নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দুনিয়ায় আপনি আমন্ত্রিত

রাজন আল মাসুদ

খুঁজে ফিরি স্বপ্নগুলো............

রাজন আল মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার পথে পথে ৫

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৮

মিশিগান পার হয়ে যখন উইসকনসিনের সীমানায় ঢুকলাম তখন রাত প্রায় ৯টা| এই সময়ও মাথার উপর গণগনে সূর্য| প্রবেশ মুখেই কাঠের গুড়ি বোঝাই ঘোড়ায় টানা স্লেজ ওয়াগনের বিশাল ভাস্কর্য| ম্যাডিসনে পৌঁছে যা দেখতে এসেছি সেই কাভার্ড ব্রিজের আশেপাশের মোটেল সার্চ দিতেই বোকা বনে গেলাম| যেই ব্রিজ আমরা দেখতে চেয়েছিলাম তা ম্যাডিসন কাউন্টিতে যা কিনা আইওয়া স্টেটে আর আমরা ভুলে চলে এসেছি উইসকনসিন স্টেটের রাজধানী ম্যাডিসন সিটিতে| বেশ রাত হয়ে যাওয়ায় সস্তায় মোটেল সিক্সে রুম নিয়ে এখানেই থেকে গেলাম|

সকালে সময় নষ্ট না করে রওয়ানা দিলাম মিনেসোটার উদ্দেশ্যে| ফোর্থ জুলাই, আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ফায়ার ওয়ার্কস দেখার পরিকল্পনা ওখানেই, মিনিয়াপোলিস সিটিতে| সেইন্ট পল আর মিনিয়াপোলিস এই দুটো সিটি পাশাপাশি অবস্থিত যা মিনেসোটার টুইন সিটিস নামে বিখ্যাত|

বেশ তাড়াতাড়ি মিনেসোটায় পৌঁছে গেলাম| সেইন্ট পল সিটির হলিডে ইন মোটেলে রুম নিয়ে ঝটপট ফ্রেশ হয়ে ঘুরতে চলে গেলাম আমেরিকার সবচেয়ে বড় শপিং মল "মল অফ আমেরিকা" তে| রেজওয়ানের সাজেশনে আমি আর অপু ভাই দেখতে ঢুকলাম আমেরিকা ও কানাডার সব ভৌগোলিক বিস্ময়গুলোর উপর প্লেনের মত উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া থ্রিডি শো "ফ্লাই আমেরিকা এন্ড কানাডা"| থ্রিডি রাইডটা বেশ ভালো হলেও, কোয়ালিটির দিক দিয়ে ফ্লোরিডার ইউনিভারসাল ষ্টুডিও'র থ্রিডি রাইডগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি| মলে কিচ্ছুক্ষন ঘুরে সেখান থেকে চলে গেলাম মিনিয়াপোলিস স্কাল্পচার গার্ডেনে বিখ্যাত "চেরি স্পুন" দেখতে| সাথে বোনাস হিসেবে দেখে নিলাম "কক ক্যাথরিনা" নামক বিশাল নীল মোরগের ভাস্কর্য|

ব্লগার এবং বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ দা'র স্ত্রী বণ্যা আপা কাকতালীয় ভাবে একই সময় মিনিয়াপোলিসে ছিলেন| অণু ভাই এসেছেন জেনে আমাদের সবাইকে ডিনারের দাওয়াত দিয়ে দিলেন| প্লেস চুজ করার ভার ও দিলেন আমাদের উপর| এক থাই রেস্টুরেন্টে বসার কিচ্ছুক্ষন পরেই উনি আসলেন| এটা সেটা নিয়ে কত কথা বললেন| উনি ও যে ঘুরতে খুব পছন্দ করেন আর ইতিমধ্যে অনেক জায়গা ঘুরে ফেলেছেন তার গল্প করলেন| আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ওনার জীবনে এতো বড় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যাবার পরও ধর্ম নিয়ে তার বিদ্বেষ নেই এতটুকু| ছোট করে বললেন মানব সমাজের ভিত্তি তৈরিতে ধর্ম কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে| কিছু মানুষ এত বড় হৃদয়ের কিভাবে হয় কে জানে| আফসোস বাংলাদেশের মাথামোটা উগ্রবাদীর দল সবাইকে এক কাতারে ফেলে বিচার করে| উগ্রবাদী আর মৌলবাদীদের কথা বাদই দিলাম, কত শিক্ষিত ভদ্রবেশী মুখোশধারী শয়তান কত প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন আমাদের প্রিয় দেশটাকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য| আমার ভয় হয় যেইদিন আমাদের হুঁশ ফিরবে সেইদিন আর কিছুই করার থাকবে না|

বন্যা আপার সাথে ডিনার শেষ করে চলে গেলাম ডাউনটাউনের এক পার্কিং লটের ছাদে স্বাধীনতা দিবসের ফায়ারওয়ার্কস দেখতে| ঘন্টা দুই ফায়ারওয়ার্কস দেখে মোটেলে ফিরে সুইমিং পুলে নাচানাচি করে নাক ডাকিয়ে ঘুম| সকালে মোটেলের খাসা নাস্তা শেষে হজম করতে চলে গেলাম মিসিসিপির তীরে| মিসিসিপি নদী এই স্টেটে বেশ শান্ত আর ছোটখাটই লাগল !!!!!

মিনেসোটার ঘটনা এখানেই শেষ| এক বিকাল এক রাত বেশ ঘটনাবহুলই ছিল বলা যায়| এবার যাচ্ছি সাউথ ডাকোটায়, জগৎবিখ্যাত এক লেখিকার শেষ কিছু স্মৃতি চিহ্ন দেখতে|













মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

এইচ তালুকদার বলেছেন: ফেসবুকেও আপনার সঙ্গে আমেরিকা ঘুরে দেখছি,ব্লগে বিশদ বর্ণনাও পেলাম,চমৎকার।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৪

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :)

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখা এবং ছবি খুব উপভোগ করলাম।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.