নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দুনিয়ায় আপনি আমন্ত্রিত

রাজন আল মাসুদ

খুঁজে ফিরি স্বপ্নগুলো............

রাজন আল মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৮)

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০২

নিউ ইয়র্ক !!!!! নিউ ইয়র্ক !!!!!

সাড়ে পাঁচ ঘন্টার ফ্লাইটের পরে অবশেষে নিউ ইয়র্ক। লাগারডিয়া এয়ারপোর্ট। সেদিন নিউ ইয়র্ক ছিল বৃষ্টিস্নাত। বৃষ্টির মাঝে ঝলমলে নিউ ইয়র্ক সিটিকে প্লেনের মোটা কাঁচের জানালার ভিতর দিয়ে ঝাপসা লাগছিল। চার মাস পর এমন আলো ঝলমলে শহরের মধ্যে !!!!! শিবলীকে বলে রেখেছিলাম আমাকে পিক আপ করার জন্য। ভায়া নিজের বিশাল গাড়ি নিয়ে হাজির। ৮ বছর পর শিবলীর সাথে দেখা হলো। ঠিক সেরকমই আছে যেমন ছিল স্কুলে। ওকে দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল। মনে হলো একজন পুরনো আপন বন্ধুতো আছে এখানে। পরম একটা শান্তি। গাড়িতে উঠে বসলাম, সাথে সাথে বেনসন !!!!! আহ্হ্হঃ......বললাম দোস্ত খাঁটি বাঙালি খাবার কই পাওয়া যাবে, ঐখানে চল প্রথমে। বাকি সব পরে। ও বলল চল তাইলে জ্যাকসন হাইটস, পনের মিনিট লাগবে মাত্র। জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে যেয়ে আমি পুরাই অবাক। এক দোকানে বাংলায় লেখা "এখানে সিডি ভাড়া পাওয়া যায়" !!!!! এরপর চারিদিকে চেয়ে দেখি সব বাংলায় লেখা। শিবলী নিয়ে গেল প্রিমিয়াম নামে একটা রেস্টুরেন্টে। মেন্যু কার্ড নিয়ে আমি তো পুরাই টাশকি !!!!! ভর্তা, শুটকি, ভাজি, শাক, কাবাব, পরোটা, তন্দুর রুটি, গ্রিল চিকেন, নানান রকম বিরিয়ানি কি নাই সেখানে। কথা না বাড়িয়ে ঝটপট দুই প্লেট তেহারী অর্ডার করে দিলাম। শিবলী তেহারী মুখে দিয়েই বলল জঘন্য হইছে। কিন্তু এতদিন পরে খেয়ে আমার মনে হলো এরচেয়ে ভালো রান্না আর কি হতে পারে? চরম তৃপ্তি সহকারে চেটেপুটে শেষ দানাটুকু পর্যন্ত খেয়ে নিলাম। বিল বেশি না, মাত্র ১৪/১৫ ডলারের মত হয়েছিল। খেয়ে যে তৃপ্তি পেয়েছিলাম তার কাছে এই টাকা কিছুই না। ব্যাপক ধস্তাধস্তির পরও শিবলী কিছুতেই বিল দিতে দিল না। দুইটা কোক নিয়ে আবার সুখী মানুষের মত হালকা বৃষ্টির মধ্যে চরম ফিলিংসে বেনসন টানতে লাগলাম।

ইউ.এস.এ'র বাইরের কোনো স্টেটে থেকে এসে সরাসরি জ্যাকসন হাইটসে গেলে কিছু কিছু ব্যাপার চোখে লাগবে খুব। রাস্তা চরম অপরিস্কার, যেখানে সেখানে গারবেজ রাখা, রাস্তার মাঝখানেই গাড়ি থামিয়ে লোকজন উঠা-নামা করছে, সিগারেটের গোড়া, কোকের ক্যান, প্লাস্টিকের চায়ের কাপ অথবা পানের পিক যেখানে খুশি সেখানে ফেলছে, গ্রোসারী শপগুলো সামনের ফুটপাতেও নিজেদের মাল রেখেছে। আমার এগুলো তেমন গায়ে লাগে নাই, ২৫ বছর এগুলার মাঝেই তো পার করলাম। তবে অবাক হয়েছিলাম। আমেরিকায় কিভাবে এগুলা করে !!!!! সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার বেশিরভাগ মানুষই একদম আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছে। প্রথমদিন যেয়ে ঘন্টা তিনেক থাকার পর ও আমি শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে একটা মানুষকেও শুনিনি :-*

এরপর গন্তব্য ব্রঙ্কস। ফিরোজ ভাইয়ের বাসা। আমি যেতে যেতে ফিরোজ ভাইয়ের আম্মু অসুস্থ হয়ে পরায় ওনাকে দেশে যেতে হয়। কিন্তু আমি যেয়ে যেন ওনার বাসাতেই উঠতে পারি তার ব্যবস্থা উনি করে গিয়েছিলেন। তখন রাত প্রায় ১২ টা ছুই ছুই। ফিরোজ ভাইয়ের রুমমেট জামাল ভাইকে আমি আসছি বলে রওয়ানা দিয়ে দিলাম। এখান থেকেই আমার অস্বস্তির শুরু। মন্টানার সেই পাহাড়ের পাশের নির্জন রাস্তার সাথে নিউ ইয়র্কের রাস্তার পার্থক্য বড় বেশি লাগছিল। ট্র্যাফিক, পিছনের গাড়ির হর্ন, অসংখ্য রাস্তা, মাথার উপর দিয়ে বিকট শব্দে ট্রেন যাওয়া আমাকে বিরক্ত করে তুলেছিল। যেতে যেতে শিবলী বলল- "ব্রঙ্কস, এইটা তো খাতারনাক এরিয়া, এই জায়গায় থাকে কেন?" ব্রঙ্কসে পৌছে আমার তেমন খাতারনাক মনে হলো না। মোটামুটি ভীড় ছাড়া রাস্তা, আমি যে জায়গায় গিয়েছিলাম, মেট্রোপলিটন এভেনিউ, সেখানে রাস্তার দুই পাশে বিরাট সব এপার্টমেন্ট বিল্ডিং। জামাল ভাই নিচে এসে নিয়ে গেলেন। শিবলী বলল পরে আমার সাথে আবার দেখা করবে। জামাল ভাইয়ের সাথে বাসায় যেয়ে আমার মন পুরাই দমে গেল। পিচ্চি একটা বাসা। দুইটা রুম সেখানে চারজন থাকে। কাঠের ফ্লোরে প্রচুর দাগ। রান্নাঘরে তেলাপোকার অভাব নাই। বাংলাদেশেও আমি এত তেলাপোকা একসাথে দেখি নাই। এইখানে নতুন জীবন শুরু হবে দেখে আমি পুরা চিপ্সা বেলুন। যাই হোক হাত-মুখ ধুয়ে শুয়ে পরলাম। রাত প্রায় তিনটার দিকে শুরু হলো আরেক আপদ। রাস্তায় ক্রমাগত গাড়ির আওয়াজ আর বিকট শব্দে গান। আমি চমকে উঠে বসলাম। ফিরোজ ভাইয়ের আরেক রুমমেট সোহেল ভাই বিড়বিড় করে বললেন- "শালার কাউলা গো জ্বালায় আর শান্তি নাই"। মাথার উপরে আরেকটা বালিশ চাপা দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পরলাম।

(চলবে)

অন্যান্য পর্ব:
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৯

সাকিল আল মামুন বলেছেন: ohio te achi, mone hocche gram, kintu apnar experience shuinna to nijeke valo obostha tei lagteche.. :D

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: বিশ্বাস করেন ভাই ভালো আছেন ঐখানে। ওহাইও এর কোন সিটিতে আছেন?

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

ব্লুম্যাজিক বলেছেন: হিউস্টন ওয়ে বেটার ! নিউইয়রক অনেক ক্রাওডি আর গাড়ির ফেত ফুত অসজ্য ! শুধু খাওা দাওা তে এক্তু আরাম এই আর কি! লেখা ভালো হচ্ছে চালিয়ে যান!

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনাদের হিউসটনেও তো শুনলাম খাওয়া-দাওয়ার কোনো প্রবলেম নাই। নিউ ইয়র্কের মত সবই পাওয়া যায় শুনছি টেক্সাসে।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৫

বিপ্লব06 বলেছেন: এখানে একা মনে হবে না আপনার। আপনার সিরিজটা ভালোই লাগছে... চলতে থাকুক মাসুদ রানার মত। আর বেড বাগ থেকে সাবধান!!!!!

কিউনির কোন কলেজে ভর্তি হয়েছেন?

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: একাই তো লাগত ভাই, নিউ ইয়র্কে কারো জন্য কারো সময় আছে?

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৪

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আপনার প্রতিটা পর্ব পড়ি। কমেন্ট হয়তো করিনা। কিন্তু নিয়মিত। অসম্ভব ভালো লাগছে। চালিয়ে যান। সংগে আছি।

বিভূঁইয়ে ভালো থাকবেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। অবশ্যই কমেন্ট করবেন। কমেন্ট করলে ভালো লাগবে।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: এক বছর আর ওয়েট করতে পারলাম না। আজ সময় পেলাম তাই পড়ে নিলাম আবার কোন একদিন পড়র। বিদেশতো মনে হয় আর যাওয়া হলনা, আপনার সাথেই বেরাই।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: হা হা হা হা...........ভালো করেছেন। এক বছর পর বাইচা থাকি না মইরা যাই কে জানে? মইরা গেলে কমেন্ট দেখতাম কেমনে?

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩

সাকিল আল মামুন বলেছেন: eito achi apnar tiffin city te, tiffin uni te, vai jodi paren, amake ekta call diyen to 6465086241

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কল দিবনে ভাই.......আমার নাম্বার হলো ৩৪৭-৪৪৬-৮৭৩৯।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

আবিদ ফয়সাল বলেছেন: ভাই,

আপনার সিরিজ পড়া শুরু করলাম প্রথম থেকে । চমৎকার লিখেছেন আর অজস্র ছবি দিয়েছেন - যেটা খুব ভালো লাগলো ।
সিরিজ বন্ধ করবেন না ভাই প্লিজ :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। সাথেই থাকবেন। ইনশাল্লাহ সিরিজ শেষ করব।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

তাসজিদ বলেছেন: সিরিজ স্টার্ট করেছি। ...........................।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: স্বাগতম :)

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

আমরা বাংলাদেশি বলেছেন: চালায়ে যান। +

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার+প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

নীলপথিক বলেছেন: খুব মজা করে লিখেছেন তো!
আমি ব্যস্ত ছিলাম বলে দেরী করে পড়লাম। ক্ষমা চেয়ে নিই প্রথমেই। পরের পর্বে যাচ্ছি।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪০

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ক্ষমা !!!!! সময় বের করে পড়ছেন এইটাই তো অনেক কিছু আমার জন্যে।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:০৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
মেট্রোপলিটান এভিনিউ তে তো আমি অনেক বার গিয়েছি। ওখানে আমার আত্মীয় থাকেন। ওখানে পার্ক আছে, অনেক সুন্দর।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: হ্যা, মেট্রোপলিটান এরিয়াটা দেখতে সুন্দর।

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আসেন কুলাকুলি করি, আপনে আমার পাশের গ্রামে থাকেন :)

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আমি কিন্তু আমার থাকার জায়গা এখন ও রিভিল করি নাই B-) ................আপনি কোথায় থাকেন ভাই?

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৯

কালোপরী বলেছেন: :)

০১ লা মে, ২০১৩ ভোর ৫:০৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :)

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

পাপা জী বলেছেন: ভাই সুধু আপনার পোস্ট এ reply করার জন্য অনেকদিন পর লগইন করলাম, বাংলা কিবোর্ড ইনস্টল করলাম..

প্রথমেই একটা কথা-যে আপনাকে বলছে পড়াশুনা কন্টিনিউ করতে আর পড়া কমপ্লিট করলে ১০০k+ পাওয়া যাবে--তার পায়ে ধরে সালাম কইরেন।

আমি USA তে আছি প্রায় ৭ বছর--আমারে কোনো বাঙালি বলে নাই পড়া লেখা করতে, সবাই পারত পক্ষে পারলে discourage করছে.

আমি ও আপনার মত স্টুডেন্ট ভিসা নিয়া আসি, তবে মাস্টার্স করার জন্য. এখন আল্লাহর রহমতে ভালো কাজ করতেছি, আশা করতেছি রেসিডেন্সি পেপার ও পাইয়া যাব। কিন্তু getting to the point where I am now was not easy. so আমি কিছু সাজেশন দিব আমার experience থেকে.

১. কমিউনিটি কলেজ এ পইরা কোনো লাভ নাই-টিউশন ফী কম ঠিক আছে কিন্তু ওরা সুধু অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রী পর্যন্ত দেয়. আপনার উচিত হবে CUNY এর যেসব সিনিয়র কলেজ আছে (baruch, হান্টার, Queens, City) ঐগুলতে admission নেয়া.

২. আমি জানিনা আপনি কোন সাবজেক্ট এ মেজর করতে চান। কিন্তু আমরা সবাই চাই পড়ার পর একটা ভালো কাজ করতে এবং permanently এইখানে settle করতে। আপনার কি ইসসা জানিনা তবু যদি ধরে নেই আপনি settle করতে চান --তাহলে কাজ করার জন্য চাই ওয়ার্ক ভিসা/authorization।

যদি আপনি USCIS ওয়েবসাইট এ যান দেখবেন এই বছর H1B এর কোটা প্রথম ৫ দিনেই fillup হয়ে গেছে, প্রায় ডাবল এপ্লিকেশন করা হইছে আর লটারী হবে। ২০১১, May তে যখন আমার firm আমার জন্য petition করে, সেই বছর jan ২০১২ এ ভিসা কোটা fillup হইছিল। তো বুজতেই পারতেছেন ইকোনমি improve করতেছে আর H1B পাওয়া পুরা লাক এর উপর depend করতেছে।

পড়া শেষ করার পর কাজ পাওয়া, ভিসা স্টেটাস ঠিক রাখা আর ultimately গ্রীন কার্ড পাওয়া --বিশাল struggle।আমার experience নিয়ে লিখার ইসসা আছে।

ভিসা আর মেজর নিয়া এত কথা বললাম-কারণ US govt।ফরেন স্টুডেন্ট যারা এইখানে regular subject নিয়া পড়তেছে তাদের প্রতি সদয় না আঙ্কেল স্যাম. uncle চান পোলাপান STEM নিয়া পড়ুক কারণ আমেরিকান রা STEM এ interested না. যাইহোক নতুন ইমিগ্রেশন বিল এ stem গ্রাজুয়েট এর জন্য অনেক সুবিধা রাখা হবে-কাজ এন্ড গ্রীন কার্ড পাওয়া অনেক সহজ হবে ওদের জন্য. already ২০০৮ থেকে stem গ্রাজুয়েট রা ২৯ month OPT পাইতেছে আর নরমাল graduate রা পাইতেছে মাত্র ১২ মাস.

কোনো question থাকলে pm কইরেন।পরে আরো লিখবনে..।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: দ্রুত লিখে ফেলেন আপনার এক্সপেরিয়েন্স, আমার মত অনেকের কাজে লাগবে.........

শুধু আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য এত কষ্ট করেছেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই :) ভালো থাকবেন।

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: সিরিজটার সন্ধান পেলাম।


+

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :)

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: +++++++++++++++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ভাই আপনার কাছে একটা জিনিস চাই, আপনি লেখার সমালোচনা করেন.......... আপনি এত ভালো লেখেন, আমাকে সাজেশন দিলে কিছুটা হইলেও যদি আপনার মত লিখতে পারব............

১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: মাসুদ ভাই, আমি অপরিসীম আগ্রহ নিয়ে কারো কোন সিরিজ পড়েছি বলে মনে করতে পারছিনা, এক বাংলাদেশের দালাল ছাড়া। তাও তার সিরিজ খুব বড় ছিলনা। অন্তত ২১ পর্বের তো নয়ই।

এর কারণ কি জানেন?

আপনার লেখনী শক্তি। খুব সাধারন ভাবে অসাধারণ লিখেন আপনি। সবচে বড় শক্তি আপনার সাবলীলতা। পাঠক কে আটকে রাখে। এই গুণ টার জন্য লেখক হতে চাইয়েরা অনেক কিছু বিসর্জন দিতে রাজী থাকবে।

অপু তানভীর, অস্বাভাবিক সাবলীল ভাবে চমৎকার সব প্রেমের গল্প লিখে, মাক্স অসাধারণ ভাবে অসাধারণ সব ক্লাইমেক্সের কঠিন গল্প লিখে সাবলীল ভাবে। অবসরপ্রাপ্ত বাউন্ডুলে, অকৃতজ্ঞ - এরা সেই একই সাবলীলতা নিয়ে অসাধারণ সহজ সুন্দর সব লেখা লিখে যায়। আর আপনি লিখেন বাস্তব জীবন আর স্ট্রাগল নিয়ে, আমাদের মত মানুষ, যারা প্রতিনিয়ত আপনার লেখার সাথে নিজের জীবনের মিল খুঁজে পায়।


তাই, আপনার লেখার সমালোচনা করার কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা। বরং আমিই এই সাবলীলতার জন্য ঈর্ষায় ভুগি। কারন, একেকটা লেখা লিখতে আমার অনেক অনেক সময় লাগে, আর প্রতিটা শব্দ বের করে আনতে প্রচন্ড ব্রেইন স্টর্ম করতে হয়। কোন ন্যাচারাল লেখকের কিন্তু তা হয়না।


শুধু একটা কথা বলি (ভাব নেয়ার সুযোগ যখন দিলেনই, তখন মিস করাটা উচিত হবেনা, হাহাহাহ) - লেখায় আরেকটু বৈচিত্র আসলে ভাল হোত। মনোটনাস ভাব টা মাঝে মাঝে উকি দিতে চেষ্টা করে।

ভাল থাকবেন ভাই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ব্লগার বাংলাদেশী দালাল এর সাইপ্রাসের ঘটনার ৭ টা পর্বই আমি পড়েছি, দারুন লিখেছেন..........শেষ হওয়ার পর মনে হয়েছে এত তারাতারি কেন শেষ করলেন :( এত বড় ঘটনা এত অল্প পর্বে গুছিয়ে শেষ করা আমার পক্ষে সম্ভব হত না.........তাইত আমারটা ২১ পর্ব ছাড়িয়েছে..............

লেখার সাবলীলতার কারণ হচ্ছে বাস্তব ঘটনা বর্ণনা করে যাওয়া...........যা হয়েছে তাই বলছি.........আমি বর্ণনাকারী মাত্র.........নিজের ক্রিয়েটিভিটি শুন্যের কোঠায়.........আমার ক্রিয়েটিভিটি থাকলে তো অন্যদের মত গল্পই লিখতাম।

আর বৈচিত্রের কথা..............

ভাই জীবনে বৈচিত্র নাই, জীবনের গল্পে বৈচিত্র কোথা থেকে আসবে? :( তাও লেখার ঢঙে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে দেখি কোনো লাভ হয় কিনা...........আর সিরিজটাও মনে হয় বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে.......এই সাজেশনটা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনি এর আগেও একবার বলেছিলেন অপরিসীম আগ্রহ নিয়ে আমার লেখা পড়েন। এইটা যতবার শুনি চোখে পানি চলে আসে..........এই কথা কেউ কখনো বলবে ভাবি নাই................ভালো থাকবেন ভাই।

১৮| ০১ লা জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৫২

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ++++

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধইন্যা ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.