নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দুনিয়ায় আপনি আমন্ত্রিত

রাজন আল মাসুদ

খুঁজে ফিরি স্বপ্নগুলো............

রাজন আল মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৯)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

এ.এস.এ. কলেজের প্রথম ক্লাসে পরিচয় হলো মনসুর ভাইয়ের সাথে। ক্লাসে ঢুকেই দেখি মাত্র একজন বসে আছে। আমি একটু তাড়াতাড়িই গিয়েছিলাম ঐদিন। টুপি পরা, মুখে দাড়ি। আমাকে দেখেই বললেন "ভাই কি বাংলাদেশী?" ব্যাস আর লাগে কি? শুরু হলো আড্ডা। এর একটু পরেই আসলেন এজাজ ভাই। উনি আমাদের চেয়ে বেশ সিনিয়র। বিয়ে করেছেন। বাচ্চা আছে। কয়েকদিন পরে আসলেন সরোয়ার ভাই। উনারা তিনজনই আমেরিকার সিটিজেন। আমরা ছিলাম চারজন চার বয়সের। কিন্তু বন্ধুত্ব হতে দেরী হয়নি। এটা সম্ভবত একমাত্র দেশের বাইরেই সম্ভব। তিনজনই কাজ করেন ফুল টাইম। উইক-এন্ডে কলেজ। সিটিজেন হওয়ার কারণে সবাই গ্র্যান্ট পান সরকারের কাছ থেকে। তাই টিউশন ফিস এর জন্য এক টাকাও পকেট থেকে যায় না। আমি কানেকটিকাট থেকে সেই ভোরবেলা রওয়ানা দিয়ে আসি শোনার পর থেকে এজাজ ভাই প্রতিদিনই ভাবির রান্না করা কিছু না কিছু নিয়ে আসতেন আমার জন্য। সবাই মিলে তা খেতাম। যেই দিন আনতে না পারতেন ঐদিন সবাই মিলে বাইরে লাঞ্চ করতাম। আমার টিউশন ফিস যে ওনাদের থেকে অনেক বেশি আর এর পুরোটাই যে আমার ম্যানেজ করে দিতে হয় তা উনারা সবাই জানেন। তাই বাইরে খেয়ে বিল শেয়ার করতে রীতিমত কুস্তি করতে হত আমার। বলাই বাহুল্য তিনজনের ট্যাগ টিমের সাথে সেই কুস্তীতে আমি খুব কম সময়ই জিততে পেরেছিলাম। আরো কিছুদিন পর পরিচয় হলো মাসুদ ভাইয়ের সাথে। শাহজালাল ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স করা। এসেছিলেন মাস্টার্স করতে, ভাগ্যের ফেরে আজ এখানে। একসময়ে ছাত্রদলের হয়ে সক্রিয় রাজনীতি করা হাসি খুশি মাসুদ ভাইয়ের হাসি আজ যেন অনেকটাই মলিন।

মাসুদ ভাইয়ের মত সুমি আপুরও একই অবস্থা। সুমি আপুও আমার সাথে একই সেমিস্টারে এডমিশন নিয়েছিলেন কিন্তু রেজিস্ট্রেশন পরে করায় আর একসাথে ক্লাস নিতে পারেননি। মাঝে মাঝে দেখা হত ওনার সাথে। ফোনে কথা হয় সব সময়ই। চৈতী এডমিশন নিল লাগার্ডিয়া কম্যুনিটি কলেজে। কাজ যোগাড় করতে না পারায় রাজীব কলেজের টিউশন ফিস দিতে পারল না এক সেমিস্টারের। আউট অফ স্ট্যাটাস হয়ে গেল আমেরিকায় আসার এক বছরের মধ্যেই। রাজিবের সাথে আজকাল দেখা হয় খুব কম। কেন যেন ও নিজেই দেখা করতে চায় না। একটু দুরে দুরে থাকে। আমি বুঝি কেন।

এ.এস.এ কলেজ, কলেজ হিসাবে তেমন ভালো না। আমাদের মত ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট যারা এখানে পড়ে সবাই পড়ছে টিউশন ফিস একটু কম হওয়ায় আর রেগুলেশন অন্যান্য কলেজের তুলনায় একটু শিথিল হওয়ার কারণে। কোরিয়ান, জাপানিজ, চাইনিজ, রাশিয়ান, তাজিক, কাজাক, টার্কিশ, নেপালি, ইন্ডিয়ান কত জাতির ছেলে-মেয়েদের সাথে পরিচয় হলো। শুধু মুখের আদল আর গায়ের রং টা আলাদা। অবস্থা, কাহিনী সবার একই। প্রত্যেকেই ভালো কোনো ইউনিভার্সিটিতে এসেছিল। পরে খরচ পোষাতে না পেরে এখানে এসেছে। মোটামুটি সবারই স্বপ্ন টাকা-পয়সা জমিয়ে একটু গুছিয়ে উঠতে পারলেই ভালো কোনো কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটিতে চলে যাবে। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, কেউই আর গুছিয়ে উঠতে পারে না :(। সবার অবস্থা একই হওয়ার কারণে এখানে ইন্টিমেসিটা ভালো হয়। এদের মধ্যে তুরস্কের উমুত, উমা আর কাজাক্স্থানের কামোলার সাথে আমার দারুন বন্ধুত্ব হয়েছিল। প্রথম সেমিস্টারের শেষের দিন আমরা ছোটো খাটো একটা মজার পার্টি করেছিলাম।

এদিকে দুই স্টেটে চলতে থাকলো আমার সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই রকম জীবন। নিউ ইয়র্কের দুইদিন যায় চরম ব্যস্ততায়। সকালে উঠে বাস ধরা, তারপর ক্লাস করা সারাদিন, থাকার জায়গা কনফার্ম করা, সন্ধায় অর্ণব আর শিবলীর সাথে ঘোরাঘুরি, কোনমতে রাত্রে ঘুমিয়ে আবার সকাল থেকে সারাদিন ক্লাস। অত:পর বাস ধরিয়া মর্দের কানেকটিকাটে প্রত্যাবর্তন। কানেক্টিকাটের জীবন অনেকটাই শান্ত। আমি আর ইমেল ভাই দুই জন এটাচড দুই রুমে থাকি। শনি, রবি আমার ক্লাস আর সোম, মঙ্গল, বুধ ইমেল ভাইয়ের ক্লাস। এই তিন দিন উনি থাকেন নিউ হ্যাভেন সিটিতে। দুই দিন একসাথে পাওয়া যায়। আড্ডা, রান্না, সব এই দুই দিনেই। কিছু দিন পর কানেকটিকাটে বোর হয়ে গেলাম। গাড়ি না থাকায় আমরা তেমন কোথাও যেতে পারতাম না। মাঝে মধ্যে ম্যানেজারের সাথে আশে-পাশে যেতাম উনি ফ্রি থাকলে, এতটুকুই। এছাড়া ইমেল ভাই, মানু কাকার সাথে আড্ডা দিয়েই দিন পার হত।

একদিন বিকাল বেলা হটাৎ মানু কাকা ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে ফোন দিলেন আমাদের রুমে। বললেন বাইরে এস একটু। তোমাদের মতই এক স্টুডেন্ট এসেছে। কয়েক মাস থাকবে এখানে। ওর সাথে অনেক জিনিস পত্র। ওকে একটু হেল্প কর। আমি আর ইমেল ভাই ভাবলাম আরি বাপরে কি জানি বড়লোক। মোটেলে থেকে পড়াশুনা করবে !!!!! গেলাম বাইরে। ইন্ডিয়ান এক ছেলে। ৬ ফুট লম্বা। নিজের গাড়ি নিয়ে এসেছে। গাড়ি ভর্তি রাজ্যের জিনিস পত্র। কি নেই তাতে.....টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ওভেন, চেয়ার সব। আমরা ভাবি এ কি অবস্থা !!!!! ও একটা ডাবল বেডের রুম নিয়েছিল। সব জিনিস রাখার পরে একটা বেড ছাড়া আর পা ফালানোর জায়গা পর্যন্ত ছিল না। একটু গুছিয়ে নিয়ে আমাদের অনেক থ্যান্কস দিল হেল্প করার জন্য। বলল কোনো দরকার হলে ওকে বলতে। ওর রুম ছিল আমাদের একদম পাশেরটাই। এইভাবেই পরিচয় হলো হারদিক পাটেলের সাথে। ইউ.এস.এ তে ইমেল ভাইয়ের পরে যদি কাউকে ভালো ফ্রেন্ড বলতে পারি তাহলে হারদিককে বলতে হবে। মানু কাকা একটু ভুল বলেছিলেন। হারদিক আমাদের মতই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ছিল দেড় বছর আগেও। এখন এইচ১বি ভিসায় আছে। ইন্ডিয়ার গুজরাট স্টেটের বারোদার ছেলে। সফটওয়ার প্রোগ্রামার। জব করছে কগনিজেন্ট নামে একটা কোম্পানিতে। মাত্র উইসকন্সিন থেকে এখানে ট্রান্সফার হয়ে এসেছে। থাকার কোনো জায়গা ঠিক করতে পারেনি তাই আপাতত মোটেলে উঠেছে। ইন্ডিয়ানরা সাধারনত একটু সেলফিশ আর কিপ্টা টাইপ হয়। ও একদম বিপরীত। আগ বাড়িয়ে খোঁজ-খবর নিতে, উপকার করতে, অন্যের সমস্যাকে নিজের সমস্যা ভেবে তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার মত শুধু ইন্ডিয়ান কেন খুব কম মানুষই পাওয়া যায়। বাজার করা থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কে যাওয়া সব কিছুতেই- "হারদিক আ যাও থোড়া, যানা থা কাহি" ব্যাস হারদিক গাড়ি নিয়ে হাজির। এত কিছু করার ওর দরকার ছিল না। আমাদের দুজনের চেয়ে সবদিক থেকে ও ভালো অবস্থায় আছে। যা করে শুধু বন্ধুত্বের খাতিরেই করে। পাশাপাশি রুমে থাকার কারণে আর হারদিকের নিজের বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের সাথে গলায় গলায় পিরিত হতে বেশি দেরী হলো না। কানেকটিকাটে আসার প্রায় চার মাস পর শুরু হলো আমাদের ঘোরাঘুরি। ও জব থেকে আসার পর সন্ধ্যায় অথবা সামারের ছুটিতে শনি, রবিবার। স্টুডেন্ট ভিসার কিছু গলি ঘুপচিও ওর কাছ থেকে জানলাম। হারদিক আসার পর আমার আর ইমেল ভাইয়ের লাইফ অনেকটাই সহজ আর রঙিন হয়ে উঠলো। হারদিক তিন মাস আমাদের মোটেলে ছিল। এখন এপার্টমেন্ট শেয়ার করে থাকে। এখনো প্রায় রাত্রেই দেখা যায় ও আমাদের সাথে থাকতে আসে। হারদিকের নতুন জব হয়েছে। আর কয়েকদিন পরেই চলে যাবে নর্থ ক্যারোলিনা। আমার আর ইমেল ভাইয়ের জন্য কানেকটিকাট হয়ে যাবে আবার ফাঁকা আর রসকষহীন। কিছুই করার নেই। এটাই জীবন.....আমেরিকার জীবন।

(চলবে)

অন্যান্য পর্ব:
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ১৯)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২০)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২১)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২২)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৩)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৪)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৫)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৬)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৭)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (পর্ব ২৮)
আমেরিকায় এক বছর এবং মধ্যবিত্ত ছাত্রদের বাস্তবতা (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: কত ঘটনা , কত গল্প। কত স্মৃতি। কত সুখ । কত দুঃখ।
দারুন লাগলো লিখা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মত সিনিয়র ব্লগার যখন বলেন যে লেখা ভালো লাগছে তখন সত্যিই অনেক ভালো লাগে :)

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

কালোপরী বলেছেন: :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :)

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

রাশেদ অনি বলেছেন: পাইলাম রাজন ভাইয়ার পোস্ট! কষ্ট করে লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমারও যাওয়ার খুব ইচ্ছে, যাবো হয়ত কোন দিন! B-)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ :) এসে পরেন। এখন তো ভিসা পাওয়া অনেক সহজ।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

টাউরা সাফা বলেছেন: রাজন ভাই জব দরকার আমি NYC আছি । [email protected]

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ভাই আমাকে যেমন অনেকেই আশা দিয়েছিল আমি আপনাকে তেমন আশা দিয়ে ঘুরাব না। আমি নিজে নিউ ইয়র্কে জব পাইনি দেখে অন্য স্টেটে চলে আসলাম। আপনাকে কিভাবে হেল্প করব? তবে ম্যানহাটনের গিফট শপগুলোয় গিয়ে দেখতে পারেন।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো। বুকমার্ক করে রাখলাম। সব সময় করে পড়বোনি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: পড়ে অবশ্যই জানাবেন কেমন লাগলো। ভালো থাকবেন।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩

ভোরের সূর্য বলেছেন: সাহায্যের আবেদন চেয়ে একটা স্টিকি পোষ্ট এ সন্ধা ৭:৪৪ থেকে সাড়ে পাচ ঘন্টায় পিক আওয়ারে হিট পড়ছে ১৩২৭টি সেখানে এই পোষ্টে মাত্র দেড় ঘন্টায় ৫১০হিট পড়লো কিভাবে? যখন মাত্র ৮০জন ব্লগার আর মাত্র ৪০০জন ভিজিটর আছেন অনলাইনে!!!!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কিভাবে পরল তা আমি কিভাবে বলব? আমার পোস্টের লিংক ফেসবুকের বেশ কয়েকটা গ্রুপে আমি পোস্ট করি। বিশেষ করে "HigherStudyAbroad Bangladesh Chapter" গ্রুপে অনেকেই আমার লেখা পড়েন। তাদের সবাই সামুর ব্লগার এমনটা হবার কোনো কারণ নেই। আপনি আসলে কি বলতে চাইছেন স্পষ্ট করে বলেন।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৯

ভোরের সূর্য বলেছেন: গ্রুপে আপনার এই লেখাটার লিংক শেয়ার করলে যখন কেউ লিংকে ক্লিক করবে তখন অটোমেটিকালি সামুতে চলে আসবে এবং যতক্ষন সে আপনার লেখা পড়বে ততক্ষন তাকে সামুতে থাকতে হবে এবং সামু সেটা ভিজিটর হিসাবে দেখাবে কিন্ত সামুতে এসময় সব মিলিয়ে ৮০জন ব্লগার আর ৪০০(কিছু যাওয়া আসা আছেই)জন ভিজিটর আছেন. আমি যদি ধরি সব ব্লগার এবং ভিজিটর আপনার লেখা পড়ছে,তাহলেও সংখ্যাটা ৫১০ হয়না.আবার প্রতি মিনিটে গড়ে হিট পড়ছে ৬টা করে যা একটু অস্বাভাবাবিক.আবার আমেরিকাতে এখন দুপুর সবাই ব্যাস্ত যা কিনা ব্লগিং এর জন্য পিক আওয়ার নয়.

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভোরের সূর্য তো মানুষের মনে আশা নিয়ে আসে, সাহস নিয়ে আসে। মানুষের অন্ধকারের দুয়ার আলোকিত করে দেয়।

কিন্তু এতো ক্ষুদ্রচিন্তা করে বৃহত্তর সূর্যের আলোক কে ছোট কর ফেলবেন না আশাকরি @ ভোরের সূর্য।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনার লেখা প্রকাশ হয়েছে ১১:৫৮ তে আর আমি প্রথম কমেন্ট করেছি রাত ১:৩৩এ এই ১ঘন্টা ৩৫মিনিটে হিট পড়ছে ৫১০টা আর এখন ৩:৪২ পর্যন্ত ২ঘন্টা৯মিনিটে হিট পড়ছে মাত্র ৫৫টি।মানে ৫১০থেকে হয়েছে ৫৬৫টি। @খেয়াঘাট ভাই।কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয় কিন্ত অস্বাভাবিক ব্যাপারটা বড় বেশি চোখে লাগে।আমি অলরেডি ব্যাখ্যা করেছি।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯

ভোরের সূর্য বলেছেন: অস্বাভাবিক বিষয় হিসাব নিকাশ করা লাগেনা.খালি চোখেই দেখা যায়.যেমন অামি বলার অাগের দের ঘন্টায় ৫১০হিট আর আমি ধরিয়ে দেয়ায় ঝুপ করে পরবর্তী ৪ঘন্টায় মাত্র ৯৩হিটlচালিয়ে যানl

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: সবসময় একই রকম হিট পড়তে থাকলে তো এক লেখাতেই কোটিখানেক হিট পরার কথা।

আর আমি কি চুরি করেছি যে আপনি ধরিয়ে দিয়েছেন ? :P হা হা হা................

আরেকটা ব্যাপার এত কিছু লক্ষ্য করলেন কিন্তু লেখা কেমন হয়েছে তা নিয়ে তো কিছু বললেন না। অভজারভেশন থেকে কি শুধু লেখাটাই বাদ পরে গেল?

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে.এটা অস্বীকার করবো না.আমেরিকা জীবনের গল্প,আড্ডা,স্মৃতি মিলিয়ে ভাল.আরো আগেই বলতে চেয়েছিলাম.দেরি হয়ে গেল.ধন্যবাদ.

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমেরিকায় দেশে থেকে পড়তে যাওয়া ছাত্রদের জীবন নিয়ে আপনার লেখা কিন্তু অতি চমৎকার।

আপনার লেখার খুব ভাল একটা বৈশিষ্ট এই যে, জীবন যে ছোট খাট সুখ দুঃখ, হাসি আনন্দ, বন্ধুতা, নিঃসঙ্গতা, অনেক অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার চেষ্টা করে যাওয়া গতিশীল একটা বিষয়, এটা আপনার লেখায় চমৎকার ফুটে ওঠে। হয়ত কিছু আনাড়িপনা আছে ঘটনার বর্ণনায়, কিন্তু সবটা মিলে চমৎকার পাঠযোগ্য............।

শুভকামনা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কিঞ্চিত সমালোচনাসহ প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সমালোচনাই যদি কেউ না করে তাহলে আরো ভালো লিখব কিভাবে? ভালো থাকবেন। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

স্বপনীল জলরং বলেছেন: রাজন ভাই চলুক। আগের সব গুল একবারে পরে ফেলেছিলাম। এতাও পরলাম মন্ত্র মুগ্ধের মত।

মদ্ধবিত্ত বলেন আর আপনার লেখনি বলেন আপনার লেখা আমি এক নিঃশ্বাসে পরে ফেলি। চালিয়ে যান !!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: স্বপ্ননীল ভাই আপনার কমেন্ট পড়ে তো দিল গার্ডেন গার্ডেন হইয়া গেল :D অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
আমেরিকায় বর্তমানে জবের কেমন অবস্থা ?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: কথা হচ্ছে আপনি কিরকম জব চাচ্ছেন। গ্রিন কার্ড অথবা সিটিজেনদের জন্য অড জব পাওয়া ব্যাপার না। ভালো জবের ব্যাপারে বলতে পারছি না কারণ নিজে এখনো ওই পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারিনি। আর স্টুডেন্টদের ক্যাশে জব পাবার ব্যাপারে যদি জানতে চান তাহলে বলতে পারি তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার পরিচিত লোকজন কেমন আছে তার উপর।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ভালো লাগলো এপর্বটিও। এবার কিছু আনন্দ বিনোদনের পাশাপাশি কয়েকটি কথা দৃষ্টি আকর্ষণ করলো।:

“আমরা ছিলাম চারজন চার বয়সের। কিন্তু বন্ধুত্ব হতে দেরী হয়নি। এটা সম্ভবত একমাত্র দেশের বাইরেই সম্ভব।”
“শুধু মুখের আদল আর গায়ের রং টা আলাদা। অবস্থা, কাহিনী সবার একই। প্রত্যেকেই ভালো কোনো ইউনিভার্সিটিতে এসেছিল। পরে খরচ পোষাতে না পেরে এখানে এসেছে।”
“আউট অফ স্ট্যাটাস হয়ে গেল আমেরিকায় আসার এক বছরের মধ্যেই। রাজিবের সাথে আজকাল দেখা হয় খুব কম। কেন যেন ও নিজেই দেখা করতে চায় না। একটু দুরে দুরে থাকে। আমি বুঝি কেন।”


ভাই আউট অভ স্ট্যাটাস হবার আগেই লেখাপড়াটা শেষ করুন।
আর ভালো থাকুন। সকল শুভ কামনা।

(হারদিক পাটিল সত্যিই ব্যতিক্রমী ইনডিয়ান। তাদের সম্পর্কে আপনার পূর্বের ধারণাই বেশি সত্য)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: দোয়া করবেন ভাই।

১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: আপনার পোস্টে কতগুলো হিট পড়লা কিংবা কতজন ব্লগার অনলাইনে আছে সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
তবুও কমেন্টগুলো দেখে কিছু কথা মনে আসল।
যেহুতু আপনি আপনার পোস্টটা করার পর বিভিন্ন জায়গায় লিন্ক শেয়ার করেন (যদিও বা সেগুলোতে আমি কখনো যাইনি মানে দরকার পড়েনি।)
সেগুলোতে অনেক মানুষের চোখে পড়েছে। আর যেহুতু আমি এই সিরিজটা পরার জন্য বুকমার্ক করে রেখেছি। তাই আমি আশা করতেই পারি যে আরও অনেকেই বুকমার্ক করে রেখেছে। আর যারা করে বাখেননি তারা নিশ্চই কোনভাবে ফলো করেন। ফলে আপনি যখনি লিন্ক শেয়ার করেছেন তারা লেখাটা পরার জন্য হিট করেছে। অনেকে আবার একবার এসেই ঘুরে গেছেন। পরে ধীরে সুস্থে পড়বেন বলে। আমি প্রায়ই এইরকম করি (তাতে হিটের ক্যালকুলেশন কি হল তাতে আমার কোন মাথাব্যাথা থাকেনা)।
এখন লিন্ক শেয়ার করার পর সাথে সাথে যেহুতু সবাই ঢু মেরেছে তাই প্রথমে হিট খুব দ্রুত বেড়েছে।

আর যিনি হিটের দিকে খেয়াল করেছেন তিনি ব্লগে এসেছেন প্রায় ২ ঘন্টা পর ততক্ষনে সবার পড়া হয়ে গেছে এবং ব্লগ থেকে চলে গেছেন। তাই উনি দেখেছেন যে মানুষের তুলনায় হিট অস্বাভাবিক।


যাইহোক এটা আমার নিজস্ব মত আসল ব্যাপার অন্য কিছুও হতে পারে।

আর আপনার লেখা আসলেই ভাল হয়েছে। আজকের লেখাটা যদিও অনেক বড় কিন্তু কখন যে শেষ হয়ে গেল তখন আবার মনে হল যে সিরিয়াল আ্সলেই খুব খারাপ জিনিস।
মানুষের স্বপ্নের দেশ আমেরিকাতে হয়তবা কোন দিনই যাওয়া হবেনা।
কিন্তু এই সব লেখার মাধ্যমেতো অনেক কিছুই জানতে পারছি।

আর আমার দর্শন হল পারত পক্ষে দেশের বাইরে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য যাবনা।
দেশেই অনেক কাজ করার আছে। সেগুলোরই কোন একটা করে জীবন কাটিয়ে দেব ইনশাল্লাহ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: সালাম ভাই, আপনি যেভাবে ভেবেছেন সেই একই যুক্তি আমারও। ব্লগে হিট খাওয়ার আশা কার না থাকে? আমারও আছে। কিন্তু হিট খাওয়ার জন্য নানান আই.ডি. খুলে হিট বাড়ানোর প্রয়াস বা সময় আমার নেই। আমি প্রতিদিন ১২ ঘন্টা কাজ করি। ব্লগের হিট দিয়ে আমেরিকার জীবন চলে না। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ :)

১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

ময়ূখ বলেছেন: প্রশংসার সাথে কিছু গঠনমূলক সালোচনা ও করতে চেয়েছিলাম...পারলাম না...সুপার্ব লেখা অ্যাজ ইউজুয়ল...

১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

ময়ূখ বলেছেন: সমালোচনা*

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ময়ূখ ভাই :)

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

ইয়েন বলেছেন: ভাল লাগল .....অনেক দিন পর আপনার লেখা পরলাম .......একসাথে ৩ টা :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :)

২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৯

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ++++++

এভাবেই কেটে যায় জীবন

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: হ্যা এভাবেই কেটে যায়..............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.