নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেজষ্ক্রিয় রশ্মি

রাকিব পলাশ

ভালবাসার ধুম্রজালে পুরোদমে আটকা আমি

রাকিব পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

Ragging_

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

সংজ্ঞাঃ শিরোনামে যে শব্দটি দেখা যাচ্ছে তার সাথে হয়ত আমরা সকলে পরিচিত নয় কিন্তু অনেকেই এর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। র‌্যাগিং একটি মারাত্নক সামাজিক ব্যধি। বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সমাজকে এক সংজ্ঞাহীন অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিচ্ছে এ হীণ আচরণ।



আসুন জানি আসলে র‌্যাগিং কি___



উইকিপিডিয়ার সংজ্ঞা মতে,



Ragging is a practice similar to hazing in educational institutions. The word is mainly used in India, Pakistan, Bangladesh and Sri Lanka. Ragging involves existing students baiting or bullying new students. This phenomenon is similar to fraternities and sororities in North America. It often takes a malignant form wherein

the newcomers may be subjected to psychological or physical torture.



এখানে যদিও শুধুমাত্র ছাত্রদের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে দেখলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেখানে লোক সমাগম হয়, যেমন, অফিস, বন্ধুদের আড্ডা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বোর্ডিং, হোস্টেল এবং এধরনের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে প্রায়ই জোকস দ্বারা আক্রমন করা হয় কোন ব্যক্তিকে। একসময় দেখা যায় একজন ব্যক্তি ই কয়েকজন দ্বার অনবরত হাস্যের উপাদ্য হচ্ছেন তখন তিনি আসলেই মেন্টালি আপসেট হয়ে যান।



জোকস বা ইয়ার্কির উদ্দেশ্য কারও ল্যাকিংস নিয়ে ঠাট্টা করা নয়, তাকে হীনমন্য করা নয়। তার সম্মান ও সম্ভ্রমে আঘাত নয়। তাকে কোনঠাসা করা নয়। পাঁচজন মিলে একজনের উপর আক্রমন নয়।



র‌্যাগিং কোন জোকস না, এটা এক ধরনের মানসিক নির্যাতন এবং কঠিন নির্যাতন। ইভ টিজিং থেকেও এই র‌্যাগিং বেশি মারাত্নক রকমের অপরাধ।

আর সাধারণ ভাবেই এই গর্হিত র‌্যাগিং এর শিকার বেশীর ভাগই হয়, অপেক্ষাকৃত শান্ত স্বভাবের ভদ্র মানুষটি, আর যারা এই গর্হিত কাজে ব্যস্ত থাকে, তারা মগ্ন থাকে কে কতটা বেশী তাকে পঁচাতে পারলো।



এই ব্লগটা পড়লেই হয়ত আপনার ছাত্রজীবন বা কর্মজীবনের এরকম কোন মূহূর্ত আপনার মনে পড়ে যাবে। আর এবার স্মরণ করুন সেই মুহূর্ত টা যখন আপনি এরকম র‌্যাগিংএর শিকার হয়েছিলেন তখন আপনার মেন্টাল কন্ডিশন টা কি ছিল।



আমি নিজেও ছোট বেলায় একজন বলদ টাইপের শান্ত ছেলে ছিলাম আর আমাকে এজন্য অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। এক সময় যখন প্রতিদিন বন্ধুদের মার খেয়ে কোন দিন ছেড়া শার্ট, কোন দিন কানরে মাংস ছেড়া, কোন দিন পিঠে পড়া আঙ্গুলের ছাপ আর মাথা ভর্তি অভিযোগের পাতা নিয়ে মায়ের কাছে নালিশ করতাম মা আমাকেই বকা দিত।



অতঃপর মা রোজ রোজ আমার উপর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বলেছিলঃ



" আজকের পর থেকে আমি আর তোর কাছ থেকে কোন নালিশ শুনতে চাইনা, তোকে যেই মারুক তুই তাকে মেরে আসবি"



কতটা কষ্টে একজন মা তার ছেলেকে এরকম নির্দেশ দেয় তা বোধ হয় কারোর ই অজানা নয়। তবে সত্যিই তারপর থেকে আমার প্রতিবাদী আচরন আমাকে আর ওদের দ্বারা নির্যাতীত হতে দেয়নি।



আমার এই ব্লগের উদ্দেশ্য শুধু যারা র‌্যাগিং এ পারদর্শী তাদের সচেতন করা নয়, যারা আক্রান্ত তাদেরও সচেতন করা।



ভদ্র হোন কিন্তু গল্পের সেই সাপের মত হয়েন না



আপনি কামড়াবেন না ঠিক আছে কিন্তু ফোঁস করতে তো সমস্যা নাই।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

মামুinসামু বলেছেন: এ সম্পর্কিত একটা মুভি Table No. 21

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

রাকিব পলাশ বলেছেন: হ্যা দারুন একটা মুভি_

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.