![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“I dream my painting and I paint my dream.” ― Vincent van Gogh
১
আত্মনির্ভরশীলতা জন্মানোর প্রারম্ভে দাঁড়িয়ে সিয়াম। মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করে উচ্চমাধ্যমিকেও সেটি ধরে রাখতে পেরেছে বলে যেটুকু বুক উঁচু হয়েছে তার নিজের তার চেয়েও বেশি উঁচু হয়েছে তার মা-বাবার।
তবু কেন যেন খানিক খটকা, খানিক উৎকণ্ঠা, কেমন একটি ভয়ের মত ভাব তার ভাবনায় ঘুরপাক খাচ্ছে এই সময়টিতে। আর তাই এই আনন্দের মাঝেও যখনি সে একটু একা হয়ে যাচ্ছে তখনি কোথা থেকে যেন উৎকণ্ঠা মেশানো ভয়ের ভাবটি চলে আসছে নিজের অজান্তেই। ঘুমাতে যাওয়ার সময় এমনটা হচ্ছে বেশি।
ফলাফল প্রকাশের আজ পঞ্চম দিন। রাত তখন বারটা। সিয়াম আলো নিভিয়ে শুয়ে আছে বিছানায়। ঘুম আসছে না মোটেও। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লক্ষে কোচিং করতে হবে। মফস্বলের ছেলে সিয়াম। তাদের এদিকে ভালো কোচিং সেন্টার নেই। যেতে হবে ঢাকায়। এই জন্যই কি ভয় পাচ্ছে সে? পরিবার ছেড়ে, বন্ধুদের ছেড়ে, নতুন একটি জায়গায় নতুন পরিবেশে যেতে হবে বলেই কি ভয় ঢুকেছে তার ভিতর?
না, এটাই একমাত্র কারন না। বুঝতে পারে সে। অন্য একটি কারণও আছে।
সেটা কি ?
ভাবতেই লজ্জায় যেন বালিশ ফুঁড়ে বিছানা ফুঁড়ে মেঝে ফুঁড়ে একদম মাটিতে মিশে যায় সে। আর ভাবতে ভাবতে বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে পরে।
রাত তখন আরও গভীর। সিয়াম নিজেকে আবিষ্কার করে একটি কাঠগড়ার মধ্যে। জনমানবহীন এজলাস। একমাত্র সে আর বিচারক ছাড়া আর একটি প্রানিও নেই। দু হাত টেবিলে রেখে বিচারকটি রক্তবর্ণ চোখে তাকিয়ে তার দিকে। যেন এক্ষুনি হুংকার ছেড়ে সাজা ঘোষণা করতে যাবেন। সিয়াম ভয়াতুর চোখে আড়ষ্ট হয়ে কাঠগড়ার কাঠ শক্ত করে ধরে তাকিয়ে আছে বিচারকের ঠিক ঠোঁট দুটোর দিকে। এই বুঝি নড়ে উঠল ঠোঁট জোড়া। এই বুঝি তার ফাঁসির আদেশ হল।
কিন্তু কই! কিছুই তো হচ্ছে না!! বিচারকটি ঠিক যেমন ভাবে তাকিয়ে ছিল সেভাবেই তাকিয়ে রইল।
দড়দড় করে ঘামতে থাকে সে। তুচ্ছ মনে হয় নিজেকে। এবার যেন একটু অভিমানের বাষ্পও জমতে থাকে তার মনে। ভাবে সে, যা শাস্তি হয় হোক! কিন্তু এভাবে ঝুলিয়ে রাখার কি মানে আছে ? মনে হতে লাগলো তার, এভাবে ঝুলে থাকার চেয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে থাকা সোজা। চিৎকার করে বলতে চাইল, এ অন্যায়, এ অন্যায়, এ ভীষণ অন্যায়!
এমনি একটি সময়ে যখন কি না সিয়াম ভয়ের জায়গাটি থেকে সরে গিয়ে যুক্তি তর্কের জায়গায় নিজেকে নিয়ে দাড় করাতে চাইছিল ঠিক তখনি গর্জে উঠল বিচারকের কণ্ঠ। হুংকার ছেড়ে বলে উঠলেন, ‘এ অন্যায়? এ অন্যায়? এ ভীষণ অন্যায়?’
প্রাণটি যেন বেরিয়ে যাবে এবার। এ কি কাণ্ড! বিচারক কি করে জানল তার ভাবনা গুলো? এখন কি করে সে? লোকটি তো ভারি গোলমেলে। এ জজ না জ্যোতিষ! সিয়াম লম্বা এক শ্বাস নেয়। ভয় যতই পাক কিন্তু এই তো চাইছিল সে। কথা বলতে, বুকে জমাট বাঁধা অভিমান গুলোকে নিয়ে কারো সামনে দাড়াতে। সে চোখ তুলে চাইল বিচারকের চোখের দিকে। বলল, ‘সম্মানিত বিচারক, ঠিক কোন অপরাধের দায়ে আমি এই কাঠগড়ায় সেটা জানতে পারিকি?’
প্রশ্নটি শুনে বিচারক যেন কেমন করে একটু তাহালেন। পরক্ষনেই হো হো হো করে গোটা এজলাস কাঁপিয়ে হেসে উঠলেন। হাসিটা একটু দম নিতেই বলে উঠলেন, ‘অপরাধী নিজেই জানে না তার অপরাধ কি? বড় হাস্যকর শোনালো তোমার কথা হে বালক।’ বলেই আবার গম্ভীর হয়ে গেলেন তিনি। ফের বললেন, ‘বলতো বালক, কি তোমার অপরাধ?’
সিয়াম আমতা আমতা করে বলতে লাগে, ‘কিন্তু ধর্মাবতার, এই অপরাধের ভাগ কি কেবল আমার একারই? দয়া করে বলুন আমায়।’
‘কি বলতে চাও তুমি?’ কৌতহলি চোখে চেয়ে বিচারক।
‘ধর্মাবতার, একটি গল্প বলতে চাই আপনাকে। যদি অনুমতি দেন।’ বলল সিয়াম।
‘সে তুমি চাইলে বলতে পার। তবে এ কি আজকের মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত?’ বললেন বিচারক।
সাহসটা যেন ফিরে আসছে একটু একটু করে, বুঝতে পারছে সিয়াম। বলল, ‘জি হুজুর।’
বিচারক একটু নড়েচড়ে বসে বললেন, ‘তবে ঠিক আছে। বল শুনি।’
সিয়াম বলতে শুরু করল।
‘হুজুর, বয়সের দিক দিয়ে কেবল সপ্তদশে আমি। এই বয়সে আমি কতটুকুই বা আত্মনির্ভরশীল হতে পারি বলুন? সমাজ, আইন, পরিবার কিংবা শিক্ষক এরাই কি আমাকে পথ দেখাবে না?’
বিচারক উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, সেকথা সত্য।’
‘তবে প্রথমেই বলি আমার পরিবারের কথা। ছোটবেলা থেকেই তারা আমাকে শিখিয়েছেন ভয় পেতে। একদম ছোট ছিলাম যখন, খেতে না চাইলে মা আমায় বলতেন, ঐযে বিড়াল আসছে, তুই না খেলে বিড়াল কিন্তু এসে খেয়ে ফেলবে। ভুতের ভয়ে রাতে ঠিক সময়ে ঘুমাতে হত। পড়ায় ফাঁকি দিলে শিক্ষকদের বেতের ভয় দেখাতেন। তারা সবই করতেন আমার ভালর জন্য। কিন্তু আসলেই কি ভাল হয় এতে?’
বিচারক উত্তর দিলেন, ‘Please Continue’
‘হুজুর, একজন শিক্ষক আমাদের কি শিক্ষা দিয়ে থাকেন? বইয়ের পড়া আর নৈতিকতা শিক্ষা, তাই নয় কি?’
‘হু,’ খুব বুঝেছি বুঝেছি ভাব নিয়ে আওয়াজটি করলেন বিচারক।
‘তবে কেন শিক্ষক নিবন্ধনের সময় কেবল বই পড়ানোর দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়? কেন নৈতিকতার পরীক্ষা নেওয়া হয় না? একজন শিক্ষক কি বেতন ভুক্ত কর্মচারীর চেয়েও বেশি কিছু নয়? নৈতিকতা বিহীন মানুষ হতে পারে কিন্তু নৈতিকতা ব্যতীত শিক্ষক কখনো শিক্ষক হতে পারে কি?
বিচারক উত্তর দিলেন, ‘যৌক্তিক’
‘আমাদের মাধ্যমিকে একজন শিক্ষক ছিলেন, বাংলা শিক্ষক, যিনি খুব ভালো ভাবে পাঠ্য বইটি পড়িয়ে থাকেন। কিন্তু সাথে সাথে ক্লাস পরীক্ষা গুলোর আগে তার কাছের কিছু ছাত্র-ছাত্রিকে শর্ট সাজেশনের নামে পারলে গোটা প্রশ্নপত্রটিই দিয়ে দিতেন।
তার নৈতিকতার প্রস্নে আপনি কি উত্তর দিবেন?’
বিচারক চুপ।
‘ধর্মের একজন শিক্ষক ছিলেন, যিনি স্কেল মেপে নাম্বার দিতেন আমাদেরকে। তার মানে হচ্ছে, যে যত পৃষ্ঠা লিখবে সে তত বেশি নাম্বার পাবে।
এর ব্যাপারে?’
বিচারক চুপ।
‘একজন শিক্ষক ছিলেন, যিনি সামাজিক বিজ্ঞানের ক্লাস নিতেন। তার ক্লাসে কেউ পড়া না পারলে তিনি বেত দিয়ে এমন ভাবে মারতে থাকতেন যেন বিষাক্ত সাপ মারছেন। যেটা মেরে না ফেললে তার প্রান সংশয় রয়েই যাবে!
তবে এইজন?’
বিচারক চুপ।
‘শারীরিক শিক্ষার একজন শিক্ষক ছিলেন, যিনি যেকোন অপরাধের দণ্ড হিসাবে একই শাস্তি দিতেন। শরীর চর্চার শিক্ষণ, অলস হলে তো তার চলবে না। তাই তিনি একাধারে পরাতেনও মারতেনও। এক হাতে বই নিয়ে পড়াতে থাকেন, অন্য হাতে বেত নিয়ে টেবিলের নিচে মাথা ঢোকান প্রাণীটির যেটুকু বাইরে বেরিয়ে আছে সেটুকু জায়গা জুড়ে পড়ার সুরে সুরে অবিরাম বেত চালাতেই থাকেন।
অংকের মাস্টার, যার পছন্দ ডাস্টার। পড়া পারনা ? হাত মুঠো করে সামনে ধর। টিফিন ফাঁকির কেস ? হাত মুঠো করে সামনে ধর। গতকাল স্কুলে আসনি ? হাত মুঠো করে সামনে ধর। ইত্যাদি নানান রোগের একই চিকিৎসা।
এদের নৈতিক দিকটা?’
বিচারক চুপ।
‘একজন শিক্ষক ছিলেন, যিনি কিনা প্রকৃত শিক্ষাটিই প্রদান করে থাকেন শিক্ষার্থীদের। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মতে স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে বাজে শিক্ষক যেজন এই হচ্ছে সেজন।
এই শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার ঘাটতির কারন?’
বিচারক তবুও চুপ।
শুনতে শুনতে বিচারকটি বারবার কেমন যেন অন্য মনস্ক হয়ে যাচ্ছিলেন। আর বারবারই কেমন একটা হাসি হাসি মুখ করে পরক্ষনেই নিজের গাম্ভীর্যটাকে ফিরিয়ে আনছিলেন খুব কৌশলে।
সিয়াম বলতে লাগলো, ‘দেখুন হুজুর, আমি বলবনা গোটা দেশ জুড়েই অনিয়মের নিয়মে ভরে গেছে। কিন্তু এও তো ঠিক যে অনিয়মের মাত্রাটাও আজ মাত্রাতিরিক্ত পথে পা বাড়াচ্ছে? আর একজন শিক্ষকের অনিয়মের মাশুল কি গোটা জাতীর সমস্ত শিক্ষার্থীকেই দিতে হচ্ছে না? যেমন বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘরের সমস্ত বাতিগুলোই নিভে যায়। তেমনই কি সুশিক্ষার অভাবে আমাদের মত শিক্ষার্থীরাও প্রকৃত শিক্ষার নাগাল থেকে দূরে সরে যাচ্ছে না?’
বিচারক খুব গম্ভীর ভাবে উত্তর দিলেন, ‘বলে যাও।’
‘হুজুর, আমি মাধ্যমিকে যথার্থ ভাবে লেখাপড়া করেছিলাম। সে ভয়ে হোক বা প্রকৃত। কিন্তু যখন আমাদের বোর্ড পরীক্ষা শুরুর মাত্র দুই দিন বাকি, খেয়াল হল কেমন যেন একটি গুঞ্জন শুরু হয়েছে সহপাঠীদের মধ্যে। সামনা সামনি কেউই কিছু বলছে না। সেদিন রাতে, পড়ার টেবিলে যখন বসে, কাছের এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল, সে নাকি প্রশ্নের সন্ধান পেয়েছে! শতভাগ নিশ্চিত কমন! কেমন যেন মাথাটা ভোঁভোঁ করতে লাগলো। বন্ধুটি বলল, যদি আমার দরকার হয় তবে যেন তার সাথে দেখা করি আগামি কাল, সাথে পাঁচশত টাকা।
ধর্মাবতার, বিশ্বাস করুন আমায়, সে রাতে আমি এক মুহূর্তের জন্যও ঘুমাতে পারিনি।
ভয়! সেই শিশু বেলা থেকে জমতে থাকা ভয়। ভাবনার সুনির্দিষ্ট কোন দিক নেই। এদিক সেদিক ঠিক বেঠিক সব পথেই যেন ঢু মেরে আসছে একবারটি করে। একবার মনে হয় ছি ছি এ অন্যায়। একবার জেগে ওঠে লোভ। এইতো সুযোগ, কে জানবে? কে দেখবে?’
‘তুমি লোভী। তোমার প্রতিভাকে স্পর্শ করেছিল লোভ।’ ফের গর্জে উঠল বিচারকের কণ্ঠ।
‘হ্যাঁ, সে কথা সঠিক, আমি ঢুকে গিয়েছিলাম লোভের পথে। তবে এ কি শুধুই আমার দায়?’
বিচারকটি এ প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে শুধু সামনের টেবিলে রাখা হাত দুটি থেকে একটি হাত উঠিয়ে নিয়ে থুঁতনির নিচে রেখে তাকিয়ে রইল ওর দিকে।
সিয়াম কিছু সময় বিচারকের দিকে তাকিয়ে থেকে পরক্ষনে বলতে লাগলো, ‘উচ্চমাধ্যমিকের বয়সটা বড় বেয়ারা। এখন এমনটাই মনে হচ্ছে আমার। তবে সে সময় কিন্তু এভাবে ভাবতে পারিনি। লেখাপড়া যাই করেছি, তবু প্রাক্তন পথ ধরেই এবারো পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন এসে হাজির। উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি মাধ্যমিকের মত ভালো ছিল না ফলে এবার আর কোন দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই গেলাম না। ফলে, ফলেই বলব, এবারো যথারীতি ভালো ফলাফল এলো।
এই আমার গল্প।’ এই বলে একটি লম্বা শ্বাস টেনে তা আবার লম্বালম্বি ভাবেই ছেড়ে দিয়ে থামল সে।
‘বালক, তুমি কি জান এ স্বীকারোক্তির ফলে তোমার কি সাজা হতে পারে?’ খুব গম্ভীর গলায় বললেন বিচারক।
সিয়াম উত্তর দিল, ‘ফাঁসি।’
‘কি করে বুঝলে?’
‘কারন আমি জানি। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন মেলেনা। লোক গুলো কেমন বাজে দেখুন! আরে বেটা পাড় করবি যখন গোটা সাঁকোটাই পাড় কর, মাঝ পথে এনে হাত ছেড়ে দেয়ার কোন মানে হয় বলুন?’
সামান্য হাসলেন বিচারকটি, পরে বললেন, ‘শোন বালক।’ বলতে বলতেই এই প্রথম বিচারকটির মুখের ভাবে একটি নতুন ধরন দেখা দিল। কেমন বিষণ্ণ, নিরাকার, অপরাধী ভাব সে মুখে। সিয়াম চমকে উঠল। এ কেমন মূর্তি তার!
বললেন, ‘বালক, তোমার স্বীকারোক্তি থেকে যা বুঝলাম, এই ছোট এজলাসে তার চেয়েও ছোট কাঠগড়ায় তোমার অপরাধের বিচার কাজ আমি সম্পন্ন করতে পারব না। আমাকে ক্ষমা কর। নিন্ম আদালতে জায়গা কম, উচ্চ আদালতে জায়গা আছে এর চেয়ে ঢের বেশি। আমি তোমার মামলাটি উচ্চ আদালতের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই আমার রায়।’
বলতে বলতে বিচারকটি কেমন তড়িঘড়ি করে উঠে চলে যেতে লাগলেন। যেন তিনিও আজ একজন অপরাধী।
সিয়াম চিৎকার করে বলে উঠল, ‘ধর্মাবতার যাবেন না আপনি। হুজুর যাবেন না আপনি। এভাবে আপনি যেতে পারেন না। এ অন্যায়, এ অন্যায়, এ ভীষণ অন্যায়...।’
২
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি সে এখন। কত কত দিন আগের সেই স্বপ্নটাকে সে আজও মনে করে। খুব চায় যেন আর একবার স্বপ্নটা আসুক তার ঘুমে। খুব চায় যেন উচ্চ আদালতের একটি তারিখ সে পায়। যেন বিচারকার্য ফের আর একবার আরম্ভ হয়। খুব চায় যেমনি হোক একটি রায় যেন তাকে দেওয়া হয়।
চাওয়াটা আরও ভীষণ হয় তখন যখন দেখে নিজের ব্যর্থতার ছায়া তার মা-বাবার মুখের উপরে স্পষ্ট।
©somewhere in net ltd.