নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দুনিয়ায় আপনি আমন্ত্রিত

রাজন আল মাসুদ

খুঁজে ফিরি স্বপ্নগুলো............

রাজন আল মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১১)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৭

আগেই একবার বলেছিলাম মন্টানায় শিকার খুব জনপ্রিয়। লোকালদের অনেকেরই ব্যক্তিগত ফায়ার আর্মস আছে। আর শিকারের মত বন্য প্রাণীও প্রচুর। তবে কোন কোন প্রাণী শিকার করা যায় আর কোনগুলো শিকার করা নিষেধ তা আমার জানা নেই। বন্য প্রাণীরা রাতের বেলা প্রায়ই পাহাড়ি এলাকা থেকে শহরে চলে আসে। একদিন রাশেদ ভাইয়ের বাসায় সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি, এমন সময় ফোনে কথা বলতে বলতে নিচে চলে গেলাম, তারপর হাটতে হাটতে একটু দুরে। রাত প্রায় ১১.৩০ এর মত হবে তখন। হঠাৎ দেখি অন্ধকারে শিং ওয়ালা অনেকগুলো প্রাণী আবছা ভাবে দেখা যাচ্ছে। একটু ভয় ভয় লাগলো। এর মধ্যে একটা ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। ভয়ের সাথে সাথে লেজ ধরে যে কৌতুহলও আসে তা ঐদিনই প্রথম উপলব্ধি করেছিলাম। আমি ভাবলাম দেখিনা কি জিনিসটা। একটু আলোতে আসলে দেখি একটা হরিন !!!!! বিরাট শিং ব্যাটার। দুই-তিন হাত দুরে এসে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। আমি তখন অবাক। তারপর পুরো হরিনের পাল আমার সামনে দিয়ে চলে গেল। ২০ টার উপরে হরিন তো ছিলই। বোজম্যানের ডাউনটাউনে পর্যন্ত রাত্রে বেলা ভালুক দেখা গেছে বলে আমি শুনেছি। পুরো ওয়াইল্ড ওয়েস্ট। এই ওয়াইল্ড ওয়েস্টের একটা অংশ আমি কিছুদিনের জন্য হলেও ছিলাম এটা ভাবতেই ভালো লাগে।

এখানে দেখার মত প্রচুর জায়গা থাকলেও কিছুই দেখতে পারিনি। কারণ একটাই গাড়ি। নিউ ইয়র্ক আর অন্যান্য অল্প কয়েকটা জায়গা ছাড়া আমেরিকায় গাড়ি ছাড়া আপনি পঙ্গু। পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থা জনপ্রিয় নয় এখানে। টাকাও একটা মাথাব্যাথা ছিল। আমার অবস্থা তো এমনিতেই করুন, রাশেদ ভাই, মাকসুদ ভাই টি.এ. হলেও যে টাকা পেতেন তাতে বাসা ভাড়া আর খাবার খরচের পর বলতে গেলে তেমন কিছুই থাকত না। আর একটু সেভিংস তো করতেই হয়। বিপদ আপদের কমনসেন্স যে কম তাতো সবাই জানি আমরা। বোজম্যান শহরে বাস চললেও দেখার মত জায়গাগুলোতে বাসে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আমেরিকানরা যতই ভালো হোক, অন্তরঙ্গতা কেন জানি ওদের সাথে সবার সবসময় খুব একটা হয়ে ওঠে না। একটা অদৃশ্য সীমারেখা ওরা মেইনটেইন করে চলে। কেন জানি না। হয়ত কালচারাল ডিসট্যানসের কারণে। আমি অল্প কিছুদিন ছিলাম ওদের সাথে, এটাও একটা কারণ হতে পারে। হয়ত অনেকদিন থাকলে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যেত। ওরাও গোনার বাইরে। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের সাথে সাধারনত অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদেরই ভালো বন্ধুত্ব হয়। কিছু এক্সসেপ্শন ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের সবার অবস্থা প্রায় একই।

আহসান আন্কেল প্রচন্ড ব্যস্ত থাকায় অনেকবার যাই যাই করেও যাওয়া হয়নি কিছু জায়গায়। অন্যান্য যাদের গাড়ি ছিল, তাদের আমাদের জন্য সময় ছিলনা। প্রথম প্রথম যারা আসে তাদের একটু খারাপ লাগে এই সব দেখে, কিন্তু একসময় আপনি বুঝতে পারবেন এটাই এখানকার রীতি। বলতে পারেন ওটা তো আমেরিকান রীতি, বাঙালিরা তো তাদের মতই থাকবে। দুঃখের ব্যাপার হলো আমাদের কয়েকজনের সাথে সেটা হয়নি। আমেরিকাতে কারো জন্যই কারো সময় নেই, এর উপর যদি আপনি হন তাদের ক্লাস অথবা সার্কেলের বাইরে তাহলে ওই আশা মরীচিকা। অনেকেই ভাবতে পারেন বাঙালিদের সবার তো এক সার্কেলে থাকার কথা। জ্বি না ভাই। তা হয় না। সবার সাথে সবার হয়ত সম্পর্ক ভালো থাকে কিন্তু সবাই একই সার্কেলে? ভায়া মক্কা বহুদূর। বাঙালি একাই একশ হতে পারে কিন্তু একশ বাঙালি যে কখনো এক হতে পারেনা এটা তো পুরানো ব্যাপার। আপনারা বলতে পারেন সার্কেল বানানো আর এমন কি? আমার কত বন্ধু বান্ধব। ঘটনাটা হলো, দেশে স্কুল, কলেজে আমরা একটা লম্বা সময় পার করি, আশেপাশের সব কিছুই আমাদের নিজের, এছাড়া সবাই আমাদের মতই হওয়ায়, কার সাথে বন্ধুত্ব করব তা আমরাই ঠিক করতে পারি। যেটা বিদেশে সম্ভব হয় না। যারা আছে, তারা যেমনই হোক তাদের সাথেই আপনাকে চলতে হবে। ৫ জন মানুষকে বদলানোর চেয়ে নিজেকে বদলানোই মনে হয় সোজা। বহুদিন প্রবাসে থাকার পর দেশে আসলে, অনেকেই বলে "যাওয়ার আগে কি ভালো ছিল, আর এখন কি হইছে, শালার বিদেশে থাইকা একটু পয়সা হইছে, তাই ভাব বাড়ছে"। আমি নিজেই এমন বলেছি। এখন বুঝি তারা বদলাতে চায়নি, পরিস্থিতি তাদের এমন বানিয়েছে। বিচিত্র রকমের সব স্বার্থপরতা দেখার পর নিজের মন অথবা আত্মাও বোধহয় ছোট হয়ে যায়। দেশের সবাই শুধু দেখে ডলার আর ফেসবুকে দেয়া ঘুরতে যাওয়া সুন্দর সুন্দর জায়গার ছবি, কিন্তু অপূর্ব ওই প্রাকৃতিক নৈসর্গের জায়গাগুলোয় একা যাবার যে হাহাকার, ওই ডলার গুলো কামানোর পিছনে যে কত নির্ঘুম রাত, কত নি্‌ঃশব্দ কান্না, মনের ভেতর একবার দেশে যাওয়ার গুমরে মরা যে আকুতি তা কে দেখে.....দীর্ঘদিন বলতে গেলে প্রায় একা থাকার পর, নিজের মত সব করার পর, দেশে এসে হঠাৎ কারো কথা শুনে অথবা সবাইকে খুশি করে কাজ করাটা একটু কঠিনই হয়ে যায়। একা থাকতে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, নিজের ফ্যামিলি বা দেশের মত ক্লোজ বন্ধু-বান্ধব পাওয়াটা এখানে প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। যারা বন্ধু হবে, তাদের সাথে যদি সব শেয়ার না করতে পারেন, তাহলে ব্যাপারটা একা থাকারই নামান্তর।

(চলবে)

অন্যান্য পর্ব:
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০

কালোপরী বলেছেন: +++++++++++++

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :) :) :) :) :)

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: বাই ওয়ান গেট ওয়ান ;)


সিরিজ করেছেন দেখছি..? সময় করে পড়ব.... :)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: =p~ =p~ =p~

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭

নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: এখন দেখে বিদেশ ফেরত আর কাওরে গালি দিমু না। কথা দিলাম। :(

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ভালবাসার গালি দিয়েন............বন্ধুদের গালি গালাজ মিস করি..................

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়লাম। ভালো লেগেছে। একটি বই প্রকাশ করে ফেলতে পারেন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ.............ভাই আমি সাহসী কিন্তু দুঃসাহসী না :P :P :P

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১

স্বপ্নবাজ শোয়েব বলেছেন: সব পর্ব পড়লাম ভাইয়া। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমার লেখার হাতও অসাধারন। +++

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধইন্যা :)

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: হুম, ব্যাপার না, এখন কি করছ ? আমেরিকাতে আন্ডারগ্র্যাড অবস্থায় টিকাটা কঠিনই, গ্রাজুয়েট লেভেলেও বহু স্ট্রাগল, । বর্তমানে পুওর গ্র্যাড স্টুডেন্ট , আছি, জানি, গাড়ীর অভাব টা সবচেয়ে কঠিন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: সেটাই ভাই :(

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৫

স্বপ্নবাজ শোয়েব বলেছেন: আপনার না লিখে আমার লিখে ফেলছি! কিছু মনে করবেন না!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ব্যাপার না.........আমি অথবা আপনি, আপনি অথবা আমি, আদতে সব একই (ফিলোসফার ভাব নেয়া টাইপ জবাব) :P :P :P :P :P

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মাঝখানে কয়েক পর্ব মিস করে ফেলেছি। আবার শুরু করলাম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :) :) :) ওয়েলকাম ব্যাক.............

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

নীল বরফ বলেছেন: দেশের সবাই শুধু দেখে ডলার আর ফেসবুকে দেয়া ঘুরতে যাওয়া সুন্দর সুন্দর জায়গার ছবি, কিন্তু অপূর্ব ওই প্রাকৃতিক নৈসর্গের জায়গাগুলোয় একা যাবার যে হাহাকার, ওই ডলার গুলো কামানোর পিছনে যে কত নির্ঘুম রাত, কত নি্‌ঃশব্দ কান্না, মনের ভেতর একবার দেশে যাওয়ার গুমরে মরা যে আকুতি তা কে দেখে.

খাটি কথা রে মুমিন!। বিদেশ আসার পর স্কুললাইফের ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে এসব কারনে। আমি কেন ওদের আসতে হেল্প করছিনা সে কারনে। বলি ভালো নাই তোদের মত; ওদের উত্তর ক্ত যায়গায় ঘুরতে যাস;দামি গাড়ি চালাস!। আমি বলি বিদেশে তুই গাড়ি ছাড়া লুলা!। মানে নাই।মরে গেছে সম্পর্ক;সাথে আমি অপবাদ নিয়ে মাথা নিচু করে প্রস্থান।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১০

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: দেশে যাইয়া এক লগে বেনসন ধরাইবেন, স্কুল ফ্রেন্ডদের সাথে সম্পর্ক ঠিক হইতে ঐটুকুই যথেষ্ট.......

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

ঝটিকা বলেছেন: আপনি এই পোস্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেছেন। বিদেশের জীবন ব্যাবস্থা বাংলদেশ থেকে কখনোই আচ করা যাবে না পুরোপুরি।
আর সার্কেলের কথা বললেন এটাও ঠিক। দৃষ্টিভংগি, মানুষিকতা ইত্যাদি বিষয় গুলোর নিরিখে সেই সাথে অর্থনৈতিক অবস্থা, সব মিলিয়ে কিভাবে কিভাবে যেন সার্কেলগুলো তৈরি হয়ে যায়। একটা সার্কেলের সাথে অন্য সার্কেলের পটে তো নাই, হাই হ্যালো সম্পর্কও থাকে না। আমার এখানে( অস্ট্রেলিয়া) দেখেছি, সবারই সার্কেল একটা তৈরি হয়েই যায়।

এটা ঠিক আপনি একা বলে অনেক ব্যাপার আপনাকে পিড়া দিয়েছে বেশি। আপনি যদি মোটামুটি স্টাবলিশ হয়ে যান, সাথে বউ-বাচ্চা থাকে বিদেশ লাইফ ভালোই লাগবে। তখন আর নিঃসঙ্গতা, সার্কেল মেনটেইন করা এগুলো পিড়া দিবে না। এখানে বরং লাইফ আমার কাছে অনেক রিলাক্স মনে হয়। কোন অনিয়ম বৈষম্য নেই, চুরি ছিনতাই এর সবসময় মানুষিক আতংক নেই, একজন আর একজনের পিছে লাগা (বাশ দেওয়া যাকে বলে) নেই, ফালতু ফরমালিটিজ, লাইফে তৃতীয় কারো হস্তক্ষেপ নেই। সব মিলিয়ে আমার বাংলাদেশ থেকে এখানেই মনে হয় ভালো আছি। আসলে ব্যাপার গুলো বাংলাদেশে আমাকে ফেস করতে হয়েছিল, যা ছিল খুবই পিড়া দায়ক। সবার কেস অবশ্য এক না।

বড় মন্তব্য হয়ে গেল। ভালো থাকুন, পরের পর্ব দিন :)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: দেশের মত ক্লোজ সার্কেল হয় কি? আপনি অনেকদিন আছেন সম্ভবত তাই জিগ্গেস করলাম........পরে কি হবে জানি না, এখন মনে হয় যা ছেড়ে এসেছি তা অমূল্য............বাইরের অনেক কিছুই ভালো কিন্তু আন্তরিকতা, সৌজন্যতায় আমাদের মত ওরা কখনই হতে পারবে না............আমাদের দেশটা একটু একটু করে দাড়িয়ে যাচ্ছে..........কয়দিন পরে আর চুরি ছিনতাই থাকবে না...........আমি আশাবাদী......

বড় কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ...........আপনাদের কমেন্টগুলো থেকেই সাহস নেই..............এরপরে আরো বড় কমেন্ট করবেন আশা করি.............ভালো থাকবেন আপনিও...........

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৮

ঝটিকা বলেছেন: আপনি ছেলে এবং অবিবাহিত। অন্যসব ব্যচেলরদের মতই আপণারও অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড সার্কেল ছিল, যেটা এখন আপনি খুব মিস করেন। ঐ যে বললাম, ফ্যামিলি লাইফ একদমই আলাদা। বিয়ে করুন বুঝবেন, সব সার্কেল কোথায় টাটা বাই বাই জানাতে হবে, তা যে দেশেই থাকেন ণা কেন :) :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কি বলেন এইগুলা !!!!! :( :( :( :( :(

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

মাহবু১৫৪ বলেছেন: অসাধারণ লেখা

আসলেই, কেউ বুঝবে না বুকের ভিতরে জমে থাকা আমাদের কষ্টটা।

আর বাঙ্গালীদের যে কথাটি বললেন এটা শুধু আমেরিকা নয়, যেখানেই যেই দেশেই বাঙ্গালী আছে সেখানেই এটা পাবেন। আর বেশী বাঙ্গালী হয়ে গেলে দেখবেন গ্রুপ বিভাজন হবেই। এক গ্রুপ থেকে ৪/৫ গ্রুপের আগমন হবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: এইটা মনে হয় আমাদের চিরাচরিত স্বভাব :(

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০০

বর্ষণ বলেছেন: দেশের সবাই শুধু দেখে ডলার আর ফেসবুকে দেয়া ঘুরতে যাওয়া সুন্দর সুন্দর জায়গার ছবি, কিন্তু অপূর্ব ওই প্রাকৃতিক নৈসর্গের জায়গাগুলোয় একা যাবার যে হাহাকার, ওই ডলার গুলো কামানোর পিছনে যে কত নির্ঘুম রাত, কত নি্‌ঃশব্দ কান্না, মনের ভেতর একবার দেশে যাওয়ার গুমরে মরা যে আকুতি তা কে দেখে..

হক কথা কইছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে

১৬ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:২৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ বর্ষণ ভাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.