতে হবে। তুমি ভুল পথে যাও সেটা আমি চাই না। ফাজ্জা সব কিছু অর্জন করতে হয়। কোনো কিছু এমনি-এমনি আসবে না। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে- 'জ্ঞান'। জ্ঞানের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। জ্ঞান তোমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে। দশ জন যেদিকে যায়, তোমার সেদিকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তুমি তোমার পথ নিজে তৈরি করে নাও। যে পথ আনন্দের। যে পথ মুক্তির, যে পথ সঠিক ও সুন্দর। এজন্য জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। তোমার পড়াশোনা তোমাকে সঠিক পথ দেখাবে। ধর্মীয় জ্ঞান দিয়ে তুমি ইহকালে কোনো উপকার পাবে না। ধর্মীয় জ্ঞান তোমাকে বস্তাবন্ধী করবে। মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিবে। তুমি তোমার বর্মার মতো আরাম করে খেতে পর্যন্ত পারবে না।

ফারাজা তাবাসসুম-
তোমার জন্মের পর তোমার বড় মামা তোমার নাম রাখেন- হানিত্রা। তোমার নানা বাড়ির সবাই তোমাকে হানিত্রা বলেই ডাকে। হানিত্রা নামটা ভালোই। নাম কোনো বিষয় না। মানুষের আসল পরিচয় তার কর্মে। যার কর্ম ভালো ও সুন্দর তার সব সুন্দর। গতকাল রাতের কথা বলি- গতকাল রাতে বাসায় ফিরতে দেরী হয়েছে। রাত ১১ টায় বাসায় ফিরে দেখি তুমি তোমার মাকে মেকাপ করে দিচ্ছি। মেয়ে তার মাকে সাজিয়ে দিচ্ছে- সুন্দর দৃশ্য। এখন তোমার মা সাজে না। আগে কি সুন্দর সেজে থাকতো। চোখে কাজল দিতো। মনে হয় ধর্মের কারনেই তোমার মা এখন কাজল দেয় না, ভ্রু প্লাক করে না, ফেসিয়াল করে না, মেকাপ দেয় না। লিপস্টিক দেয় না। গতকাল তোমার স্কুল থেকে ক্লাশ টিচার একটা ছবি পাঠিয়েছেন। ছবিতে দেখলাম- তোমাদের হাতে পতাকা। ফিলিস্তিনিদের পতাকা। ইজরায়েল ফিলিস্তিন আক্রমন করেছে। অসংখ্য মানুষ মরেছে। ছোট ছোট বাচ্চারা আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। তোমাদের ক্লাশ টিচার ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা করছেন। তোমরা দুই হাত তুলে প্রার্থনা করছো। এদিকে আমাদের দেশের হুজুরেরা- বাটা, কেএফসি'র দোকান ভেঙ্গেছে। লুটপাট চালিয়েছে। দোকান ভাঙচুর করে, লুটপাট করে তারা ফিলিস্তিনিদের কোন উপকারটা করলো?

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুভ কামনা আপনার সন্তানদের জন্য।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:


আপনার কন্যার প্রতি ভালোবাসা, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা এবং শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়ার চিন্তাধারা প্রশংসনীয়। তবে আপনার লেখার মধ্যে কিছু বক্তব্য রয়েছে, যা ধর্মবিশ্বাসকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ করার শামিল।

বিশেষ করে ঘুমের দোয়া, “রাব্বি যিদনি ইলমা”, হিজাব বা বোরকার প্রতি যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতই নয়, বরং কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের বিশ্বাসকেও অসম্মান করে।

দোয়ার মাহাত্ম্য এবং ধর্মীয় চর্চা ব্যক্তির মনোবল, নৈতিকতা এবং আত্মিক শক্তি গঠনে সহায়তা করে—এগুলো বিজ্ঞানের বিরোধী নয়, বরং পরিপূরক। একজন শিশু যদি ছোটবেলা থেকে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে শেখে, সেটি তার মানসিক বিকাশের জন্য বরং ইতিবাচকই।

ধর্ম কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাস, সেটা ছোট হোক বা বড়—তাকে হেয় করে, “অলৌকিকতা নেই”, “কাজ হয় না” ইত্যাদি মন্তব্য করে বাতিল করা একদমই সঠিক নয়।

পোস্টের শেষের দিকে এসে অন্ধকারে একটা ঢিল ছুঁড়ে মারলেন, "এ দেশের হুজুরেরা- বাটা, কেএফসি'র দোকান ভেঙ্গেছে এবং লুটপাট চালিয়েছে" - উদ্ভট কথাগুলো বলে। দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাট যারা করেছে তারা হুজুর, এই আজগুবি তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাটে জড়িতদের মধ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেও যে ধরা পড়েছে, তা হয়তো আপনি জানেন না। কেএফসি-বাটায় ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ১৪

যা হোক, আশা করি, আপনি সহনশীলতা বজায় রেখে বিশ্বাসের প্রতি সম্মান জানাবেন এবং অন্যদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা থেকে বিরত থাকবেন। ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার/আপনাদের ধর্মীয় অনুভূতি এত নাজুক ক্যান? কেন এত দুর্বল?
অল্পতেই আঘাত লাগে।

যখন বেকাররা চাকরি না পেয়ে অসহায় ভাবে জীবনযাপন করে তখন আপনাদের আঘাত লাগে না?
দরিদ্ররা যখন চিকিৎসা পায় না, কষ্ট করে তখন আপনাদের আঘাত লাগে না?
যখন থানায় আগুন দেওয়া হলো, পুলিশ হত্যা করা হলো- তখন আঘাত লাগে নাই?
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা হলো, ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেওয়া হলো- তখন আঘাত লাগে নাই?
চুরী হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে, ধর্ষন হচ্ছে, দূর্নীতি হচ্ছে- এগুলোতে আঘাত লাগে না?
মাদ্রাসা গুলোতে নিম্ম মানের শিক্ষা, আর বলাৎকারে- আপনাদের আঘাত লাগে না?
রাস্তায় মানুষ ঘুমায়- মানুষের কষ্ট দেখে আপনারা আঘাত পান না?

আপনারা কি শুধু ধর্মের কারনে আঘাত পান? তার মানে আপনারা শুধু 'ধার্মিক' হতে পেরেছেন। মুসলমান হতে পেরেছেন। কিন্তু মানবিক বোধ সম্পন্ন মানুষ হতে পারেন নাই।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

মাস্টারদা বলেছেন: পৃথিবীর সব সন্তান ফুল হয়ে ফুটুক।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: পর্দা বা হিজাব পালন সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়। প্রত্যেকেরই নিজের ধর্ম ও সংস্কৃতি অনুযায়ী শালীনভাবে জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। যদি কেউ স্বেচ্ছায় ও সচেতনভাবে পর্দা করতে চায়, তা অবশ্যই সম্মানের দাবিদার।

তবে, বয়সন্ধি বা তার আগেই যখন খুব ছোট শিশুরা হিজাব-বোরখা পরে, তখন কিছু প্রশ্ন জাগে:

স্বাধীন ইচ্ছা নাকি চাপ? শিশুরা কি নিজে বুঝে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, নাকি পরিবার বা সমাজের প্রভাবে পরছে?

শিশুসুলভ স্বাধীনতা: ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং প্রাকৃতিক বিকাশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারী পোশাক বা সামাজিক নিয়ম তাদের এই স্বাধীনতাকে কি প্রভাবিত করছে?

সচেতনতা: ধর্মীয় অনুশাসনের পাশাপাশি শিশুদের সুস্থ মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত করাও জরুরি।

মূল কথা, পর্দা একটি মহৎ মূল্যবোধ হতে পারে যদি তা ব্যক্তির নিজস্ব বিশ্বাস ও পরিপক্বতার ভিত্তিতে করা হয়। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের বয়স, স্বাচ্ছন্দ্য এবং স্বাধীন চিন্তার সুযোগ দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় অনুশাসন ও বাস্তব জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করাই উত্তম পথ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: বড়র কাছথেকে শিখছে এসব।প্রথমেই সাবধান হওয়া উচিত ছিলো।ভালো কোন শ্কুলে পাঠান।যেখানে কুসংস্কার শিক্ষা দেয়া হয় না।যুক্তি দিয়ে ভাবতে শিখান।যুক্তিবাদী বাবার মেয়ে এমন হলে চলবে।অবস্য বাবা মা দুই জনেরই মেয়ে।বেশি বেশি সময় দিন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। নাম করা স্কুল। এই স্কুলে চান্স পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

আসলে সুরভি, বলেছে- মেয়ের লেখাপড়া স্কুল-কলেজ ইত্যাদি বিষয়ে তুমি কোনো কথা বলবে না। আমি চুপ করে আছি। এর মধ্যে মেয়ে কথায় কথায় আলহামদু লিল্লাহ, মাশাল্লাহ শিখে গেছে।

মনে হচ্ছে সুরভির সাথে আমার মেয়েকে নিয়ে ফাইট করতে হবে।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩৬

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: বাচ্চাদের হিজাব, বোরকা পরতে ইদানিং খুব দেখা যাচ্ছে। আমার খুব কষ্ট লাগে, বাচ্চাদের শৈশবটাই কেড়ে নিচ্ছে এই পোশাক চাপিয়ে দিয়ে। বাচ্চারা থাকবে কিউট কিউট জামা পরে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপনার পরিবার খুব তাড়াতাড়ি আফগানী পরিবার হয়ে যাবে।
এতে কোন সন্দেহ নেই।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভাইসাহেব, এরকম হবে না।
আমি বেঁচে আছি। নাটাই আমার হাতে। একটু ঢিল দিয়েছি, তাই এই অবস্থা। সব ঠিক করে ফেলব।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পরীর কি খবর?

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আছে।
লেখাপড়া নিয়ে ভীষন ব্যস্ত।
এছাড়া আছে আছে ফ্রেঞ্চ ক্লাশ।

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩২

আবএল বলেছেন: A great way to succeed in https://escaperoad2d.io is to adjust your speed based on the road’s complexity. Slowing down during sharp turns can help you maintain control and avoid crashes.

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: !

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০০

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আপনার কন্যা এখন কেমন আছে, ও ভালো থাকুক।

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



লেখক বলেছেন: ভাইসাহেব, এরকম হবে না।
আমি বেঁচে আছি। নাটাই আমার হাতে। একটু ঢিল দিয়েছি, তাই এই অবস্থা। সব ঠিক করে ফেলব।


ধর্ম অনেক কঠিন ভাইরাস। এটা করোনা ভাইরাসের চেয়েও মারাত্বক। করোনার টিকা আবিষ্কার হয়েছিল। ধর্ম ভাইরাসের কোন টিকা নেই। হবেও না।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



ফ্রেন্স ইহুদী নাছারাদের ভাষা। ইহা কন্যাকে শিখাইবেন না।
অআনন্দ হৈবে।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৭

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: খুব সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে লিখেছেন যার সাথে আমিও এক মত । ভালো থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.