নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেজষ্ক্রিয় রশ্মি

রাকিব পলাশ

ভালবাসার ধুম্রজালে পুরোদমে আটকা আমি

রাকিব পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার উষ্ণতা, শীতার্তদের জন্য

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

সন্ধা বেলা, তখনো খুব একটা ঠান্ডা পড়ে নাই। সেদিন ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছিলাম। পথের মধ্যে নভো থিয়েটারের সামনে হঠাৎ করেই চোখে পড়ল, একজন মহিলা তার ছোট একটা বাচ্চা সহ রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে। আমি বেশ কিছুক্ষন ওদের দিকে তাকিয়ে থাকলাম তবুও ওখানে দাড়িয়ে থাকার কার্যকারণ খুজে পেলাম না। আবার দেখি পাগলের মত সামনে নভো থিয়েটারের প্রাচীরে একটা বিছানার চাদর লটকে দিয়ে ওটা নাড়াচাড়া করছে। ভাবলাম হয়ত পাগল টাগল হবে। মহিলাটার শরীরে পাতলা ফিনফিনে কিন্তু ময়লার কারনে পুরু শাড়ীটা অনেক জায়গায় ছেড়া, বাচ্চাটার গায়ে কোন পোশাক ই নেই, শুধু একটা হাফপ্যান্ট কোন রকমে বাচ্চাটাকে লজ্জা নিবারন করাচ্ছে। নাহ বুঝতে পারছিনা, চোখ ফিরিয়ে নিলাম, কিন্তু মাথার মধ্যে ব্যাপারটা ঘুরপাক খেতে লাগল। কিছুক্ষন চিন্তার পর বুঝলাম আসলে মহিলাটা ওখানে অযথা সময় নষ্ট করছে না। প্রাচীরে চাদর লটকে শুকানোর জন্য সে বারবার নাড়াচাড়া করছে। এই চাদরটা শুকালেই ওরা দুইজন ফুটপাতেই শুয়ে পড়বে। যতক্ষন চাদর না শুকাচ্ছে ওদের ঘুম হারাম। আমি খুব ভালো করে লক্ষ্য করেছি ওদের কাছে আর কোন কাপড় ছিল না।



এবার ভাবুন তো, এই শীতে তাদের কি অবস্থা হবে। নিশ্চয় এতদিনে ওই বিছানার চাদরটাও ছিড়ে গেছে। আর থাকলেও তাতে শীত মানার কথা না। তারা হয়ত রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নেবে ছেড়া বস্তা, তারপর সেটাই জড়িয়ে ঘুমাবে দুজন। গায়ে হয়ত সেই জরাজীর্ন কাপড় টাই এখনো দেখা যাবে।



তাদের মত মানুষ বাংলাদেশের কোন জেলাতেই কম নাই।



এদের সাহায্য করতে আপনাকে হাজার টাকা খরচ করতে হবে না, শুধু কিছু আবর্জনা পরিষ্কার করুন। আপনার বাসার আলমারী, আলনা, ওয়্যারড্রপ অথবা স্টোর রুমের দিকে তাকান। সেখানে অবশ্যই বেশকিছু পুরোন কাপড় পাবেন। এবার সেগুলো পৌছে দিন এদের হাতে।



দেখুন শান্তিটা আসলে কোথায় থাকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.