নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দুনিয়ায় আপনি আমন্ত্রিত

রাজন আল মাসুদ

খুঁজে ফিরি স্বপ্নগুলো............

রাজন আল মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৯)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সকাল সম্ভবত ৭ টার দিকে ঘুম ভাঙ্গলো সাগর ভাইয়ের ডাকে। ফিরোজ ভাইয়ের বাসার আরেক রুমমেট। ওনারা মোট চার জন থাকেন। আমি আসায় পাঁচ জন। শুধু সোহেল ভাই ছাড়া বাকি সবাই আমার এলাকার লোক। সাগরের বয়স আমার মতই। ডিভি পেয়ে ওর আমেরিকায় আসা। একটা পিজা শপে কাজ করে ডেইলি ১২ ঘন্টা। ভালই কামায়। গ্রীন কার্ড থাকলে এই এক সুবিধা। কাজ পেতে কোনো প্রবলেম হয় না। তারপরও অদ্ভুত ব্যাপার যে এদেরও মালিক পক্ষ বেশ ঠকায় শুধু মাত্র ভালো ইংরেজি না বলতে পারার কারণে। কাজে মিনিমাম স্যালারিটাও দেয় না। স্টুডেন্টরা ঠকে কাজের পারমিশন না থাকায়, ওরা ঠকে ইংলিশে দুর্বল হওয়ার কারণে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো এই ঠকানোটা ঠকায় নিজের দেশের মানুষরা :(। আমেরিকান বা বিদেশী ম্যানেজমেন্ট হলে সাধারনত নুন্যতম স্যালারিটা পাওয়া যায়। উপমহাদেশীয় মালিকপক্ষ ভালো করেই জানে যে ডিভি লটারিতে যারা এসেছে, তাদের অনেকেই ভালো ইংলিশ না জানায় বিদেশী মালিকদের প্রতিষ্ঠানে সহজে কাজ পাবে না। এছাড়া ইকোনোমির অবস্থা খারাপ হওয়ায় কাজ পাবার ক্ষেত্রেও কিছুটা সমস্যা আছে। এসবের পুরো সুযোগটা নেয় তারা। ঘন্টাপ্রতি নুন্যতম স্যালারীর অর্ধেক বা তার চেয়েও কমে কাজ করিয়ে নেয় অনেককে দিয়েই। বাংলাদেশী, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি শপে সাধারনত দুই ভাবে স্যালারি দেয়া হয়- ক্যাশে আর চেকে। যদিও নিয়ম হলো চেকে দেয়ার, তাতে সরকার ট্যাক্স পায়। কিন্তু উচ্চ হারের ট্যাক্সের কারণে আমাদের উপমহাদেশীয় লোকজন কেউই পুরো স্যালারি চেকে দিতে অথবা নিতে আগ্রহী না। সরকার চেকে কেন কম স্যালারি যাচ্ছে সেই প্রশ্ন তুললে এরা ফ্যামিলি বিজনেস, ফ্যামিলির লোকজনই কাজ করে চালাচ্ছে বলে কাটিয়ে দেয়। যারা ক্যাশে নিচ্ছে তাদের অজুহাত আরো সোজা- "জব নাই" অথবা "জবে আওয়ার কম পাই"। নিউ ইয়র্ক সিটি অথরিটিও অনেক ছাড় দেয় এই বিষয়ে, যে কারণে বেশিরভাগ ইমিগ্র্যান্ট, ইল্লিগ্যাল হয়ে যাওয়া লোকজন নিউ ইয়র্ক সিটিতে থাকতে বেশি পছন্দ করে। এছাড়া ট্যাক্স রিটার্ন, সরকারের থেকে বিনামূল্যে মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটিস নিতেও অনেকে পুরো ইনকাম শো করতে চায় না। সম্ভবত একটা নির্দিষ্ট অংকের উপরে আয় হলে আর ট্যাক্স রিটার্ন, মেডিকেয়ার এর সুবিধা গুলো পাওয়া যায় না। আমি বিস্তারিত জানি না। তবে এরকমই ব্যাপারটা। নিজে এইগুলোর আওতায় না পরায় খোঁজ খবর নেয়ার কোনো আগ্রহ পাইনি। তবে ক্যাশে স্যালারি নেবার সুযোগ থাকায় আমার মত অনেক স্টুডেন্টদেরই সুবিধা হয়েছে। নাহলে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের কোনো সুবিধা না দেয়ার এই গড এব্যানডন্ড কান্ট্রিতে আমাদের কি হত তা আল্লাহই ভালো জানেন।

সাগর ভাই আমার বয়সী হওয়ায় গল্প বেশ জমে উঠলো। অনেক কিছুই যা জামাল ভাই, সোহেল ভাইয়ের কাছে জিগ্গেস করতে পারিনি, তা ওর কাছ থেকে সহজেই জেনে নিলাম। বেশিক্ষণ অবশ্য গল্পের সুযোগ পাওয়া গেল না। ২৪ ঘন্টার ১২ ঘন্টা কামলা খাটার পর হাতে থাকে ১২ ঘন্টা। আসা-যাওয়ায় ১-১.৩০ ঘন্টা, এরপর রান্না করা, খাওয়া-দাওয়া, গোসল করা, জামা-কাপড় ধোয়া আর অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজ সারা। তাই ওকে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারলাম না। আমি আবার একটু ঘুমিয়ে নিলাম। ঘুম থেকে উঠে ফোন দিলাম রাজীবকে। এই চার মাস ওর সাথে শুধু ফোনেই কথা হয়েছে। ফোন করে বললাম আমাকে এসে নিয়ে যেতে। সোহেল ভাই ওকে কিভাবে আসতে হবে পুরো ডিরেকশন দিয়ে দিলেন। ঘন্টা দুয়েক পরে রাজীব আসলো হাস্যজ্জ্বল চেহারা নিয়ে। এসেই বুকে জড়িয়ে ধরল। কত কথাই না হয়েছে এই কয় মাস, অবশেষে দেখা। বের হলাম রাজিবের সাথে। কোথায় গেলাম বলেন তো? আফসোস বুঝে ফেলেছেন :P। টাইম স্কয়ার। নিউ ইয়র্কে এসে মানুষ প্রথম যেখানে যেতে চায়। টাইম স্কয়ার এক অদ্ভুত জায়গা। এখানে আসলেই আপনার মনে হবে কোনো উৎসবের মধ্যে এসে পড়েছেন, সামারে আসলে তো কথাই নাই। নানান রঙের, নানান জাতির লোকজন। সবাই ফুরফুরে মেজাজে হাঁটছে। সিটি ট্যুরের বাসে ট্যুরিস্টরা ঘুরছে হাসিমুখে ক্যামেরা হাতে। একটু জায়গা ফাঁকা পেলেই পটাপট ক্যামেরায় ছবি তুলছে। আমিও একজনকে ধরে রাজিবের সাথে একটা ছবি তুলে ফেললাম। চারিদিকে অসংখ্য বিলবোর্ড, রকমারি আলো। মাঝে মধ্যে নানান অদ্ভুত সাজে মানুষ জন দাড়িয়ে আছে। ১/২ ডলার দিয়ে তাদের সাথে ছবি তুলতে পারবেন। এখানে আসলে মনে হবে আরে এই নিউ ইয়র্কই তো মুভিতে দেখি। আশেপাশে প্রচুর গিফট শপ। আপনার মানিব্যাগ হালকা করতে তাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। আরো আছে নামী দামী ব্র্যান্ডের শো-রূম। এদের কাছে আমাদের দেশের ডাকাতরা শিশু প্রকৃতির। টপ গানে একটা লেদার জ্যাকেট সেরকম পছন্দ হয়েছিল। দাম মাত্র ৪৯৯ ডলার। মানে মানে কেটে পরেছিলাম। কিন্তু লোকজন খরচ ও করছে। কোনো দোকান, রেস্টুরেন্ট খালি নেই। কিছু কিনতে, খেতে লাইন ধরতে হয়। প্রচন্ড খিদা লাগায় ঢুকে পরলাম সামনের ম্যাকডোনাল্ডস এ। একটা সীট ও খালি নেই !!!!! ৫ ডলারে ২০ টা চিকেন নাগেটস আর তিন ডলারে দুইটা মিল্ক শেক নিয়ে বাইরে চলে আসলাম। টাইম স্কয়ারে প্রচুর পর্যটক আসায় অনেক রাস্তা বা অর্ধেক রাস্তা পারমানেন্টলি বন্ধ করে চেয়ার টেবিল পেতে দেয়া আছে। তারই একটায় বসে পরলাম। ম্যাকডোনাল্ডস এর মিল্ক শেকটা চরম। এই একটা জিনিসই সম্ভবত এদের ভালো। ম্যাকডোনাল্ডস এর খাবার অত্যন্ত মজার এই ধারণা যাদের আছে তাদের এসে খেয়ে যাওয়ার দাওয়াত থাকলো। আশা ভঙ্গ হলে সেই দায় একান্তই আপনার হবে :P। খাওয়া শেষে ফরটি সেকেন্ড স্ট্রিটে কতক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে আর কিছু করার না পেয়ে রওয়ানা হলাম রাজিবের বাসার উদ্দেশ্যে।

(চলবে)

অন্যান্য পর্ব:
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৭

কালোপরী বলেছেন: ++++++++++++

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: এতদিন কই ছিলেন? প্লাসের জন্য ধন্যবাদ :)

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৭

এম আর সুমন বলেছেন: আমি দুই মাসের মধ্যেই ভার্জিনিয়া যাচ্ছি। ভাই আমি শুনেছি ওখানকার কাছেই নাকি ওয়াশিংটন ডিসি। সেখানে নাকি ভালই জব পাওয়া যায়। আমি আরো বিস্তারিত একটু আপনার কাছে জানতে চাই ভাই ।আপনার ই মেইল এড্রেসটা একটু দিবেন প্লিজ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনি আমাকে ফোন করতে পারেন। আমার নাম্বার ৩৪৭-৪৪৬-৮৭৩৯।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৯

এম আর সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফোন নম্বর দেয়া যায়। আমি আপনাকে ফোন করবো।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে ফোন করলে পাবেন। এরপর নিদ্রা দেবীর সাথে এপয়েনমেন্ট আছে।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে
কি হে মিতা
লেখা খুব ভাল
পোস্ট এ সত্য কথা

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩০

কালোপরী বলেছেন: ছিলাম এখানেই :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: না অনেকদিন পর আমার ব্লগে কমেন্ট করলেন তো তাই................

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২

আহমেদুল আরেফিন আসিফ বলেছেন: ভাই আমিও আইতাম চাই............. :!> :!> :!> :!>

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আসেন..........আইসা ঠেলা বুঝেন :P জাস্ট কিডিং স্যাট অথবা জি.আর.ই করে আসেন তাহলে অনেক কিছুই ইজি হয়ে যাবে।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ লাগল অনেকের জন্য একটা উপকারী ইনফরমেটিভ পোষ্ট। আপনাকে ধন্যবাদ।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩০

মধুমিতা বলেছেন: ভালো লাগল।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

কালোপরী বলেছেন: কমেন্ট করার অনুমতি ছিল না :)


ভাল আছেন?

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ওয়াচে ছিলেন নাকি?

আমি ভালই, আপনি কেমন?

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: পোস্টে প্লাস

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় :)

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৪

তুষার মানব বলেছেন: চিকেন নাগেটস এর কথা শুনাইয়া দিলেন তো লোভ লাগায়া । দেশে যখন আসবেন তখন না খাওয়াইলে খবর আছে কইয়া দিলাম ;) ;) ;)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আগে দেশে তো আসতে দেন.........

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১২

অ তে অয়ন বলেছেন: সবগুলা লেখা একটানা পড়লাম,ডায়নিংটাও মিস হয়ে গেছে।বাট এত জোস লেখা।মনে হচ্ছিল আপনার সাথেই আছি ইউএসএ তে।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :) :) :) :) :) প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ অয়ন।

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

আহমেদুল আরেফিন আসিফ বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট পড়ার পর বাঁকি ১৮ খান পোষ্ঠ পইড়া শেষ করলাম । বাংলাদেশ সময় এখন রাত তিনটা ২২ মি.। আমি GRE প্রিপারেশন নিতাছি...........

এই পোষ্টে এটা আমার ২য় কমেন্ট । আপনি অনেক সত্য অকপটে বলেছেন ,এজন্য পোষ্টগুলো ভালো লেগেছে।

সময় পেলে অন্যের উপকার করবেন। আপনার সর্বোচ্চ মঙ্গল কামনা করি । হাতে সময় পেলে এই প্লাটপ্রর্মটিতে টাইম দিবেন।

Click This Link

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো। ওই গ্রুপটা তে আগে থেকেই আছি, কিন্তু ঐখানে আসলে যাওয়ার প্রসেসিং নিয়ে বেশী কথা হয় বলে তেমন পার্টিসিপেট করা হয় না।

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০

আমরা বাংলাদেশি বলেছেন: plus.

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩

আবিদ ফয়সাল বলেছেন: ২য় ভালো লাগা রইলো :)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আবিদ ভাই :)

১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: পরের পোস্ট একটু তাড়াতাড়ি দিয়েন +++++++ :)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আচ্ছা ভাই চেষ্টা করব।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

আদনান সৈয়দ বলেছেন: খুব ভালো লাগল। পড়তে পড়তে আমার সেই আমেরিকার পুরনো দিনগুলোতে চলে গিয়েছিলাম। আমার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ওকলাহোমাতে তারপর নিউইয়র্ক । আমিও ফরেন স্টুডেন্ট অর্থাৎ এফ-১ এ আমেরিকায় পড়তে গিয়েছিলাম। সেই জীবনের নানান ঘটনা আমি প্রথম আলোর ছুটির দিনে “চরণ ছুঁয়ে যাই” শিরনামে অনেক পর্যন্ত লিখেছি। সত্যি খুব কষ্টের জীবন। আবার আনন্দেরও বলব। স্পষ্ট মনে আছে আমি যখন ওকলাহামার চিকাশার একটা গ্রামে(বিশ্ববিদ্যালয়টা সেখানেই ছিল) ছিলাম তখন উইকেন্ড এলেই মন টা খারাপ হয়ে যেত। তখন আশে পাশের শহর থেকে ব্ন্ধুরা আসত আমার ডরমেটরিতে। নরমেন থেকে ইশতিয়াক আসত, তালসা থেকে ফেরদৌস আসত, ইউনুস। তারপর সবাই মিলে রান্না করতাম ভুনা খিচুড়ি আর গড়ুর মাংস। আহা! সেই আনন্দের কি শেষ আছে? এখন কোথায় আমার সেই বন্ধুরা? আমার নিউইয়র্ক এর রুমমেট ফজলু ভাই, রনজু, পাভেল, শাহাদাত ভাই সবাইকে মনে পড়ছে। জীবন থেমে থাকে না। অনেক কষ্টে আমেরিকা থেকে এমবিএ করেছি সেই সাথে হয়েছে আমার সিটিজেনশীপ। এখন বাংলাদেশে কনসালটেন্ট এর চাকরী করি। তবে মাঝে মাঝেই হারিয়ে যাই আমার নিউইয়র্ক এর সেই দিন গুলিতে। সেই লং ড্রাইভ। আহা! কতদিন হয়ে গেল স্টেক খাই না। বিগ মেক, চিকেস পারমোজানের ঘ্রাণ নিতে ইচ্ছে করে...তখন মনে হয় সব ছেগেটের এক দৌড়ে আবার নিউিইয়র্ক হাজির হই.............আহা!!!

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: হয়ত অনেকদিন পরে আমার ও এই দিন দিন গুলার কথা মনে পরে কষ্ট হবে...........

ভুনা খিচুরী আমার ডেইলি খাবার :P

১৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: টাইম পাইলাম বুকমার্কও করা ছিল । মনে হল দেখি আমার কমেনেটর কি উত্তর দিলেন। দেখতে গিয়ে দেখি আরও একটা পর্ব। এখন না পড়েকি আর থাকা যায়। তাই এক পর্বই পড়লাম কি আর করা। কিন্তু এমন কথাতো ছিল না।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: এমন কথাতো ছিল না, কিন্তু হয়েই যখন গেছে কি আর করা বলেন :P

১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

সোহানী বলেছেন: ম্যাকডোনাল্ডস এর খাবার অত্যন্ত মজার এই ধারণা যাদের আছে তাদের এসে খেয়ে যাওয়ার দাওয়াত থাকলো। ....

হাহাহা....বাসার ভাত মাছ খেয়ে সাপ্তাহে একদিন ম্যাকডোনাল্ডস এ খেলে ভালই লাগে কিন্তু দিনের পর দিন খেলে এখাদ্য যে কতটা অখাদ্য তা একমাত্র ভুক্তভুগিরাই জানে।

বরাবরের মত ভালো লাগলো.....++++

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আমার এখন মনে হয় ম্যাকডোনাল্ডসের খাবার আমেরিকায় সবচেয়ে জঘন্য। এর চেয়ে বার্গার কিং মাচ বেটার।

২০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

মহাসাগরের মহাত্রাস বলেছেন: পরের পোস্ট চাই...... ভালো লাগতেসে...... :) :) :) :)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

২১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

কালোপরী বলেছেন: কমেন্ট ব্যান


যাওয়ার সময় হল, :)

বেঁচে আছি

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: !!!!! :( :( :( :( :(

২২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

নীলপথিক বলেছেন: আহ! মাসুদ ভাই, মনে হচ্ছে যেন আমিও আপনার সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছি। অসাধারণ বর্ণনা! ভালো লাগা রেখে গেলাম।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: এমন ইন্সপায়ারিং কমেন্টের জন্যই তো লিখতে ইচ্ছা করে :)

২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

ত্রিকালদর্শী বলেছেন: সব কাজ ফেলে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেল্লাম । খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনার ভালো লাগাতেই আমার ভালো লাগা :)

২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৫

সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: অনেক গুলা পর্ব এক সাথে পড়ে শেষ করলাম , জোশ হচ্ছে :)

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৩

বিপ্লব06 বলেছেন: ভালো লাগা দিলাম।

"টাইম স্কয়ারে প্রচুর পর্যটক আসায় অনেক রাস্তা বা অর্ধেক রাস্তা বন্ধ করে চেয়ার টেবিল পেতে দেয়া আছে" একমত না। ঐ রাস্তাগুলো পারমানেন্টলি বন্ধ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আসলে ঐটাই বুঝতে চেয়েছি, ঠিক করে দিলাম।

২৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

কেএসরথি বলেছেন: মাঝে আপনার লেখাটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এত বেশি রাজনৈতিক পোস্ট আসছে গত একমাস ধরে। যাই হোক এখন একধাক্কায় ৫/৬ টা পর্ব পড়ে ফেললাম। আপনার লেখা পড়লে মনে হয়, নিজের লেখা পড়ছি। কারন অনেক কিছু মিলে যায়। আমি আমার ৫ বছরে ম্যাকডোনাল্ডসের কয়-লাখ মিল্কশেক যে খেয়েছি তার কোন পাওা নাই :-P মাঝে মাঝে বন্ধুরা বলত, আমার জন্য নাকি ম্যাকডোনাল্ডসের দোকানটা এখন বেচে আছে :-&

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: রথি ভাই আপনি এখন কোথায় আছেন? যদি কোনো সমস্যা না থাকে আপনার কন্টাক্ট নাম্বারটা দেন, আপনার সাথে আলাপ করব...........

২৭| ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ভালবাসা007 বলেছেন: কিভাবে সম্ভব এত সুন্দর করে লেখা? আপনার লেখার ধরনটাই আমায় পুরা অবাক করেছে....চালিয়ে যান....

২৮ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ২৭৬ টা পোস্ট করা একজন সিনিয়র ব্লগার যখন বলেন আমি ভালো লিখি তখন সত্যিই অনেক ভালো ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ মন ভালো করে দেয়া এমন একটা কমেন্টের জন্য। ভালো থাকুন সবসময়।

২৮| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

মাহবু১৫৪ বলেছেন: +++++

যারা হালাল হারাম নিয়ে চিন্তা করে তাদের পক্ষে এসব জায়গা বারগার কিংবা নাগেট খাওয়া হয় না। যেমন আমি।

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ মাহবু ভাই :) আমিও প্রথমে চিন্তা করতাম পরে কেন জানি ড্যাম কেয়ার হইয়া গেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.