![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাত্তোরের মাজননী কোথায় তোমার মুক্তি সেনার দল
এক জন মহৎ প্রাণ ডাক্তার এড্রিক বেকার
কিছু মানুষ শুধু তাঁদের কর্মের গুণে সময়কে ছাপিয়ে যান। এমনই একজন মানুষ ডাঃ এড্রিক বেকার। নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এড্রিক বেকার ১৯৪১ সালে রাজধানী ওয়েলিন্টনে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৬৫ সালে ওটাগো মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সরকারের শল্য চিকিৎসা দলের সদস্য হিসেবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ভিয়েতনামে যান। সেখানে কাজ করা অবস্থাতেই সংবাদপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারেন। যুদ্ধকালীন এ দেশের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখে ঠিক করেন সম্ভব হলে বাংলাদেশে আসবেন । অবশেষে তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে আসেন,প্রথম দিকে তিনি মেহেরপুর হেলথ মিশন ও কুমুদিনী হাসপাতালে কাজ শুরু করেন । কিন্তু সব সময় গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করতেন এবং ১৯৮৩ সালে মধুপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন, গড়ে তুলেন “কাইলাকুডি হেলথ কেয়ার সেন্টার” । ডাঃ বেকার’র নিরলস পরিশ্রমে এখন এই হেলথ সেন্টার একটি সম্পূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র । চার একর জায়গায় ছোট ছোট মাটির ঘরে ডায়াবেটিস বিভাগ, যক্ষ্মা বিভাগ, মা ও শিশু বিভাগ, প্রশিক্ষণ কক্ষ, মাতৃসদনসহ নানা বিভাগ রয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি করার ব্যাবস্থা আছে এখানে। ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বরে হানিফ সংকেত তার ইত্যাদিতে ডাঃ বেকার কে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেন আর এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ উনার এই মহৎ কর্মের কথা জানে। সবার কাছে তিনি “ডাক্তার ভাই” নামেই পরিচিত ছিলেন। ইত্যাদিতে হানিফ সংকেত উনাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি উনাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ত্ব দেয়ার অনুরোধ করেন বাংলাদেশ সরকারের কাছে। ৫ আগস্ট ২০১৪ সালে উনি নাগরিকত্ত্ব লাভ করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে তার প্রতিষ্ঠিত “গরীবের হাসপাতাল” কাইলাকুডি হেলথ কেয়ার সেন্টার, মধুপুরেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ ডাঃ বেকার আমাদের মাঝে নেই । কিন্তু উনার প্রতিষ্ঠিত “গরীবের হাসপাতাল” আছে, সেই সাথে আছে মানুষের পাশে থাকার মহান ব্রত । আমাদের সবার অল্প অল্প সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাবে এই হেলথ কেয়ার সেন্টার । সম্ভব হলে ঘুরে আসুন আর দেখে আসুন এ যুগের “মাদার তেরেসার”র মত একজন নিবেদিত প্রাণ ডাক্তার বেকার’র “কাইলাকুডি হেলথ কেয়ার সেন্টার” মধুপুর । আমরা আছি সম্মিলিত ভাবে উনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য । হাসপাতালের বর্তমান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে উনাদের একটি প্রশাসনিক ভবন দরকার । আমরা উদ্যোগ নিয়েছি উনাদের এই কাজে আমাদের যতটুকু সম্ভব অবদান রাখার জন্য। এই উদ্যোগে আপনাকেও আমাদের পাশে চাই । মানবতার জয় হোক ।
প্রয়োজনে- সঞ্জীব ভদ্র চন্দন- ০১৭১৬-৬২৫২৫৪
©somewhere in net ltd.