নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দুনিয়ায় আপনি আমন্ত্রিত

রাজন আল মাসুদ

খুঁজে ফিরি স্বপ্নগুলো............

রাজন আল মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৩)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৭

কাজ শেষ হত রাত ৯ টায়। এরপর রুমে আসার পর শুরু হত পড়াশুনা। ক্লান্তিতে চেয়ারে বসে থাকাই ছিল দায়। চেয়ার থেকে বিছানায়, বিছানায় বসা থেকে শোয়া, তারপর কম্বল জড়িয়ে পড়া। কতদিন বইয়ের উপরেই ঘুমাইছি তার ঠিক নাই। ক্লাস ছিল সকাল ৯ টায়। ঘুম থেকে এলার্ম ছাড়া উঠেছি মনে পরে না। এলার্ম সেট করতাম তিনটা। একটা একঘন্টা আগে, ঐটা ঘুম থেকে উঠার সময় হইছে এইটা নিজেকে জানানোর জন্য। দ্বিতীয়টা ৩০ মিনিট আগে, এটা ঘুম থেকে উঠার জন্য, তৃতীয়টা ১৫ মিনিট আগে ইমার্জেন্সি এলার্ম, যদি দ্বিতীয়টা মিস করে যাই এই জন্যে। বেশিরভাগ সময় তৃতীয় এলার্ম এই উঠতাম। ভাবতাম এমনে পড়াশুনা চালাব কেমনে? তখন কি জানতাম সামনে আসছে আরো দুর্দিন.....

ডর্ম লাইফ:

আমি থাকতাম নর্থ হেজেস এ.........রেসিডেন্ট হলগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বহুতল। এটার একটা জমজ আছে......সাউথ হেজেস। ভার্সিটিতে দুইটা রেসিডেন্ট হল ছিল যেখানে ছেলে-মেয়ে একসাথে থাকত। নর্থ হেজেস এর মধ্যে একটা। ডর্মের বেজমেন্টে একটা গ্রোসারী শপ যেখানে তিন ডাবল দামে সব বিক্রি হয়, ওয়াশিং মেশিন, পুল টেবিল, টেবিল টেনিস, বিরাট এক এলসিডি টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার, কিছু মুভির ডিভিডি, লাউঞ্জ, কম্পিউটার সেন্টার- এখানে ফ্রি পিসি, ল্যাপটপ সার্ভিসিং করানো যেত, গান রুম- কারো ফায়ার আর্মস থাকলে (অনেকেরই ছিল, শিকার মন্টানায় জনপ্রিয়) এখানে রেখে যেত। রুমে কোনো আর্মস নেয়া নিষেধ। এছাড়া প্রতি তলায় একটা রিডিং রুম আর লাউঞ্জ ছিল। প্রতিটা লাউঞ্জেই এলসিডি টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার আর মিউজিক সিস্টেম ছিল। প্রত্যেক ফ্লোর এর জন্য একজন অথবা দুইজন আর.এ. ছিল, যাদের কাজ কোনো প্রবলেম হলো ব্যবস্থা নেয়া। আমি থাকতাম ৮ তলায়। মোট ১২ তলা। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই জানালা দিয়ে তাকালে চোখে পরত তুষার ঢাকা নীল্ পাহাড়। মন ভালো হওয়ার জন্য এই একটা জিনিসই যথেষ্ট। তবে সুন্দর জিনিসগুলো একা দেখলে মজা নষ্ট হয়ে যায় অনেকটাই। রুম এমন আহামরি কিছু না.........ছোট একটা রুমে দুইটা সিঙ্গেল বেড, দুইটা কাবার্ড, একটা পড়ার টেবিল ব্যাস। এই রুম আর সাথের মিল প্লানের জন্য চার মাসে গুনতে হয়েছিল ৩২০০ ডলার। আমার রুমমেট ছিল এক লোকাল আমেরিকান ছেলে বেন, যে মাসে ৭ দিন ও রুমে থাকত না। তাই রুমে বলতে গেলে আমি নিজের মতই থাকতাম। বেন সকালে ক্লাস শেষে মাঝেমধ্যে রুমে আসত.......সেই সময় আমি থাকলে টুক টাক কথা হত আমাদের কালচার নিয়ে, আমেরিকার যুদ্ধ মনোভাব নিয়ে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে আমি আজ পর্যন্ত যতগুলো আমেরিকান এর সাথে মিশেছি, এরা কেউ মুসলিম বলে আমাকে এড়িয়ে যায় নাই। আর মুসলিমরা সব সন্ত্রাসী এই থিওরিতেও তারা বিশ্বাসী না। মন্টানায় রিপাবলিকানদের সাপোর্টার বেশি হলেও তাদের শুরু করা যুদ্ধকে সাপোর্ট করে এমন কারো সাথে আমার দেখা বা কথা হয় নাই। বেনের সাথে ধর্ম নিয়েও কথা হত, তখনি প্রথম আমি উপলব্ধি করি যে আমার নিজের ধর্ম সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই কম। তাও যতটুকু সম্ভব ওকে বলার চেষ্টা করছি। ও খ্রিস্টান হলেও প্রাকটিসিং ছিল না। বেন ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এ পড়ত। আমাকে বলত নিজের বিজনেস শুরু করার স্বপ্নের কথা। আমার ধারণা আমেরিকানদের জব করার প্রতি আগ্রহ কম। এখন যেখানে জব করি সেখানে একজন আমাকে প্রায়ই বলে "ইউ আর নট গোয়িং টু রিচ এনি হয়্যার, ইফ ইউ কন্টিনিউ হোয়াট ইউ আর ডুইং নাউ"। মনে মনে বলি "আমার বাস্তবতা তোরে কেমনে বুঝাই"।

ডর্ম লাইফে আমি কয়েকটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। প্রথমটা হলো খাওয়া দাওয়া। ডর্মে থাকার কারণে ডাইনিং এ আমার মিল প্লান ছিল। এছাড়া ওই একই জায়গায় আমি কাজ করতাম। কিন্তু সমস্যা ছিল যে আমি কিছুই খেতে পারতাম না। আমাদের খাদ্যাভাস থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সেই খাবারের সাথে আমি মন্টানা ছাড়ার আগ পর্যন্ত মানিয়ে নিতে পারিনি। ডর্মে রান্না করার অনুমতি না থাকায় প্রথম দিকে ওই খাবারই ছিল একমাত্র রিজিক। ওরা মূলত সমস্ত সবজি কাচা খায় (ভালো করে ধুয়ে)। যা আমরা বাঙালিরা কখনই খেয়ে অভ্ভস্ত নই। সালাদ বারে থাকত আরো ১৮ রকমের সবজি, ব্রেড, মেয়নেজ, সিদ্ধ ডিম, চার রকমের চিজ, ৬ প্রকার সালাদ ড্রেসিং, পর্ক, টার্কি, বিফ (টার্কি, বিফ শুধু বয়েল করা থাকার কারণে তাও খেতে পারতাম না)। বার্গার বারে থাকত বিফ আর পর্ক বার্গার, চিপস, ভেজিটেবল পিজা, চিজ পিজা, পেপারণী পিজা, ২-৩ রকমের ডেজার্ট, লিকুইড চকলেট, বাটার আর ব্রেড। লাইনে প্রধান ডিশগুলো সার্ভ করা হত। এটার মেনু প্রতিদিনই চেঞ্জ হত। এখানে থাকত চিকেন ফ্রাই, চিকেন বারবিকিউ উইংস, শ্রিম্প ফ্রাই, স্টেক, ব্রাউন রাইস, গ্রেভি ভেজিটেবলস, চিজ এ রান্না করা ম্যাকারনি, বুরিটোস, ডিম এ ভাজা পাউরুটি। এগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হত। এছাড়া অন্যান্য দেশের, মূলত মেক্সিকান আর স্প্যানিস কিছু নাম না জানা খাবার ও মাঝে মাঝে থাকত। বেভারেজ এ ছিল ২ ফ্লেভার এর কোক, ৩ ফ্লেভার এর পেপসি, স্প্রাইট, কোল্ড কফি, ম্যাঙ্গ জুস, আপেল জুস, অরেঞ্জ জুস, মিক্সড ফ্রুট জুস, ৪ রকমের কফি, চকলেট মিল্ক, ২% মিল্ক, স্কিম মিল্ক, সয়াবিন মিল্ক, আইসক্রিম (বার & কোন), ৪ রকমের কফি আর ১০ রকম ফ্লেভারের চা !!!!! দুনিয়া তে যে এত রকম চা আছে ঐটাই আমার ধারনায় ছিল না। আরো বেশ কিছু খাবার ছিল যা মনে আসছে না। আর এর সবকিছুই ছিল আনলিমিটেড। যত পর তত খাও। এছাড়া সকালে কনডোতে অর্ডার মোতাবেক ডিম ভাজা পাওয়া যেত। তাও প্রায় ৯/১০ রকমের তো হবেই। সবজি দিয়ে ডিম ভাজা, পর্ক দিয়ে ডিম ভাজা (চিকেন আর বিফ ছিল না), মাশরুম আর অলিভ দিয়ে ভাজা, গ্রিন পিপার আর রেড পিপার দিয়ে ভাজা, ডিম পোচ, শুধু ডিমের সাদা অংশের ভাজা, অথবা তিনটা ফুল ডিম আর দুইটা ডিমের সাদা অংশ আর কত কি। যে যার ইচ্ছা মত ডিম নিতে পারত। আমি সর্বোচ্চ একজনকে একসাথে ১৪ টা ডিমের ভাজি নিতে দেখেছি। এত রকমের খাবারের মধ্যে আমার মেনুতে ছিল সকালে তিনটা ডিম ভাজা আর পাউরুটি, সাথে চকলেট মিল্ক, আইসক্রিম। বাকি সময় চিকেন বারবিকিউ উইংস (এইটা সবচেয়ে প্রিয় ছিল আর এইটা মাসে দুই বার এর উপরে বানাত না), বিফ বার্গার, চিপস, ভেজিটেবল পিজা, চিজ পিজা, চিকেন ফ্রাই, ডিম এ ভাজা পাউরুটি। আপনারা ভাবতে পারেন এত কিছু থাকতে এত অল্প জিনিস খাওয়ার মানে কি? ব্যাপার হলো উপরে মেইন ডিশ যেগুলো বললাম ওগুলো একই দিনে সব থাকত না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্না হত। এমন দিন ও গেছে যেইদিন আমার খাওয়ার মত কোনো মেইন ডিশ ছিল না। ভার্সিটির প্রথম দিকে ছাত্র কম থাকায় বেশ কিছু দিন তেমন কিছুই আইটেম ছিল না তখন পিজা আর চিপসই ছিল সম্বল। যেগুলো খাওয়ার মত ওগুলাও এত বাজে ভাবে রান্না করত যা বলার বাইরে। খাওয়া নিয়ে অভিযোগ শুধু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদেরই না খোদ আমেরিকান স্টুডেন্টদেরও ছিল। অনেকেই বাইরে খেত। কিন্তু প্রথম যাওয়ার পর সবকিছুকেই টাকা দিয়ে গুন দিতাম (মধ্যবিত্ত সবাই যা করে)। প্রতিবেলায় ৫ ডলার (নিম্নে) খরচ করে খাওয়ার আত্মা আমার হয় নাই। খাওয়া দাওয়ার এই চরম ডিজাস্টার থেকে আমাকে রক্ষা করে রাশেদ ভাই, যিনি বুয়েট থেকে ইন্ডাসট্রীয়াল ইন্জিয়ারিং এ অনার্স করে এখানে মাস্টার্স করছেন। আমাকে হাতে ধরিয়ে রান্নাও উনি শিখান। মন্টানায় যত দিন ছিলাম উনি আমাকে আপন ছোট ভাইয়ের মতই আদর করেছেন।

(চলবে)

অন্যান্য পর্ব:
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১

কালোপরী বলেছেন: ++++++++

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

সবুজ মহান বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভাল , একটানে পড়ে গেলাম , অনেক কষ্ট করেছেন তাই কষ্টের গল্পে ++++++ দিতে পারছি না ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, প্লাস এর জন্য লিখছি না, আমার অভিজ্ঞতা থেকে কারো কোনো উপকার হইলেই সার্থক........

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

বেসিকালি সেটা বলেছেন: ভালো হয়েচে,আপনার সংগ্রাম চালিয়ে যান।ভালো থাকবেন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন.........

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

একাকি একজন বলেছেন: দারূন লিখছেন । +

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ.......

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২

rasselbd বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++্
ভাল লাগল, লেখা চলুক, শুধু অনুরোধ লেখাটা মাঝ পথে বন্ধ করবেন না। :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ.......

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

সাদা মাটা গরীব ছেলে বলেছেন: আন্ডারগ্রেডে গেলে কস্ট একটু করতে হবেই সবখানেই। আপনার এডমিশন আর টিউশন সহ কত খরচ হইছে অখানে যেতে

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫০

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: নিজের টাকায় পড়তে চাইলে আন্ডার গ্রাড আর গ্রাড নাই ভাই, সব সমান.......

১৪০০০ ডলার প্রায়........হাতে নিয়ে আসা টাকা সহ.....

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ++++++++++

অসাধারণ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ.......

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

কুন্তল_এ বলেছেন: +++

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ.......

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

মায়াবতি বলেছেন: ধন্যবাদ লেখার জন্য। আপনি এখন যা করছেন তা আমি প্রায় আঠারো বছর আগে করেছি। আমাদের মতো বিদেশী বাংলাদেশী সব ছাত্রদেরই কাজের হাতে খড়ি ক্যাফেটেরিয়ার ডিশ রুমে। আপনার ক্যাফেটেরিয়ার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতা পুরাই মিলে যায়। আমার জানা মতে সেসময় পরিচিত একজন মন্টানা স্টেটে পড়তে এসেছিল কিন্তু খরচ বেশি হওয়ায় পরে মিনেসোটা চলে যায়। আন্ডার গ্রাড এ কম খরচের ইউনিভার্সিটি তে পড়া উচিত। আইন কানুন কঠোর হওয়ায় টাকা কামাই করা এখন ভীষন ঝামেলা। একারনে সামার ছুটিতে সহজে কাজ পাওয়া যায় এরকম জায়গায় চলে যাওয়া উচিত। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোন সাবজেক্টে পড়লে সহজে চাকরী পাওয়া যায়, আপনার মতো অবস্থায় কারা পাস করে চাকরী পাচ্ছে সেটা খেয়াল রাখতে হবে । আল্লাহর ইচ্ছায় সফল হলে যত কষ্টই এখন করেন তা তখন পূরণ হয়ে যাবে।

আমি ইয়োলো স্টোন বেড়াতে গেলে সে সময় বোজম্যানে ছিলাম। মন্টানার চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পাহাড় ঘেরা অপূর্ব একটি শহর। আইডাহ হয়ে ফিরে আসার আগে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস ঘুরে এসেছি।

বলবো সফল হতে হলে আপনাকে লেগে থাকতে হবে। সহজে ছেড়ে দিলে চলবে না।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কাজের খুব সমস্যা, কাজ পাওয়া যায় তো ভালো কলেজ পাওয়া যায় না, ভালো কলেজ পাওয়া গেলে খরচে পোষায় না :(

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বেশ ভালো লাগছে সিরিজ টা। বন্ধ করে দিস না আবার।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: শেষ করার ইচ্ছা তো আছেই........কাজ অসমাপ্ত রাখতে আমার ভালো লাগে না........তবে তোর্ মত ধৈর্য আমার নাই এইটাই যা ভয়......

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

রাফা বলেছেন: চলতে থাকুক....।/.।অনেকেই অনেক কিছু জানতে পারবে আপনার এই সিরিজ থেক.। ধন্যবাদ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, কারো কোনো উপকার হইলেই লেখা সার্থক........

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩৭

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আসলেই চরম এক যুদ্ধ করে যাচ্ছেন..........যেটা সম্বন্ধে আম্রিকা থাকা সত্বেও কখোনো উপলব্ধী করতে হয়নি........। অবশ্যই আপ্নাদের যুদ্ধ জয়ের পরে দারুন এক ভবিষ্যত ওয়েট করতাছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ.............ভালো থাকবেন...............

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৭

অ্যামাটার বলেছেন: এত কষ্ট জীবন নষ্ট! পুরাই দেখি জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লার মত স্ট্রাগল করা!!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :(

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

অপরাজেয় বিদ্রোহি বলেছেন: আপনার হার না মানা মানসিকতার জন্য আপনাকে স্যালুট। ভাল থাকবেন আর সিরিজটা চালিয়ে যাবেন। আপনার লেখা থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনার জন্য ও শুভকামনা

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২

হেনরি রাইডার হেগার্ড বলেছেন: আবার প্রিয় তে নিতে বাধ্য করলো তোমার লেখনি :) :) :) B-) infinity +++++++++++++++++++++++++++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আই এম অনারড

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

আধারের কবি বলেছেন: চোখ দিয়ে প্রায় পানি বের হয়ে যাচ্ছিল। আমারও স্বপ্ন ছিল আপনার মত কিছু করার আপাতত এই পথে পা বাড়াচ্ছি না

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: হতাশ হবেন ন। কাউকে হতাশ করার জন্য লেখিনি ভাই...........শুধু আসল অবস্থা টা জানাতে চেয়েছি, যাতে প্রিপারেসন থাকে একট। ব্যবস্থা একটা না একটা হয়েই যায় সবার...........

১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

আল ইফরান বলেছেন: ভাইরে এই এক ছোট জীবনে অনেক বেশী কস্ট কইরা ফেলছেন :( :( :(

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কিছু মানুষ উদয়ান্ত পরিশ্রম করে, আল্লাহ তাদের চেয়ে ভালো রেখেছেন।

১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

রুদ্র মানব বলেছেন: চার পর্বই পড়ে নিলাম , বেশ ভাল লাগল ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

ছোট নদী বলেছেন: B-)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫১

জনাব রায়হান বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ডরমে মিল প্লান ছাড়া থাকা যেত না? ওখানে নিজের রুমের সাথে কি কোন কিচেন ছিল?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: দুটোর উত্তরই "না"

২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

সৈয়দ মনজুর মোর্শেদ বলেছেন: লেখাটি খুব ভালো হয়েছে। প্রিয়তে নিলাম। :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :) :) :) :) :) ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন।

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

সাহসী বীরবল বলেছেন: : +++++

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ বীরবল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.